Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ৫ই শাওয়াল, ১৪৪৩ হিজরি।। ৭ই মে, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ৫ই শাওয়াল, ১৪৪৩ হিজরি।। ৭ই মে, ২০২২ ঈসায়ী।

    ফের ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর শপথ : গণহত্যা চালাতেও পিছপা না হওয়ার প্রতিজ্ঞা


    সেকুলার কিছু নেতারা ভারতকে কথিত বৃহৎ গণতন্ত্রের দেশ দাবি করে মুসলিমদেরকে দীর্ঘ সময় ধরে বোকা বানিয়ে গেছে। অন্যদিকে নিয়ন্ত্রক হিন্দুত্ববাদীরা এই সুযোগে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্রে রূপান্তর করার জোর প্রস্তুতি চালিয়ে গেছে। হিন্দুত্ববাদী অনেক নেতা ভারতকে শুধু হিন্দুদের দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করে। মুসলিমদের ভারত ছাড়া করার এবং মুসলিম-মুক্ত অখণ্ড ভারত নির্মাণের ঘোষণা ও প্রকাশ্য এজেন্ডা নিয়ে এগোচ্ছে এই হিন্দুত্ববাদীরা।

    এবার ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর শপথ নিয়েছে হরিয়ানার আম্বালার বিজেপির হিন্দুত্ববাদী বিধায়ক অসীম গোয়েল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বহু মানুষের উপস্থিতিতে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর শপথ গ্রহণ চলছে।
    মঞ্চে উপস্থিত ছিল সুদর্শন টিভির তথাকথিত সাংবাদিক ও কট্টর ইসলামবিদ্বেষী সুরেশ চাভানকে।

    ভাইরাল ভিডিওতে বিজেপি বিধায়ক এবং অন্যদের বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর জন্য যে কোনও রকম ত্যাগ স্বীকার করতে আমরা প্রস্তুত’। প্রয়োজনে মুসলিমদের উপর গণহত্যা চালাতেও পিছপা হবে না বলেও শপথ নেয় তারা।

    পরে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিজেপি বিধায়ক অসীম গোয়েল বলেছে, ‘এই শপথটি প্রায় ৪০০ বছর আগে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ নিয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল যে ভারত একটি হিন্দু রাষ্ট্র’। তাঁর কথায়, ‘দেশের নাগরিক সে যে কোনও ধর্মেরই হোক না কেন, সে আসলে হিন্দু’।
    যদিও তার কাল্পনিক কথার কোন ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই।

    বিধায়ক অসীম গোয়েল আরও বলেছে- ইসলাম ধর্মের মানুষও একজন হিন্দু। হিন্দুত্ববাদী বিধায়কের কথায়, এ দেশে যে থাকতে চায় তাকে হিন্দু রাষ্ট্র অনুযায়ী ভারতীয় হিসেবে থাকতে হবে।

    কিছুদিন আগে ভারতের নয়াদিল্লিতে কথিত সাংবাদিক ও কট্টর ইসলামবিদ্বেষী সুরেশ চাভানকে দেখা গেল- সে হিন্দু যুব বাহিনীর সদস্যদের (সন্ত্রাসী যোগী আদিত্যনাথের দল) ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্রে রূপান্তর করার শপথ করাচ্ছে, যেখানে অন্যকোন ধর্ম কিংবা মতবাদের মানুষের জায়গা হবে না।

    তাদের শপথের ভাষা ছিল এমন –
    “আমরা সবাই শপথ নিচ্ছি, কথা দিচ্ছি ও সংকল্প করছি যে,- আমাদের জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এই দেশকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর জন্য, বানিয়ে রাখার জন্য এবং এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য লড়াই করবো। আমরা মরব, প্রয়োজন পড়লে মারব। যেকোনো ত্যাগ শিকার করার জন্য যে কোন মূল্য চুকাতে আমরা সামান্য এতটুকুও পিছপা হব না।
    আমাদের এই সঙ্কল্প পূর্ণ করার জন্য আমাদের গুরুদেব, আমাদের গুরু দেবতা, আমাদের গ্রাম দেবতা, আমাদের ভারত মাতা, আমাদের পূর্বপুরুষেরা আমাদেরকে শক্তি দিক, শক্তি দিক, জয় দিক, বিজয় দিক, বিজয় দিক, বিজয় দিক, বিজয় দিক, বিজয় দিক।
    ভারত মাতার জয়…

    এ কথা গুলোর সাথেই এই হিন্দুত্ববাদী বিধায়ক অসীম গোয়েল সুর মিলিয়েছে।

    উল্লেখ্য, ভারতের হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সংঘচালক মোহন ভাগবত অখণ্ড ভারত তৈরীর ঘোষণা দিয়েছে। আগেও হিন্দুত্ববাদীরা অখণ্ড ভারত বানানোর মত দিয়েছে।
    উগ্রবাদী মোহন ভাগবত বলেছে, ‘আর মাত্র ১৫ বছর। তার পরই তৈরি হবে অখণ্ড ভারত। আর যারা এর মাঝে আসবে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে।’

    এভাবেই প্রকাশ্যে মুসলিম নির্মূলের ঘোষণা দিয়ে উগ্র হিন্দু নেতারা মুসলিম গণহত্যা বাস্তবায়নের চূড়ান্ত ধপের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্লেষকরা তাই বলছেন, মুসলিমরা যদি এখনো সচেতন না হোন, কিংবা নিজেদের জান-মাল-ইজ্জত-আব্রুর হেফাজতের ফিকির শুরু না করেন, তাহলে হয়তো তাদের জন্য অপেক্ষা করছে রক্তাক্ত এক নিকট ভবিষ্যৎ।

    তথ্যসূত্র

    1. Suresh Chavhanke Administers Oath to Make India ‘Hindu Rashtra’, BJP MLA Present
    https://tinyurl.com/4kz8b269
    2. CM Yogi Adityanath’s group took pledge to convert India into a Hindu Rashtra.
    https://tinyurl.com/23sk522e
    3. ১৫ বছরের মধ্যেই অখণ্ড ভারত, বাধা দিলে কঠিন পরিণতি!
    https://tinyurl.com/yjahsrtb
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    শরয়ী বিধান বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক চাপের কাছে আমরা মাথা নত করবো না: পর্দা বিষয়ে তালিবান


    ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান প্রশাসন দেশটিতে হেডস্কার্ফ/বোরখা বাধ্যতামূলক করে একটি নতুন ডিক্রি জারি করেছে। দেশটির সনামধন্য আলেমে-দ্বীন ও রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে আফগান সরকার।

    বৈঠকের পরে প্রকাশিত সিদ্ধান্তের পাঠ্য লিপিটিতে মৌলভি মুহাম্মদ খালিদ হানাফি, মৌলভি আবদুল হাকিম, মৌলভি নূর মুহাম্মদ সাকিফ, মৌলভি শিহাবুদ্দিন দিলওয়ার, মৌলভি ফরিদুদ্দিন মাহমুদ, মৌলভি নুরুল্লাহ মুনির এবং মৌলভি নূরুল হাকিমের স্বাক্ষর রয়েছে। যারা সবাই দেশটির প্রশিদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য উলামা।



    “এটাই আমাদের ধর্ম”

    বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের দাওয়াতুল ইরশাদ এবং পাপ পুণ্য বিষয়ক মন্ত্রী শাইখ মুহাম্মদ খালিদ আল-হানাফি হাফিজাহুল্লাহ্।

    মন্ত্রী হানাফি সাহেব আফগান নারীদের সম্পর্কে বলেন, “আমরা চাই আমাদের বোনেরা নিজেদের সতীত্ব, নিরাপত্তা ও মর্যাদার সাথে বাঁচুক।” আর ইসলাম অন্য যে কোনও ধর্মের চেয়ে নারীদের বেশি অধিকার দিয়েছে।

    বৈঠকে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ্ মুজাহিদও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য পেশ করেন। এসময় তিনি পবিত্র কোরানের আয়াত স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “আপনারা জাহেলিয়াতের যুগের মতো বিচরণ করবেন না, নিজেদেরকে প্রকাশ করবেন না।” তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, ইমারাতে ইসলামিয়া কর্তৃক ঘোষিত নারীদের পর্দা সম্পর্কিত নীতিগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে দেওয়া শরয়ী আদেশ।

    একইভাবে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট অব ডিস্টিনশনের পরিচালক শাইখ মোহাম্মদ শরীফ হাফিজাহুল্লাহ বলেন, “হিজাব পালনের নির্দেশ ইমারাতে ইসলামিয়ার দেওয়া কোন মনগড়া আদেশ নয়! বরং এটি তো মহান রবের পক্ষ থেকে দেওয়া একটি ফরজ বিধান। যা আমাদের সবাইকে অবশ্যই মানতে হবে”।

    এদিকে বৈঠকে উপস্থিত প্রায় সকল আফগান প্রশাসক জোর দিয়েছেন যে, “তাঁরা ইসলামী বিধান বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক চাপের কাছে মাথা নত করবেন না।”



    নতুন এই সিদ্ধান্তে কি কি অন্তর্ভুক্ত?

    আফগান প্রশাসন কর্তৃক প্রকাশিত সিদ্ধান্তের পরিধির মধ্যে নারীদের পর্দার বিষয়ে কিছু নীতিমালা রয়েছে।

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আফগানিস্তানে দীর্ঘদিন ধরে নারীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত ক্লান্তিকর এবং পদ্ধতিগত অবক্ষয়মূলক কর্মকাণ্ড সত্ত্বেও, আফগানিস্তানের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ এখনও গভীরভাবে ইসলামী নীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যারা পর্দার এই নীতি বহুকাল ধরেই মেনে চলেন। তারপরেও আমরা উল্লেখ করছি, মহিলাদের জন্য পর্দা ইসলামী শরিয়াহ্ কর্তৃক নির্ধারিত নীতিগুলোর মধ্যে একটি। তাই ইসলামি শরীয়াহ্ ভিত্তিক হিজাব/বোরকা প্রত্যেক সম্ভ্রান্ত এবং প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম মহিলার জন্য বাধ্যতামূলক।”

    ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে যে, হিজাব এমনভাবে হওয়া উচিত, যা শরীরের গোপনাঙ্গ সম্পূর্ণরূপে ঢেকে রাখে এবং শরীরের রেখা/ভাজ প্রকাশ না করে। শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে যারা ছোট বা অতি বৃদ্ধ, তারা ব্যতীত সকল নারীর জন্য পর্দা বাধ্যতামূলক।

    মাহরাম পুরুষ ব্যতীত অন্য পুরুষদের সাথে কথা বলার সময় মহিলাদের চোখ বাদ দিয়ে তাদের সমস্ত মুখমণ্ডল ঢেকে রাখতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ যারা ইসলামী অর্থে তাদের সাথে দেখা করার জন্য উপযুক্ত নয়।

    বিবৃতিতে যোগ করা হয়েছে যে, “হিজাব হল মুসলিম এবং সতী মহিলাদের এক বিশেষাধিকার।” যা মহিলাদের সুরক্ষা দেবে এবং তাদের উদ্ভট অধঃপতনের অধ্যয়ন থেকেও দূরে রাখবে।

    আফগান প্রশাসন জোর দিয়েছে যে, এই সিদ্ধান্তটি নিয়ে জনসাধারণের সাথে ব্যাপকভাবে আলোচনা করা হবে। সেই সাথে এই বিষয়টি মিডিয়াতে ঘন ঘন কভার করা হবে।

    এই বিধান অমান্য করার সম্ভাব্য শাস্তি

    বিবৃতিতে, পর্দার বাধ্যবাধকতা না মেনে চলার ক্ষেত্রে যেসব শাস্তি প্রয়োগ করা হবে সেগুলিরও বিশদ বিবরণ ছিল। তদনুসারে, যদি কোনও মহিলা পর্দা/হিজাবের নিয়ম লঙ্ঘন করে, তবে প্রথমে তাকে এবং তার পরিবারের পুরুষদের সতর্ক করা হবে। দ্বিতীয় লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে, মহিলার পরিবারের একজন পুরুষকে ইমারাতের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের কাছে ডাকা হবে এবং আবারও একটি সতর্কবার্তা দেওয়া হবে। তৃতীয়বার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে, মহিলার পরিবারের অবিভাবক পুরুষকে ৩ দিনের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হবে। আর ক্রমাগত লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে, এই শাস্তি বৃদ্ধি করা হবে।

    অপরদিকে, সরকারী সেক্টরে কর্মরত নারীরা পর্দা নিয়ম না মানলে তারা কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন না। নারীরা হিজাবের নিয়ম লঙ্ঘন করলে ঐ পরিবারের পুরুষদেরও চাকরিচ্যুত করা হবে।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment

    Working...
    X