Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ২৭শে শাবান, ১৪৪৩ হিজরি।। ৩১শে মার্চ, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ২৭শে শাবান, ১৪৪৩ হিজরি।। ৩১শে মার্চ, ২০২২ ঈসায়ী।

    কর্ণাটকে উৎসবে হালাল মাংস ও মুসলিমদের বয়কটের আহ্বান হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর


    ভারতে একের পর এক মুসলিমদের বয়কটের ডাক দিচ্ছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। কর্ণাটকের শিবমোগায় কোটে মারিকাম্বা যাত্রা মেলায় মুসলিম ব্যবসায়ীদের স্টল প্রত্যাখ্যান করার পরে, হিন্দু জনজাগৃতি সমিতি রাজ্যে উগাদি উদযাপনের সময় হালাল মাংস পণ্য (যা ইসলামিক আইন অনুসারে অনুমোদিত) বয়কটের আহ্বান জানিয়েছে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র বলেছে যে হালাল পণ্য বয়কটের আহ্বানটি হাইকোর্টের হিজাব পড়া নিষিদ্ধ রায়ের বিরুদ্ধে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিবাদের ফল, আদালত রায় দিয়েছে যে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাথার স্কার্ফ পরতে দেওয়া হবে না।

    উগাদি অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং তেলেঙ্গানায় নববর্ষের দিন হিসেবে পালিত হয়। ঐতিহ্য অনুসারে, এই উৎসবের একদিন পর মাংস খাওয়া হয়।

    পূর্বে,২২ শে মার্চ থেকে শুরু হওয়া কোটে মারিকাম্বা যাত্রা উৎসবের আয়োজক কমিটি, উৎসবের সময় মুসলিম ব্যবসায়ীদের দোকান বরাদ্দ দেয়নি।

    সন্ত্রাসী বিজেপি, এবং অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী দল যেমন বজরং এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারা এই উৎসবের সময় শুধুমাত্র হিন্দু দোকানদারদের ব্যবসা করার অনুমতি দেওয়ার দাবি করে। এবং মুসলিমদেরকে বয়কট করার জন্য চাপ দেয়।

    মুসলিম ব্যবসায়ীদের নিষেধাজ্ঞা রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে পড়ায়,মুসলিম ব্যবসায়ীদের মধ্যে হতাশা বাড়িয়েছে।

    উপকূলীয় কর্ণাটকের মুসলিম ব্যবসায়ীরা হিজাব নিষিদ্ধ করে দেওয়া আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে শাটার নামিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন। তারপর থেকেই মুসলিম ব্যবসায়ীদের বয়কটের ডাক দেয়।

    নিষেধাজ্ঞাটি মুসলিম ব্যবসায়ীদেরকে আঘাত করেছে ঠিক যখন তারা কোভিড-পরবর্তী স্বাভাবিক জীবন লাভের অপেক্ষায় ছিল।
    দক্ষিণ কন্নড় জেলার হালেঙ্গাদি গ্রামের ৫৪ বছর বয়সী হুসেন ৩৫ বছর ধরে খেলনা বিক্রি করছেন, তার বাবাও এই ব্যবসা করেছেন। “বার্ষিক উৎসবের মৌসুম এবং অনুষ্ঠান নভেম্বরের কাছাকাছি শুরু হয় এবং এপ্রিলের মধ্যে শেষ হয়। এই সময়গুলোতে, আমরা অন্তত ৪০-৫০ জায়গায় ব্যবসা করব। আমরা কখনো ভাবিনি যে ইসলাম ধর্ম আমাদের বয়কটের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।… এই ব্যবসার সময়ে আমরা অন্তত ছয় মাস একসাথে থাকতাম। আমরা খাবার ভাগাভাগি করি, একে অপরের জন্য কাজ করি..অথচ এখন আমরা তাদের বয়কটের শিকার হয়ে গেছি। আমাদের জীবন চালানো এখন অসম্ভব হয়ে যাবে।

    ম্যাঙ্গালুরুর ৫৫ বছর বয়সী সুলেমান বলেছেন যে নিষেধাজ্ঞাই শেষ খড় এবং তিনি ২৫ বছর ধরে খেলনা বিক্রির ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ার মনস্থির করেছেন।

    তিনি বলেছেন “এটা খুবই দুঃখজনক… আমরা যখন কমিটির সদস্যদের সাথে দেখা করি, তারা আমাদেরকে দূরে থাকার নির্দেশ দেয়। তারা অযুহাত দেখায় তারা চাপের মধ্যে আছে, কিছু হিন্দু সংগঠন তাদের হুমকি দিয়েছে যে তারা মুসলমানদের উৎসবে ব্যবসা করতে দিলে তাদের ভয়ানক পরিণতি হবে।”

    হিন্দুত্ববাদীরা পকাশে এমন অপরাধমূলক কাজ করলেও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। কারণ পুলিশ প্রশাসন সবই হিন্দুত্ববাদের এজন্ডা হিসেবে কাজ করছে।তারা কখনোই মুসলিমদের বিপদে পাশে দাড়াঁবে না। তাই হিন্দুত্ববাদী প্রশাসনের উপর ভরসা না করে নিজেদের জান মাল রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিজ্ঞ উলামায়ে কেরাম।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. Hindutva Group Calls for Boycott of Halal Meat During Karnataka’s Ugadi Festival
    https://tinyurl.com/3fmx4mp9
    2. Muslim ban: Unease grows, Karnataka temple committees, traders admit pressure
    https://hindutvawatch.org/muslim-ban...dmit-pressure/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ভারতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে নামাজ পড়া নিয়ে হিন্দুত্ববাদীদের বিতর্ক


    ভারতে হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিমদের ইবাদত ও ইসলামের বিধি বিধান পালনের উপর অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করে যাচ্ছে। একের পর এক ইস্যু তৈরি করে মুসলিমদের কোণঠাসা করা সহ মুসলিমদের গণহত্যার ক্ষেত্র প্রস্তুত করে যাচ্ছে তারা।

    এবার ভারতের মধ্যপ্রদেশে একটি কলেজে আবার হিজাব পরে নামাজ আদায় করা নিয়ে হিন্দুত্ববাদীরা বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। ড. হরিসিং গৌর সাগর ইউনিভার্সিটিতে হিজাব পরে শ্রেণিকক্ষের ভিতর একজন ছাত্রীকে নামাজ আদায়ের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর এই বিতর্কের সূত্রপাত।
    ১৯ সেকেন্ডের ভিডিওটি হিন্দু জাগরণ মঞ্চ সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়। এ বিষয়টিকে হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিম বিদ্বেষে রুপ দেয়্। উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে হনুমান চালিসা পাঠের আয়োজন করে। এর কারণ একটাই, যেন মুসলিমদের নামায আদায়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা যায়। কিছুদিন পূর্বে তাদের কারণেই মুসলিম নারীদের হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কর্ণাটকের হিন্দুত্ববাদী আদালত।

    ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইউনিভার্সিটি প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছে সন্ত্রাসী গ্রুপ হিন্দু জাগরণ মঞ্চ।
    তাদের কথা আমলে নিয়ে এ জন্য ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদেরকে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এর ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু যেসমস্ত উগ্র হিন্দুরা অনুমতি ছাড়া ভিডিও করে অশান্তি তৈরি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

    উল্লেখ্য, এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্ধারিত কোনো ড্রেস কোড নেই। শিক্ষার্থীদেরকে নৈতিক পোশাক পরে ক্লাসে যোগ দিতে বলা হয়েছে। আর মুসলিম নারীদের হিজাব পরিধান করাই ধর্মীয় বিধান এবং অন্যতম নৈতিকত পোশাক, যা কোন মতেই কোন অপরাধ নয়!

    এতদিন আফগানিস্তান বা মুসলিম রাষ্ট্র গুলির বোরকা বা হিজাব নিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ পরিবেশন করতো। মুসলিম নারীদের উপর নাকি জোর করে হিজাব চাপিয়ে দেওয়া হয়! আর যখন মুসলিম নারীরা আল্লাহ্‌র নির্দেশ পালনে স্বেচ্ছায় হিজাব পরছেন, তখন তারা বাধা দিচ্ছে।

    আসলে এগুলো সবই মিডিয়ার মিথ্যাচার। এখন ভারতীয় নারীরা হিজাব পরতে চায় কিন্তু হিন্দুত্ববাদীরা তাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে। হিন্দুত্ববাদী মিডিয়া এখন আর মুসলিম নারীদের হিজাব পরার অধিকার নিয়ে কোন কথা বলছে না। বরং উল্টো মুসলিম বিদ্বেষকে উসকে দিচ্ছে।


    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. Varsity in Madhya Pradesh probes student offering namaz on campus
    https://tinyurl.com/5n735pfc
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment

    Working...
    X