কাশ্মীর | ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে প্রতিরোধ যুদ্ধ, বাড়ছে বিদেশী যোদ্ধাদের সংখ্যা
হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় সামরিক বাহিনীর উপর হামলার সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধির সাথে সাথে কাশ্মীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে স্থানীয় ও বিদেশি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সংখ্যা। যা ইসলাম বিদ্বেষী ভারত সরকারের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
বিবরণ অনুযায়ী, গত ২০২২ সালের প্রথম তিন মাসেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলিম তরুন বিভিন্নভাবে কাশ্মীরে এসেছেন প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নিতে। যা উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হিন্দুত্ববাদী প্রশাসনের ডেটাবেজ বলছে, কাশ্মীরে সব মিলিয়ে ১৭২ জন প্রতিরোধ যোদ্ধা রয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৬ জন জম্মু অঞ্চলে এবং বাকিরা কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থান করছেন। যারা উপত্যকার বিভিন্ন প্রতিরোধ বাহিনীর সাথে যুক্ত হয়ে সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন।
কাশ্মীরভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ‘দা কাশমিরিয়াত’ এর রিপোর্ট বলা হয়েছে, এসব মুসলিম প্রতিরোধ বাহিনীগুলো বেশি সংখ্যক প্রতিরোধ যোদ্ধা অবস্থান করছেন দক্ষিণ কাশ্মীরে, সেখানে অন্তত ৮৭ জন যোদ্ধা আছেন। আর উত্তর ও মধ্য কাশ্মীরে আছেন যথাক্রমে ৬৫ জন ও ১৬ জন প্রতিরোধ যোদ্ধা। রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে যে, ১৭২ জন মুসলিম প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মধ্যে ৯৩ জন স্থানীয় কাশ্মীরি যুবক। বাকি ৭৯ জনই প্রতিবেশি দেশ থেকে হিজরত করে কাশ্মীরে এসেছেন।
তবে ধারণা করা হচ্ছে যে, ভারতের এই দাবির চাইতেও বর্তমানে কয়েকগুণ বেশি প্রতিরোধ যোদ্ধা কাশ্মীরে অবস্থান করছেন। যাদের লক্ষ্য হচ্ছে কাশ্মীরকে হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় দখলদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত করা এবং এখানে আল্লাহর শরিয়াহ্ বাস্তবায়ন করা।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয় যে, এবছরের প্রথম তিন মাসেই প্রায় ১৫ জন কাশ্মীরি যুবক বিলাসী জীবন ছেড়ে প্রতিরোধ যুদ্ধে যোগদান করেছেন। এছাড়াও উক্ত ৩ মাসে যোদ্ধাদের জন্য আসা অস্ত্রের চালানের মধ্যে ২৩টি চালান ভারতীয় দখলদার বাহিনী জব্দ করেছে। এর থেকে এটা স্পষ্ট যে, কাশ্মীরের ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা অস্ত্রের দিক থেকে স্বল্পতা কাটিয়ে উঠতে জোরদার প্রয়াস চালাচ্ছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, উক্ত ২৩টি চালানের আড়ালেও বহু অস্ত্রের চালান সফলভাবে কাশ্মীরে এসে পৌঁছেছে। যেখানে হালকা অস্ত্রের পাশাপাশি অত্যাধুনীক অস্ত্র, স্নাইপার ও লেজার গানও রয়েছে। কেননা গত বছরের শেষ নাগাদ নিজেদের উপর এসব অস্ত্রের ব্যবহার প্রত্যক্ষ করেছে ভারতীয় বাহিনী। ফলে প্রতিরোধ যোদ্ধারা দখলদার বাহিনীর ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকেই সফলভাবে হামলা চালিয়ে নিরাপদে সরে পড়ছেন।
উল্লেখ্য যে, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণের দিক থেকে কিছুটা ঘাটতি থাকলেও বর্তমানে তা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছেন কাশ্মীরী প্রতিরোধ যোদ্ধারা। আল্লাহর জমিনে আল্লাহর শরিয়াহ্ প্রতিষ্ঠা করা এবং দেশকে দখলদারিত্বের হাত থেকে মুক্ত করার প্রবল ইচ্ছায় তারা এখন পরমাণু শক্তিধর ভারতের দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতি সপ্তাহেই লড়াইয়ে অবতীর্ণ হচ্ছেন। প্রতিরোধ যোদ্ধাদের এসব প্রাণঘাতি হামলাতে প্রতি সপ্তাহেই অনেক ভারতীয় দখলদার সেনা ও পুলিশ সদস্য হতাহত হচ্ছে।
ইসলামি চিন্তাবিদগণ তাই বলছেন, কাশ্মীর ও ভারতের মুসলিমদের জন্য আসার আলো হয়ে দেখা দিয়েছে কাশ্মীরি প্রতিরোধ জধাদের এই উত্থান এবং তাদের সাথে অন্য অঞ্চলের মুসলিমদের যোগদান। এটা আরও প্রমাণ করে যে, কাশ্মীরের সমস্যাকে এখন মুসলিমরা নিজ উম্মাহর সমস্যা হিসেবে দেখছে। এবং এই সমস্যার সমাধানে কোন তন্ত্র-মন্ত্রের ভরসায় না থেকে উম্মাহর বীর যুবকেরা দলে দলে সেখানে যাচ্ছে কাশ্মীরি মুসলিমদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করতে – এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা।
হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় সামরিক বাহিনীর উপর হামলার সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধির সাথে সাথে কাশ্মীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে স্থানীয় ও বিদেশি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সংখ্যা। যা ইসলাম বিদ্বেষী ভারত সরকারের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
বিবরণ অনুযায়ী, গত ২০২২ সালের প্রথম তিন মাসেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলিম তরুন বিভিন্নভাবে কাশ্মীরে এসেছেন প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নিতে। যা উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হিন্দুত্ববাদী প্রশাসনের ডেটাবেজ বলছে, কাশ্মীরে সব মিলিয়ে ১৭২ জন প্রতিরোধ যোদ্ধা রয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৬ জন জম্মু অঞ্চলে এবং বাকিরা কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থান করছেন। যারা উপত্যকার বিভিন্ন প্রতিরোধ বাহিনীর সাথে যুক্ত হয়ে সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন।
কাশ্মীরভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ‘দা কাশমিরিয়াত’ এর রিপোর্ট বলা হয়েছে, এসব মুসলিম প্রতিরোধ বাহিনীগুলো বেশি সংখ্যক প্রতিরোধ যোদ্ধা অবস্থান করছেন দক্ষিণ কাশ্মীরে, সেখানে অন্তত ৮৭ জন যোদ্ধা আছেন। আর উত্তর ও মধ্য কাশ্মীরে আছেন যথাক্রমে ৬৫ জন ও ১৬ জন প্রতিরোধ যোদ্ধা। রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে যে, ১৭২ জন মুসলিম প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মধ্যে ৯৩ জন স্থানীয় কাশ্মীরি যুবক। বাকি ৭৯ জনই প্রতিবেশি দেশ থেকে হিজরত করে কাশ্মীরে এসেছেন।
তবে ধারণা করা হচ্ছে যে, ভারতের এই দাবির চাইতেও বর্তমানে কয়েকগুণ বেশি প্রতিরোধ যোদ্ধা কাশ্মীরে অবস্থান করছেন। যাদের লক্ষ্য হচ্ছে কাশ্মীরকে হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় দখলদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত করা এবং এখানে আল্লাহর শরিয়াহ্ বাস্তবায়ন করা।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয় যে, এবছরের প্রথম তিন মাসেই প্রায় ১৫ জন কাশ্মীরি যুবক বিলাসী জীবন ছেড়ে প্রতিরোধ যুদ্ধে যোগদান করেছেন। এছাড়াও উক্ত ৩ মাসে যোদ্ধাদের জন্য আসা অস্ত্রের চালানের মধ্যে ২৩টি চালান ভারতীয় দখলদার বাহিনী জব্দ করেছে। এর থেকে এটা স্পষ্ট যে, কাশ্মীরের ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা অস্ত্রের দিক থেকে স্বল্পতা কাটিয়ে উঠতে জোরদার প্রয়াস চালাচ্ছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, উক্ত ২৩টি চালানের আড়ালেও বহু অস্ত্রের চালান সফলভাবে কাশ্মীরে এসে পৌঁছেছে। যেখানে হালকা অস্ত্রের পাশাপাশি অত্যাধুনীক অস্ত্র, স্নাইপার ও লেজার গানও রয়েছে। কেননা গত বছরের শেষ নাগাদ নিজেদের উপর এসব অস্ত্রের ব্যবহার প্রত্যক্ষ করেছে ভারতীয় বাহিনী। ফলে প্রতিরোধ যোদ্ধারা দখলদার বাহিনীর ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকেই সফলভাবে হামলা চালিয়ে নিরাপদে সরে পড়ছেন।
উল্লেখ্য যে, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণের দিক থেকে কিছুটা ঘাটতি থাকলেও বর্তমানে তা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছেন কাশ্মীরী প্রতিরোধ যোদ্ধারা। আল্লাহর জমিনে আল্লাহর শরিয়াহ্ প্রতিষ্ঠা করা এবং দেশকে দখলদারিত্বের হাত থেকে মুক্ত করার প্রবল ইচ্ছায় তারা এখন পরমাণু শক্তিধর ভারতের দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতি সপ্তাহেই লড়াইয়ে অবতীর্ণ হচ্ছেন। প্রতিরোধ যোদ্ধাদের এসব প্রাণঘাতি হামলাতে প্রতি সপ্তাহেই অনেক ভারতীয় দখলদার সেনা ও পুলিশ সদস্য হতাহত হচ্ছে।
ইসলামি চিন্তাবিদগণ তাই বলছেন, কাশ্মীর ও ভারতের মুসলিমদের জন্য আসার আলো হয়ে দেখা দিয়েছে কাশ্মীরি প্রতিরোধ জধাদের এই উত্থান এবং তাদের সাথে অন্য অঞ্চলের মুসলিমদের যোগদান। এটা আরও প্রমাণ করে যে, কাশ্মীরের সমস্যাকে এখন মুসলিমরা নিজ উম্মাহর সমস্যা হিসেবে দেখছে। এবং এই সমস্যার সমাধানে কোন তন্ত্র-মন্ত্রের ভরসায় না থেকে উম্মাহর বীর যুবকেরা দলে দলে সেখানে যাচ্ছে কাশ্মীরি মুসলিমদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করতে – এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা।
Comment