Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১৪ই জিলক্বদ, ১৪৪১ হিজরী # ০৬ই জুলাই, ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১৪ই জিলক্বদ, ১৪৪১ হিজরী # ০৬ই জুলাই, ২০২০ঈসায়ী।

    চীন কর্তৃক লাদাখে দখল করে নেয়া জমি কবে ছাড়বে উত্তর নেই ভারতের



    লাদাখে হঠাৎ সফরে গিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সেনাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেও মূল প্রশ্ন এড়াতে পারছেন না দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর তা হল, লাদাখে দখল করা এলাকা থেকে চীনকে সরানো যাবে কবে, কী ভাবে?

    কংগ্রেস নেতা শশী থারুর শনিবার ইন্দিরা গান্ধী, মনমোহন সিং এবং নরেন্দ্র মোদির লে এবং সিয়াচেন সফরের ছবি পোস্ট করে প্রশ্ন করেছেন,‘১৯৭১-এ প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী পাকিস্তানকে দু’টুকরো করে দেয়ার আগে লে-তে গিয়েছিলেন। ২০০৫-এ প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সিয়াচেনে গিয়েছিলেন। সেটাই ছিল প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সিয়াচেন সফর। তার ফল হল, সিয়াচেন হিমবাহ এখনও ভারতের নিয়ন্ত্রণে। ২০২০-তে ভারত কী আশা করবে? নিজেদের এলাকা ধরে রাখতে কোনো কার্যকর সিদ্ধান্ত কি দেখা যাবে?’

    ভারতের সরকারি সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী মোদির আচমকা লে সফরের পিছনে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের মস্তিষ্ক কাজ করেছে। মোদি কাল নীমুতে পৌঁছে সিন্ধু দর্শন পুজো করেন। তার পর সেনা অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রধানমন্ত্রীর সেনা জওয়ানদের কথা বলে মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা চীনের সমর-কৌশলী সুন জু-র ‘দ্য আর্ট অফ ওয়ার’-এর মন্ত্র মেনেই হয়েছে বলে বিজেপির দাবি।

    রাম মাধবের যুক্তি,‘সুন জু বলেছিলেন, সেনা জওয়ানদের নিজের সন্তান ভাবতে হবে। তা হলে তারা গভীর উপত্যকাতেও তোমাকে অনুসরণ করবে। তাদের প্রিয় পুত্রের মতো দেখবে। তা হলে মৃত্যু পর্যন্ত তোমার পাশে থাকবে।’

    তা শুনে কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বলের কটাক্ষ,‘জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মতো ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রীরা কি সেনার মনোবল বাড়াতে সীমান্তবর্তী এলাকায় যাননি? কিন্তু বর্তমান ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদি তো সীমান্ত থেকে ২৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লাদাখের রাজধানী লে শহরের নীমু নামক জায়গায় আটকে রইলেন!’

    বিজেপি নেতারা বলছেন, ৬৯ বছর বয়সী মোদির ১১ হাজার ফুট উচ্চতায় গিয়ে জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলাও চাট্টিখানি কথা নয়। কংগ্রেস নেতারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ২০০৫-এ মনমোহন সিং ১২ হাজার ফুট উচ্চতায় সিয়াচেন হিমবাহে গিয়েছিলেন ৭৩ বছর বয়সে, বাইপাস সার্জারির পরে।

    কংগ্রেসের প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী মোদি কি এখনও চীন লাদাখে ভারতের জমি দখল করে রেখেছে বলে অস্বীকার করছেন? তা হলে চীনের নাম না করে সম্প্রসারণবাদীই বা বললেন কেন? শুক্রবার রাহুল গান্ধী একটি ভিডিওতে দেখিয়েছিলেন, লাদাখিরাই বলছে যে চীন সেখানকার জমি দখল করে রেখেছে। বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের দাবি, ওই ভিডিওতে যাদের সাধারণ লাদাখি বলে দেখানো হয়েছে, তাদের অনেকেই কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা-কর্মী। কংগ্রেসের পাল্টা যুক্তি, লাদাখের বিজেপি সংসদ সদস্য জেমিয়াং শেরিং নামগিল, লে-র বিজেপির জেলা সভাপতি দোরজি আংচুক, লাদাখে স্বায়ত্তশাসিত পার্বত্য জেলা পরিষদের ডেপুটি মেয়র, বিজেপি নেতা কনচোক স্ট্যানজিন, লে-র নিয়োমা ব্লক উন্নয়ন পরিষদের বিজেপি নেত্রী উরগেই চদন এক সুরে বলেছেন, লাদাখে চীন জমি দখল করেছে। রাহুলের যুক্তি,‘দেশপ্রেমী লাদাখিরা চীনের অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। তাতে কান না দিলে মূল্য দিতে হবে।’

    কংগ্রেসের কপিল সিব্বল গত ২২ মে ও ২৩ জুন প্যাংগং লেকের উপগ্রহ থেকে পাওয়া ছবি তুলে ধরে মোদিকে প্রশ্ন ছুড়েছেন, চীন ফিঙ্গার-ফোর পর্যন্ত এলাকা দখল করে রেখেছে কিনা? গালওয়ান উপত্যকার জমি, হট স্প্রিংস এলাকায় জমি চীন দখল করেছে কি না? সিব্বলের বক্তব্য,‘মোদির এখন একমাত্র রাজধর্ম, চীনের চোখে চোখ রেখে বলুন, দখল করে রাখা ভারতীয় জমি ছাড়তে হবে।’ নয়া দিগন্ত


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/06/39632/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ঠাকুরগাঁও সীমান্তে সন্ত্রাসী বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত



    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রত্নাই সীমান্তে মুশরিক ভারতীয় সীমান্তসন্ত্রাসী (বিএসএফ) গুলিতে মোহাম্মদ সোহেল (২৫) নামে এক বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। সোমবার ভোরে ভারতের পশ্চিম দিনাজপুর গোয়ালপুকুর থানার নোটুয়াটুলি ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যদের গুলিতে এ ঘটনা ঘটে। আহত গরু ব্যাবসায়ী সোহেল ওই উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের বারাসাত এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে।

    সোমবার ভোরে সোহেলসহ আরো কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী রত্নাই সীমান্তের তারকাটা অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে সীমান্ত ৩৮২/এস পিলার এলাকায় প্রবেশ করলে ভারতের পশ্চিম দিনাজপুর গোয়ালপুকুর নাটুয়াটুলি ক্যাম্পের সন্ত্রাসী বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় অন্যান্যরা চলে আসতে সক্ষম হলেও সোহেল গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসে। পরে তার পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় গ্রামবাসীরা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রংপুরে নিয়ে যায়।

    এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন তবে আহত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায় নাই। এছাড়া সীমান্তে গুলি ও হত্যা বন্ধের বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে পত্র দেয়া হয়েছে। কালের কন্ঠ


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/06/39654/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      করোনা সংক্রমণে ক্রমে ভারত এখন তৃতীয়



      করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। এর আগে এ অবস্থানে ছিল রাশিয়া। গতকাল রোববার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আক্রান্ত, মৃত ও সংক্রমিত এলাকাগুলোর তালিকা ঘোষণার পর এ তথ্য জানা গেছে।

      গত শনিবার থেকে গতকাল রোববার পর্যন্ত গণনাকৃত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আরও ২৪ হাজার ২৪৮ জন নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার জানিয়েছে, ভারতে মোট সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৯৮ হাজার ২৩৩ জনে।

      রাশিয়ায় বর্তমান আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা ছয় লাখ ৮১ হাজার ২৫১ জন। সে হিসাবে আক্রান্ত, মৃত ও সংক্রমিত অবস্থানে তালিকার চারে অবস্থান করছে দেশটি।

      ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, ব্রিটেনের মতো দেশগুলোকে ছাড়িয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই চতুর্থ স্থানে ছিল ভারত, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দ্রুত গতিতে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে রাশিয়াকেও ছাড়িয়ে গেল।

      চলতি বছর ৩০ জানুয়ারি কেরালায় প্রথম আক্রান্ত শনাক্ত হয় ভারতে। এর ১১০ দিনের মাথায় সংক্রমণ পৌঁছায় এক লাখে। মাঝে কড়া ‘লকডাউন’ ও ‘জনতা কারফিউ’ পালন করলেও সরকার কিছুটা শিথিলতা জারি করলে অবস্থার পরিবর্তন হয়। ১৫ দিনের মধ্যে আক্রান্ত শনাক্ত হয় দুই লাখ। পরবর্তীতে ১০ দিনে তিন লাখ, এর ৮ দিন পর চার লাখ, তার ৬ দিন পর সংক্রমণের হার বেড়ে পাঁচ লাখে পৌঁছায়। বাকি ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৩ জনে করোনার সংক্রমণ হতে লাগে মাত্র পাঁচ দিন। আমাদের সময়

      আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি ভারতে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। রোববার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ১৯ হাজার ৬৯৩ জন ছিলো।

      আক্রান্তের বিশ্বব্যাপী তালিকায় এখন ভারতের উপরে আছে শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিল। আজ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস সম্পর্কিত তথ্য অনুযায়ী শনাক্ত ২৮ লাখ ৮৮ হাজার ৭৩০ জন আক্রান্ত নিয়ে বিশ্বের শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র। আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৬ লাখ তিন হাজার ৫৫ জন।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/06/39666/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        করোনায় মারা গেলো সন্ত্রাসী আ’লীগের সাবেক মেয়র



        শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল হালিম উকিল করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

        মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আব্দুল হালিম উকিলের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত প্রান্তিক। তিনি জানান, গত ২৫ জুন তার বাবার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর তাকে রাজধানীর কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
        সূত্র: আমাদের সময়


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/06/39663/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          সরকারি জোরে বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ



          পাবনার বেড়া উপজেলার যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও তীররক্ষা বাঁধ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, অবৈধভাবে বালু তোলার কারণে এবারের বর্ষা মৌসুমে রূপপুর ইউনিয়নের ঘোপসিলেন্দা গ্রামে যমুনার ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে।

          এ ছাড়া উপজেলার চরপেঁচাকোলা, মোহনগঞ্জ, দক্ষিণ চরপেঁচাকোলা, চরনাকালিয়াসহ কয়েকটি গ্রামও নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বালু তোলার ফলে ২০১৭ সালে পেঁচাকোলা গ্রামে যমুনা নদীর তীররক্ষা বাঁধের ৫০ মিটারেরও বেশি অংশ ধ্বসে পড়ে। হুমকির মুখে পড়ে জেলা বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ। পরে বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) তড়িঘড়ি করে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে ধসে যাওয়া অংশ মেরামত করে। এবারের বর্ষা মৌসুমেও পেঁচাকোলা এলাকার তীররক্ষা বাঁধে ধস ও ফাটল দেখা দিয়েছে।

          পাউবোর বেড়া কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হামিদ বলেন, যমুনা নদীর যেসব এলাকা থেকে বালু তোলা হচ্ছে তার কাছেই রয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও তীররক্ষা বাঁধ।

          অবৈধ বালু তোলার কারণে গুরুত্বপূর্ণ ওই দুটি স্থাপনা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ বিষয় আমরা প্রশাসন বরাবর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একাধিকবার চিঠি দিয়েছি। আর যমুনার ওই এলাকায় কোনোভাবেই বালুমহাল করা যাবে না বলে সপ্তাহখানেক আগে আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রতিবেদন দিয়েছি।

          সরেজমিন দেখা যায়, বেড়া উপজেলার মোহনগঞ্জ থেকে ঢালারচর পর্যন্ত যমুনা নদীর প্রায় ২০ কিলোমিটার অংশ থেকে অবাধে বালু তোলা হচ্ছে। প্রতিদিন দুই শতাধিক নৌযানে খননযন্ত্র (ড্রেজার) বসিয়ে বালু তোলা হয়। অথচ এ এলাকায় বালু তোলার জন্য কোনো বালুমহাল নেই। উপজেলার পায়না, মোহনগঞ্জ, পেঁচাকোলা, নাকালিয়া, কৈতলা, রাকশা, নগরবাড়ী, কাজীরহাটসহ বিভিন্ন এলাকার অর্ধশতাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি বালু তোলার সঙ্গে জড়িত। আমাদের সময়

          অবৈধ বালু তোলা বন্ধের দাবিতে গত এক বছরে বেশ কয়েকবার দক্ষিণ চরপেঁচাকোলা ও চরনাকালিয়ায় বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। নাকালিয়া বাজারে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ কর্মসূচিসহ বালু তোলার ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু তার পরও অবৈধ বালু তোলা বন্ধ হয়নি।

          মালদাপাড়া গ্রামের ওয়াদুদ সরকার, গোলজার মল্লিকসহ চার-পাঁচ কৃষক জানান, অবৈধ বালু তোলার কারণে এমনিতেই নদীভাঙনের ভয় রয়েছে। এর ওপর এবার তাদের ডুবে থাকা ফসলি জমি থেকে খননযন্ত্রের (ড্রেজার) মাধ্যমে বালু ও মাটি তোলা হচ্ছে।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/06/39669/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            বেশিরভাগ প্রকল্পে দ্বিগুণ সময় বাড়িয়েও অগ্রগতি মাত্র ২৬ শতাংশ : খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ



            উন্নয়ন কার্যক্রমের গতিপ্রকৃতি দেখে ধীরগতির প্রাণী কচ্ছপও যেন লজ্জিত হবে। তার চলার গতির চেয়ে ধীরে চলে বাংলাদেশের বেশির ভাগ উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন। যার কারণে সময়ের সাথে সাথে অর্থও ঢালতে হচ্ছে দ্বিগুণ পরিমাণ। চার বছরে বাস্তবায়নের কথা ছিল বৃহত্তর ঢাকা টেকসই নগর পরিবহন প্রকল্প। দফায় দফায় সময় বাড়িয়ে সাড়ে ৭ বছরে সেটির কাজ হয়েছে মাত্র এক-চতুর্থাংশ বা ২৬ দশমিক ২৪ শতাংশ। খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ। দুই দফায় সময় বাড়িয়েও লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৭৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ পিছিয়ে আছে প্রকল্পটি। বিলম্বের জন্য ঠিকাদারকে দায়ী করছেন প্রকল্প পরিচালক। আর পরিকল্পনা কমিশনের আইএমইডি বলছে, ঠিকাদারের দুর্বল অর্থ ব্যবস্থাপনা, প্রকল্পের কার্যক্রম সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত না করা এবং সঠিক পরিকল্পনা না করার জন্য এই দুর্গতি।

            প্রকল্পের ইতিবৃত্ত থেকে জানা যায়, বৃহত্তর ঢাকার ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমকে আধুনিক ও সমন্বিত করার প্রয়াসে ২০০৫ সালে বিশ্বব্যাংকের প্রণীত কৌশলগত পরিবহণ পরিকল্পনা (এসটিপি-২০০৫) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) কর্তৃক নগর পরিবহন বিষয়ক কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের মাধ্যমে যাচাইয়ের জন্য পরামর্শক নিয়োগ করা হয়। ২০১১ সালে এডিবি সমীক্ষা করে। এই সমীক্ষা জরিপে গাজীপুর-টঙ্গী-বিমানবন্দর পর্যন্ত বিআরটি সড়ক নির্মাণ সম্ভব বলে বিবেচিত হয়। সম্ভাব্যতা সমীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক উন্নয়ন সহযোগীদের আর্থিক সহযোগিতায় বাস র*্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লাইন-৩ গাজীপুর থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত ২০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার বাস করিডোর নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে গাজীপুর থেকে টঙ্গী হয়ে উত্তরাসহ রাজধানীর সাথে দ্রুত, নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থায় ঘণ্টায় ২০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবে।

            সরকার ২০১২ সালের ২০ নভেম্বর একনেক সভায় গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট (বিআরটি, গাজীপুর-এয়ারপোর্ট) অনুমোদন দেয়। ২ হাজার ৩৯ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকার এই প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ করার অনুমোদিত মেয়াদ। ডিপিপির প্রথম সংশোধনীতে প্রকল্প মেয়াদ পরিবর্তন না করে শুধু প্রকল্প সাহায্য ও স্থানীয় মুদ্রার সমন্বয় করা হয়। তবে প্রকল্প ব্যয়ের কোনো সংশোধনী করা হয়নি। এরপর ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারিতে মেয়াদ ২ বছর বাড়ানো হয়। ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর দ্বিতীয় সংশোধনীর মাধ্যমে প্রাক্কলিত ব্যয় বাড়িয়ে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি ৩২ লাখ ৪৩ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়। এখানে প্রকল্প সহায়তা ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত নেয়া হয়। অর্থায়নকারী সংস্থা হলো, এডিবি, ফরাসী উন্নয়ন সংস্থা (এএফডি), গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (ডিইএফ)। দুঃখজনক হলো প্রকল্প সাহায্য বৃদ্ধি পেলেও অতিরিক্ত এক হাজার ৩১৬ কোটি ১১ লাখ টাকা বৈদেশিক সাহায্যের অর্থ এখনো পর্যন্ত প্রদান করা হয়নি।

            বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, দ্বিতীয় সংশোধনীতে ভূমি অধিগ্রহণ ব্যয় ৬৬ কোটি ৪৮ লাখ থেকে ২২৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা ও ক্ষতিপূরণ ব্যয় ১৫৬ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিমানবন্দরে ভুগর্ভস্থ পথচারী টানেল নির্মাণে ৪২০ কোটি টাকা বরাদ্দ ধরা হয়। এ ছাড়া ভৌত অবকাঠামোর দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি, প্রাক্কলন প্রস্তুতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) ২০১৫ সালের রেট শিডিউল ব্যবহারের কারণে ১০৯ শতাংশ ব্যয় বেড়েছে। এই প্রকল্পের প্রধান কাজ হচ্ছে ২০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পেইন করিডোর নির্মাণ। যার ১৬ কিলোমিটার এ্যাট গ্রেড, সাড়ে ৪ কিলোমিটার অ্যালিভেটেড। এ ছাড়া বিআরটি বাস ডিপোসহ বিভিন্ন স্থানে স্টপেজ নির্মাণ করা। পাশাপাশি মেইন করিডোর সংলগ্ন ১১৩টি বা ৫৬ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের উন্নয়ন। টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ড্রেন নির্মাণ ও ১০টি কাঁচাবাজার নির্মাণ। রয়েছে আর্টিকুলেটেড বাস ক্রয়।

            প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অবকাঠামো কাজের ডিজাইন, প্রাক্কলন প্রস্তুত, দরপত্রের মাধ্যমে প্রস্তুত এসব বিষয়ের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসএমইসি ইন্টা. প্রাইভেট লিমিটেডকে ২০০৩ সালের মে মাসে নিয়োগ দেয়া হয়। বিস্তারিত ডিজাইন, দরপত্র আহ্বান এসব কাজ সম্পন্ন করে চারটি প্যাকেজে বিভক্ত ভৌত অবকাঠামো বাস্তবায়নের জন্য ঠিকাদারের সাথে চুক্তি করতেই ৫ বছর অতিক্রম করে। সিও-৪ চুক্তি ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি, অ্যালিভেটেড সেকশনের সিও-২ চুক্তি হয় ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর। সিও-৩ এবং সিও-৪ এর অগ্রগতি শতভাগ। মূল্যও পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু সিও-১ এর অগ্রগতি ৪২.৫২ শতাংশ এবং সিও-২ এর অগ্রগতি ২৯.২০ শতাংশ। ফলে ২০২০ সালের জুনে যে প্রকল্পটি সমাপ্ত হওয়ার কথা সেটার অগ্রগতি সমাপ্তির আগের মাস অর্থাৎ মে পর্যন্ত মাত্র ৩২ দশমিক ৪০ শতাংশ। যেখানে অর্থ ব্যয় হয়েছে ২৬ দশমিক ২৪ শতাংশ। দুদফায় সময় বাড়িয়েও লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৭৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ পিছিয়ে আছে প্রকল্পটি। এ দিকে চুক্তি সিও-১ শেষ করার জন্য ২০২১ সালের জানুয়ারি এবং চুক্তি সিও-২ এর কাজ শেষ করার জন্য ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর জন্য বলেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। আর প্রকল্প পরিচালক প্রকল্পটি সমাপ্তির জন্য ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত সময় চেয়েছে বলে পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে। গত মে পর্যন্ত খরচ হয়েছে এক হাজার ১১৯ কোটি ৯৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।

            ২০২০ সালের মে পর্যন্ত কাজের সরেজমিন অগ্রগতি হলো, প্যাকেজ-১ এ ৬টি ফ্লাইওভারসহ ১৬ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ মাত্র ৪২ দশমিক ৫২ শতাংশ, যা ২০২০ সালে ১৯ জুন সমাপ্ত করার কথা ছিলো। প্যাকেজ-২ এর আওতায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার অ্যালিভেটেড বাস লাইন নির্মাণকাজ হয়েছে মাত্র ২৯.২০ শতাংশ, যা ২০২০ সালের ১৮ জুন শেষ করার কথা। প্যাকেজ-৩ এর আওতায় ১১৩টি সংযোগ সড়ক উন্নয়ন ও ১০টি কাঁচাবাজার নির্মাণ, যা ২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে। আর প্যাকেজ-৪ এর আওতায় গাজীপুরে একটি বিআরটি ডিপো নির্মাণ, সেটিও ২০১৯ সালে শেষ হয়েছে।

            বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দুর্বলতা ও সমস্যা তুলে ধরে সরকারি সংস্থা আইএমইডি বলছে, প্রকল্প এলাকায় রাস্তার পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টিসহ দৈনন্দিন ব্যবহারের পানি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। ফলে নির্মাণকাজে সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান স্ট্যাক ইয়ার্ডের যথেষ্ট জায়গা না পাওয়ায় পূর্ত কাজের দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি হয়েছে। বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণেই প্রকল্পের খরচ বাড়ছে। বিগত চার বছরে তিনবার প্রকল্প পরিচালক পরিবর্তন হয়েছে। ফলে নতুন পিডিকে কাজ বুঝতে সময় লেগেছে। ২০২০ সালে প্রকল্পটি কোনোভাবেই সমাপ্ত হচ্ছে না।

            প্রকল্প পরিচালক জানান, একটি প্যকেজের চুক্তি ঠিকাদার ৬.৫২ শতাংশ নিম্নদরে চুক্তিবদ্ধ হয়। যা কাজের অগ্রগতিতে প্রভাব ফেলছে। ঠিকাদার নিজ দায়িত্বে এই নিম্নদর প্রদান করে। এ ছাড়া ঠিকাদারের অপর্যাপ্ত অর্থ প্রবাহও একটি কারণ। আইএমইডি বলছে, ডিপিপি প্রণয়নে অধিক মনোনিবেশ করা, ঠিকাদার নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারলে চুক্তির শর্তাবলীর আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। প্রকল্প এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে নির্মিত ড্রেন কার্যকর রাখতে চাই আউটফল খালগুলো প্রতিনিয়ত খনন ও সংস্কার অব্যাহত রাখা। তাদের অভিমত, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প দায়সারা সমীক্ষার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ফলে দফায় দফায় সময় ও ব্যয় বাড়ছে। তবে ভবিষ্যতে সব ধরনের প্রকল্প প্রণয়নের ক্ষেত্রে বিশদ সমীক্ষার আলোকে প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/06/39672/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              হে আল্লাহ আপনি বিশ্বের সকল মুসলিম জাতিকে এই করোনা মহামারি থেকে হিফাজত করুন,আমীন।
              হে আল্রাহ আপনি মুজাহিদ আমির উমারাদেরকে সুস্থ ও নিরাপদে রাখুন,আমীন।
              হে আল্লাহ আপনি বিশ্বের সকল মুজাহিদ ভাইদেরকে সুস্থ ও নিরাপদে রাখুন,আমীন।
              হে আল্লাহ আপনি আমাদেরকে শহিদ হিসাবে কবুল করুন,আমীন।
              ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

              Comment


              • #8
                মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রিয় উম্মাহকে জালিমের জুলুম থেকে হিফাযত করুন ও আপন নুসরত দিয়ে ধন্য করুন। আমীন
                ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                Comment

                Working...
                X