Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১০ই রমাদান, ১৪৪৩ হিজরি।।১২ই এপ্রিল, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১০ই রমাদান, ১৪৪৩ হিজরি।।১২ই এপ্রিল, ২০২২ ঈসায়ী।

    আবারো ফেসবুকে ইসলাম ও মুহাম্মাদ (ﷺ) নিয়ে হিন্দুত্ববাদীদের অশ্লীল ও কটূক্তিপূর্ণ স্ট্যাটাস


    ভারতের হিন্দুত্ববাদীদের এদেশীয় দালালরা কিছুদিন পর পরই পবিত্র ইসলাম ধর্ম ও আল্লাহর রাসূল ﷺ নিয়ে কটুক্তি করে। নানাভাবে মুসলিমদের কলিজায় আঘাত দেয়।
    এরই ধারাবাহিকতায় এবার বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম ও মুহাম্মদ(ﷺ)-কে নিয়ে অশ্লীল ও কটূক্তিপূর্ণ স্ট্যাটাস দেয় কৌশিক বিশ্বাস নামে এক হিন্দু যুবক। এই পোস্টকে কেন্দ্র করে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সোমবার ১১ এপ্রিল মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের আনায় স্থানীয় মুসল্লিরা মিছিল শুরু করেন। এ সময় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা প্রতিবাদে বিক্ষোভ করলে পুলিশ বাধা হয়ে দাাঁড়ায়।

    এ পর্যন্ত ১৭ জন মুসলিমকে আটক করেছে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন। মুসলিমদের হয়রানি করতে গায়েবী মামলা দিয়েছে।

    এদিকে, হিন্দু যুবক ’কৌশিক বিশ্বাস’ কে বাঁচাতে তাকে দালাল পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।। হিন্দুত্ববাদীদের রক্ষা করার জন্য দালাল প্রশাসন হেফাজতে নেয় ঠিকই। মুসলিমরা শান্ত হলেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে দালাল প্রশাসন ও মিডিয়ার মাধ্যমে সাজানো হয় আইডি হ্যাকের গল্প ।

    বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়কারী পুলিশ পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম বলেছে, কৌশিক বিশ্বাস ফেসবুকে ধর্ম নিয়ে বেশ কয়েকটি আপত্তিকর পোস্ট এবং কমেন্টও করেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী কৌশিক বিশ্বাসের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

    স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সে আরও জানায়, কৌশিক বেশ কিছুদিন আগে ভারতে চলে যায়। ৭ থেকে ৮ দিন আগে সে বাড়িতে এসে এলাকায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করে।

    বিশ্লেষকগণ বলেছেন, আসলে হিন্দুত্ববাদীরা ভারতের মত বাংলাদেশেও মুসলিম গণহত্যার মাঠ প্রস্তুত করতেই বাংলাদেশী হিন্দুদের দ্বারা মুসলিমদের ক্ষেপিয়ে তুলছে। যেন মুসলিমদের উপর হামলা চালানোর কোন কারণ দাঁড় করানো যায়।

    এ ঘটনার আগেও অনেক হিন্দু এমন ন্যক্কারজনক কাজ করেছে। কিন্তু প্রশাসন ও দালাল মিডিয়া বারবার আইডি হ্যাকের গল্প শুনিয়েছে। শুধু তাই নয় হিন্দুত্ববাদীদের দালাল প্রশাসন হিন্দুদের পক্ষ নিয়ে তাওহিদী নবীপ্রেমী মুসলিমদের উপর গুলি চালিয়েছে। ৯০% মুসলিমের দেশে নবীকে ﷺ কটুক্তিকারীদের পক্ষ নিয়ে মুসলিমদের উপর হামলা চালানোর অধিকার তাদের কে দিয়েছে- এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই।

    তথ্যসূত্র:
    —–
    ১।ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম ও মহানবি হজরত মুহাম্মদ(ﷺ)-কে নিয়ে অশ্লীল ও কটূক্তিপূর্ণ স্ট্যাটাস

    ২।ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে অবমাননাকর পোস্ট

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ভারতে হিন্দুত্ববাদী কর্তৃক মুসলিম গণহত্যার মহড়া: থমথমে অবস্থা বিরাজমান


    ভারতে আবারও হিন্দুত্ববাদীরা ব্যাপকভাবে মুসলিমদের উপর হামলা শুরু করেছে। ১১ এপ্রিল হিন্দুদের উৎসব রাম নবমীর শোভাযাত্রা চলাকালে গুজরাটে হিন্দুত্ববাদীদের হাতে খুন হয়েছেন ২ জন, আহত হয়েছেন কয়েকশ মুসলিম। সেখানকার পরিস্থিতি এখনও থমথমে। মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন রাজ্যে হিন্দুত্ববাদীরা ব্যাপক সহিংসতা চালায়।
    রাজ্যগুলোতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কল্পিত দেবতা রামের জন্মবার্ষিকী উদযাপনে বের করা হয় শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিমদের বাড়িঘরে পাথর নিক্ষেপ এবং অগ্নিসংযোগ শুরু করে। বেশকিছু ঘরবাড়ি এবং ধর্মীয় স্থাপনায়ও ভাঙচুর চালায়। মুসলিম এলাকাগুলোতে এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজমান।

    বিহারের কয়েকটি মসজিদে হিন্দুত্ববাদীরা গেরুয়া পতাকা লাগিয়ে দেয়। মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের খারগোন শহরে হিন্দুত্ববাদীরা টিল ছুড়ে ও মসজিদে ভাংচুর চালায়। হিন্দুত্ববাদী পুলিশের সামনেই সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন মসজিদে হামলা চালায়। পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখতে থাকে।
    ভারত জুড়ে ক্রমাগতভাবে এভাবে মুসলিমদের আক্রমণ করা হলেও ভারতের দালাল মিডিয়া নীরবতা বেছে নিয়েছে। কথিত টিপ ইস্যু নিয়ে ঝড় তুলে ফেললেও ভারতের মুসলিমদের উপর এমন ভয়াবহ অত্যাচারের সংবাদ তারা চেপে যাচ্ছে।

    মুসলিম রক্তপিপাসু হিন্দুত্ববাদীদের যেন আর তর সইছে না। তারা যেকোন মূল্যে মুসলিম গণহত্যা শুরু করতে চাইছে। হিন্দুদের হাতে গণহত্যার শিকার হওয়া থেকে বাঁচার জন্য মুসলিমদের এখনই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বলে মনে করেন আলিমগণ।

    তথ্যসূত্র:
    1| Bengal: Situation Tense in Howrah, Bankura After Instigation by VHP-led Ram Navami Rallies

    2|this-time-a-huge-police-force-was-deployed-at-uttal-howrah-centered-on-ramnabami/

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      উইঘুর মা ও কিশোরী মেয়েকে গ্রেফতার করলো সৌদি সরকার


      সৌদিতে অবস্থানকালে নির্যাতিত উইঘুর মুসলিমা বুহেলিকিয়েমু আবুলা এবং তার ১৩ বছর বয়সী মেয়েকে গ্রেফতার করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

      গত ৩১ মার্চ পবিত্র নগরী মক্কা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। মুসলিম এ অসহায় নারীর স্বামীর নাম নুয়েরমাইতি রুজ। যিনি ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে সৌদি আরবে কোনো অভিযোগ ছাড়াই বন্দী আছেন। গ্রেফতারের পর তাঁদের তিন জনকেই চীনা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করার গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে।

      গ্রেফতারের সময় প্রিজন ভ্যান থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভে এসে তাঁদেরকে উদ্ধারের জন্য আকুল আবেদন জানিয়েছেন এ অসহায় নারী। তাঁদের আকুতি যে কোন হৃদয়বান মানুষকেই নাড়া দিতে বাধ্য হবে।

      যেখানে হারামাইনের ভূমিতে যে কোন মানুষের নিরাপত্তা পাওয়ার কথা সেখানে চাইনিজ নাস্তিক্যবাদীদের নির্যাতনের শিকার মাজলুম উইঘুররা নিরাপত্তা পাচ্ছে না। তথাকথিত জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থা মাজলুম উইঘুর মুসলিমদের পবিত্র ভূমিতে আশ্রয় নিতে দেয়নি।

      মুসলিম বিশ্বের এমন পরিস্থিতিতে দলাদলি ভুলে মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানিয়েছেন হকপন্থি উলামাগণ ।

      তথ্যসূত্র:
      —–
      ১. Saudi Arabia: Further information: Uyghur teenage girl and mother detained: Buheliqiemu Abula, Nuermaimaiti Ruze, Aimidoula Waili-

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        কাশ্মীরে তীব্র এক লড়াইয়ে ২ প্রতিরোধ যোদ্ধাসহ ৩ ভারতীয় দখলদার হতাহত


        কাশ্মীরের উপত্যকার রাজধানী শ্রীনগরে প্রতিরোধ বাহিনী ও দখলদার ভারতীয় সেনাদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। যাতে ২জন প্রতিরোধ যোদ্ধা শহিদ এবং ৩ হিন্দুত্ববাদী দখলদার সেনা আহত হয়েছে।বিবরণ অনুযায়ী, গত ১০ এপ্রিল রবিবার সকালে, কাশ্মীরের প্রাণকেন্দ্র শ্রীনগর জেলার বেশেম্বার এলাকায় দখলদার ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী সামরিক বাহিনী এবং স্বাধীনতাকামী কাশ্মিরী প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মধ্যে তীব্র এক লড়াই সংঘটিত হয়। যা ঐদিন দুপুর পর্যন্ত চলতে থাকে।সূত্র মতে, এলাকাটিতে মাত্র ২ জন প্রতিরোধ যোদ্ধার অবস্থানের সংবাদ পেয়েই অভিযান চালাতে শুরু করে দখলদার ভারতীয় বিশাল এক সামরিক বাহিনী। উক্ত ২ প্রতিরোধ যোদ্ধাকে ঠেকাতে এলাকাটিতে দিনভর অভিযান চালায় অত্যাধুনীক অস্ত্র আর সাঁজোয়া যানে সজ্জিত কয়েক শতাধিক হিন্দুত্ববাদকী সেনা। এসময় প্রতিরোধ যোদ্ধারাও পাল্টা হামলা চালাতে শুরু করেন দখলদার ভারতীয় সেনাদের টার্গেট করে। এতে বহু সংখ্যক দখলদার ভারতীয় সেনা হতাহত হয়।যদিও দখলদার বাহিনী এক বিবৃতিতে দাবি করেছে যে, উক্ত সংঘর্ষের সময় তাদের ২ জন CRPF সদস্য এবং ১ জন পুলিশ সদস্যসহ মোট ৩ জন দখলদার আহত হয়েছে। সেই সাথে দীর্ঘ কয়েক ঘন্টার তীব্র লড়াইয়ের পর উক্ত ২জন বীর প্রতিরোধ যোদ্ধাকে শহিদ করার দাবিও করে দখলদা সেনারা।জানা যায় যে, গতকাল দখলদার দেশটির পুলিশ এবং সিআরপিএফ-এর যৌথ হিন্দুত্ববাদী দলগুলো এই অভিযানে অংশ নেয়। এলাকাটিতে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ধরতে সেখানে অনুসন্ধান অভিযান শুরু করে দখলদার সেনারা। আর তখনই সময় প্রতিরোধ যোদ্ধারা দখলদার হিন্দুত্ববাদী বাহিনীর উপর গুলি চালাতে শুরু করেন। যাতে বহু সংখ্যক সেনা ও পুলিশ সদস্য নিহত ও আহত হয়। পরে আহত দখলদার সেনাদেরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।সূত্র মতে, হিন্দুত্ববাদী সেনাদের সাথে এই লড়াইয়ে ২জন স্বাধীনতাকামী প্রতিরোধ যোদ্ধাকে শহিদ করার দাবি করে দখলদার ভারতীয় বাহিনী। যারা উভয়ই ছিলেন প্রতিবেশি দেশ থেকে হিজরতকারী।






        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X