উইঘুর মুসলিম নারীদের ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে জোরপূর্বক গর্ভপাত করছে চীন
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নামে চীনের উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়কে জোরপূর্বক জন্ম নিয়ন্ত্রণে বাধ্য করছে চীন সরকার। বার্তা সংস্থা এপির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এসব তথ্য। জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদেরকে গর্ভপাত ও ভ্রুণ হত্যার মতো জঘন্য কাজে বাধ্য করা হচ্ছে। বেশি সন্তান থাকায় আটকও করা হচ্ছে। সরকারি তথ্য, রাষ্ট্রীয় নথি বিশ্লেষণ আর বন্দী শিবির থেকে ছাড়া পাওয়া প্রায় অর্ধশতাধিক উইঘুরের স্বাক্ষাতকারের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করে এপি।
উইঘুর মুসলিমসহ সংখ্যালঘু জনসংখ্যা কমানোর লক্ষ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যাপকভাকে জোরদার করেছে চীনের কমিউনিস্ট সরকার। সরকারি তথ্য, খবরে বলা হয়, দুইয়ের অধিক সন্তান থাকলেই দিতে হচ্ছে মোটা অংকের অর্থ। করতে হয় কারাভোগ।
জাতিসংঘের হিসেবে, সংশোধনের নামে ১০ লাখের মতো উইঘুর মুসলিমকে বন্দী শিবিরে আটকে রেখেছে চীন। তবে, এবার সি চিনপিং সরকারের বিরুদ্ধে এই জনগোষ্ঠিকে কৌশলগতভাবে নির্মূলের অভিযোগ উঠেছে। বার্তা সংস্থা এপির অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বলছে, উইঘুর মুসলিম নারীদের জোর করে জন্মরোধক ওষুধ সেবন, গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ কার্যক্রম চালাচ্ছে দেশটির সরকার।
গুলনার অমিরজাখ বলেন, ‘তারা হুটহাট বাড়িঘরে তল্লাশী চালাতে আসে। আমার তিন সন্তান থাকায় প্রায় তিন হাজার ডলার জরিমানা দিতে বলে। টাকা না থাকায় আমার স্বামীকে বন্দীশালায় নিয়ে যায়। আমাকেও আটকের হুমকী দেয়।’
উইঘুর মুসলিমদের অভিযোগ, প্রশাসনের ভয়ে তারা এতোটাই ততস্থ হয়ে থাকেন যে, সন্তান নিতেই ভয় পান অনেকে। গেল বছর সারা দেশে জন্মহার চার দশমিক দুই শতাংশ কমলেও; শিনজিয়াং প্রদেশেই কমেছে, ২৪ শতাংশ। আর উইঘুর অধ্যুষিত হোতান আর কাশগার প্রদেশে ৩ বছরে কমেছে, ৬০ শতাংশ।
জুমরেত দাউত বলেন, ‘বেশি সন্তান থাকায় আমাকে বন্দীশালায় নিয়ে যাওয়া হয়। জোর করে আমার স্টেরিলাইজেশন অপারেশন করা হয়। যেন চাইলেও সন্তানের মা হতে না পারি। তারা আমাদের শেষ করে দিতে চায়। জানে মেরে ফেলতে পারছে না তাই কৌশলে, ধাপে ধাপে নিঃশেষ করে দিচ্ছে।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, কঠিন পরিকল্পনা আর কৌশল খাটিয়ে উইঘুর মুসলীমদের নিয়ন্ত্রণ করছে চিনপিং সরকার। একে ডেমোগ্রাফিক জেনোসাইডও বলছেন অনেকে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক আদ্রিয়ান জেন বলেন, ‘খুব কৌশল খাটিয়ে উইঘুর মুসলীমদের দমন করা হচ্ছে। জন্মহার কম থাকলে তাদের নিয়ন্ত্রনে রাখা সহজ হবে, সেইসাথে বহির্বিশ্বের চোখও ফাকি দেয়া যাবে তাই এই পথে হাঁটছে চীন সরকার। জাতিসংঘের কনভেনশন অনুযায়ী এটি পরিস্কারভাবে গণহত্যার সামিল।’
সূত্র : চ্যানেল ২৪।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/02/39447/
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নামে চীনের উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়কে জোরপূর্বক জন্ম নিয়ন্ত্রণে বাধ্য করছে চীন সরকার। বার্তা সংস্থা এপির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এসব তথ্য। জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদেরকে গর্ভপাত ও ভ্রুণ হত্যার মতো জঘন্য কাজে বাধ্য করা হচ্ছে। বেশি সন্তান থাকায় আটকও করা হচ্ছে। সরকারি তথ্য, রাষ্ট্রীয় নথি বিশ্লেষণ আর বন্দী শিবির থেকে ছাড়া পাওয়া প্রায় অর্ধশতাধিক উইঘুরের স্বাক্ষাতকারের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করে এপি।
উইঘুর মুসলিমসহ সংখ্যালঘু জনসংখ্যা কমানোর লক্ষ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যাপকভাকে জোরদার করেছে চীনের কমিউনিস্ট সরকার। সরকারি তথ্য, খবরে বলা হয়, দুইয়ের অধিক সন্তান থাকলেই দিতে হচ্ছে মোটা অংকের অর্থ। করতে হয় কারাভোগ।
জাতিসংঘের হিসেবে, সংশোধনের নামে ১০ লাখের মতো উইঘুর মুসলিমকে বন্দী শিবিরে আটকে রেখেছে চীন। তবে, এবার সি চিনপিং সরকারের বিরুদ্ধে এই জনগোষ্ঠিকে কৌশলগতভাবে নির্মূলের অভিযোগ উঠেছে। বার্তা সংস্থা এপির অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বলছে, উইঘুর মুসলিম নারীদের জোর করে জন্মরোধক ওষুধ সেবন, গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ কার্যক্রম চালাচ্ছে দেশটির সরকার।
গুলনার অমিরজাখ বলেন, ‘তারা হুটহাট বাড়িঘরে তল্লাশী চালাতে আসে। আমার তিন সন্তান থাকায় প্রায় তিন হাজার ডলার জরিমানা দিতে বলে। টাকা না থাকায় আমার স্বামীকে বন্দীশালায় নিয়ে যায়। আমাকেও আটকের হুমকী দেয়।’
উইঘুর মুসলিমদের অভিযোগ, প্রশাসনের ভয়ে তারা এতোটাই ততস্থ হয়ে থাকেন যে, সন্তান নিতেই ভয় পান অনেকে। গেল বছর সারা দেশে জন্মহার চার দশমিক দুই শতাংশ কমলেও; শিনজিয়াং প্রদেশেই কমেছে, ২৪ শতাংশ। আর উইঘুর অধ্যুষিত হোতান আর কাশগার প্রদেশে ৩ বছরে কমেছে, ৬০ শতাংশ।
জুমরেত দাউত বলেন, ‘বেশি সন্তান থাকায় আমাকে বন্দীশালায় নিয়ে যাওয়া হয়। জোর করে আমার স্টেরিলাইজেশন অপারেশন করা হয়। যেন চাইলেও সন্তানের মা হতে না পারি। তারা আমাদের শেষ করে দিতে চায়। জানে মেরে ফেলতে পারছে না তাই কৌশলে, ধাপে ধাপে নিঃশেষ করে দিচ্ছে।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, কঠিন পরিকল্পনা আর কৌশল খাটিয়ে উইঘুর মুসলীমদের নিয়ন্ত্রণ করছে চিনপিং সরকার। একে ডেমোগ্রাফিক জেনোসাইডও বলছেন অনেকে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক আদ্রিয়ান জেন বলেন, ‘খুব কৌশল খাটিয়ে উইঘুর মুসলীমদের দমন করা হচ্ছে। জন্মহার কম থাকলে তাদের নিয়ন্ত্রনে রাখা সহজ হবে, সেইসাথে বহির্বিশ্বের চোখও ফাকি দেয়া যাবে তাই এই পথে হাঁটছে চীন সরকার। জাতিসংঘের কনভেনশন অনুযায়ী এটি পরিস্কারভাবে গণহত্যার সামিল।’
সূত্র : চ্যানেল ২৪।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/02/39447/
Comment