Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১৬ই শাবান, ১৪৪৩ হিজরি।। ২০ই মার্চ, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১৬ই শাবান, ১৪৪৩ হিজরি।। ২০ই মার্চ, ২০২২ ঈসায়ী।

    আবারো ফেসবুকে মুহাম্মাদ (ﷺ) নিয়ে হিন্দুত্ববাদীদের কটুক্তি: প্রতিবাদ করায় মুসলিমদের উপর পুলিশের হামলা


    কিছুদিন পর পরই হিন্দুত্ববাদী উগ্র সন্ত্রাসীরা আল্লাহর রাসূল ﷺ নিয়ে কটুক্তি করে মুসলিমদের কলিজায় আঘাত দেয়। পরে শোনায় দালাল প্রশাসনের মাধ্যমে সাজানো আইডি হ্যাকের গল্প।
    এরই ধারাবাহিকতায় খুলনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে একটি পোস্ট দেয় নারায়ন সাহা। এই পোস্টকে কেন্দ্র করে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। শনিবার (১৯ মার্চ) দুপুরের দিকে রূপসা উপজেলার রাজাপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা প্রতিবাদে বিক্ষোভ করলে পুলিশ নির্বিচারে মুসলিমদের উপর লাঠিচার্জ করে। একজন নিরপরাধ বিকলাঙ্গ বৃদ্ধ মুসলিমকে পুলিশ পা দিয়ে চেপে মারধর করে।

    এদিকে, হিন্দু যুবক ‘নারায়ন সাহা’কে বাঁচাতে তাকে দালাল পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রূপসা উপজেলার রাজাপুর পোড়া মাঠ এলাকার বাসিন্দা নারায়ন সাহা তার ফেসবুক আইডি থেকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে একটি পোষ্ট করে। এ বিষয়টি প্রচার হলে শনিবার জোহরের নামাজের পর স্থানীয় রাজাপুর মসজিদের মুসল্লিরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এ খবর পেয়ে স্থানীয় আইচগাতি ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মুসল্লিদের ওপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে আলী হোসেন সরদার (৬৫) নামে এক বৃদ্ধসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এতে মুসল্লিরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তারা স্থানীয় ভ্রাতৃ যুব সংঘ’ নামক একটি ক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন।

    স্থানীয় রাজাপুর শাহী জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতী জুনায়েদ আহমদসহ স্থানীয় কয়েকটি মসজিদের ইমাম ও ইমাম পরিষদের নেতারাও এ সময় প্রশাসনের কাছে দোষী ব্যক্তির কঠোর শাস্তি দাবি করে জনতাকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেয়।

    ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রাজাপুর ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ অহিদুজ্জামান মিন্টু বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের ঘটনা শোনার পর স্থানীয় মুসল্লিরা উত্তেজিত হন। বিষয়টি তারা পুলিশকে অবহিত করেন। তারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।

    জেলা পুলিশ সুপার মাহবুব হাসান হিন্দু সাহার পক্ষ নিয়ে কোনো ধরণের তদন্ত না করেই বলে দিয়েছে, ‘এই নারায়ন সাহা’র পক্ষে এ ধরণের পোষ্ট দেওয়া সম্ভব না’। এ ঘটনার আগেও অনেক হিন্দু এমন ন্যক্কারজনক কাজ করেছে। কিন্তু প্রশাসন বারবার আইডি হ্যাকের গল্প শুনিয়েছে। শুধু তাই নয় হিন্দুত্ববাদীদের দালাল প্রশাসন হিন্দুদের পক্ষ নিয়ে তাওহিদী নবীপ্রেমী মুসলিমদের উপর গুলি চালিয়েছে। ৯০% মুসলিমের দেশে নবীকে কটুক্তিকারীদের পক্ষ নিয়ে মুসলিমদের উপর হামলা চালানোর অধিকার তাদের কে দিয়েছে- এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই।
    তথ্যসূত্র:
    —–
    ১। খুলনায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত

    ২। ভিডিও লিংক: https://tinyurl.com/2f4fafuy
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    গুজরাট ও কর্ণাটকে হিন্দুত্ববাদীদের বই ভগবত গীতা পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা: পড়তে হবে মুসলিমদেরও!

    গুজরাটে ভগবত গীতা পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা করেছে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী জিতু ভাঘানি। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষেই এই নীতি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে গুজরাট সরকার। গুজরাটে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির স্কুলে পাঠ্যসূচিতে শ্রীমদভগবত গীতা চালু করার কথা ঘোষণা করার পর পরই কর্ণাটকও স্কুলের সিলেবাসে গীতা অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছে৷ গুজরাটের মতোই কর্ণাটকেও ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার রয়েছে।

    কর্ণাটকের শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ বলেছে, শ্রীমদভগবত গীতা শিক্ষার্থীদের পাঠ্য হিসাবে সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত হবে৷ শুধু হিন্দুদের জন্য নয়।হিন্দুত্বাদীদের এই ভগবদ্গীতা মুসলিমদের জন্যও আবশ্যক করা হবে বলে জানায় সে।
    শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেছে শুধু শ্রীমদভগবত গীতা নয় যা কিছু শিশুদের উপর প্রভাব ফেলবে তা প্রবর্তন করা হবে, যেমন ভগবত গীতা, রামায়ণ বা মহাভারতের মত সব কিছু।
    এদিকে, সম্প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হিজাব সহ ধর্মীয় পোশাক পরতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কর্ণাটকের হাই কোর্ট। মুসলিম বিদ্বেষী এই রায়ের পরেই আবার পাঠ্যবইয়ে গীতা নিয়ে আসার বিষয়টি নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
    বিশ্লেষকগণ প্রশ্ন তুলেছেন, ভারত যদি কথিত বৃহত গণতন্ত্রের দেশেই হয় তাহলে মুসলিমদের হিজাবসহ বিভিন্ন বিধি বিধানে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে কেন? আবার সিলেবাসে হিন্দুদের ধর্মীয় বই অন্তর্ভুক্ত করে তা মুসলিমদের পড়তে বাধ্য করা হবে কেন? এটা যদি হিন্দুদের ধর্মীয় বই না হয়ে মুসলিমদের ধর্মীয় গ্রন্থ আল কোরআন হত তাহলে কি হিন্দুত্ববাদীরা তা মেনে নিত ?
    তথ্যসূত্র:
    ——
    1|Gujarat: English mandatory from Class 1, and Gita for Classes 6-12

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment

    Working...
    X