Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ০৮ই জিলক্বদ, ১৪৪১ হিজরী # ৩০শে জুন, ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ০৮ই জিলক্বদ, ১৪৪১ হিজরী # ৩০শে জুন, ২০২০ঈসায়ী।

    নিউইয়র্কের সহিংসতার আসল রুপ প্রকাশিত হচ্ছে ধীরে ধীরে



    করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত নগরী নিউইয়র্ক এখন নতুন সংকটের সম্মুখীন। অনেকটাই ভেঙে পড়েছে নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। নগরীতে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে অপরাধ। অস্ত্র–সহিংসতা অতীতের রেকর্ড ছড়িয়ে গেছে। গত নয় দিনে নিউইয়র্ক নগরীতে গোলাগুলিতে ১০০ জনের বেশি আহত হয়েছে। নগরীর পাঁচ বরোতে নয় দিনে ৮৩টি গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

    ২৮ জুন নিউইয়র্ক পুলিশের দেওয়া বিবরণী থেকে জানা গেছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৫০৩টি গোলাগুলির ঘটনার শিকার হয়েছে ৬০৫ জন লোক।

    ‘ডিফান্ড পুলিশ’ নামের আন্দোলন জোরালো হওয়ার পর নগরীর অপরাধপ্রবণতায় নতুন মাত্রা পেয়েছে। এনওয়াইপিডির কমিশনার ডারমট শিয়া গত সপ্তাহে জানিয়েছেন, নগরীতে খুন পাঁচ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। আগের বছরের চেয়ে এ পর্যন্ত ৪২ শতাংশের বেশি লোক এ নগরীতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। প্রথম আলো

    ব্রুকলিনের কমিউনিটি সংগঠক টনি হার্বার্ট সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর আগে গত পাঁচ বছরে নগরীর অপরাধপ্রবণতা কমে আসছিল। হঠাৎ করে মাত্রাহীন অপরাধ বেড়ে যাওয়ার এমন পরিস্থিতি নিজের জীবনে আর দেখেননি বলে জানান এ সংগঠক।

    ২৭ জুন ব্রুকলিনের ব্লক পার্টিতে এক নারীসহ দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ওই নারী এখন হাসপাতালে জীবন–মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। ভোররাতের দিকে পার্টিতে গোলাগুলি শুরু হলে ৩০ বছর বয়সী ওই নারী গুলিবিদ্ধ হন। একই ঘটনায় ৩১ বছরের আরেকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। ওই দিন প্রকাশ্য দিবালোকে ব্রুকলিনে বাসার সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন আরেক ব্যক্তি। এক সপ্তাহ আগে ব্লকের মধ্যে নিজের গাড়ি পরিষ্কার করার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন আরেকজন। ব্রুকলিনে গোলাগুলির কয়েক ঘণ্টা আগে পুলিশ ১৬ বছরের এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই কিশোরকে ইস্ট হারলেম এলাকায় আরেকটি গোলাগুলির ঘটনায় পুলিশ খুঁজছিলো। ওই ঘটনায় এক শিশুসহ দুজন গুলিবিদ্ধ হয়। এদিকে ২৬ জুন ম্যানহাটনে এরিকা লোপেজ নামের এক তরুণীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে পরদিন রুডি ওসিয়াস নামের একজনকে কুইন্স থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    এনওয়াইপিডির পুলিশ ইউনিয়ন বলেছে, রাজনীতিকেরা অপরাধীদের কাছে আত্মসমর্পণ করে ফেলেছেন। নগরীর মেয়র ও সিটি কাউন্সিল স্পিকার কোরি জনসন এসব ঘটনার জন্য দায়ী বলে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।

    নিউইয়র্কে করোনা–পরবর্তী সময়ে কর্মহীন লোকের সংখ্যা বেড়েছে। ২৫ মে মেনিয়াপোলিসে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর নাগরিক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা আমেরিকায়। নিউইয়র্কে এ আন্দোলনের সুযোগে ব্যাপক লুটতরাজ হয়েছে। বিপুলসংখ্যক পুলিশ আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নিউইয়র্ক রাজ্য ও নগরী দ্রুত পুলিশ সংস্কারের ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ নিয়ে পুলিশের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/06/30/39381/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    দিল্লির আকাশে উড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল



    ভারতের রাজস্থানের পর দেশটির রাজধানীতে দিল্লির আকাশে ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল দেখা গেছে। গতকাল শনিবার দিল্লি লাগোয়া গুরগাঁওয়ের ওপর দিয়ে পঙ্গপালের দল উড়ে যায়। তবে পঙ্গপালের দল গুরগাঁও কিংবা দিল্লিতে কোনো ক্ষতি করেনি। ধারণা করা হচ্ছে এ পঙ্গপালের দল উত্তরপ্রদেশে ফসলের ক্ষতি করবে।

    গতকাল শনিবার বেলা ১১টার পর পঙ্গপাল গুরুগাঁওয়ের আকাশ দিয়ে উড়ে যায়।

    গুরুগাঁওয়ের বাসিন্দা জয় ভট্টাচার্য তার বন্ধুর সঙ্গে গল্প করছিলেন। হঠাৎ তিনি একটানা ঝিঁঝি পোকার ডাকের মতো, কিন্তু তার থেকে কয়েকশো গুণ জোরালো শব্দ শুনতে পান।

    তিনি বলেন, ‘তারপরে জানলা দিয়ে তাকিয়ে দেখি হাজারে হাজারে পঙ্গপাল ঠিক জানালার বাইরেই। আমার বন্ধুও গুরগাঁওতেই থাকে। ওকে বলি দেখ, পঙ্গপাল হানা দিয়েছে আমাদের এখানে। তাড়াতাড়ি জানালা, দরজা সব বন্ধ করে দিয়েছিলাম। খুব ভালো করেই জানি একবার ঘরে ঢুকে পড়লে বিপদ হবে।’

    জয় বলেন, ‘তারপর আমি যখন ছবি তুলতে শুরু করি, আকাশে যেন হলুদ রঙের মেঘ ছেয়ে গেছে আর একটানা শব্দ। ক্যামেরার লেন্সে কারও আঙ্গুলের ছাপ পড়লে যেরকম আবছা হয়ে যায়, সেরকম ছিল ব্যাপারটা।’

    পুরো গুরগাঁওয়ের মানুষ পঙ্গপাল উড়ে যাওয়াও এই দৃশ্য দেখতে পাননি। একটি নির্দিষ্ট এলাকা দিয়ে উড়ে যাওয়া পঙ্গপালের ওই দৃশ্য ক্যামেরা বন্দী করেছেন অনেক মানুষ। তাদের অনেকেই আবার তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন। আমাদের সময়

    কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পতঙ্গবিজ্ঞানের অধ্যাপক অম্লান দাস বলেন, ‘ কয়েক দিন ধরেই রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছিল যে- গুরগাঁও, দিল্লি এই অঞ্চল দিয়ে যাবে এরা। মূলত ভূট্টা, গম, ধানের মতো ফসল খেতে এরা ভালবাসে। আবার উষ্ণ এবং আর্দ্র অঞ্চলও দরকার এদের। যদি একটা প্যাটার্ন দেখেন, তাহলে দিল্লির পর এরা গঙ্গা অববাহিকা অঞ্চল, অর্থাৎ উত্তরপ্রদেশ, বিহার হয়ে পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্তও আসতে পারে।’

    তিনি বলেন, ‘তবে সেটা থিওরিটিক্যালি। এতদূর এরা নাও আসতে পারে। কারণ পঙ্গপাল ডানা গজানোর পরে গড়ে ৩৬ থেকে ৪০ দিন বাঁচে। এই যে দলগুলো, হানা দিয়েছে তারা আগে থেকেই উড়ছে। আর গড়ে প্রতিদিন ১০০ কিলোমিটার মতো উড়তে পারে ওরা। সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের আগে পরেই এরা ওড়ে। সেই হিসাব করলে আরও দিন পনেরো লাগতে পারে পশ্চিমবঙ্গে আসতে।’


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/06/30/39372/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      এমপি দুর্জয়ের মাদক সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ যাদের হাতে



      মানিকগঞ্জের এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় সিন্ডিকেট আরিচা ঘাটকে মাদক পাচারের নিরাপদ ট্রানজিট রুটে পরিণত করেছে। প্রতি মাসেই এ সিন্ডিকেট শত কোটি টাকার মাদক পাচার করে এর কমিশন বাবদ হাতিয়ে নিচ্ছে ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার থেকে আনা মরণনেশা ইয়াবার চালানগুলো পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ফরিদপুর, রাজবাড়ী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও কুষ্টিয়া জেলার ৯টি পয়েন্টে। অন্যদিকে একই সিন্ডিকেট কুষ্টিয়া ও রাজশাহীর সীমান্ত পেরিয়ে আসা ভারতীয় ফেনসিডিল ও গাঁজার চালান এনে পৌঁছে দিচ্ছে রাজধানীর গাবতলী এলাকায়।

      অস্ত্রধারী যুবকদের পাহারায় মাদকের এসব চালান আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে সিন্ডিকেটের নিজস্ব স্পিডবোট।

      মাদকের এ ট্রানজিট রুটের সুবিধা নিশ্চিত করতেই এমপি দুর্জয় আরিচা ঘাটে অবৈধ স্পিডবোট চালুর ব্যবস্থা করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। নিজের ঘনিষ্ঠ লোকজনের মালিকানাধীন স্পিডবোটগুলোই এ সিন্ডিকেটের আওতায় মাদক পাচারে তৎপর থাকছে।

      আরিচা ঘাট এলাকায় স্পিডবোটের মাধ্যমে মাদক পাচারের বিষয়টি দেখভাল করে থাকে দুর্জয় এমপির বিশ্বস্ত সহযোগী শিবালয় থানা ছাত্রলীগ সভাপতির নেতৃত্বে ২০-২২ জন নেতা-কর্মী।

      অন্যদিকে জনির প্রধান সহচর অনির তত্ত্বাবধানে থাকে মাদকের মূল গুদামখানা। শিবালয় থানার অদূরেই মোহামেডান ইয়ুথ ক্লাবের পরিত্যক্ত ভবনটি ছাত্রলীগের মাধ্যমে জবরদখল করে মাদকের গুদাম বানানো হয়েছে। এ ভবনটি ঘিরে অন্তত ১০ জনের অস্ত্রধারী গ্রুপ রাত-দিন পাহারা দেয়। সিন্ডিকেটের লোক ছাড়া সাধারণ কারও ওই গুদামের আশপাশে যাওয়াও নিষিদ্ধ। সরেজমিনে অনুসন্ধানকালে জানা যায়, প্রতিদিনই এ ট্রানজিট রুট ও স্পিডবোট ব্যবহার করে কমবেশি মাদক আনা-নেওয়ার ঘটনা ঘটে।

      তবে সপ্তাহের নির্দিষ্ট কয়েকটি দিনে ৮-১০ লাখ পিস ইয়াবার চালানও পাঠানো হয়, তেমনি বিপরীত দিক থেকে ফেনসিডিলও আসে হাজার হাজার বোতল। গাঁজার চালান আসে বস্তায় বস্তায়। স্পিডবোট পরিচালনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সূত্রটি জানায়, বেড়া কাজীরহাট ঘাটে ইয়াবার বড় চালানটি যায় ছোবহান সিন্ডিকেটের নামে। সাঁথিয়া থানা এলাকার শীর্ষ মাদক সিন্ডিকেট ছোবহানের সহযোগীরা পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে হাজার হাজার ইয়াবা সরবরাহ করে থাকে। একইভাবে রাজবাড়ীর চর এলাকায় প্রিন্স গ্রুপের কাছে এবং দৌলতদিয়া ঘাটে তমছের আলী গ্রুপের কাছে ইয়াবার চালান পৌঁছানো হয়। এদের মধ্যে রাজবাড়ীর মাদকসম্রাট নাজমুল হাসান প্রিন্স গ্রুপ আরিচার ট্রানজিট পয়েন্টের স্পিডবোটের মাধ্যমে সপ্তাহে ১০-১২ লাখ পিস ইয়াবার সরবরাহ নিয়ে থাকে। অন্যদিকে কাজীরহাট ঘাট হয়ে ছোবহান সিন্ডিকেটের কাছে এক দিন পর পর আড়াই লাখ থেকে তিন লাখ পিস ইয়াবার চালান পৌঁছানো হয় বলে সূত্রটি দাবি করেছে। স্পিডবোটে হরদম ইয়াবার বড় বড় চালান সরবরাহের ব্যাপারে পুলিশের কোনো নজরদারি চোখে পড়েনি। এ বিষয়ে নৌপুলিশের আরিচা ঘাট ফাঁড়ির এক কর্মকর্তা হাতজোড় করে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের হ্যাঁ-না কোনো বক্তব্য মিডিয়ায় প্রকাশ করবেন না প্লিজ। ’ একই ফাঁড়ির আরেক কর্মকর্তা অব দ্য রেকর্ডে বলেন, ‘এমপি সাহেব (দুর্জয়) পরিচালিত স্পিডবোটগুলোর ব্যাপারেও রিভার পুলিশের নজরদারি চলছিলো। সন্দেহভাজন বোট মাঝনদীতে থামিয়েও তল্লাশি শুরু হয়। কিন্তু জেলার এক পুলিশ কর্মকর্তার ধমকে স্পিডবোটের দিকে তাকানোটাও বন্ধ হয়ে গেছে। ’

      ট্রানজিট রুট সচল রাখাসহ মাদক পাচার ও বাজারজাতের পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করেন এমপি দুর্জয়ের বহুল আলোচিত তিন খলিফা। তারা হচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও জেলা পরিষদের সদস্য আবুল বাশার, মানিকগঞ্জ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক রাজা এবং দুর্জয়ের চাচাতো ভাই ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান জনি। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ঘোষিত তালিকাতেও শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের শেল্টারদাতা হিসেবে বাশার ও রাজার নাম-ঠিকানা উল্লেখ রয়েছে। শীর্ষ পর্যায়ের এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে মানিকগঞ্জ জেলার ১৪২ জনের বিরুদ্ধে মাদকের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ করা হয়েছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনসহ তিন মন্ত্রণালয়ের জরিপ রিপোর্ট ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দাখিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মাদক-বাণিজ্য পরিচালনাসহ সন্ত্রাসী লালন-পালনে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানকারী হিসেবে জেলার ১৪ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির যে তালিকা রয়েছে, এর মধ্যে ২ নম্বর তালিকায় আছে আবদুর রাজ্জাক রাজা এবং ৩ নম্বর তালিকায় রয়েছে আবুল বাশারের নাম। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিবেদনে চিহ্নিত অপরাধীদের নিয়ে দুর্জয়ের কিসের ঘনিষ্ঠতা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ।

      মাদকের তিন গডফাদার মাহবুবুর রহমান জনি, আবুল বাশার এবং আবদুর রাজ্জাক রাজা ছাড়াও মানিকগঞ্জে এমপি দুর্জয়ের পৃষ্ঠপোষকতা এবং রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে জড়িত অনেক নেতা-কর্মীই মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন। এ ক্ষেত্রে এমপির সরাসরি প্রশ্রয় থাকে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। তেওতা ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করিম শেখ, স্ত্রী-সন্তানসহ ৬০০ পিস ইয়াবা নিয়ে গ্রেফতার হন। পরে দুর্জয় সরাসরি শিবালয় থানার ওসিকে ফোন করে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। শিবালয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কুদ্দুসের ছেলে মিম ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সেলিম রেজাও মাদকের ডিলার হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। অথচ তাদের সার্বক্ষণিক সঙ্গী করেই চলাফেরা করেন এমপি দুর্জয়। আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, ‘এমপি দুর্জয় যখন নির্বাচনী এলাকায় যান তখন মানিকগঞ্জ শহর থেকেই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা মোটরসাইকেল বহর নিয়ে হাজির হন। তাদের উগ্রতা আর বেপরোয়া বিচরণে সাধারণ মানুষের মধ্যে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, যে কারণে এমপি সাহেবের উপস্থিতির কোনো মিটিং-মিছিলে আমরা কাংক্ষিত লোকসমাগম ঘটাতে ব্যর্থ হই। ’

      শিবালয় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আলী আহসান মিঠু, তিনি শিবালয় উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। শুরু থেকেই তিনি ছিলেন এমপি দুর্জয়ের ঘোর বিরোধী। তবে মাত্র দুই মাস আগে মিঠুর সঙ্গে এমপির রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সমঝোতা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আরিচা ঘাটের স্পিডবোট বাণিজ্য, মাদক-বাণিজ্য ও বালু-বাণিজ্যের একটি অংশ তাকে দেওয়ার বিনিময়ে এ সমঝোতা হয়। এর পর থেকেই আরিচা ঘাটে দুর্জয় এমপির ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে যাবতীয় অপরাধ-অপকর্ম সবকিছুর নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন মিঠু।

      মাদকে সয়লাব মানিকগঞ্জ : জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক থাকায় নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের কাছে মানিকগঞ্জবাসীর আলাদা চাওয়া-পাওয়া ছিলো। আশা ছিলো খেলাধুলা আর সৃজনশীলতা বিকাশে মানিকগঞ্জের কিশোর-তরুণরা এগিয়ে যাবে, দেশবাসীর দৃষ্টি কাড়বে। দুর্জয় এমপি নির্বাচিত হওয়ায় সেই আশা রীতিমতো জেলাবাসীর প্রাণের দাবি হয়ে দাঁড়ায়। সবারই দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, ক্রিকেটার দুর্জয়ের তত্ত্বাবধানে গ্রামে গ্রামে ক্লাব কালচার ফিরে আসবে, কিশোর-তরুণরা আড্ডাবাজি, নেশা-জুয়া ছেড়ে খেলাধুলা ও শরীরচর্চা নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। মানিকগঞ্জ থেকেও জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড় গড়ে উঠবে, সুযোগ পাবে জাতীয় দলেও। নিদেনপক্ষে মানিকগঞ্জে একটা ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ হবে। কিন্তু সেসব প্রত্যাশায় চুনকালি মেখে এমপি দুর্জয়ের তিন প্রধান খলিফার নেতৃত্বে মানিকগঞ্জ সয়লাব হয়েছে মাদকে। অভাবী জনপদটির গ্রামে গ্রামে এখন মরণনেশা ইয়াবার ছড়াছড়ি। সর্বত্রই চলছে নেশাবাজির ভয়াল আড্ডা। এসবের দৌরাত্ম্যে হারিয়ে গেছে সব সৃজনশীল কর্মকান্ড। তারুণ্যের ইতিবাচক কোনো তৎপরতাই আর দেখতে পান না জেলাবাসী। এমনকি শিবালয়ে যমুনা তীরে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের ব্যাপারটিও নানারকম জটিলতা বাধিয়ে দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে।

      এমপি দুর্জয় তার নির্বাচনী এলাকার সর্বত্রই বানিয়ে ফেলেছেন ব্যক্তিগত ব্যবসা-বাণিজ্যের উর্বর ভূমি। সেখানকার তারুণ্যকে আটকে ফেলা হয়েছে নেশার ফাঁদে। দেখতে দেখতে মাত্র দুই-তিন বছরেই মানিকগঞ্জ হয়ে উঠেছে নেশার সাম্রাজ্য। স্কুলপড়ুয়াদের হাতেও উঠে এসেছে ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা। নিভৃত গ্রামাঞ্চলেও এখন কয়েক ডজন ইয়াবাসেবীকে নেশার আড্ডায় ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। মাদক, নেশা, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘিরে পারিবারিক পর্যায়েও ঝগড়াঝাঁটি, দাঙ্গা-হাঙ্গামা লেগেই থাকছে। দুর্জয়ের আশীর্বাদপুষ্টতায় বিশাল ক্ষমতার বলে বলীয়ান আবুল বাশারের তত্ত্বাবধানে মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ ছাত্রলীগের নেতা নাদিম হোসেন, তানভির ফয়সাল, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আসাদুজ্জামান ও পৌর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অলিদ আহমেদ, ছাত্রলীগ কর্মী সৌরভ, শাকিল, যুবলীগের পরিচয় দেওয়া বিকাশ, লিটন এলাকায় পাইকারি হারে ইয়াবা ব্যবসা করে চলেছেন। মাদকের টাকা কালেকশনের দায়িত্ব পালন করেন বাশারের বিশ্বস্ত সহযোগী এম এ আকাশ আর মনিরুল ইসলাম মনি। মাদক ডিলার হিসেবে পরিচিত এসব নেতা জেলার সর্বত্র ইয়াবার বাজার গড়ে তুলেছেন বলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে তথ্য রয়েছে। এদের মধ্যে বিকাশ ও লিটনকে পুলিশ আটক করলেও বাকিরা আছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

      গড়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং : এমপি দুর্জয়ের আরেক ঘনিষ্ঠ সহযোগী জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক রাজার তত্ত্বাবধানে মাদকের পাশাপাশি জেলাজুড়ে গড়ে উঠেছে কিশোর-তরুণদের সমন্বিত অপরাধী গ্যাং। বিভিন্ন স্কুল ও মহল্লা পর্যায়ে গড়ে তোলা এসব অপরাধী গ্যাং খুবই ভয়ঙ্কর হিসেবে চিহ্নিত। অল্প বয়সেই মাদকের নেশায় জড়িয়ে অনেক কিশোর লেখাপড়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এ ধরনের গ্রুপে জড়িয়ে পড়ছে। কিশোর-তরুণদের সমন্বিত অপরাধী গ্রুপগুলো নানা রকম বখাটেপনা করেই ক্ষান্ত থাকে না, নেতাদের নির্দেশনা মোতাবেক নানা রাজনৈতিক আক্রোশ মেটানোরও হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয় তারা। বিশেষ করে ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয় উপজেলায় এমপি দুর্জয়বিরোধী নেতা-কর্মীদের ন্যক্কারজনকভাবে নাজেহাল করতেও এ অপরাধী গ্যাং ব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অবাধ্য নেতা-কর্মীদের বাড়িঘরে ঝামেলা বাধিয়ে, তাদের স্বজন পরিজন ছাত্রীদের ঘিরে নানা বখাটেপনা চালিয়ে শায়েস্তা (!) করার জঘন্য পথ বেছে নেওয়া হয়।

      বিডি প্রতিদিন


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/06/30/39369/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ১০ থেকে ২০ গুণ বাড়তি বিদ্যুৎ বিলের বোঝা সাধারণ জনগণের উপর



        করোনা সংকটে গ্রাহকের বিদ্যুৎবিল প্রদানের সময়সীমা শিথিল করে সরকার। এ সুযোগে সরকারের আরেক চালে ইচ্ছেমাফিক ভুতুড়ে বিল করে গ্রাহকের কাছে পাঠাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ। কোথাও ১০ গুণ, আবারও কোথাও ২০ গুণ পর্যন্ত বাড়তি বিল করা হয়েছে। এমনো গ্রাহক রয়েছেন, যার মাসে বিল আসত সর্বোচ্চ ৫শ টাকা; এবার মে মাসে তার বিদ্যুৎবিল এসেছে ১৯ হাজার ৭৫০ টাকা!

        এদিকে আগামী ৩০ জুন পরিশোধের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে প্রচার চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। অন্যথায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ঘোষণাও দিয়েছে। করোনার পূর্বে প্রতিমাসের ব্যবহৃত বিলের তুলনায় অতিরিক্ত কয়েকগুণ বিল (গত তিন মাস) পরিশোধে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা। যদিও বিদ্যুৎ বিভাগ পরে তা সমন্বয়ের কথা জানিয়েছে।

        এ বিষয়ে ময়মনসিংহ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি ২-এর মাওনা জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক কামাল পাশা বলেন, এমন হওয়ার কথা নয়। যদি কারও কাছে এমন বিল যায়, তা হলে অফিসে এলে ঠিক করে দেব।

        গাজীপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি ১-এর মহাব্যবস্থাপক যুবরাজ চন্দ্র পাল জানান, অনেক স্থানে তিন মাসের বিল একসাথে করা হয়েছে বলে বেশি দেখা যাচ্ছে। যদি কেউ আগের বিল দিয়ে থাকেন, তা হলে তা সমন্বয় করে দেওয়া হবে।

        স্থানীয়রা জানান, করোনাকালীন সময়ের কথা বিবেচনা করে সরকার মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের বিদ্যুৎবিল পরিশোধে শিথিলতা প্রদর্শন করে। পরে জুন মাসে তিন মাসের বিদ্যুৎ বিল একসাথে পরিশোধের নির্দেশ দেয়। নির্দেশনা অমান্যকারীদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে জানায়। কিন্তু মে মাসের বিদ্যুৎ বিল গ্রাহকের কাছে পৌঁছলে তাতে নানা ধরনের অসঙ্গতি দেখা যায়। একসঙ্গে তিন মাসের বিল, তার ওপর ভুতুড়ে বিলে তারা এখন নানা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

        বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলায় গাজীপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি ১ ও ২ ও ময়মনসিংহ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির অধীন এ সেবা দেওয়া হচ্ছে। সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর থেকেই গ্রাহকপর্যায়ে বিদ্যুতের মিটার রিডিং আনা সম্ভব হয়নি। এতেই তৈরি হয়েছে এ ধরনের ভোগান্তি।

        গ্রাহকদের অভিযোগ মার্চ-এপ্রিলে তাদের গড় বিল দেওয়া হলেও মে মাসের বিলের সাথে আগের দুই মাসের বিল যোগ করা হচ্ছে। এতে বিলের পরিমাণ অনেকটা বেড়ে যাচ্ছে। আগের দুই মাসের বিল অনেক গ্রাহক পরিশোধ করলেও মে মাসের অসামঞ্জস্য বিল নিয়ে ভোগান্তি তৈরি হয়েছে তাদের মধ্যে। কোথাও ১০ গুণ, আবারও কোথাও ২০ গুণ বাড়তি বিল করা হয়েছে। বিলের সাথে কোথাও নেই মিটার রিডিংয়ের মিল। মিটার রিডারদের গাফিলতি ও স্পটে না গিয়ে ইচ্ছেমতো বিল করা হয়েছে। নানা অমিলে ভুতুড়ে বিলে গ্রাহকদের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ। এ ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস বন্ধ থাকার পরও তাদের বাড়তি বিলের বোঝা ঘাড়ে চেপেছে।

        গাজীপুরের শ্রীপুরের আজুগীরচালা গ্রামের মাহিনুর আলম ময়মনসিংহ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির একজন গ্রাহক। প্রতিমাসে তার বিল আসত সর্বোচ্চ ৫শ টাকা। এবার মে মাসে তার বিদ্যুৎবিল এসেছে ১৯ হাজার ৭৫০ টাকা। কোনোভাবেই তিনি এ টাকার হিসাব মিলাতে পারছেন না। যদিও তিনি আগের মিটারের ইউনিটের সঙ্গে মিলিয়ে দেখেন মে মাসে তিনি বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছেন মাত্র ৭০ ইউনিট। অফিসে যোগাযোগ করলে তাকে অভিযোগ করার জন্য বলা হয়েছে। এদিকে ৩০ জুন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এতে চিন্তায় পড়েছেন তিনি।

        একই এলাকার আনোয়ার হোসেন জানান, ছয় মাসের বিলের সমান মে মাসের বিল তৈরি করে পাঠিয়েছে বিদ্যুৎ অফিস। এ টাকা না দিলে আবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুমকিও দিচ্ছে।

        গাজীপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির একজন গ্রাহক দক্ষিণ ছায়াবিথির ফেডরিক মুকুল বিশ্বাস জানান, তিনি মার্চ ও এপ্রিলের বিদ্যুৎ বিল আগেই পরিশোধ করেছেন। মে মাসের বিদ্যুৎ বিল দেখে তো চোখ ছানাবড়া। এখানে যোগ করা আছে আগের দুই মাসের বিলও। বয়স হয়েছে, করোনার এই সময়ে তিনি এমনিতেই ঘর থেকে বের হতে সাহস পান না। এর ওপর এখন দৌড়াতে হবে বিদ্যুৎ অফিসে। এ টেবিল ও টেবিল ঘুরে কতদিন লাগে এর সমাধান করতে তার হিসাব কে করবে?

        গাজীপুর রাজেন্দ্রপুর এলাকার ইকবাল সিদ্দিকী কলেজের অধ্যক্ষ ইকবাল সিদ্দিকী জানান, তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যান্টিন গত ২৪ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত বন্ধ। এ সময়টাতে তিনি কোনো ধরনের বিদ্যুৎ ব্যবহার করেননি। যদিও বিদ্যুৎ বিভাগ তিন মাসের বিল করে পাঠিয়েছে ১০ হাজার টাকা। এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা আসলে মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের সময়

        এমনিভাবে জেলার ৩টি পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির অধীন গ্রাহকরা নানা ভোগান্তি ও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। অনেকে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসে বারবার ধরনা দিয়েও কোনো সমাধান পাচ্ছেন না। বিদ্যুৎ অফিসগুলো পরে সমন্বয়ের কথা বলছেন। একবার বিল দেওয়া হয়ে গেলে পরে সমন্বয় কীভাবে হবে এমন প্রশ্ন উঠছে। গ্রাহকদের আরও অভিযোগ রয়েছে, পল্লীবিদ্যুতের মিটার রিডাররা কাজে অবহেলা করে থাকেন। স্পটে না গিয়েই তারা গড় বিল করে পরে সমন্বয় করতে গেলে গ্রাহকরা ভোগান্তিতে পড়েন।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/06/30/39375/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          হত্যার ভয় দেখিয়ে জমি দখল সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতার



          মানিকগঞ্জের শিবালয় সদর ইউনিয়নের বড় আনুলিয়া গ্রামের জাবেদ আহমেদ ভুইয়া। সত্তরের দশকে আরিচা ঘাটের পাশে ১ নম্বর ওয়ার্ডে ৪২ শতাংশ জমি কিনেছিলেন। পরবর্তী সময়ে খাজনা-খারিজসহ সব কিছুই তাঁদের নামে লিপিবদ্ধ করা হয়। কেনা জমি থেকে জাবেদ আহমেদ কিছু জমি বিক্রি করেন স্থানীয় রেজাউল করিম, বিমল চন্দ্র ও বনমালীর কাছে। তাঁরা জমিটি কিনে নিয়ে নামজারি-খাজনা পরিশোধ করে ভোগদখল করছেন দুই যুগ ধরে। বিক্রির পরও জাবেদের অবশিষ্ট ১২ শতাংশ জমি ছিল। সেই জমিটি একমাত্র পুত্র জাহিদুর রহমানের বাড়ি করার জন্য রাখেন তিনি। হঠাৎ বৃদ্ধ জাবেদ ব্রেন স্ট্রোক করে বিছানায় পড়ে যান। তাঁর এই অসুস্থতার সুযোগ নেন স্থানীয় এমপি দুর্জয়ের ঘনিষ্ঠ শিবালয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস।

          এমপি দুর্জয়ের অদৃশ্য ইশারায় জোরপূর্বক সেই জমি দখলে নেওয়ার পাঁয়তারা করেন রফিক ও কুদ্দুস। তাঁরা আদালতে জমির মালিকানা নিয়ে মিথ্যা মামলা করেন। মামলার কোনো ধরনের ফায়সালা না আসার আগেই এমপির প্রভাব খাটিয়ে রফিক গায়েন ও কুদ্দুস ক্যাডার বাহিনী দিয়ে বৃদ্ধের কোটি টাকা মূল্যের জমিটি দখলে নেন। সেই জমির শোকে মারা যান জাবেদ।

          শিবালয়ে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, জাবেদের মৃত্যুর পর স্ত্রী হালিমা বেগম (৭৫) জমিটি উদ্ধারের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ অনেকের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। কারণ যাঁরা জমিটি দখলে নিয়েছেন তাঁরা সবাই এমপি দুর্জয়ের খুবই ঘনিষ্ঠ। ‘জমির সামনে গেলেই লাশ পড়ে যাবে’—তাঁর ছেলেকে এমন হুমকি দিয়েছে রফিক ও কুদ্দুসের ক্যাডার বাহিনী। ভয়ে একমাত্র ছেলেকেও আর জমির কাছে যেতে দেন না হালিমা বেগম, চান না আর মামলাটিও চালাতে।

          সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেই জমিটিতে একতলা ভবন নির্মাণ করছেন আব্দুল কুদ্দুস। ১০ থেকে ১২ জন শ্রমিক নির্মাণকাজে ব্যস্ত। এটি কার বাড়ি নির্মাণ করছেন—জানতে চাইলে শ্রমিকরা বলেন, আব্দুল কুদ্দুস সাহেবের বাড়ি। তবে স্থানীয় মনির হোসেন বলেন, ‘সারা জীবন শুনলাম জমিটি জাবেদ আহমেদ ভুইয়ার জমি। তারাই এটার প্রকৃত মালিক। এখন শুনি রফিক গায়েন আর কুদ্দুসের জমি। সহজ-সরল মানুষের জমিটিতে চোখের সামনে জোর করেই বিল্ডিং তৈরি করছে, কেউ কিছু কইতে পারে না। এমপির দাপট দেখিয়ে এলাকায় যা ইচ্ছা তা-ই শুরু করছে এরা।’

          হালিমা বেগম কান্নাজড়িত বলেন, ‘৫০ বছর আগে জমি কিনে আমরা ভোগ দখলে থাকলাম, সেই জমি রফিক গায়েন আর আওয়ামী লীগ নেতায় দখলে নিয়ে বাড়ি করতাছে। কিছুই কইতে পারি না, আমার একমাত্র পোলারে মাইরা ফেলার হুমকি দেয়। আমরা গরিব মানুষ, হেরা এমপির লোক, এই জুলুমের বিরুদ্ধে কি কেউ কথা বলার নাই?’ ছেলে জাহিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা জমিটি কিনেছি প্রায় ৪৫ বছর আগে। সেই জমি কয়েকজনের কাছে বিক্রি করেছিলাম, তাঁরাও ভোগদখল করছেন। কিন্তু ভুলে আরএস রেকর্ডে একটু নাম চলে আসায় জোর করেই কোটি টাকার জমি দখলে নিয়ে গেল, কিছুই বলতে পারছি না। আদালতে মামলা করেছি, সেটা উপেক্ষা করেই ভবন নির্মাণ করছে।’

          জাবেদ আহমেদের কাছ থেকে রেজাউল করিম একই দাগের ৬ শতাংশ জমি কিনেছিলেন ১৯৮৮ সালে। সেই জমির নামজারি, খাজনা-খারিজ করে নিরাপদেই বসবাস করছিলেন পরিবার নিয়ে। কিন্তু ৩০ বছর পর এখন রফিক গায়েন ও আব্দুল কুদ্দুস তাঁর জমিও দখলে নিতে চান। রেজাউল করিম বলেন, ‘বসতবাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে চায় রফিক গায়েন ও তাঁর লোকজন। কাগজপত্র সব ঠিক থাকলেও তারা আমাদের উচ্ছেদ করতে চায়।’ একই অভিযোগ করেছেন বিমল চন্দ্রও। এলাকাবাসীর অভিযোগ, আব্দুল কুদ্দুস এমপির প্রভাব খাটিয়ে নিরীহ মানুষের জমিটি চোখের সামনেই জোর করে নিয়ে ভবনও নির্মাণ করছেন, কেউ কিছুই বলতে পারছে না। কালের কন্ঠ


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/06/30/39378/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            করোনায় মারা গেলেন প্রতিরক্ষাসচিব আবদুল্লাহ আল মহসিন চৌধুরী



            আবদুল্লাহ আল মহসিন চৌধুরীপ্রতিরক্ষাসচিব আবদুল্লাহ আল মহসিন চৌধুরী আর নেই। আজ সোমবার সকাল সাড়ে নয়টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই অসুস্থ ছিলেন আবদুল্লাহ আল মহসিন চৌধুরী। বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। পরে তাঁকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর কোভিড-১৯ ধরা পড়ে। দুই সপ্তাহ ধরে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন তিনি। আজ সকালে সেখানেই তিনি মারা যান।

            আবদুল্লাহ আল মহসিন চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ও কবি কামাল নাসের চৌধুরীর আপন ভাই। কামাল নাসের চৌধুরী তাঁর মৃত্যুর তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। প্রথম আলো

            ১৯৬৩ সালের ১ জানুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় সম্ভ্রান্ত চৌধুরী বংশে আবদুল্লাহ আল মহসিন চৌধুরীর জন্ম। এ বছরের ৮ জানুয়ারি তিনি প্রতিরক্ষাসচিব হিসেবে দায়িত্ব নেন। এর আগে পরিবেশ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮৫ সালের বিসিএস ব্যাচে চাকরিতে যোগদান করেন।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/06/30/39384/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              দুই বছরের নির্মাণকাজ অব্যাহত ৭ বছর ধরে!



              নির্ধারিত মেয়াদে উন্নয়ন প্রকল্প শেষ না করাটাই এখন সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন নেয়ার পর সেটি আর অনুমোদিত মেয়াদে শেষ করা হয় না। ফলে খরচ বাড়ে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতায় চার লেন ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পটি শেষ করতে পাঁচ বছর বাড়তি সময় লাগছে, যা ২০১৫ সালের জুনে শেষ করার। প্রায় ২৪০ কোটি টাকার এই প্রকল্পটির খরচ এখন ৩৫৩ কোটি ২৭ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। সংশোধিত মেয়াদে শেষ করার আশ্বাস সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) দিলেও পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এটাতে সংশয় প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে।

              সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় সংশোধিত প্রস্তাবনার তথ্য থেকে জানা গেছে, ঢাকা-সিলেট জাতীয় মহাসড়কের (এন-২) ২৫তম কিলোমিটার পয়েন্টে নারায়ণগঞ্জের ভুলতায় ঢাকা বাইপাস জাতীয় মহাসড়ক (এন-১০৫) আড়াআড়িভাবে অতিক্রম করেছে। বতর্মানে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১১ হাজার যানবাহন ও ঢাকা বাইপাস সড়কে প্রতিদিন গড়ে প্রায় আট হাজার যানবাহন চলাচল করছে। এই বিপুল যানবাহন ভুলতা বাজার এলাকা দিয়ে চলাচলের কারণে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া পূর্বাচল নতুন উপশহরে যাতায়াতের কারণে ভবিষ্যতে যানজট আরো বৃদ্ধি পাবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ভুলতায় চার লেন ফ্লাইওভার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয় ২০১৩ সালে। উদ্দেশ্য ভুলতা ইন্টারসেকশন এলাকায় ঢাকা-সিলেট জাতীয় মহাসড়ক এবং ঢাকা বাইপাস জাতীয় মহাসড়কের (এন-১০৫) যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা এবং রাজধানীর সাথে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিশেষত সিলেট বিভাগের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ স্থাপন করা। ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর একনেক থেকে প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধি করে প্রকল্প খরচ ২৬৩ কোটি ৩২ লাখ টাকায় আবার অনুমোদন দেয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। মেয়াদ বাড়ানো হয় দু’বছর। তাতেও প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারেনি সওজ। ২০১৮ সালের জুনে একনেক থেকে ব্যয় ৩৫৩ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার টাকায় বাড়িয়ে মেয়াদ আরো দুই বছর বাড়িয়ে আবারো প্রকল্পটি সংশোধন করা হয়। এতেও প্রকল্পটির কাজ শেষ করতে পারেনি বাস্তবায়নকারী সংস্থা। এখন মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের কাছে। বলা হয়েছে, আন্তঃঅঙ্গ ব্যয় সমন্বয় ও খাতভিত্তিক অর্থনৈতিক কোড সংশোধনের, যা সেতুমন্ত্রী ২৭ জানুয়ারি অনুমোদন দিয়েছেন। নয়া দিগন্ত

              প্রকল্পের কাজগুলো হচ্ছে- এক হাজার ৯৩ মিটার মেইন ফ্লাইওভার, ৭৫৭ মিটার র*্যাম্প, ২ হাজার ৫০ মিটার ড্রেন নির্মাণ, তিনটি ইন্টারসেকশন ডেভেলপমেন্ট, সড়ক বাঁধে মাটির কাজ, ৩.২২ কিলোমিটার পেভমেন্ট প্রশস্তকরণ ও পুনঃনির্মাণ, ১.১ কিলোমিটার পেভমেন্ট রি-সার্ফেসিং, ১.২ কিলোমিটার ফুটপাথ এবং রেলিং নির্মাণ, ১৪.১ মিটার আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণ, রক্ষাপ্রদ কাজ ইত্যাদি।

              সওজের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পেভমেন্ট প্রশস্তকরণ ও পুনঃনির্মাণে ২ কোটি ২৭ লাখ টাকা কমেছে, ভ্যাট ও ট্যাক্স খাতে হার বৃদ্ধিতে এই খাতে খরচ ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। মেইন ফ্লাইওভার নির্মাণে প্রায় ৯৪ লাখ টাকা ব্যয় বেড়েছে। রোড মার্কিং খাতে ২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা এবং ইলেক্ট্রিফিকেশন খাতে ২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা খরচ বেড়েছে। গত মে পর্যন্ত প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি ৯৬ শতাংশ। আর আর্থিক অগ্রগতি বা খরচ হয়েছে ৩১২ কোটি ১০ লাখ ৪৯ হাজার টাকা, যা মোট প্রকল্প ব্যয়ের ৮৮ দশমিক ৩২ শতাংশ।

              পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২ বছরের প্রকল্প সময় বাড়িয়ে সাত বছরে ৯৬ শতাংশ করেছে। এখানে প্রতি মাসে গড়ে কাজ হয়েছে ১.১৪ শতাংশ। সেখানে ৪ শতাংশ বাকি কাজ করতে আরো কয়েক মাস লাগবে। মূলত তদারকির অভাবেই প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি কমে যায়।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/06/30/39385/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                অনাহারে লালমনিরহাটের বন্যাদুর্গত মানুষ, নেই কোন ত্রাণ



                সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে দেশের উত্তরের সীমান্তবর্তী কৃষি নির্ভরশীল লালমনিরহাট জেলার। তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি কমে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। ধরলার পানিও জেলার কুলাঘাট পয়েন্টে কমতে শুরু করেছে। তবে উজানে পানি কমলেও ভাটিতে পানি প্রবাহ বেড়ে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।

                পানিবৃদ্ধির কারণে দুর্গত এলাকার অনেক মানুষ পরিবার-পরিজন ও গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র, উঁচু রাস্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের উপর।

                লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মুহিবুল ইসলাম বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাটের প্রধান দুই নদী তিস্তা ও ধরলার পানি উঠা-নামা করে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ প্রবাহিত হচ্ছে।

                জেলার ৫টি উপজেলার নদ-নদী তীরবর্তী গ্রাম ও চরের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। তলিয়ে গেছে এসব এলাকার আমন বীজতলা, বাদাম, তিল, পাট, ভুট্টা ও সবজী খেত।

                পানিবন্দী মানুষকে দিন কাটাতে হচ্ছে অনাহারে-অর্ধাহারে। নলকূপ পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় পাওয়া যাচ্ছে না বিশুদ্ধ পানি। বাড়ি ছেড়ে রাস্তা ও বাঁধের উপর আশ্রয় নেওয়া মানুষজন গবাদিপশু নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। শুকনো খাবার পাউরুটি, চিড়া, মুড়ি, গুড় খেয়ে বাঁচতে হচ্ছে তাদের।

                লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কুরুল এলাকায় ধরলা নদীর ডান তীরে পানি উন্নয়নের বাঁধের একটি অংশ ভেঙে নদীর পানি গ্রামে ঢুকছে।

                এখানে নতুন করে বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। ভেসে গেছে তিস্তা ধরলার উপকুলের অসংখ্য পুকুরের মাছ।
                লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার তিস্তা পাড়ের মহিষখোঁচা গ্রামের সাইফুল ইসলাম জানান, তারা ৫ দিন ধরে পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ঘরের ভেতরে কোমর উচ্চতায় পানি। চলাফেরা করতে পারছেন না। রান্না করতে না পারায় শুকনো খাবার খেয়ে বেঁচে আছেন। তবে সরকারি ও বেসরকারি কোনো ত্রাণ সহায়তা এখনো পাননি বলে তার দাবি।
                হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী গ্রামের পানিবন্দী কৃষক আসলাম মিয়া জানান, তিনি ৩৮ হাজার টাকা খরচ করে ৪ বিঘা জমিতে তিল ও বাদাম লাগিয়েছিলেন। এখন বন্যার পানির নিচে এই ক্ষেত সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আগামী দিনগুলো কিভাবে চলবে তা ভেবে তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

                একই উপজেলার সিঙ্গিমারী চরের পানিবন্দী রহমত হোসেন জানান, তারা পাঁচ দিন ধরে পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কিন্তু ভাগ্যে জুটছে না কোনো ত্রাণ সহায়তা। পাউরুটি আর চিড়া খেয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দিন কাটছে। রাস্তা-ঘাট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় চলাফেরা করতে হচ্ছে নৌকায়। আরও পানি বাড়লে তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বের হতে হবে বলে তিনি জানান।
                পানিবন্দী মানুষের জন্য লালমনিরহাট জেলা এখনো বিতরণ শুরু করেনি।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/06/30/39390/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  মাদক কারবারের জেরে সন্ত্রাসী যুবলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, প্রাণ গেল আহত পথচারীর



                  প্রভাববিস্তার আর মাদক নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরের পুরানবাজারে যুবলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার রাতে মধ্য শ্রীরামদী এবং পাশের মেরকাটিজ সড়কে এই সংঘর্ষ হয়। এসময় উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র এবং কাঁচের বোতল ব্যবহার করে। এতে অনন্ত ১০ জন আহত হন। এসময় ঘটনাস্থল দিয়ে বাসায় যাবার পথে শামীম গাজী (২৫) নামে এক পথচারী গুরুতর আহত হন। আজ মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।

                  নিহত শামীম গাজী চাঁদপুর শহরে গ্র্যান্ড হিলশা নামে একটি আবাসিক হোটেলের কর্মচারি ছিলেন। কালের কন্ঠ

                  প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানিয়েছে, ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলামের সঙ্গে পাশের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত পাটোয়ারীর ছেলে রাসেল পাটোয়ারীর সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। পুরানবাজারের মধ্য শ্ররামদী এবং মেরকাটিজ সড়ক এলাকায় এক ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র এবং কাঁচের বোতল ব্যবহার করে। এসময় বেশ কয়েকটি দোকানও ভাঙচুর করা হয়।

                  রাত ১২টায় ওসি মো. নাসিমউদ্দিন জানান, জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি।

                  খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মূলত প্রভাববিস্তার এবং মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবলীগের কতিপয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে এই নিয়ে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

                  তবে ঘটনার পর থেকে ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/06/30/39393/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    ইন্নালিল্লাহ...
                    হে আল্লাহ আপনি বাংলাদেশকে পঙ্গপাল থেকে হিফাজত করুন,আমীন।
                    হে আল্লাহ আপনি বিশ্বের সকল মুসলিম জাতিকে এই করোনা মহামারি থেকে হিফাজত করুন,আমীন।
                    হে আল্লাহ আপনি বিশ্বের সকল মুজাহিদ ভাইদেরকে সুস্থ ও নিরাপদে রাখুন,আমীন।
                    হে আল্লাহ বিশ্বের নির্যাতিতি মুসলিম জাতিকে আপনি হিফাজ করুন,আমীন।
                    হে আল্লাহ আপনি আমাদেরকে শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমীন।
                    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                    Comment


                    • #11
                      বাংলাদেশের একেকটা দূর্নীতির নিউজ পড়লে হতবাক হয়ে যাই...অন্যদিকে মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে...
                      খেলাফতব্যবস্থা কায়েম হওয়ার আগ পর্যন্ত এ সমস্যাগুলোর সমাধান সম্ভব না।
                      হে আল্লাহ! আপনি আমাদের জন্য শরীয়াহর নির্মল পরিবেশ দান করুন। আমীন
                      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                      Comment

                      Working...
                      X