Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১৭ই শাবান, ১৪৪৩ হিজরি।। ২১ই মার্চ, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১৭ই শাবান, ১৪৪৩ হিজরি।। ২১ই মার্চ, ২০২২ ঈসায়ী।

    ইসলাম ও হিজাবের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার উগ্র হিন্দু শিক্ষকের

    বাংলাদেশে হিন্দুত্ববাদীদের উদ্ধত আচরণ দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। ৯২% মুসলিমের দেশে ইসলামি বিধি বিধানের উপর প্রকাশ্যে হস্তক্ষেপ করছে ইসলামবিদ্বেষী ভারতীয় দালাল সরকার ও তাদের তাবেদার প্রশাসন। একদিকে আল্লাহর রাসূলকে (সাঃ) গালি দিচ্ছে, আহলে বাইত তথা নবী পরিবাবের পূত পবিত্র ব্যক্তিবর্গদের নিয়েও কটুক্তি করছে। আবার ইসলামের বিধি-বিধানের উপরেও নানান নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে সমাজের বিভিন্ন স্তরে ঘাপটি মেরে থাকা হিন্দুত্ববাদীদের দালালরা।

    ভারতে হিজাব বিতর্কের পরেই বাংলাদেশে অবস্থিত হিন্দুত্ববাদীেদের দালাল হিন্দুরা মুসলিমদের বোরকা নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য শুরু করেছে।তারই ধারাবাহিকতায় এবার বোরকা নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছে হিন্দুত্ববাদী প্রধান শিক্ষক সুনীল চন্দ্র।

    সে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাদেশ্বর ইউনিয়নের নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক।
    ২০২২ সালের এসএসসি শিক্ষার্থী হিজাব পড়ে যাওয়ায় কলেজের প্রধান শিক্ষক সুনীল চন্দ্র বোরকা ও হিজাব নিয়ে কটুক্তি করেছে।
    ১৫/০৩/২২ তারিখ দশম শ্রেণীর ছাত্রীরা বোরকা এবং হিজাব পরে স্কুলে যাওয়ায় সুনিল স্যার ছাত্রীদের নির্দেশ দেয়। বোরকা না খোলায় এক পর্যায়ে রেগে নিজের হাতে টেনে হিচড়ে বোরখা খোলতে শুরু করে। আর অশ্রাব্য গালাগালি করে বলতে থাকে বোরকা বা হিজাব পরলে ভুতের মত লাগে। নেকাবের নিচে খারাপ মানুষ থাকে।

    এটা ভারেতের কোন ঘটনা নয় বাংলাদেশের ঘটনা। বর্তমানে চলমান ঘটনাগুলো থেকে বুঝা যায় হিন্দুত্ববাদীদের আস্ফালন কত বেড়ে গেছে। তাই এখনি তাদের হিন্দুত্ববাদী বিষ দাত ভেঙ্গে দিতে মুসলিম জন সাধারণকে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামিক চিন্তাবিদগণ।

    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. https://tinyurl.com/56yta2sa
    2. https://tinyurl.com/r7aujn58

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলির চাপের মুখে কর্ণাটক উৎসবে মুসলিম ব্যবসায়ীদের নিষিদ্ধ ঘোষণা


    ভারতের হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিমলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। সামাজিকভাবে বয়কট করে দূর্বল বানিয়ে দিচ্ছে।

    হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলির চাপের মুখে, ভারতের কর্ণাটকের একটি ঐতিহাসিক উৎসবের আয়োজকরা মুসলিম দোকানদারদের ব্যবসা করতে নিষেধ করেছে৷

    শিবমোগায় কোটে মারিকাম্বা যাত্রার আয়োজক কমিটি ভারতীয় জনতা পার্টি, বজরং দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবিতে নতি স্বীকার করেছে যে, উৎসবের সময় কোনো মুসলমানকে তার ব্যবসা চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে না। কমিটিটি এখন একটি হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীকে টেন্ডার বরাদ্দ করেছে। কোটে মারিকাম্বা উৎসব দুই বছরে একবার অনুষ্ঠিত হয় এবং জাতি বা ধর্ম নির্বিশেষে উৎসবে যোগদানকারী ভক্তদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়। মুসলিম ব্যবসায়ীরা স্টল স্থাপনের চেষ্টা করলে, হিন্দুত্ববাদী কর্মীরা একটি হট্টগোল সৃষ্টি করে এবং স্টল স্থাপন থেকে বিরত রাখে।

    ১৯ মার্চ, কমিটি, হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলির সাথে একটি বৈঠকের পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কারণ হিসেবে দেখানো যেন উতৎসবটি সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে। কমিটি এত বছর কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়নি।” হঠাৎ এ বছর মুসলিমদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

    হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিম নিধনের উদ্দেশ্যে ধীরে ধীরে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নঅ করে যাচ্ছে। পক্ষান্তরে মুসলিমরা এখনো নিজেদের মাঝে মতানৈক্য নিয়ে পড়ে আছে; আবার কেউ কেউ দিচ্ছে সরকারের আনুগত্য আর অসাম্প্রদায়িকতার সবক। তাই চিন্তাশীল উলামায়ে কেরাম মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে হিন্দুত্ববাদীদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াঁনোর আহ্বান জানিয়েছেন।

    তথ্যসূত্র:
    ——
    1. Under Pressure from Hindutva Groups, Karnataka Festival Bans Muslim Traders

    2. ‘Police Complicit’: Shivamogga Muslims Recount Carnage After Bajrang Dal Man’s Murder

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      বানোয়াট তথ্যচিত্র ‘কাশ্মীর ফাইলস’ দেখে হিন্দুত্ববাদীদের মুসলিম নারীদের ধর্ষণ ও গণহত্যা চালানোর আহ্বান


      ভারতে হিন্দুত্ববাদীরা বানোয়াট তথ্যচিত্র দিয়ে মুসলিম গণহত্যার আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে। হিন্দুত্ববাদী সরকারের প্রতক্ষ মদদে ইতিহাস বিকৃত করে বানানো হয়েছে কাশ্মীর ফাইলস নামে একটি ছবি।

      “দ্য কাশ্মীর ফাইলস” বিকৃত ইতিহাসভিত্তিক অনুমান নির্ভর একটি সিনেমা। ছবির পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী সন্ত্রাসী আরএসএসের নিজস্ব লোক। অনুপম খের ও মিঠুনও বিজেপির ঘরের লোক। এই ছবি নিয়ে হিন্দুত্ববাদী মোদী বেজায় উৎসাহী। বিজেপি শাসিত বহু রাজ্যে ছবিটি শুল্কমুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। ব্যাপকহারে প্রচার মাধ্যমকে কাজে লাগানো হচ্ছে বিজেপি’র ইসলামবিদ্বেষী এজেন্ডা বাস্তবায়নে। এর উদ্দেশ্য একটা মুসলিম বিরোধী ন্যারেটিভ কাজে লাগানো।

      এ সিনেমায় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ওপর অত্যাচারের গাল গল্প সাজানো হয়েছে। এবং যা হয়েছে তার কারণও তুলে ধরা হয়নি। এছাড়া কাশ্মীরি মুসলিম জনতার উপর হিন্দুত্ববাদী বাহিনীর অত্যাচারের কাহিনী চেপে গেছে ছবির পরিচালক। শুধু দেখানো হয়েছে মুসলিমরা কাশ্মীরী পন্ডিতদের কাশ্মীর ছাড়তে বাধ্য করেছে। এছাড়াও এমন কিছু দৃশ্য রয়েছে যার মাধ্যমে হিন্দুদের সস্তা আবেগকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়া যায়। হয়েছেও তাই। বেশ কয়েকটি সিনেমা হলে, সিনেমা চলাকালীন মুসলিম বিদ্বেষী হিংসাত্মক স্লোগান উঠেছে।

      সিনেমাটি দেখার সময় হিন্দুত্ববাদীদের দেওয়া কিছু মুৃসলিম বিদ্বেষী আচরণের বহিঃপ্রকাশ ছিল এমন :
      – মুসলিম মেয়েদের ধর্ষণ করার শ্লোগান উঠেছে।
      – মুসলিম মেয়েদের বিয়ে করে তাদের গর্ভ থেকে হিন্দু বাচ্চা পয়দা করার আওয়াজ তোলা হয়।
      – মুসলিমদের গুলি করে হত্যা করার গর্জন শোনা যায়।
      – মুসলিমদের থেকে সতর্ক থাকার জন্য হিন্দুদের সাবধান করা হয়।
      – মুসলিমদের উপর নিধনযজ্ঞ চালানোর জন্য হিন্দুদের হাতে হাতে অস্ত্র তুলে দিতে রাষ্ট্রকে আবেদন জানানো হয়।
      – শাহরুখ-আমীর-সালমান মুর্দাবাদ সহ তাদের সিনেমা বয়কটের ডাক দেওয়া হয়।

      বিশেষজ্ঞ মহল বলছেন যে, হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রীয় মদদে প্রোমোটেড সিনেমাটির আসল উদ্দেশ্য যে মুসলিম গণহত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি করা, তা উপলব্ধির জন্য রকেট সায়েন্স জানার প্রয়োজন নেই। এরা জানে সাধারণ মানুষ তেমন একটা লেখাপড়া করে না। ফলে বানোয়াট নিবন্ধ লিখে সেই প্রচারটা হবে না, যেটা একটা সিনেমাতে সম্ভব। তাই ট্যাঁরা এমনটি করেছে।

      হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজেই ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ নামক এই মুসলিম বিদ্বেষমূলক ছবিটির সাফল্য কামনা করেছে। মুভিটিতে যে ৬৫০ জন কাশ্মীরি পণ্ডিতকে হত্যা করার কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে, এই পরিসংখ্যান কোথা থেকে এল- তার কোনও স্পষ্ট জবাব কেউই দিতে পারেনি। হিন্দু কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দেখানো হয়েছে কাশ্মীরের আসল ভূমিপুত্র হিসেবে, আর কাশ্মীরি মুসলিমরা হচ্ছেন বহিরাগত – এই ধারণা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।

      কাশ্মীরে এখনও হাজার হাজার মুসলিম যুবক নিরুদ্দেশ রয়েছে। তাদের মা, বোন ও স্ত্রীরা জানতে চান, তাদের সন্তান বা স্বামী বেঁচে আছে না নিহত হয়েছে।
      হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন বা মানবাধিকার সংস্থাগুলি এই প্রশ্নে বার বার কাশ্মীর প্রশাসন ও ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছে, সঠিক জবাব তুলে ধরতে। কিন্তু সরকার এই বিষয়ে নিরুত্তর।

      কাশ্মীরে যে এক লক্ষেরও বেশি তরুণকে হিন্দুত্ববাদী বাহিনী খুন করেছে। তাদের পরিবারের জন্য কারও কোনও সহানুভূতি নেই। তাদের নিয়ে ছবি বানানো হলে নির্ঘাত দেশদ্রোহী মামলা দায়ের হবে। এমনিতেই কাশ্মীরি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ইউপিপিএ দেওয়া হচ্ছে। তাহলে মুভি বানালে তার ফলে যে কি হবে তা বুঝতে অসুবিধা হওয়া কথা নয়।

      ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই সিনেমাহলের ভিতরে এবং বাইরের মুসলিমদের বিরুদ্ধে গালিগালাজ করার অনেক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে।

      বিশ্লেষকগণ বলছেন, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে হিন্দুত্ববাদীরা গণহত্যা চালিয়েছে। কাশ্মীরেও কয়েক যুগ ধরে হিন্দুত্ববাদী বাহিনী হত্যাজ্ঞ চালিয়ে আসছে। হতাহত মুসলিমদের নিয়ে তো কেউ কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে সিনেমা বানায়নি। কারণ একটাই তারা মুসলিম। তাদের কথা মুখে আনাও মোদির দেশে অপরাধ।

      প্রতিবেদক : উসামা মাহমুদ

      তথ্যসূত্র:
      ——–
      1. Genocidal slogans raised at Kashmir Files screening

      2|Impetus to hate: Kashmir Files watchers give open call for killing Muslims; PM, BJP govts in states promoting it
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X