Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১২ই রমাদান, ১৪৪৩ হিজরি।।১৩ই এপ্রিল, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১২ই রমাদান, ১৪৪৩ হিজরি।।১৩ই এপ্রিল, ২০২২ ঈসায়ী।

    ভারতে মুসলিমদের ‍উপর হিন্দুত্ববাদীদের চালানো সহিংসতা দেখেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ



    গত ১০ই এপ্রিল, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, গোয়া এবং মুম্বাইতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালায় উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা।
    হিন্দু দলগুলি রাম নবমী উদযাপনের নামে মুসলিমদের উপর তান্ডব চালায়।
    গুজরাটের হিম্মতনগর:
    গত ১০ই এপ্রিল রবিবার, আনুমানিক ১:৩০টার দিকে প্রায় ৫০০-৬০০ লোকের একটি হিন্দু সমাবেশ উত্তর গুজরাটের হিম্মতনগরের মুসলিম অধ্যুষিত পাড়ায় প্রবেশ করে। স্থানীয়দের মতে এবং ভাইরাল হওয়া ভিডিওগুলি অনুসারে, সমাবেশের হিন্দুত্ববাদীরা আশরাফ নগরে মুসলিমদের ভয় দেখাতে তরবারি হাতে উস্কানিমূলক গান বাজাতে থাকে।
    “যখন র‌্যালিটি আশেপাশে এসে পৌঁছায়, তারা মসজিদের সামনে থামে এবং উচ্চস্বরে উস্কানিমূলক সঙ্গীত বাজানো শুরু করে। তারা তাদের হাতে তলোয়ার নিয়ে নাচছিল – মুসলিম মহিলারা তাদের বারান্দায় ছিলেন। সমাবেশের হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিম নারীদের গালিগালাজ শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা মুসলিমদের উপর হামলা শুরু করে।”
    একজন বাসিন্দাকে বলেছেন, “তারা জানত যে ১:৩০ টায় মুসলিম পুরুষরা মসজিদে নামাজ পড়বে, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলিম বিরোধী গান বাজিয়েছে এবং স্লোগান দিয়েছে।”
    “তাদের হাতে তলোয়ার ছিল, তারা গালিগালাজ করছিল, এমনকি তারা যে জীপে যাচ্ছিল সেই জিপে তাদের লাঠি ও তলোয়ার ছিল, পুলিশও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল কিন্তু তারা কোন বাধা দেয় নি। সেই হিন্দুত্ববাদীরা তাদের জীপ থেকে নেমে মুসলমানদের উত্তেজিত করতে থাকে।
    রাম নবমী মিছিলটি ছাপারিয়ার রামজি মন্দির থেকে আশরাফ নগরের দিকে আবার বিকেল ৪:০০ টার দিকে, তলোয়ার উঁচিয়ে এবং মুসলিম বিরোধী স্লোগান দিতে শুরু করে। এলাকার মুসলমানরা উসকানিতে আপত্তি জানায় এবং তাদের উসকানি বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করে, কিন্তু হিন্দুত্ববাদীরা মুসলমানদের গালিগালাজ ও আক্রমণ শুরু করে। “এবারও পুলিশ সমাবেশের সাথে ছিল, তারা উস্কানি বন্ধ করেনি।
    বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের হিন্দুত্ববাদীদের নেতৃত্বে হিন্দু জনতা মুসলমানদের দোকান এবং বাড়ি ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
    সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিওগুলিতে হিন্দু জনতাকে জয় শ্রী রাম স্লোগান তুলতে এবং টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। নিরাপত্তার জন্য পুলিশ হিন্দুত্ববাদীদের ঘেরাও করে পাহারা দিতেও দেখা যায়।
    আশরাফ নগরে অবস্থিত তাকিয়া মসজিদেও অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করা হয়। এই মসজিদটি হিম্মতনগরের বিজেপি বিধায়ক রাজেন্দ্রসিংহ চাভদার অফিস থেকে প্রায় পাঁচ মিটার দূরে অবস্থিত।
    “ভয়ে দিন কাটাচ্ছে গুজরাটের মুসলিমরা”
    স্থানীয়দের একজন বলেছেন যে পুরো সহিংসতাটি পরিকল্পিত ছিল এবং পুলিশ এটি সম্পর্কে আগেই জানতো।
    “যদি বিকাল ৪টায় সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে কেন রাত দেড়টায় এই সমস্ত হিন্দুত্ববাদীরা তলোয়ার নিয়ে এসে মুসলিমবিরোধী উত্তেজক গান বাজিয়েছিল? কেন পুলিশ তাদের বাধা দেয়নি,” স্থানীয় একজন জিজ্ঞাসা করেন।
    যে ভিডিওগুলি প্রচার হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে, হিন্দু উগ্র জনতা তেলের ব্যারেল নিয়ে এসেছে এবং গুজরাটি ভাষায় “আগুন জ্বালিয়ে দাও” বলতে শোনা যায়।
    স্থানীয়দের আরও দাবি, পুলিশ হিন্দু জনতার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, জনতা হাতে তলোয়ার নিয়ে নাচছিল এবং পুলিশ নীরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে ছিল।
    হিম্মতনগর থেকে ১৬৭ কিলোমিটার দূরে গুজরাটের খাম্বাত শহরেও এই ধরনের সহিংসতা চালানো হয়েছে।
    স্থানীয় একজন বলেছেন “গুজরাটের মুসলমানরা নিরাপদ বোধ করেন না, আমরা কারো নাম প্রকাশ করতে চাই না- অন্যথায় আমাদের জন্য এখানে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। আমরা গুজরাট ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।”
    অন্যান্য রাজ্যেও অনুরূপ ঘটনাগুলো ঘটেছে। ফলে সহজেই বলা যায়, সবগুলো সহিংসতা একই সূূত্রে গাথা।
    একজন স্থানীয় বলেছেন, “আমরা সহিংসতার পূর্বাভাস দিয়েছিলাম, এটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দ্বারা পরিকল্পিত ছিল, এটি অন্যান্য রাজ্যেও ঘটেছে, এটি এখানে ঘটতে বাধ্য, আমরা কিছুই করিনি, আমরা সমস্যায় আরো পড়তে চাই না – এখানকার পরিবেশ খুবই সংকটজনক, পুলিশ মুসলমানদের তুলে নিচ্ছে, আমরা এ ব্যাপারে কিছু করতেও পারছি না।”
    ভারতে মুসলিম গণহত্যার বাস্তবায়ন এখন দন দিন স্পষ্ট রূপ নিচ্ছে। এমন ন্সজুক পরিস্থিতিতে মুসলিমদের জন্য তাই নববী মানহাজ অনুযায়ী নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা ব্যতীত বিকল্প কোন পথ দেখছেন না ইসলামী চিন্তাবীদগণ।
    তথ্যসূত্র:
    ——
    1. Police watched Hindutva mob’s violence unfold: Muslims in Gujarat’s Himmatnagar
    https://tinyurl.com/r5swhder
    https://tinyurl.com/352ehnyr
    2. Ramdhun played in front of mosque, then war started, police stopped speaker
    https://tinyurl.com/2p92m93f
    3. In pictures: Victims of Islamophobic violence in Rajasthan
    https://tinyurl.com/2s76wfxe












    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    কর্ণাটকে মুসলিমদের দ্বারা চালিত ক্যাব বয়কটের আহ্বান হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর


    ভারতের সন্ত্রাসী দল বিজেপি শাসিত অন্যান্য রাজ্যের ন্যায় কর্ণাটক মুসলিম বিদ্বেষের হটস্পটে পরিণত হয়েছে। এছাড়া গোটা ভারতেই মুসলিমদের উপর চলছে উগ্র হিন্দুদের একেরপর এক নিষেধাজ্ঞা। উগ্র হিন্দুরা মুসলিমদের খাবার, পোষাক, চলাফেরা, ব্যবসা সবকিছুর উপর অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করছে। হালাল খাবার, কাাঁচা গোশত বিক্রি, লাউডস্পিকারে আযান দেওয়া সহ প্রায় প্রতি দিনই কোন না কোন ঠুনকো অভিযোগ এনে মুসলিমদের উপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে তারা। করছে হামলাও।

    বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা ও বয়কটের পর এবার হিন্দুত্ববাদীরা সামনে এনেছে মুসলিম ক্যাব ড্রাইভারদের বয়কট করার ইস্যু। কর্ণাটকের কিছু হিন্দু সংগঠন মুসলিমদের দ্বারা পরিচালিত ক্যাব পরিষেবা এবং পরিবহন অপারেটরদের নিয়োগ না করার জন্য বলেছে।

    ভারত রক্ষণ বেদিকের হিন্দুত্ববাদী সদস্যরা মুসলিম চালকদের দেওয়া ক্যাব পরিবাগুলি না নেওয়ার জন্য লোকদের বোঝাতে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে প্রচারণা চালায়।

    এই রাজ্যের বিজেপি নেতারা এবং হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলি রাজ্যে মুসলিম ফল বিক্রেতাদের, হালাল মাংস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা এবং রাজ্যে আজানের সময় লাউডস্পিকার ব্যবহার নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।

    হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর সদস্য, প্রশান্ত বাঙ্গেরা শুক্রবার হিন্দুদের মন্দির এবং তীর্থস্থানে যাওয়ার সময় মুসলিম চালকদের না নেওয়ার জন্য আবেদন করে।

    হিন্দুত্ববাদী বাঙ্গেরা হিন্দুদেরকে রাজ্যে কোনো মুসলিম মালিকানাধীন পরিবহন কোম্পানি ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়েছে।
    শ্রী রাম সেনাসহ অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বাঙ্গেরার দাবি সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    কর্ণাটকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রচারণা :


    কয়েক মাস ধরে, কর্ণাটকের হিন্দুত্ববাদী দলগুলি মুসলমানদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি প্রচার শুরু করেছে।
    জানুয়ারিতে, কয়েকটি কলেজে ছাত্রদের হিজাব পরা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল দলগুলো। কলেজগুলোকে হিজাব নিষিদ্ধ করতে বাধ্য করার জন্য কিছু হিন্দু ছাত্র ক্লাসে জাফরান স্কার্ফ পরার জন্য সমন্বিত প্রচারণা শুরু করে। পরে ১৫ মার্চ, কর্ণাটক হিন্দুত্ববাদী আদালত হিজাব নিষিদ্ধের রায় দেয়।

    মার্চ মাসে, কর্ণাটকের বেশ কয়েকটি বার্ষিক অনুষ্ঠানে মুসলিম ব্যবসায়ীদের স্টল খুলতে নিষেধ করে দেয় হিন্দুত্ববাদী দলগুলি।

    হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলি মসজিদে লাউডস্পিকার ব্যবহার নিষিদ্ধ করার দাবি করছে, বলছে যে এগুলো শব্দ দূষণের দিকে নিয়ে যায়। একটি হিন্দুত্ববাদী দল শ্রী রাম সেন, সরকার এই বিষয়ে পদক্ষেপ না করলে প্রতিবাদ করার হুমকি দেয়।

    এই সপ্তাহের শুরুর দিকে, বেঙ্গালুরু হিন্দুত্ববাদী পুলিশ মসজিদ থেকে মাইক্রোফোন বাজেয়াপ্ত করা শুরু করেছে। এই অযুহাতে যে সেগুলোতে শব্দের মাত্রা সুপ্রিম কোর্টের নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করেছে।

    ৪ এপ্রিল, বেঙ্গালুরুর নাগরিক সংস্থা, ব্রুহাত বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকে, রবিবার রাম নবমীতে শহর জুড়ে মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

    শুক্রবার কিছু হিন্দুত্ববাদী সংগঠনও হালাল-প্রত্যয়িত পণ্য বিক্রয় করার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।
    বিশ্লেষকদের মতে,হিন্দুত্ববাদী দলগুলি এরভাবেই সকল ধাপ অতিক্রম করে মুসলিম গণহত্যার প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করছে। আর বেশকিছু বিশেষজ্ঞদের মতে, হিন্দুত্ববাদী দলগুলি স্বল্প মাত্রায় গণহত্যা শুরু করে দিয়েছে। যা ব্যাপক আকার ধারণ করা কেবল সময়ের ব্যাপার।

    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. Hindutva group calls for boycott of cabs driven by Muslims in Karnataka

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      যে রামের নাম নেয় না, তাকে ভারত থেকে তাড়িয়ে দিতে হবে: হিন্দুত্ববাদী বিধায়ক রাজা সিং




      রাম নবমীর শোভাযাত্রার সময় ভারতজুড়ে মুসলিম গণহত্যার মহড়া চালায় উগ্র হিন্দুরা। অন্ধ ভক্তদের ক্ষেপিয়ে তুলতে হিন্দুত্ববাদী নেতারা মুসলিম বিদ্বেষ ছড়িয়েছে নজিরবিহীন মাত্রায়।
      হায়দরাবাদে বিজেপি বিধায়ক রাজা সিং রাম নবমী উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি সমাবেশে উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছে।হিন্দুত্ববাদী রাজা সিং বলেছে, “উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এখন দেশকে পরিষ্কার করতে বুলডোজার ব্যবহার করবেন এবং “খুব শীঘ্রই এটিকে একটি হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করবেন।” বিশ্লেষকদের মতে সে বুলডোজার দ্বারা মুসলিম গণহত্যা চালানোকেই বুঝিয়েছে।হিন্দুত্ববাদী বিধায়ক আরও বলেছে, ‘যে রাম নাম নেবে না, তাকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে হবে’।গত রবিবার ভারতের অন্তত আটটি রাজ্যে মুসলিম বিরোধী সহিংসতা চালিয়েছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো। বলা যায় রাম নবমী উদযাপনের নামে গোটা ভারতে মুসলিম গণহত্যার মহড়া চালিয়েছে তারা । মুসলিমদের দোকানপাট, বাড়িঘরে অগ্নি সংযোগ, মুসলিমদের পবিত্র স্থান মসজিদগুলোতে ভাঙ্গচুর চালিয়েছে।হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর হামলায় বহু মুসলিম হতাহত হয়েছে।এদিকে, ভারতের মধ্যপ্রদেশে মাত্র ৬% মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন। রাম নবমীর দিন হিন্দুত্ববাদীরাই মুসলিমদের উপর হামলা চালিয়েছে। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন দাঙ্গাকারী হিসাবে ৬% মুসলিমকে চিহ্নিত করে বুলডোজার চালিয়ে তাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। ৬% মুসলিম হিন্দুদের উপর হামলা চালানো তো দূরের কথা নিজেদের জান মালই হিন্দুত্ববাদীদের হাত থেকে রক্ষা করতে অপারগ।ভারতে শীঘ্রই একটা মুসলিম গণহত্যা শুরু হতে যাচ্ছে এমন পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশ্বের গণহত্যা বিশেষজ্ঞগন। এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে মুসলিমদের সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানিয়েছেন আলেমগণ।

      তথ্যসূত্র:
      —–
      1|Hindutva speech during Ram Navami rally





      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X