কেটে গেলো ফিলিস্তিনি মুসলিমদের উপর বর্বর ইহুদিদের পাশবিক নির্যাতনের আরও একটি দুর্বিষহ সপ্তাহ
পবিত্র রামাদান মাস এলেই ফিলিস্তিনি মুসলিমদের উপর কুখ্যাত ইসরাইল সন্ত্রাসীদের আগ্রাসন বেড়ে যায়। আল আকসায় ইবাদত করতে আসা মুসলিমদের উপর চড়াও হয় বর্বর সন্ত্রাসীরা। পবিত্র মসজিদ আল আকসায় নামাজ পড়তে আসা মুসলিমদের বাধা প্রদান করা, নারী ও শিশুদের প্রহার করা, গ্রেফতার ও সরাসরি গুলি করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনি মুসলিমদের এসব বিষয় এখন মামুলি ব্যাপারে পরিণত হয়েছে ইসরাইলের নিকট।
এমনই দুর্বিষহ জুলুম-নির্যাতনের আরও একটি সপ্তাহ কেটে গেলো এই রমাদানে।
গত বৃহস্পতিবার ১৪ এপ্রিল ইসরাইয়েলি সেনাবাহিনীর অভিযানে দুইজন বেসামরিক ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া বুধবারও ৩ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, বুধবার রামাল্লার কাছাকাছি কোনো জায়গায় ইসরাইয়েলি সেনাবাহিনী অভিযান চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে আরও এক ফিলিস্তিনি নিহত হন।
এর আগে, বুধবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে ইসরায়েলি সন্ত্রাসী বাহিনী। যেন তাদের হাতে ফিলিস্তিনি মুসলিম শিশুদের মৃত্যু স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে গেছে। আর কথিত বিশ্ব সম্প্রদায় ও হলুদ মিডিয়া ইউক্রেনের নারী-শিশুদের বাস্তুচ্যুতি নিয়ে খুব সরব থাকলেও ফিলিস্তিনি মুসলিমদের প্রতি তারা একেবারেই নীরব।
গত শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) হামলা চালানোর সময় মসজিদের ভেতরে ভাঙচুরও চালায় ইসরায়েলি সন্ত্রাসীরা। ভেঙে ফেলা হয় মসজিদের ভেতরের বিভিন্ন আসবাবপত্র। আলজাজিরার খবর অনুযায়ী, এখন আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণের ভেতরে অবস্থান করছে দখলদার বাহিনী।
গত ২০ বছরের বেশি সময় মধ্যে এই মসজিদ চত্বরে মাত্র এক ঘণ্টার অভিযানে ৩ শতাধিক মুসলিমকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ১৫৮ ফিলিস্তিনি আহত হন।
শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, মসজিদ এলাকায় ইসরায়েলি পুলিশ টিয়ার গ্যাস এবং স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করছে। এখনো সেখানে ধর-পাকড় অব্যাহত রেখেছে বর্বর ইহুদিরা।
পরদিন শনিবার সেহরির পর ফজরের নামাজ আদায় শেষে আল আকসা মসজিদে জড়ো হন হাজারো ফিলিস্তিনি। বাইরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিশাল বহর আগে থেকেই মোতায়েন ছিল। নামাজ শেষে পশ্চিম তীর ও অন্যান্য অঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচারে হামলা ও ধরপাকড়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনিরা। এ সময়ই শুরু হয় সংঘর্ষ। সংঘর্ষে আহত হন অন্তত ১৫০ ফিলিস্তিনি। অভিযানে ১০০ জনেরও বেশি মুসলিমকে আটক করে ইহুদি সন্ত্রাীরা।
ফিলিস্তিনি রেডক্রিসেন্ট ইমারজেন্সি সার্ভিস জানায়, রেডক্রিসেন্টের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বাধা দেয় ইসরায়েলি পুলিশ। ফলে আল আকসার ভেতরে আটকা পড়েন আহতদের অনেকে।
গত রবিবার ফজরের নামাজের পরও ইসরায়েলি পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়েছে। সেসময় ফিলিস্তিনিদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিনও ২০ জনের মত মুসলিম আহত হয়েছে। অভিযানে কমপক্ষে ২ জন ফিলিস্তিনি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে এই বর্বর ইহুদিরা যে তাদের মিথ্যা মাসিহ আগমনের সকল শর্ত পূরণ এবং বিশ্বব্যপী তাদের কল্পিত রাজত্ব কায়েম করতে মরিয়া, এমন মত প্রকাশ করতে দেখা গেছে অনেক ইসলামি চিন্তাবীদকে। গত বছর সিনিয়র ইহুদি রাব্বাই শিয়াম কেনিভেস্কির তাদের কথিত মাসিহের সাথে সাক্ষাতের দাবি এমনটাই ইঙ্গিত করে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
রাতের আঁধারে গাজায় সন্ত্রাসী ইসরায়েলের বিমান হামলা-
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল। অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলের ভেতরে একটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে- এমন বানোয়াট অভিযোগে তুলে মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে বিমান হামলা চালায় ইহুদিবাদীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, গাজা উপত্যাকার দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বিমান।
উল্লেখ্য, মসজিদুল আকসা বা বায়তুল মুকাদ্দাস সারা বিশ্বের মুসলিমদের কাছে তৃতীয় পবিত্রতম স্থান বলে বিবেচিত। দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে এই মসজিদের অবস্থান। এর সাথে মুসলমানদের ইতিহাস ঐতিহ্য জড়িত রয়েছে। তাই আল আকসাকে মুক্ত করা মুসলিমদের আবশ্যকীয় দায়িত্ব বলে মত দিয়েছেন ইসলামিক বিশ্লেষকগণ।
প্রতিবেদক : উসামা মাহমুদ
তথ্যসূত্র:
১। FOA condemns Israel’s raid, assault of Jerusalem’s Al-Aqsa mosque
– https://tinyurl.com/bdhdsn6s
২। আল আকসায় ফের ইসরায়েলি পুলিশের হামলা
– https://tinyurl.com/byjs52mm
৩। রাতের আঁধারে গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা
– https://tinyurl.com/4vvvxp6n
– https://tinyurl.com/2p8zwt84
৪। নামাজরত ফিলিস্তিনিদের ওপর তাণ্ডবের পর থমথমে আল আকসা মসজিদ
– https://tinyurl.com/2uxzyh7z
৫। ভিডিও লিঙ্ক
– https://tinyurl.com/hxn8dyfe
৬। Israeli Rabbi Says He’s Already Holding Meeting With Messiah
– https://tinyurl.com/5hd9jfjy
পবিত্র রামাদান মাস এলেই ফিলিস্তিনি মুসলিমদের উপর কুখ্যাত ইসরাইল সন্ত্রাসীদের আগ্রাসন বেড়ে যায়। আল আকসায় ইবাদত করতে আসা মুসলিমদের উপর চড়াও হয় বর্বর সন্ত্রাসীরা। পবিত্র মসজিদ আল আকসায় নামাজ পড়তে আসা মুসলিমদের বাধা প্রদান করা, নারী ও শিশুদের প্রহার করা, গ্রেফতার ও সরাসরি গুলি করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনি মুসলিমদের এসব বিষয় এখন মামুলি ব্যাপারে পরিণত হয়েছে ইসরাইলের নিকট।
এমনই দুর্বিষহ জুলুম-নির্যাতনের আরও একটি সপ্তাহ কেটে গেলো এই রমাদানে।
গত বৃহস্পতিবার ১৪ এপ্রিল ইসরাইয়েলি সেনাবাহিনীর অভিযানে দুইজন বেসামরিক ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া বুধবারও ৩ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, বুধবার রামাল্লার কাছাকাছি কোনো জায়গায় ইসরাইয়েলি সেনাবাহিনী অভিযান চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে আরও এক ফিলিস্তিনি নিহত হন।
এর আগে, বুধবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে ইসরায়েলি সন্ত্রাসী বাহিনী। যেন তাদের হাতে ফিলিস্তিনি মুসলিম শিশুদের মৃত্যু স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে গেছে। আর কথিত বিশ্ব সম্প্রদায় ও হলুদ মিডিয়া ইউক্রেনের নারী-শিশুদের বাস্তুচ্যুতি নিয়ে খুব সরব থাকলেও ফিলিস্তিনি মুসলিমদের প্রতি তারা একেবারেই নীরব।
গত শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) হামলা চালানোর সময় মসজিদের ভেতরে ভাঙচুরও চালায় ইসরায়েলি সন্ত্রাসীরা। ভেঙে ফেলা হয় মসজিদের ভেতরের বিভিন্ন আসবাবপত্র। আলজাজিরার খবর অনুযায়ী, এখন আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণের ভেতরে অবস্থান করছে দখলদার বাহিনী।
গত ২০ বছরের বেশি সময় মধ্যে এই মসজিদ চত্বরে মাত্র এক ঘণ্টার অভিযানে ৩ শতাধিক মুসলিমকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ১৫৮ ফিলিস্তিনি আহত হন।
শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, মসজিদ এলাকায় ইসরায়েলি পুলিশ টিয়ার গ্যাস এবং স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করছে। এখনো সেখানে ধর-পাকড় অব্যাহত রেখেছে বর্বর ইহুদিরা।
পরদিন শনিবার সেহরির পর ফজরের নামাজ আদায় শেষে আল আকসা মসজিদে জড়ো হন হাজারো ফিলিস্তিনি। বাইরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিশাল বহর আগে থেকেই মোতায়েন ছিল। নামাজ শেষে পশ্চিম তীর ও অন্যান্য অঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচারে হামলা ও ধরপাকড়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনিরা। এ সময়ই শুরু হয় সংঘর্ষ। সংঘর্ষে আহত হন অন্তত ১৫০ ফিলিস্তিনি। অভিযানে ১০০ জনেরও বেশি মুসলিমকে আটক করে ইহুদি সন্ত্রাীরা।
ফিলিস্তিনি রেডক্রিসেন্ট ইমারজেন্সি সার্ভিস জানায়, রেডক্রিসেন্টের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বাধা দেয় ইসরায়েলি পুলিশ। ফলে আল আকসার ভেতরে আটকা পড়েন আহতদের অনেকে।
গত রবিবার ফজরের নামাজের পরও ইসরায়েলি পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়েছে। সেসময় ফিলিস্তিনিদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিনও ২০ জনের মত মুসলিম আহত হয়েছে। অভিযানে কমপক্ষে ২ জন ফিলিস্তিনি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে এই বর্বর ইহুদিরা যে তাদের মিথ্যা মাসিহ আগমনের সকল শর্ত পূরণ এবং বিশ্বব্যপী তাদের কল্পিত রাজত্ব কায়েম করতে মরিয়া, এমন মত প্রকাশ করতে দেখা গেছে অনেক ইসলামি চিন্তাবীদকে। গত বছর সিনিয়র ইহুদি রাব্বাই শিয়াম কেনিভেস্কির তাদের কথিত মাসিহের সাথে সাক্ষাতের দাবি এমনটাই ইঙ্গিত করে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
রাতের আঁধারে গাজায় সন্ত্রাসী ইসরায়েলের বিমান হামলা-
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল। অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলের ভেতরে একটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে- এমন বানোয়াট অভিযোগে তুলে মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে বিমান হামলা চালায় ইহুদিবাদীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, গাজা উপত্যাকার দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বিমান।
উল্লেখ্য, মসজিদুল আকসা বা বায়তুল মুকাদ্দাস সারা বিশ্বের মুসলিমদের কাছে তৃতীয় পবিত্রতম স্থান বলে বিবেচিত। দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে এই মসজিদের অবস্থান। এর সাথে মুসলমানদের ইতিহাস ঐতিহ্য জড়িত রয়েছে। তাই আল আকসাকে মুক্ত করা মুসলিমদের আবশ্যকীয় দায়িত্ব বলে মত দিয়েছেন ইসলামিক বিশ্লেষকগণ।
প্রতিবেদক : উসামা মাহমুদ
তথ্যসূত্র:
১। FOA condemns Israel’s raid, assault of Jerusalem’s Al-Aqsa mosque
– https://tinyurl.com/bdhdsn6s
২। আল আকসায় ফের ইসরায়েলি পুলিশের হামলা
– https://tinyurl.com/byjs52mm
৩। রাতের আঁধারে গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা
– https://tinyurl.com/4vvvxp6n
– https://tinyurl.com/2p8zwt84
৪। নামাজরত ফিলিস্তিনিদের ওপর তাণ্ডবের পর থমথমে আল আকসা মসজিদ
– https://tinyurl.com/2uxzyh7z
৫। ভিডিও লিঙ্ক
– https://tinyurl.com/hxn8dyfe
৬। Israeli Rabbi Says He’s Already Holding Meeting With Messiah
– https://tinyurl.com/5hd9jfjy
Comment