Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ০৬ই রমাদান, ১৪৪৩ হিজরি।।০৮ই এপ্রিল, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ০৬ই রমাদান, ১৪৪৩ হিজরি।।০৮ই এপ্রিল, ২০২২ ঈসায়ী।

    ‘এবার মুসলিম নারীদের প্রকাশ্যে বাড়ি থেকে বের করে ধর্ষণ করার হুমকি’ হিন্দুত্ববাদী বজরং মুনি দাসের


    ভারতের হিন্দুত্ববাদীরা হিন্দু যুবকদেরকে মুসলিম নারীদের ধর্ষণের আহ্ববান জানিয়ে আসছে বহুদিন আগে থেকেই। তবে এবার কোন ধরণের রাখডাক না রেখে উন্মত্ত হিন্দু জনতার সমাবেশে লাউডস্পিকারে মুসলিম নারীদের প্রকাশ্যে বাড়ি থেকে বের করে ধর্ষণ করার হুমকি দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী বজরং মুনি দাস।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে বজরং মুনি দাস নামে এক হিন্দু মহন্তকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, মুসলিম মহিলাদের তাদের বাড়ি থেকে অপহরণ করবে এবং তাদের প্রকাশ্যে ধর্ষণ করবে।ভিডিওটি ২ এপ্রিল নবরাত্রি এবং হিন্দু নববর্ষ উপলক্ষে একটি মিছিল চলাকালীন উত্তর প্রদেশের সীতাপুর এলাকার একটি মসজিদ “শেশে ওয়ালি মসজিদ” এর সামনে করা হয়।হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী মুনি দাস লাউড স্পীকারে বলছে, ” আমি মুসলিমদের বলছি যে, যদি খয়রাবাদে একটি অবিবাহিত হিন্দু মেয়ে আপনাদের প্রতি ঝুকে পড়ে, তাহলে আমি আপনার মেয়ে এবং পুত্রবধূদেরকে প্রকাশ্যে আপনার বাড়ি থেকে বের করে এনে ধর্ষণ করব।” .
    হিন্দুত্ববাদী মুনি দাস সীতাপুরের খয়রাবাদ শহরে মহর্ষি শ্রী লক্ষণ দাস উদাসিন আশ্রমের মহন্ত। মহন্ত একজন হিন্দু ধর্মীয় উচ্চপদস্থ, বিশেষ করে হিন্দু ধর্মের মন্দিরের প্রধান বা মঠের প্রধান। ইতিপূর্বেও অনেক হিন্দুত্ববাদী কথিত সাধুরা মুসলিম নারীদের ধর্ষণের উসকানি দিয়েছে। এমনকি হিন্দুত্ববাদী যোগি আদিত্যনাথ মুসলিম নারীদের কবর থেকে তুলে ধর্ষণের কথা বলেছিল।ঘটনার ৬ দিন পার হয়ে গেলেও হিন্দুত্ববাদী দাসের বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি এবং তাকে গ্রেপ্তারও করেনি হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন। অবশ্য এদেরকে লোক দেখানো গ্রেফতার করা হলেও জেলহাজতে এরা মেহমানের মতোই থাকে, আর দ্রুতই জামিনে বের হয়ে যায়। জামিনে বেড়িয়ে এসে এরা আবার আগের চেয়েও জোড়ালো কণ্ঠে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও জিঘাংসা ছড়াতে থাকে। এর প্রমাণ গত মাসেক আগে উগ্রবাদী হিন্দু মহন্ত জ্যোতি নরসিংহানন্দের গ্রেফতার নাটক এবং দ্রুতই জামিনে মুক্তও হয়ে আরও প্রবল সুরে ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্য দেওয়ার মাধ্যমেই পাওয়া গিয়েছে।আর জাফরান-পরা এই হিন্দুত্ববাদী মহন্ত দাস স্থানীয় পুলিশদের সাথেই ছিল। হিন্দুত্ববাদী পুলিশ এবং একটি বিশাল হিন্দু জনতা তাকে ঘিরে নিরাপত্তা দিয়েছে। ভিডিওতে, মুনি দাসের চিৎকার করে বলা প্রতিটি মুসলিম বিদ্বেষী শব্দে উগ্র হিন্দু জনতা হাততালি ও হিন্দুত্ববাদী স্লোগান দিতে দেখা যায়।
    ২ মিনিট ১০ সেকেন্ডের ভিডিওটি শুরু হয় হিন্দুত্ববাদী দাস জনতাকে জয় শ্রী রাম বলতে বলে। যে স্লোগান দিয়ে হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিমদের উপর হামলা করে থাকে।উল্লেখ্য, হিন্দুত্ববাদী নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্র সরকার এবং হিন্দুত্ববাদী যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য সরকার প্রকাশ্যে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তৃতা সহ মুসলিমদের বিরুদ্ধে সমন্বিত এবং বিস্তৃত আক্রমণকে উৎসাহিত করছে।বিশ্লেষকরা বলছেন যে মুসলিম বিরোধী সহিংসতার আহ্বান – এমনকি গণহত্যার প্রকাশ্য আহ্বান ও মুসলিম নারীদের ধর্ষনের আহ্বান – প্রান্তিক পর্যায় থেকে এখন মূলস্রোতে চলে এসেছে। ভারতে এখন সিমিত পর্যায়ে গণহত্যা শুরু হয়ে গিয়েছে, এবং যেকোন সময় ব্যাপক আকারে মুসলিম গণহত্যা শুরু হয়ে যেতে পারে বলেই মনে করছেন তারা।এমন সংকটাপন্ন অবস্থায় নিজেদের জান মাল ও মুসলিম নারীদের ইজ্জত রক্ষায় মুসলিদেরকেই এগিয়ে আসার আহ্‌বান জানিয়েছেন ইসলামিক চিন্তাবিদগণ।

    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. UP: Hindu monk on loudspeaker in police presence says “will rape Muslim women in open”
    https://tinyurl.com/4yzf2sws
    2. video link:
    https://tinyurl.com/2p923kun







    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    দখলদার ইহুদিদের উপর হৃদয় উষ্ণকারী হামলা : ১৫ ইহুদি হতাহত

    দুই সপ্তাহের মধ্যে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর উপর ৪র্থ বারের মত সফল হামলা চালিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এতে বর্বর ইহুদি নিহত এবং আরও ১২ ইহুদি আহত হয়েছে।

    বিবরণ অনুযায়ী, গতরাতে (৭ এপ্রিল) অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের জবরদখলকৃত একটি বিনোদন কেন্দ্রে সফল হামলা চালানো হয়। যাতে দখলদার ইসরাইলের ২ সেনা ও এক দখলদার ইহুদি নিহত হয়। এই হামলায় আরও ১২ অভিশপ্ত ইহুদি আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।



    গত মার্চের শেষ দিকে ইসরায়েলে পর পর কয়েকটি সফল হামলা চালান ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। যাতে দখলদার ইসরাইলের ১১ ইহুদি নিহত হয়, আহত হয় আরও অনেক। বরকতময় উক্ত হামলাগুলোর পর পূণরায় গত রাতে ইসরায়েলের একটি বিনোদন কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালান প্রতিরোধ যোদ্ধারা।

    সূত্র মতে, ২৯ বছর বয়সী একজন ফিলিস্তিনি যুবক গতকাল সন্ধ্যা নাগাদ বরকতময় এই হামলাটি চালিয়েছেন। যা ইসরায়েলের কথিত রাজধানী তেল আবিবের অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা ডিজেনগফ স্ট্রিটে অবস্থিত একটি বারে চালানো হয়েছিল। হামলাটি এমন সময় চালানো হয়েছে, যখন দখলদার ইহুদীরা বারটিতে মাতাল হয়ে শেষ বারের মতো নংরামিতে মজে ছিল।



    ঐ বীর মুসলিম যুবক কর্তৃক বারে চালানো হৃদয় উষ্ণকারী সশস্ত্র হামলায় ৩ ইহুদি নিহত ও ১২ ইহুদি আহত হওয়ার কথা হলুদ মেদায় স্বীকার করা হয়েছে। পরে আহত ৯ দখলদারকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে অস্ত্রোপচার কালে ৪ ইহুদির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

    এদিকে সারা রাত ধরে চিরুনী অভিযান চালানোর পর, ফজরের নামজের পর দখলদার ইসরায়েলি পুলিশ ঘোষণা করে যে, তারা আক্রমণকারী ফিলিস্তিনি উক্ত বীর যোদ্ধাকে শাহীদ করেছে।



    ফিলিস্তিনি এই বীর যোদ্ধা বরকতময় এই অপারেশনের মাধ্যমে মোসাদের মত গোয়েন্দাদের হতবাক করে দিয়ে নিপীড়িতদের চোখের জল মুছেছেন কিছুটা হলেও। আর মুসলিমদের হৃদয়গুলোকে উষ্ণ করেছেন। তারপর মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে আখেরাতের পথে যাত্রা শুরু করেন ঐ বীর মুজাহিদ – এমনটাই মনে করেন ইসলামি চিন্তাবীদগণ।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      কাশ্মীর | দখলদার হিন্দু সেনা কর্তৃক নামাজরত মুসল্লীদের হেনস্থার প্রতিবাদ করায় গুলি


      কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার হানদওয়ারা এলাকায় মসজিদে ঢুকে সালাতরত মুসল্লীদের উত্যক্ত করে ভারতীয় দখলদার হিন্দু সেনারা। এতে মুসলমানরা প্রতিবাদ করলে মুসল্লীদের উপর গুলি চালায় দখলদার ভারতীয় সন্ত্রাসী সেনারা। এসময় দুইজন মুসল্লীকে আহত করে হিন্দুত্ববাদী সেনারা।

      কাশ্মীরভিত্তিক সংবাদ এজেন্সি ‘দা কাশ্মীরিয়াত’ তাদের রিপোর্টে জানায়, জামিয়া জাদেদ মেইন চক হান্দওয়ারা মসজিদে হঠাৎ প্রবেশ করে হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় দখলদার সেনারা। এসময় দখলদার সেনারা যোহরের সালাত আদায়রত মুসল্লীদের বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে এবং তাদের ভিডিও ধারণ করতে থাকে।

      উপস্থিত মুসল্লীরা তখন হিন্দু সেনাদের এমন বিকৃত রুচির কাজের প্রতিবাদ করতে থাকেন। ফলে হিন্দুত্ববাদী সেনারা তাদের সাথে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি করে, যা এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
      কিছু বুঝে উঠার আগেই সেনারা দুইজন যুবককে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আহত দুজন মুসলিম যুবকরা হলেন মুজিবুর রহমান ও আব্দুল আহাদ মীর, তারা যথাক্রমে হানদওয়ারা ও রাজওয়ার এর বাসিন্দা।

      গুলি চালানো ওই সেনারা ২১তম রাষ্ট্রীয় রাইফেলস (RR) ডিভিশনের। ভারতের হিন্দুত্ববাদী পুলিশ নির্লজ্জভাবে ইচ্ছাকৃত ঘটানো এই ঘটনাকে ‘দুর্ঘটনাবশত’ হিসেবে আখ্যায়িত করে।

      কাশ্মীরের মুসলমাননের জানমালের নিরাপত্তা যেন মাসুম পশুপাখিদের ন্যায় হয়ে গেছে। যেকোনো সময় ভারতীয় দখলদার বাহিনীর সদস্যরা মুসলমানদের সাথে যাচ্ছেতাই আচরণ করছে, যাকে খুশি গুলি করবে, গুম-খুন ধর্ষণ করবে। আর তাদের কোনো বিচারও হচ্ছে না।

      তাই কাশ্মীরি যুবকরা যে তাদের উপর কৃত জুলুমের বিচার করতে দলে দলে প্রতিরোধ যুদ্ধে যোগ দিচ্ছেন, ইসলামি চিন্তাবীদগণ এটাকে সাধুবাদ জানিয়ে তাদেরকে প্রতিরোধ তীব্র করতে উৎসাহিত করেছেন।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        আলহামদুলিল্লাহ

        Comment

        Working...
        X