Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ০৫ই রমাদান, ১৪৪৩ হিজরি।।০৭ই এপ্রিল, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ০৫ই রমাদান, ১৪৪৩ হিজরি।।০৭ই এপ্রিল, ২০২২ ঈসায়ী।

    এবার মুসলিম ফল ব্যবসায়ীদেরকেও বয়কটের আহ্বান উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর

    ভারতে মুসলিমদের উপর চলছে উগ্র হিন্দুদের একেরপর এক নিষেধাজ্ঞা। উগ্র হিন্দুরা মুসলিমদের খাবার, পোষাক, চলাফেরা, ব্যবসা সবকিছুর উপর অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করছে। হালাল খাবার, কাাঁচা গোশত বিক্রি, লাউডস্পিকারে আযান দেওয়া সহ প্রায় প্রতি দিনই কোন না কোন ঠুনকো অভিযোগ এনে মুসলিমদের উপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে তারা। করছে হামলাও।

    বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার পর এবার হিন্দুত্ববাদীরা সামনে এনেছে মুসলিম ফল ব্যবসায়ীদের বয়কট করার ইস্যু। কর্ণাটকের কিছু হিন্দু সংগঠন এখন ফলের ব্যবসায় “মুসলমানদের বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছে।

    কর্ণাটকের হিন্দু জনজাগৃতি সমিতির সমন্বয়কারী হিন্দুত্ববাদী চন্দ্রু মোগার সাধারণ হিন্দুদেরকে হিন্দু বিক্রেতাদের কাছ থেকে ফল কেনার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। তার দাবি বেশিরভাগ ফলের ব্যবসা মুসলমানরা করে।

    ঐ উগ্র হিন্দু নেতার মতে “ফলের ব্যবসায় মুসলমানদের একচেটিয়া আধিপত্য রয়েছে। আমরা এটাও দেখছি যে তারা ফল এবং রুটি বিক্রি করার আগে থুথু ফেলছে, এই মুসলিম ব্যবসায়ীরা থুক জিহাদ (‘থুথু জিহাদ’) করছে।” কতই না অদ্ভুত আর রুচিহিন তার এই দাবি।

    সে আরও বলে, “আমি সমস্ত হিন্দুদের অনুরোধ করছি, ফলের ব্যবসায় মুসলমানদের একচেটিয়া ক্ষমতার অবসান ঘটাতে সাহায্য করুন। আমি আপনাদের শুধুমাত্র হিন্দু বিক্রেতাদের কাছ থেকে ফল কেনার জন্য আহ্ববান করছি।”

    অপর হিন্দু উগ্রপন্থী নেতা প্রশান্ত সামবার্গীও মুসলিম ফল বিক্রেতাদের বয়কট করার বিষয়ে তার মতই মত পোষণ করেছে।

    উল্লেখ্য, এই থুথু জিহাদের কাল্পনিক গালগল্প সাজিয়ে হিন্দুত্ববাদীরা গত বছর করোনার সময় মুসলিমদের উপর মিথ্যা অপবাদ দেয়। পরেই শুরু হয় মুসলিমদের হয়রানি, জরিমানা। বহু মুসলিমকে আটক করে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।

    হিন্দুত্ববাদীরা একে একে মুসলিমদের সকল বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে যাচ্ছে। অজগরের মতো প্রতিবার আগের চেয়ে আরেকটু বেশি করে চাপ দিচ্ছে, যেন গণহত্যা শুরু করার মতো পরিবেশ তৈরি করে তা অতি দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায়। এমন পরিস্থিতিতে বিজ্ঞ ইসলামি চিন্তাবীদ ও হক্কানি উলামায়ে কেরাম মুসলিমদেরকে ঐকবদ্ধ হয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বারে বার।

    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. After halal, loudspeaker ban, Karnataka outfits call for end of ‘Muslim monopoly’ in fruit business
    https://tinyurl.com/627kus8r

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    আহ আফসোস এই জাতির নামধারী বেশিরভাগ আলেমদের জন্য যারা জিহাদকে ফরজ হওয়ার জন্য তারেকাটা বেড়া কে শর্ত হিসেবে নিয়েছে!!

    Target is হিন্দুত্ববাদী.....aq °⚔️

    Comment


    • #3
      হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন | নওগাঁয় হিজাব পরায় মুসলিম ছাত্রীদের পিটিয়েছে হিন্দুত্ববাদী শিক্ষিকা আমোদিনি পাল


      এবার নওগাঁর মহাদেবপুরে হিজাব পরে স্কুলে আসায় মাধ্যমিক মুসলিম স্কুল ছাত্রীদের লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে হিন্দু শিক্ষিকা আমোদিনি পাল। পিটুনি খেয়ে ছাত্রীরা স্কুল ছেড়ে বাড়িতে চলে যেতে বাধ্য হয়।
      বুধবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দাউল বারবারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

      নির্যাতনের শিকার ওই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া আফরিন জানিয়েছে, বুধবার দুপুরে জাতীয় সংগীতের পর লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা আমোদিনি পাল -কেন হিজাব পরে স্কুলে এসেছি- এ কথা জিজ্ঞেস করে ইউক্যালিপটাস গাছের ডাল দিয়ে তাদের প্রহার করে। ছাত্রীদের হিজাব খুলে ফেলার জন্য টানাটানি করে। শিক্ষিকা তাদেরকে জানিয়ে দেয় যে, ‘স্কুলে কোন পর্দা চলবে না। ঢং করে আসছো। বাসায় গিয়ে বোরখা পড়ে থাকো। যখন তোমরা মহাদেবপুর বাজারে যাবে তখন পর্দা করবে। স্কুলে আসলে মাথার কাপড় ফেলে আসবে।’
      এমনকি যারা হিজাব ছাড়া শুধু মাস্ক পড়ে এসেছিল, তাদের মাস্কও খুলে দেয়। হুমকি দেয়, ‘কাল থেকে যদি হিজাব ও মাস্ক পরে আসো, তাহলে পিটিয়ে তোমাদের পিঠের চামড়া তুলে নেওয়া হবে।’

      সাদিয়া জানায়, লাইনের কয়েকজন ছাত্রীকে মারতে মারতে তার কাছে এসে তাকে মারতে থাকলে লাঠি ভেঙে যায়। অন্যদের মধ্যে দশম শ্রেণির ছাত্রী ঐশি, সুমাইয়া, তিথি, লাকি, নবম শ্রেণির মোনাসহ কয়েকজন ছাত্রীকে পেটানো হয়।

      এক পর্যায়ে আমোদিনি পাল ছাত্রীদের মারধরের জন্য স্কুলের অপর শিক্ষক বদিউল আলমকে নির্দেশ দেয়। তার নির্দেশে বদিউল আলমও তাদের প্রহার করে বলে অভিযোগ ছাত্রীদের।

      অভিভাবকরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা স্কুল ঘেরাও করেন। কিন্তু অভিযুক্ত শিক্ষিকা এদিন স্কুলে আসেননি। এ ঘটনায় হিন্দু শিক্ষিকা আমোদিনি পালের বিচার দাবি করেন অভিভাবকরা।

      তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। কথিত সুশীল সমাজ- যারা কয়েকদিন ধরে সামাজিক মাধ্যমকে লতা সমাদ্দারের পক্ষ নিয়ে কাপিঁয়ে তুলেছিল, তারাও ঘুমিয়ে গেছে। তারা এখন আর হিজাব পরে মুসলিম ছাত্রীদের পক্ষ নিয়ে কথা বলবে না। কারণ একটাই, তারা মুসলিম, আর অপরাধী হল হিন্দু। কথিত নারীবাদিরা এখন চুপ হয়ে গেছে। হলুদ মিডিয়াগুলোও যেন এখন অন্ধ হয়ে গেছে।

      তাই সচেতন বিশেষজ্ঞ মহল মত দিয়েছেন, বাংলাদেশকে ভারতের মত উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া আগেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে হিন্দুত্ববাদিদের প্রতিহত করা উচিৎ।

      তথ্যসূত্র:
      ——–
      ১। নওগাঁয় হিজাব পরায় ছাত্রীদের পেটালেন শিক্ষিকা আমোদিনি পাল
      https://tinyurl.com/mryx2zbh
      ২। নওগাঁর মহাদেবপুরে হিজাব পড়ে স্কুলে আসায় পেটালেন শিক্ষিকা
      https://tinyurl.com/mr3dav87
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        কাশ্মীরজুড়ে চলছে দখলদার ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার কথিত অভিযান

        দখলদার ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) কাশ্মীর উপত্যকার একাধিক স্থানে স্বাধীনতাকামীদের ধরার নামে অভিযান চালিয়ে বেসামরিক কাশ্মীরি মুসলিমদের হেনস্থা করছে বলে জানা গেছে।

        দখলদার ভারতীয় সরকারী সূত্রগুলি শ্রীনগর-ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা কাশ্মীর ডট কমকে জানিয়েছে যে, পুলিশ এবং সিআরপিএফ-এর সহায়তায় এনাইএ’র গুপ্তচররা কথিত জঙ্গি কার্যকলাপ তথা কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে যুক্ত সন্দেহে কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর, বুদগাম এবং অন্যান্য এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। এতে নিরস্ত্র বেসামরিক মুসলিমরা ব্যাপক হেনস্থার স্বীকার হচ্ছেন।

        শ্রীনগরে দখলদার ভারতের এনআইএ টিম শ্রীনগর পুলিশের সাথে যৌথভাবে জলদাগারের বাসিন্দা ফিরোজ আহমেদ আহঙ্গারের ছেলে আরসালান ফিরোজ আহাঙ্গারের বাড়িতে অভিযান চালায়। অথচ আরসালান ইতিমধ্যেই গত ডিসেম্বর থেকে এনআইএ’র হেফাজতে রয়েছে।

        দখলদারদের তদন্তকারী সংস্থার অপর একটি দল শ্রীনগর উপকণ্ঠের মুস্তাফাবাদ জয়নাকোট এলাকার বাসিন্দা আব্দুল সামাদ দারের ছেলে আজাজ আহমেদ দারের বাড়িতে অভিযান চালায়।

        একইভাবে, এনআইএ দল পুলিশের সাথে বোনাপোরা নওগামের বাসিন্দা মোহম্মদ ইয়াকুবের ছেলে সমীর আহমেদ গণির বাড়িতে এবং ছানাপোরার আলনূর কলোনীর বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী মহম্মদ মকবুল ভাটের ছেলে গোলাম মহম্মদ ভাটের বাড়িতে হানা দেয়।

        শ্রীনগরের ব্যাংক কলোনি, বাগি মেহতাব এলাকায় এনআইএ শাওয়াল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বশির আহমেদ ভাটের ছেলে জহির বশির ভাটের বাড়িতেও তল্লাশি চালায়।

        এছাড়াও কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানেই করাকরিভাবে অভিযান চালাচ্ছে ভারতের এই মুসলিমবিরোধী জাতীয় তদন্ত সংস্থাটি। এর মধ্যে রয়েছে আরিপাথান বুদগাম, তুল-বগাহ পাম্পোর এবং অন্যান্য স্থানেও অভিযান চালানো হয়েছিল।

        এভাবেই যুগ যুগ ধরে কাশ্মীরি মুসলিমদেরকে তল্লাশি অভিযানের নামে ব্যাপক নির্যাতন চালিয়ে আসছে দখলদার ভারতীয় বাহিনী। অনেক সময় তল্লাশির নামে তারা পুরুষ সদস্যদের আলাদা আটকে রেখে বা হত্যা করে মুসলিম নারীদেরকে ধর্ষণ পর্যন্ত করে। কাশ্মীরের এলাকায় এলাকায় তল্লাশি অভিযানের নামে নারী ধর্ষণ ও নির্যাতনের এমন অসংখ্য ঘটনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কালের সাক্ষী হয়ে।

        ইসলামি চিন্তাবিদগণ তাই আহ্বান জানিয়েছেন, কাশ্মীরি স্বাধীনতাকামী ও প্রতিরোধ যোদ্ধারা যেন দখলদার ভারতের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিরোধ যুদ্ধ দুরবার গতিতে চালিয়ে নিয়ে যান, এবং গোটা উম্মাহ যেন তাদের জন্য দোয়া ও সাহায্য করে।


        তথ্যসূত্র :
        ——–
        1. NIA raids underway at multiple locations in kashmir
        https://tinyurl.com/2p88vvw8

        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X