Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ০৯ই জিলক্বদ, ১৪৪১ হিজরী # ০১লা জুলাই, ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ০৯ই জিলক্বদ, ১৪৪১ হিজরী # ০১লা জুলাই, ২০২০ঈসায়ী।

    খোরাসান | নিরাপরাধ আফগানীদের উপর মুরতাদ বাহিনীর হামলায় ২৩ জন নিহত



    আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশের একটি বাজারে হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ২৩ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা এবং আরও ১৫ এরও অধিক নিরাপরাধ লোককে গুরুতর আহত করেছে মুরতাদ কাবুল প্রশাসনের সামরিক বাহিনী।

    ক্রুসেডার আমেরিকার গোলাম কাবুল প্রশাসনের মুরতাদ বাহিনী গত ২৯ জুন আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশের একটি বাজারে নির্মমভাবে ভারি মর্টার হামলা চালিয়ে হত্যা করে নিরাপরাধ আফগান নাগরিকদের।

    আফগান ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে হতাহতদের সঠিক তথ্য সংগ্রহের জন্য এলাকাটিতে কোন সাংবাদিককে যেতে দেয়নি মুরতাদ কাবুল প্রশাসন। তবে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের যেতে না দিলেও স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো হতাহতদের বিভিন্ন সংখ্যা জানিয়ে পোস্ট করেছেন। হতাহতদের বেশ কিছু ছবিও তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।

    স্থানীয় অনেক জনসাধারণ জানিয়েছেন যে, মুরতাদ কাবুল সরকারী বাহিনীর উক্ত হামলায় কমপক্ষে ২৩ জন নিরাপরাধ আফগানী নিহত এবং ১৫ জনেরও অধিক লোক গুরতর আহত হয়েছেন। হতাহতদের প্রকাশিত ছবিগুলোতে দেখা গেছে, এই অমানবিক হামলার শিকার হয়েছেন অনেক শিশুও।










    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2








    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/01/39398/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ঠুনকো অজুহাতে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বন্ধ করলো ভারত



      করোনাভাইরাসের অজুহাত দে*খি*য়ে ভার*তের রাজ্য সরকার বাংলা*দেশ থে*কে রফত*ানি পণ্য না নেয়ায় বুধবার সকালে পুনরায় বেনা*পোল বন্দর দি*য়ে আমদানি বা*ণিজ্য বন্ধ ক*রে দি*য়ে*ছে বাংলা*দেশী রফতানিকারকরা। ক*রোনা প্রাদুর্ভা*বের জন্য বেনা*পোল স্থলবন্দর দি*য়ে ভারতের সাথে প্রায় আড়াই মাস আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকার পর গত ৭ জুন এ পথে ভারতীয় পণ্যের আমদানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে।

      ভারতের রাজ্য সরকার করোনাভাইরাসের নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে তিন মাস ১০ দিন বাংলাদেশের সাথে রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রেখেছে। বেনাপোল বন্দর দি*য়ে রফতানি বা*ণিজ্য বন্ধ থাকায় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে ব*লে কাস্টমস সূত্র জানায়।

      রফতানি বা*ণিজ্য চালু করার জন্য কাস্টমস, বন্দর, মা*লিক অ্যাসো*সি*য়েশন, স্টাফ অ্যাসো*সি*য়েশন মি*লে নো ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় ভ*ারতীয় ব্যবসায়ী*দের সা*থে ক*য়েক দফায় বৈঠক কর*লেও চালু কর*তে পা*রে*নি রফত*াণি বা*ণিজ্য।

      রফতানিকারক আমিনুল হক আনু জানান, বেনা*পোল বন্দর দি*য়ে দীর্ঘ*দিন পর আমদানি বাণিজ্য চালু হয় জুন ম*াসের ৭ তারি*খে। ভারত আমদানি চালু কর*লেও ক*রোনার অজুহাত দে*খি*য়ে তারা দীর্ঘ*দিন ধ*রে বাংলা*দেশ থে*কে কোনো পণ্য নিচ্ছে না। বাংলা*দেশ থে*কে রফতানি পণ্য না নেয়ার ক*ার*ণে আজ বুধবার সকাল থে*কে বেনা*পোল বন্দর দি*য়ে আমদানি বা*ণিজ্য বন্ধ ক*রে দেয়া হ*য়ে*ছে। বাংলা*দেশ থে*কে রফতানি পণ্য না নি*লে আমদানি বাণিজ্যও চালু কর*তে দেয়া হ*বে না।

      বেনা*পোল বন্দ*রের ডেপু*টি প*রিচালক মামুন তরফদার জানান, আজ সকাল থে*কে আমদানি বন্ধ ক*রে দেয়ায় জ*টিলতার সৃ*স্টি হ*য়ে*ছে। দুপু*রে ভার*তীয় ব্যবসায়ী*দের সা*থে বৈঠক আছে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ ট্রাক পণ্য রফতানি হ*য়ে থা*কে।

      বেনা*পোল কাস্টম*সের কা*র্গো অ*ফিসার নাসিদুল হক জানান, বাংলাদেশী রফতানি পণ্যের বড় বাজার প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম ভারত। দেশে স্থলপথে যে রফতানি বাণিজ্য হয় যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় তার ৭০ শতাংশ হয়ে থাকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতিবছর এ বন্দর দিয়ে প্রায় আট হাজার কোটি টাকা মূল্যের নয় হাজার মেট্রিক টন পণ্য ভারতে রফতানি হয়। ক*রোনাভাইরা*সের কার*ণে ভারত সরকার গত ২২ মার্চ থেকে স্থলপথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রে*খে*ছেন। ৭ জুন ভারতীয় পণ্যের আমদানি বাণিজ্য শুরু হলেও বাংলাদেশী পণ্যের রফতানি বাণিজ্য এখনো বন্ধ রয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ভারতীয়রা এই মুহূর্তে রফতানি পণ্য নিতে চাচ্ছে না। তিন মাস ১০ দিন রফতা*নি বন্ধ থাকায় বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা। নয়া দিগন্ত

      ভার*তের পেট্রা*পোল স্টাফ ও*য়েল ফেয়ার অ্যাসোসি*য়েশ*নের সাধারণ সম্পাদক কা*র্তিক চন্দ জানান, বাংলা*দেশ থে*কে রফতানি পণ্য নি*তে আমা*দের কোনো আপত্তি নেই। ত*বে দুই দে*শেই ক*রোনাভাইরা*সের প্রাদুর্ভাব থাকায় রাজ্য স*রকার বাংলা*দে*শের পণ্য আপাতত ভার*তে ঢোকা*তে নি*ষেধ ক*রে*ছেন। বাংলা*দেশী পণ্য ঢোকা*নোর অনুম*তি চে*য়ে রাজ্য সরক*ারকে পত্র দেয়া হ*য়ে*ছে। তি*নি সম্ম*তি দি*লে বাংলা*দেশী পণ্য ভার*তে ঢুক*বে।

      বেনা*পোল স্টাফ অ্যাসোসি*য়েশ*নের সাধ*ারন সম্পাদক সা*জেদুর রহমান জ*ানান, রফতানি চালু করার জন্য আমরা ভারতীয় ব্যবসায়ী*দের সা*থে ক*য়েক দফা আলোচনা ক*রে*ছি। কিন্ত তারা ক*রোনার অজুহাত দে*খি*য়ে রফতানি চালু কর*ছেন না। ভারতীয়রা বল*ছেন রাজ্য সরকা*রের অনুম*তি ছাড়া রফতানি চালু সম্ভব নয়। এদিকে রফতানি চালু না হওয়ায় রফতানিক*ারকরা বেনা*পোল বন্দর দি*য়ে আমদানী বাণিজ্য সকাল থে*কে বন্ধ করে দি*য়ে*ছেন। গত মার্চ মাস থে*কে বেশ কিছু পণ্যবাহী ট্রাক বেনা*পো*ল বন্দ*রে আট*কে আছে। আজ থে*কে পুনরায় আমদানি বা*ণিজ্য বন্ধ হওয়ায় ভ*ার*তের পেট্রা*পোল বন্দ*রে আট*কে গে*ছে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক। যার অধিকাংশ গা*র্মেন্টস শি*ল্পের কাচামালসহ পচনশীল পণ্য।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/01/39411/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        বাংলাদেশি পণ্য প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ভারত



        নানা দেন-দরবার শেষে কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে বন্ধ থাকা আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চালু করতে সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশের স্থলবন্দরগুলো খুলে দেয়া হয়। কিন্তু ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য প্রবেশ স্বাভাবিক থাকলেও বাংলাদেশ থেকে বেশিরভাগ বন্দর দিয়ে ট্রাক ঢুকতে দিচ্ছে না ভারত। বিষয়টি দুদেশের মধ্যকার চুক্তির লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে ঢাকা।

        এ বিষয়ে নৌ সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত আছি। আপাতত এটুকু বলতে পারি যে, বাংলাদেশি পণ্য ভারতে প্রবেশের বাধা দূর করতে কূটনৈতিকভাবে চেষ্টা চলছে। আশা করছি, দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে।’

        সূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতির কারণে মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে বেশ কিছুদিন দুদেশের মধ্যকার বাণিজ্য বন্ধ থাকায় দুই দেশের অর্থনীতিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বাণিজ্য স্বাভাবিক করতে প্রথমে উদ্যোগ নেয় ভারত। দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি ও উন্নয়নে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্যোগে বাংলাদেশের বাণিজ্য, পররাষ্ট্র এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়সহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক হয়।

        এ ছাড়া একাধিক ফোনকল ও ভার্চুয়াল বৈঠকে বাণিজ্য স্বাভাবিক করার বিষয়ে জোর দিতে থাকে ভারত। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য নিয়ে বৈঠক হয়। এসব বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে ৬ জুন থেকে বাংলাদেশে পণ্য রফতানি শুরু করে ভারত। তবে বাংলাদেশি পণ্য দেশটিতে প্রবেশে বাধা পেতে থাকে।

        কূটনৈতিক সূত্র জানায়, বাংলাদেশের পণ্য প্রবেশে বাধা পাওয়া নিয়ে ইতোমধ্যে ভারতের সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগ করা হয়েছে। ভারতীয় পণ্য আমদানির মতো বাংলাদেশি পণ্য রফতানিও যাতে নির্বিঘ্নে হয় সে বিষেয়ে দিল্লিকে চিঠিও দেয়া হয়েছে। তবে সমস্যার সমাধান হয়নি।

        বিষয়টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনও। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আমরা দুপক্ষই বাণিজ্য চালু করতে একমত হয়েছি। দুদেশের চুক্তি অনুযায়ী সমানভাবে পণ্য আমদানি ও রফতানি চলবে। কিন্তু কেন বাংলাদেশ পণ্য রফতানি করতে পারছে না।

        তিনি বলেন, ‘এর আগে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার রাজি থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের বাধায় কিছুদিন দুদেশের স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ রাখতে হয়। তখন বাংলাদেশি সীমানায় পণ্য দিতে আসা ট্রাক চালকদের বাধ্যতামূলক ১৪দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখার কথা বলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এরপর দুদেশের জিরো পয়েন্টে পণ্য নামানোর সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ওই স্থানে সব পণ্য নামিয়ে আবার বাংলাদেশি ট্রাকে তোলার মতো পরিস্থিতি না থাকায় এই সিদ্ধান্ত কাজে দেয়নি।’

        ‘বাধ্য হয়ে তখন আমরা রেলপথে পণ্য পরিবহনের কথা ভাবি। এরপর নানা আলোচনার মাধ্যমে আবারও বন্দর খোলার সিদ্ধান্ত আসে। কিন্তু এরপরেও বাংলাদেশি পণ্য ভারতে প্রবেশ করতে না পারা দুঃখজনক। আশা করি, আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে,’- বলেন ড. মোমেন।

        এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নিজেদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি-রফতানি হয়ে থাকে। করোনার এ পরিস্থিতিতে পণ্য আসাটাও জরুরি। এজন্য রফতানির বিষয়ে আমরা কিছুটা ধৈর্য ধারণ করছি। তবে পরিস্থিতি না বদলালে শক্ত অবস্থানে যেতে সময় লাগবে না।

        পশ্চিবঙ্গের ব্যবসায়ীদের একটি সূত্র জানায়, যারা বাংলাদেশ থেকে পণ্য নিয়ে ব্যবসা করেন তারাও বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত। কিন্তু এখনই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে তারা কিছু বলতে বা কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইছেন না।

        তবে স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানিতে জড়িত বাংলাদেশি সিঅ্যান্ডএফের (ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং) সদস্যরা জানান, মঙ্গলবার (৩০ জুন) এ নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত আসতে পারে যে, আমরা পণ্য রফতানি না করতে পারলে ভারতীয় পণ্য আমদানিও করব না। এ ছাড়া প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে কয়েক ঘণ্টার জন্য আমদানি-রফতানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও আসতে পারে।
        উল্লেখ্য, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশিদার বাংলাদেশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্য ১০ দশমিক ২৫ বিলয়ন ছাড়িয়েছে।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/01/39404/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতিকে কোপালো সন্ত্রাসী যুবলীগকর্মী

          পটুয়াখালীর বাউফলে মোমিনুল হক (৩০) নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে জাহিদ হোসেন কালা নামের এক সন্ত্রাসী যুবলীগকর্মী ও তার সঙ্গীরা। এ সময় মোমিনুলকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হন তার বোন শারমিন নাহার (৫০)। গতকাল সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম বিলবিলাশ গ্রামের গাজী বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

          দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মোমিনুল বাউফল সদর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। গুরুতর আহত মোমিনুলকে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও বোন শারমিন নাহারকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

          স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার বিলবিলাস গ্রামের যুবলীগকর্মী জাহিদ হোসেন কালা তার সঙ্গীদের নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতো। এ ঘটনার জেরে হামলার শিকার হন মোমিনুল।
          সূত্র: আমাদের সময়


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/01/39405/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            সমীক্ষা ছাড়াই ব্যয় নিরুপণ, ঘুমিয়েই বছর পার ১২১ প্রকল্পের



            রাজনৈতিকসহ বিভিন্নভাবে অনুমোদন নিয়ে চলমান এবং নতুন উল্লেখযোগ্যসংখ্যক উন্নয়ন প্রকল্প ও কর্মসূচি ঘুমিয়ে থাকে। এমনই অনুমোদন নিয়ে ঘুমিয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছর কাটিয়েছে দেশের ১২১টি উন্নয়ন প্রকল্প। পুরো অর্থবছরে কোনো ধরনের অগ্রগতি নেই এসব প্রকল্পের।

            এসব প্রকল্পের মধ্যে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি প্রকল্প, দেশের তিনটি বিমানবন্দরের উন্নয়ন, রেলের উন্নয়ন, ডিপিডিসি এলাকায় বিদ্যুৎ সিস্টেম নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী করার প্রকল্পও রয়েছে। আবার এক হাজার ১৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও শতাধিক প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা একটি টাকাও খরচ করতে পারেনি। ৫৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে অর্থ ব্যয় করার সক্ষমতা কম আছে ৩৪টির। অথচ অনেক উন্নয়ন প্রকল্প টাকার অভাবে নির্ধারিত মেয়াদে সমাপ্ত করা যায় না।

            দেশের উন্নয়ন প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধি এবং বারবার সংশোধনের সংস্কৃতির অবসান হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)।

            উন্নয়ন কার্যক্রম বছরের পর বছর চলমান থাকার কারণ সম্পর্কে আইএমইডির পর্যবেক্ষণ হলো, যথাযথ সমীক্ষা ছাড়াই প্রকল্প গ্রহণ ও ব্যয় প্রাক্কলন করা হচ্ছে। অথচ বিনিয়োগ প্রকল্পের ব্যয় ২৫ কোটি টাকার বেশি হলেই সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া, প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় সার্বিক পরিকল্পনা অনুসরণ করা হয় না। পাশাপাশি বেজলাইন ডাটা সংরক্ষণ ছাড়াই প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। অন্য দিকে, বৈদেশিক সহায়তাপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার নানা রকম শর্ত অনেকসময় প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি করছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মাঠপর্যায়ের সাথে বাস্তবায়নকারী সংস্থার সমন্বয়হীনতাও প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছে। আর বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর দক্ষ জনবল না থাকায় প্রকল্প সমাপ্তির পরে প্রায়ই বিদেশী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে দীর্ঘমেয়াদি সেবা ক্রয় চুক্তি করতে হয়। এতে সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে।

            চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত আইএমইডির প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ঘুমিয়ে বছর কাটানো ১২১ প্রকল্পের মধ্যে কিছু প্রকল্প ২০১৫, কিছু প্রকল্প ২০১৭ এবং কিছু ২০১৮ সালে শুরু হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রোহিঙ্গা, বিদ্যুৎ, রেলওয়ে, দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর উন্নয়নের প্রকল্পও আছে।

            প্রকল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ২০ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ডিপিডিসি এলাকায় বিদ্যুৎ সিস্টেম নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী করা, ৫১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজারে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহণ, সম্ভাব্যতা যাচাই, এক হাজার ২৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২ শ’ মেগাওয়াটের আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্লান্ট, দুই হাজার ২৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ, ২৩ জেলায় তিন হাজার ৬৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন, এক হাজার ২২২ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন, আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অধিক ছাত্র ভর্তির জন্য বাড়তি সুবিধা উন্নয়ন, তিন হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে কাঁচপুর-সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে চার লেন নির্মাণ, এক হাজার ৬৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে রেলের পার্বতীপুর টু কাউনিয়া সেকশনে মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর, তিন হাজার ৫০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে রেলের খুলনা টু দর্শনা জংশনে ডাবল লাইন ট্র্যাক নির্মাণ, পাঁচ হাজার ৭১০ কোটি টাকা ব্যয়ে বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ রেলের ডুয়েলগেজ লাইন নির্মাণ, ২৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে আশুগঞ্জে অভ্যন্তরীণ কনটেইনার নদীবন্দর স্থাপন, তিন হাজার ৭০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ, দুই হাজার ৩১০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর সম্প্রসারণ, ৫৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ে শক্তিশালী করা, ৯৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক স্থাপন, ৩৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে শাহজিবাজার ৭০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্টকে ১৫০ কম্বাইন্ড সাইকেলে রূপান্তর, ৫১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০০ মেগাওয়াট বাঘাবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেলে রূপান্তর, ১০ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে রূপপুর নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুতের ইভেক্যুয়েশন সুবিধার অবকাঠামো উন্নয়ন, এক হাজার ১৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে কুমিল্লাতে ব্যাক টু ব্যাক স্টেশন নির্মাণ, সাড়ে ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কাওরান বাজারে আন্ডারগ্রাউন্ড সাবস্টেশন নির্মাণ, প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ডিপিডিসির বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, ৬৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ডিপিডিসি এলাকায় সাড়ে আট লাখ প্রি-পেইড মিটার স্থাপন।

            এ ছাড়া ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আইসিবি’র বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্প, প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে থিম্পুতে বাংলাদেশ চ্যান্সেরি ভবন নির্মাণ, প্রায় ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে জামার্নিতে চ্যান্সেরি ভবন ও রাষ্ট্রদূতের বাসভবন নির্মাণ, প্রায় ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রুনাইতে বাংলাদেশ চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স ও রাষ্ট্রদূতের আবাসিক ভবন নির্মাণ, ৩৪০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে র্যাবের ভোকেশনাল ও কারিগরি দক্ষতা, ১২৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মনিটনিং প্রকল্প, ৩৭.৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বিজিবির ইনডোর স্টেডিয়াম নির্মাণ, প্রায় ৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বিজিবির বর্ডার এলাকায় ৬০টি বিওপি নির্মাণ, ৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে গোপালগঞ্জে শেখ রাসেল হাইস্কুল ও সূত্রাপুরে শের-ই-বাংলা মহিলা কলেজ উন্নয়ন, ৬৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্বাচিত ৯টি সরকারি কলেজের উন্নয়ন, ১৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫০ বেডের জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউট ও হসপিটাল নির্মাণ, ৪৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে রিমোট এলাকায় আইসিটি নেটওয়ার্ক স্থাপন, ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে রমনা পার্ক উন্নয়ন ও লেকের সৌন্দর্যবর্ধন, প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে আজিমপুরে সরকারি আবাসিক ভবন নির্মাণ, ৪২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০তলা বিশিষ্ট সচিবালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ, চট্টগ্রামে এক হাজার ১৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ, এক হাজার ৩৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ছয়টি পরিপূর্ণ স্টেশন নির্মাণ, ৬৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিস ডেলিভারি প্রকল্প, ৬৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ফেনী নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণ, সোনাগাজী ও মিরসরাই অর্থনৈতিক জোনের লিংক রোড প্রকল্প, ঢাকা উত্তর সিটির জন্য ৪৪২ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কে এলইডি লাইট, সিসিটিভি ক্যামেরা এবং সিসিটিভি কন্ট্রোল সেন্টার স্থাপন, সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকায় তিনটি হোলসেল বাজার স্থাপন, চার হাজার ৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহী ওয়াসার সার্ফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, ৪২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পল্লী জনপদ প্রকল্প, ১১০ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রহ্মপুত্র ব্যারাজের ডিজাইন নির্মাণ, রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় ৩৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প।

            আর্থিক অগ্রগতিহীন ১০৬ প্রকল্পের জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এডিপিতে অর্থ বরাদ্দ ছিল এক হাজার ১৬৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা। কিন্তু ওই সব প্রকল্পের কোনো অর্থই এক বছরে খরচ হয়নি। অগ্রগতি না হওয়ার কারণের মধ্যে রয়েছে, অর্থ ছাড় না হওয়া, দেরিতে অর্থ ছাড় করা, ভূমি অধিগ্রহণ না হওয়া, দরপত্র আহ্বানে বিলম্ব, দরপত্র রেসপন্সিভ না হওয়া, প্রকল্পের ঋণ না পাওয়া, নামমাত্র বরাদ্দ, মামলাজনিত সমস্যা, সংশোধিত ডিপিপি অনুমোদনে বিলম্ব, দাতা সংস্থার সাথে চুক্তি হতে দেরি ইত্যাদি।

            এ ব্যাপারে আইএমইডির মহাপরিচালক ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরের এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা কমিটির সভাপতি এস এম হামিদুল হকের মন্তব্য হলো, প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধিসহ বারবার সংশোধনের প্রবণতা রয়েছে। কোনো একটি প্রকল্প নির্ধারিত মেয়াদে বাস্তবায়ন করতে না পারলে ওই প্রকল্পের সুফল প্রাপ্তিতে যেমন বিলম্ব ঘটে, একইভাবে প্রকল্প ব্যয়ও বেড়ে যায়। তিনি বলেন, উন্নয়নকে কাংক্ষিত মানে পৌঁছাতে হলে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি ও বারবার সংশোধনের সংস্কৃতির অবসান হওয়া প্রয়োজন। যেসব কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন বিঘ্নিত হয়, তা চিহ্নিত করে সেগুলো নিরসনের উপায় খুঁজে বের করতে হবে।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/01/39414/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              শুধু নবীনগরেই ৬ মাসে ১০ খুনসহ ৩৬ লাশ উদ্ধার



              ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরেই সাম্প্রতিক সময়ে ঘটেছে বেশ ক’টি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, খুন, ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা। গত ৬ মাসে ১০ খুন ও ২৬টি অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বছরের প্রথম দিন শুরু হয়েছিলো খুন দিয়ে, আর জুন মাস শেষ হলো তিনটি খুন ও এক ভারসাম্যহীন নারীকে ধর্ষণের ঘটনা দিয়ে।

              গত কয়েক মাসে আলোচিত ঘটনা ছিলো, থানাকান্দি গ্রামের সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের লোকজন মোবারকের পা কেটে হাতে নিয়ে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে উল্লাস করা, ১২ মে নবীনগর সদরে এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্য অস্ত্র ঠেকিয়ে চাঁদা দাবি, চাঁদা না পেয়ে বাসায় গুলি করা, ১৫ মে ফতেহপুর গ্রাম থেকে ৪৭ রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশী পিস্তল উদ্ধার করার ঘটনায় সারা দেশে আলোচনায় ছিলো নবীনগর উপজেলা। এসব ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।

              পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এ বছরের প্রথম দিনে এক হাজার টাকার দেনা পাওনাকে কেন্দ্র করে ১ জানুয়ারি পৌর এলাকার জাহিদুল ইসলাম সানি নামে একজন খুন হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি ছেলের দায়ের কোপে খুন হন অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আলমগীর হোসেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি সলিমগঞ্জ জান্নাতুল ফেরদৌস মহিলা মাদরাসা থেকে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা, ৫ মার্চ উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের গোসাইপুর গ্রামে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে এক সংঘর্ষে হেকিম মিয়া মারা যায়, ১৬ মার্চ সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের নিলখি গ্রামে এক বখাটের হাতে আকলিমা বেগম নামে এক গৃহবধূ খুন। ১২ এপ্রিল কৃষ্ণনগরের থানাকান্দি গ্রামের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রতিপক্ষের লোকজন পা কেটে নিয়ে যায় মোবারক মিয়ার, চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ এপ্রিল মারা যান মোবারক। ১৫ মে উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড্ডা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। ২৩ জুন উপজেলার শ্রীরামপুর পশ্চিম পাড়া জমি থেকে গোপালপুর গ্রামের শিরিন আক্তারের লাশ উদ্ধার। ২৩ জুন লাউর ফতেহপুর গ্রামে এক সংঘর্ষের ঘটনায় আহত জয়নাল আবেদীন ২৮ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ২ জুন সাহেবনগর গ্রামের দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হানিফ মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ জুন মারা যান। এ ছাড়া গত কয়েক মাসে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে থানাকান্দি, সাহেবনগর ও বাজে বিশারা গ্রামে। ওইসব রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় দুই শতাধিক বাড়িঘড় ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে, আহত হয়েছে কয়েক শ’ মানুষ।

              অপরদিকে, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত পারিবারিক কলহের জের ধরে বিষপানে ও গলায় ফাঁসসহ বিভিন্ন ঘটনায় অপমুত্য হয়েছে ২৬ জনের। এরমধ্যে জানুয়ারি মাসে পাঁচজন, ফেব্রুয়ারিতে চারজন, মার্চে তিনজন, এপ্রিলে তিনজন, মে মাসে ছয়জন ও জুন মাসে পাঁচজন।

              কয়েকটি ধর্ষণ, অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৮ জানুয়ারি নবীনগর কলেজ পাড়ায় সাত বছরের শিশুকে কেক খাওয়ানোর কথা বলে ধর্ষণ করে এক বখাটে। ৫ মার্চ বড়াইল গ্রামে স্কুল মাঠে পাতা কুঁড়াতে গিয়ে কিশোরী ধর্ষিত, ২৭ জুন থোল্লাকান্দি গনিশাহ মাজারে পাশে একটি ঘরের তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে এক ভারসাম্যহীন নারীকে ধর্ষণ করে দুজন। ৬ এপ্রিল নবীনগর উপজেলার রতনপুর গ্রামে ছয় বছরের এক শিশু নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ এখনো উদ্ধার হয়নি। ১২ জুন নবীনগর উপজেলার বাড়িখলা গ্রামের এক স্কুলছাত্রী অপহরণ হওয়ার তিন দিন পর উদ্ধার। এ ছাড়া শ্যামগ্রামে দুটি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।

              এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সচেতন মহল বলেন, প্রতিটি খুনের ঘটনার সাথে সামাজিক ও রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার জড়িত রয়েছে। এসব খুনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে ও গ্রাম্য নেতাদের মাঝে চলে রমরমা বাণিজ্য। অনেক সময় রাজনৈতিক কারণে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ফাঁসিয়ে দেয়া হয় খুনের মামলায়। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর মদদে চলছে এসব অনাচার। রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে এসব ঘটনার নিরসন করতে হবে। নয়া দিগন্ত


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/01/39417/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                ইন্নালিল্লাহ....
                হে আল্লাহ আপনি মুসলিম জাতিকে হিফাজত করুন,আমীন।
                হে আল্লাহ মুজাহিদ ভাইদেরকে আপনি সুস্থ ও নিরাপদে রাখুন,আমীন।
                হে আল্লাহ আপনি আমাদেরকে শহিদ হিসাবে কবুল করুন,আমীন।
                ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                Comment


                • #9
                  খোরাসান | নিরাপরাধ আফগানীদের উপর মুরতাদ বাহিনীর হামলায় ২৩ জন নিহত
                  এই রক্তাক্ত চেহারাগুলো দেখে চোখের পানি আটকে রাখা ভীষণ কঠিন!
                  আল্লাহ তা‘আলা শহীদদের কবুল করুন ও আহতদের দ্রুত সুস্থ করে দিন। আমীন
                  ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                  Comment

                  Working...
                  X