Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১৩ই শাবান, ১৪৪৩ হিজরি।। ১৭ ই মার্চ, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১৩ই শাবান, ১৪৪৩ হিজরি।। ১৭ ই মার্চ, ২০২২ ঈসায়ী।

    মুসলিম গণহত্যা বাস্তবায়নে ১লাখ শাখা খুলবে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী দল আরএসএস


    ভারতে মুসলিমদের উপর গণহত্যার কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। যদিও এখনো ব্যাপক আকার ধারণ করেনি। হিন্দুত্ববাদীদের প্লান দেখে বিশ্লেষকগণ বলছেন, ২০২৫ সালের মাঝেই হিন্দুত্ববাদীদের মুসলিম গণহত্যার চুড়ান্ত রুপ প্রকাশ পাবে।

    গত শুক্রবার গুজরাটের আহমেদাবাদের কাছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) শীর্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার তিন দিনের বৈঠক হয়েছে।

    সেখানে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী দল আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত এবং সরকারী দলীয় লোকসহ সারা দেশ থেকে প্রায় ১,২০০ জন প্রধান প্রধান নেতা বা পদাধিকারীরা অংশগ্রহণ করে।

    বর্তমানে আরএসএস সারা ভারতে প্রায় ৬০ হাজারের অধিক শাখা চালায়। “যারা এই শাখাগুলোতে যোগদান করে তাদের ৬১ শতাংশই স্কুল বা কলেজ ছাত্র। এর মাধ্যমে বুঝা যায় আরএসএস সন্ত্রাসীরা যুবকদের টার্গেট করেই কাজ করছে। ফলে উগ্র হিন্দুত্ববাদী যুবকদের সংখ্যা বাড়াচ্ছে। দেশের মোট ২,৩০৩ টি শহরের মধ্যে শতাংশে শাখা রয়েছে।

    “দেশে ৫৯,০০০ মণ্ডল রয়েছে। প্রতিটি মন্ডল ১২ গ্রাম নিয়ে গঠিত। আগামী দুই বছরে, আরএসএস তার ভিত্তি প্রসারিত করার চেষ্টা করবে এবং সমস্ত মন্ডলে শাখা প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা কাজ করব। আগামী দুই বছরের মধ্যে আমরা একটি অর্জন করার পরিকল্পনা করছি।”

    বিজ্ঞ বিশ্লেষকগণ বলছেন, তাদের অর্জন দ্বারা উদ্দেশ্য হল মুসলিম গণহত্যা বাস্তবায়ন করা।

    শাখার মাধ্যমে আরএসএস-এ আসা ছাড়াও, একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক উগ্র সংগঠনের ওয়েবসাইটে পরিচালিত “আরএসএসে যোগ দিন” প্রচারণার মাধ্যমে উৎসাহিত হয়ে আরএসএস-এ যোগ দিচ্ছে।

    আরএসএস-এ আসা লোকদেরকে প্রকাশ্যভাবে মুসলিমদের হত্যা করতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সকল বয়সের হিন্দুদেরকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করে প্রশিক্ষিত করে তুলছে তারা।

    ইতিমধ্যেই হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী বাহিনী মুসলিদের উপর হামলা শুরু করে দিয়েছে। তাদের ঘোষণা অনুযায়ী ১ লাখ শাখা পূর্ণ হলেই ব্যাপক আকারে মুসলিমদের উপর গণহত্যা চালানো হবে।

    তথ্যসূত্র:
    ——-
    1. Plans to open one lakh shakhas by 2025: RSS

    2. Over 60,000 RSS Shakhas Running Across India at Present

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ইসরাইল ছাড়ো, নয়তো সম্পর্ক: বিয়ে সংক্রান্ত মুসলিমবিদ্বেষী আইন নবায়ন


    ইসরাইলি দখলদারদের কারণে নিজ দেশেই আজ পরাধীন ফিলিস্তিনের মুসলিমরা। ফিলিস্তিনী মুসলিমদের ভূমি দখল করে ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করেছে ইহুদী সন্ত্রাসীরা। আর সেখানেই কিনা বসবাসের অনুমতি নেই পশ্চিমতীর ও গাজার মুসলিম ফিলিস্তিনিদের।

    ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ইসরাইলি নাগরিকদেরকে বিয়ে করে এক সময় সেখানে থাকার সুবিধা ও নাগরিকত্ব পেতেন তারা। তবে ২০০৩ সালে বিতর্কিত আইনে তা আটকে দেয় ইসরাইল।

    বিয়ে নিয়ে ইসরাইলের বর্ণবাদী আইন নবায়ন হয়েছে দেশটির কথিত পার্লামেন্টে। ওই আইনে পশ্চিমতীর বা গাজা থেকে বিয়ে করে ফিলিস্তিনিদের আনতে পারবে না আরব বংশোদ্ভূত মুসলিম নাগরিকরা। ২০০৩ সাল থেকে এ আইন বাস্তবায়ন হয়ে আসছে।
    বিতর্কিত এ আইনের মূল বক্তব্য ইসরাইল ছাড়ো, নয় তো সম্পর্ক। উদ্দেশ্য, বিতাড়িত মুসলিমরা ফিলিস্তিনিরা যাতে নিজ ভূখণ্ডে ফিরতে না পারে।

    আইনটি তখন অস্থায়ীভাবে পাস হয়। পরবর্তীতে প্রতি বছর নবায়ন করা হচ্ছে এই আইন। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবারও আইনটি নবায়ন হয়েছে। ১২০ সদস্যের ইসরাইলি পার্লামেন্টে পক্ষে ভোট ৪৫টি, বিপক্ষে ১৫, ভোট দেয়নি ৬০ আইনপ্রণেতা।

    ইসরাইলের জনসংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ। ২০ শতাংশ ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত। তারা পশ্চিমতীর বা গাজার ফিলিস্তিনিদের বিয়ে করতে পারেন। কিন্তু স্বামী বা স্ত্রীকে আনতে পারেন না। এখন তাদের ইসরাইল ছাড়তে হবে, নয়তো সম্পর্ক! সিরিয়া, লেবানন, জর্ডানের ক্ষেত্রেও তাই। তাদের শত্রু রাষ্ট্র ভাবে ইসরাইল। গাজা, পশ্চিমতীর থেকে কাউকে আনলে ’রাষ্ট্রদ্রোহ বা সন্ত্রাসবিরোধী’ কথিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

    ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ইসরাইলি আইনজীবী খালেদ জাবারকা বলেন, এ ধরনের আইন সরকারের সঙ্গে পার্লামেন্টকেও বর্ণাবাদী বলে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ইহুদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা বহাল রাখার জন্যই এ আইন। আরবদের অস্তিত্বে আঘাতই এ আইনের লক্ষ্য।

    বিশ্লেষকগণ বলছেন, ১৯৪৮ সালের যুদ্ধে প্রাণ বাঁচাতে যারা পালিয়েছেন বা যাদের তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে, পশ্চিম তীর, গাজাসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেয়া ওই ব্যক্তিরা যাতে ফিরতে না পারেন, বিয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পেতে না পারেন- সেই জন্যই এ আইন।

    বিশ্বের কথিত মানবতাবাদীরা অমুসলিমদের জন্য কাজ করলেও, ফিলিস্তিনি মুসলিদের বেলায় তারা বেমালুম নীরব। হলুদ মিডিয়াগুলো এব্যাপারে মুখে কুলুপ লাগিয়ে রেখেছে। তাদের ভন্ডামী ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধে বিশ্ববাসীর কাছে আবারো স্পষ্ট হয়ে গেছে।

    ফিলিস্তিনবাসীকে তাই নিজেদের প্রতিরক্ষার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধেই তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হক্কানি উলামায়ে কেরাম।

    তথ্যসূত্র:
    —–
    ১। ফিলিস্তিনি বিয়ে নিয়ে ইসরাইলের বর্ণবাদী আইন নবায়ন

    ২। ভিডিও লিংক:


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment

    Working...
    X