Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১৬ই জিলক্বদ, ১৪৪১ হিজরী # ০৮ই জুলাই, ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১৬ই জিলক্বদ, ১৪৪১ হিজরী # ০৮ই জুলাই, ২০২০ঈসায়ী।

    নিউজিল্যান্ডের মুসলিমরদের বাঁচানোর চেষ্টা করেনি পুলিশ



    ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে সেই ভয়াবহ হামলার দিনটিতে অন্য এক মসজিদে হামলার হুমকির বিষয়ে পুলিশ ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে আগেই সতর্ক করেছিলো নিউজিল্যান্ডের মুসলিমরা।

    হুমকির বিষয়ে জানার পর পুলিশ চাইলে সব মসজিদের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেয়া যেত বলে মনে করছেন তারা।

    ইসলামিক উইমেন্স কাউন্সিল অব নিউজিল্যান্ড নামে দেশটির মুসলিম নারীদের একটি সংগঠন দুই মসজিদে ৫১ মুসল্লি নিহত হওয়ার ঘটনা তদন্তে নিয়োজিত তদন্তকারীদের এমন তথ্য জানিয়েছে।

    তদন্তকারীদের কাছে দেয়া বক্তব্যে তারা জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে হ্যামিল্টনের একটি মসজিদের বাইরে কোরআন পুড়িয়ে দেয়ার হুমকিসহ শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদীদের হুমকির বিষয়ে তারা পুলিশ ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে ধারাবাহিকভাবে সতর্ক করে এসেছে।

    হ্যামিল্টনের মসজিদে এ হুমকির সঙ্গে ক্রাইস্টচার্চের হত্যাযজ্ঞের প্রত্যক্ষ কোনো সংযোগ না থাকলেও, হুমকির বিষয়ে জানার পর চাইলে সব মসজিদের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেয়া যেতো।

    মঙ্গলবার এসব বক্তব্য জনসমক্ষে আসে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।

    ১৩০ পৃষ্ঠার বক্তব্যের এক জায়গায় মুসলিম নারীদের সংগঠনটি বলেছে, পুলিশের কাছে এত তথ্য ছিল যে তারা ইচ্ছে করলেই এ বিষয়ে সমন্বিত জাতীয় কৌশল গ্রহণ করতে পারতো। যদি এরকম কোনো কৌশল থাকতো, তাহলে ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ একটি মসজিদে হামলার হুমকি সম্পর্কিত বার্তা অন্য মসজিদগুলোকে সতর্ক করতে পারতো এবং সব মসজিদের জন্যই অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া যেত।

    ইসলামিক উইমেন্স কাউন্সিল তাদের বক্তব্যে বলেছে, পুলিশ, নিরাপত্তা সংস্থা ও সরকারি প্রতিনিধিরা নিউজিল্যান্ডের মুসলমানদের উপর উদীয়মান কট্টর খ্রিস্টান ডানপন্থিদের হামলার হুমকি নিয়ে গা করেননি।

    সংস্থাটির তথ্যমতে, নিউজিল্যান্ডে মাথায় স্কার্ফ পরা এমন এক মুসলিম নারীকেও পাওয়া যাবে না, যিনি কখনোই জনসম্মুখে হয়রানির শিকার হননি। যুগান্তর


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/08/39775/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    নিউইয়র্কে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে তিনদিনে নিহত ১০



    করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতেও গত এক মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। শহরজুড়ে অপরাধ বেড়ে গেছে। বিভিন্ন জায়গায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। এই অবস্থায় সেখানে গত তিনদিনে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এ ছাড়া ৬৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

    নিউইয়র্কের স্থানীয় পত্রিকাগুলো জানিয়েছে, গতকাল সোমবার শহরের ব্রঙ্কসে শিশুসহ রাস্তা পারাপারের সময় এনথনি রবিনসন নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন। সন্তানকে বাঁচাতে পারলেও বাবা মারা যান। এ ঘটনায় কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার সম্ভব হয়নি। নিউইয়র্ক পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করছে।

    প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হামলাকারীর মুখ ঢাকা ছিল। সে ফাঁকা গুলি করে ওই জায়গায় থেকে পালিয়ে যায়। শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। গত তিনদিনে গুলিতেই মারা গেছেন ১০ জন। বিভিন্ন হাসপাতালে ৬৪ জন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভর্তি হয়েছে।

    নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের পর প্রথমবারের মতো নিউইয়র্ক শহরের বিভিন্ন স্থানে ৪০০টির মতো গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। গতমাসেও প্রায় পাঁচশ’র মতো গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। শিকাগোতে গত ২ জুলাই পর্যন্ত ৩৩৬টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া নিউইয়র্কে জুনের শেষে ১৮১ জুন খুন হয়েছে।

    এ অবস্থায় শহরের মেয়র বিল ডি ব্লাজিও এবং নিউইয়র্ক পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে বলে মনে করছে নিউইয়র্ক টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার মেয়র এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, নগরীতে গোলাগুলির ঘটনাটি বেশ কয়েকটি কারণে হয়েছে। মূলত গত চারমাস ধরে ঘটে যাওয়া ঘটনা করোনাভাইরাস এর জন্য দায়ী। পুলিশ-আদালত ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না।

    অপরদিকে নিউইয়র্ক পুলিশ বলছে, সহিংসতা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বর্তমান পরিকল্পনাকে দায়ী করছে। এ ছাড়া আইনজীবী ও প্রসিকিউটররা গত কয়েক বছরে কার্যকর হওয়া ফৌজদারি বিচার সংস্কারের জন্য দায়ী করেছেন। আমাদের সময়


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/08/39767/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      দিল্লি হত্যাযজ্ঞঃ মুসলিম হলেই হত্যা করে ফেলে দেওয়া হত নর্দমায়



      উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে গনহত্যা চলার সময় একটি পিসিআর কল করা হয়েছিলো এবং সেই ফোন কল থেকে দিল্লি পুলিশ এক গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যক্ষদর্শীর খোঁজ পেয়েছে। এই ব্যক্তি জানিয়েছেন সশস্ত্র গেরুয়া সন্ত্রাসীরা কীভাবে মুসলিমদের খুঁজে খুঁজে হত্যা করে নর্দমায় ফেলে দিয়েছে। এই গণহত্যার তিনজন নিহতের চার্জশিটে উঠে এসেছে এমনই লোমহর্ষক তথ্য।

      তাঁরা হলেন আমিন, ভুরে আলি ও হামজা যাঁদের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টা ০৫ মিনিটে হত্যা করা হয়েছিলো। ওই কলার পুলিশকে আরও বলেছেন, এক মুসলিমের বাইকে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় এবং সেই বাইকচালক প্রাণ বাঁচাতে নর্দমায় ঝাঁপ দেয়।

      সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই কলার দিল্লির গঙ্গা বিহারের বাসিন্দা। তাঁর বয়ানকে এখন অন্যতম প্রমাণ হিসাবে দেখা হচ্ছে। চার্জশিটের বিবরণে জানা গিয়েছে যে তিনজন মুসলিমকে যখন মেরে ফেলা হয় তখন ওই কলার প্রথম কল করেছিলেন। এই হিন্দু কলার ২০ মিনিট পর আবার কল করে বলেন, ‘মুসলিমদের হত্যা করা হচ্ছে এবং তাদের বাইক জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’

      ওই কলার সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। গঙ্গা বিহারে এক দল দাঙ্গাকারী তাঁকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে। আচমকা বাইকের ব্রেক কষায় তাঁর বাইক পিছলে যায় ও তিনি পড়ে যান। উঠে দেখেন তাঁর বাইকটি সেখানে নেই। তিনি পিসিআর কল করেন এবং তারপর গোকালপুরি থানায় হাজির হন। কিন্তু তাঁর অভিযোগ নেয়নি পুলিশ। পরের দিন আসতে বলা হয় তাঁকে।

      যথারীতি পর দিন বিকাল ৪টায় গোকালপুরি থানা থেকে বাড়ি ফেরার পথে তিনি দেখেন, জোহরিপুর পুলিয়ায় পাথর, লাঠি, তলোয়ার, লোহার রড ইত্যাদি নিয়ে এক বিশাল উগ্র হিন্দু জনতা ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘হর হর মহাদেব’ ধ্বনি তুলছে। তারা প্রত্যেকের পরিচয় নিচ্ছিলো এবং মুসলিম পেলেই পিটিয়ে খুন করে নর্দমায় ফেলে দিচ্ছিলো। এই জনতার অধিকাংশেরই মুখ হেলমেট বা কাপড়ে ঢাকা ছিল।

      ২৬ ফ্রেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বাইকের সন্ধানে তিনি ভাগীরথী বিহারের নর্দমায় গিয়েছিলেন। গিয়ে দেখলেন যে লোনি থেকে আসা এক লোককে উন্মত্ত জনতা আটক করেছে। সওয়াল-জবাব করে নিশ্চিত হয় যে লোকটি মুসলিম। তারপর তাঁকে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করে নর্দমায় তাঁর দেহ ফেলে দেয়। এরপর বাইকে করে আরও দুই আরোহী আসছিলেন। তাঁদের সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটানো হয়। ধর্মীয় পরিচয় জেনে অনেককে তারা হত্যা করে।

      এই ফোন কলার বলেছেন যে, ওই জনতার কয়েকজনকে তিনি চিনিয়ে দিতে পারবেন। চার্জশিটে তাঁর বয়ান অনুযায়ী, সুমিত ও অঙ্কিত ফৌজ দাঙ্গাকারীদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। একই এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় এই কলার প্রায় সকলকেই চেনেন। এমন নির্মম হত্যাকাণ্ড দেখে বাড়ি ফিরে তিনি পিসিআর নম্বর ১০০-তে কল করেন দু’বার।

      দু’জন প্রত্যক্ষদর্শী একই বয়ান দিয়েছেন। চার্জশিটে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ‘এই ঘটনা চাক্ষুষ করার পর এতটাই ভয় পেয়েছিলেন যে কাউকে জানাতে পারেননি। পরে পুলিশকে জানানো উচিত বলে মনে করেন।’ এই পরিকল্পিত খুনের ঘটনায় পুলিশ ৯ জনের নাম করেছেন। এরা হল লোকেশ সোলাঙ্কি (১৯), পঙ্কজ শর্মা (৩১), অঙ্কিত চৌধুরি (২৩), প্রিন্স (২২), যতীন শর্মা (১৯), হিমাংশু ঠাকুর (১৯), বিবেক পাঞ্চাল (২০), ঋষভ চৌধুরি (২০) ও সুমিত চৌধুরি (২৩)।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/08/39762/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ভারতে হাসপাতালের সামনে মুসলিম রোগীকে পিটিয়ে খুন



        আমি ওদের কাছে আমার স্বামীর প্রাণভিক্ষা চেয়েছিলাম। বলেছিলাম, এভাবে মারবেন না। ও মরে যাবে। তবুও ওরা শুনল না। এতটুকু মায়া ওরা দেখালো না দেশের একজন মুসলিম নাগরিকের প্রতি। এই কথাগুলোই বলছিলেন মৃত সুলতানের স্ত্রী।

        সুলতানের বয়স হয়েছিল ৪৪। এই বয়সের একজন ব্যাক্তিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। খুনি আলিগড়ের একটি প্রাইভেট হাসপাতালের স্টাফরা। আলিগড়ের কারেকা তেহসিলের বাসিন্দা ছিলেন সুলতান।

        ২ জুলাই তার স্ত্রী, পুত্র ও ভাইপো চমন আলিগড়ের এন বি হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর জন্য গিয়েছিলেন। পরিবারের বয়ান অনুসারে, সুলতান ডিসিউরিয়া (মূত্র সংক্রান্ত রোগ) রোগে ভুগছিলেন কিছুদিন থেকে। প্রাইভেট হাসপাতালগুলো মানুষের পকেট কাটে, ওরা কষাই, এমন কথা প্রায়শই শোনা যায়। এক্ষেত্রে অনেকটা সেটাই ঘটে। অতিরিক্ত অর্থের দাবি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এইসময় সেটা দিতে অস্বীকার করায় স্টাফরা সুলতানকে পেটাতে শুরু করে। মারতে মারতে আক্রোশে মেরেই ফেলে।

        এইদিনই একটি সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, একজন মানুষ হাসপাতাল থেকে দৌড়ে গিয়ে স্কুটিতে বসা মানুষকে মারছে। সুলতানের ভাইপো চমন জানান, আমি ও সুলতান স্কুটিতে ছিলাম। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায় চমন একজনকে ধাক্কা দিয়ে আত্মরক্ষা করে। এই সময় তার কাকা প্রচণ্ড আহত। রক্তক্ষরণ হচ্ছিলো। প্রাণনাশের আশঙ্কায় চমন পালটা প্রতিরোধের চেষ্টা করে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। যেখানে মানুষ প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে যায়, সেখানে গিয়েই প্রাণ খোয়াতে হলো সুলতানকে।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/08/39759/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ৯ দিন ঘুরে নমুনা দিতে পারলেন না সাংবাদিক, অবশেষে করোনা পজিটিভ



          বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে নয় দিন ঘুরেও নমুনা দিতে না পারা স্থানীয় সাংবাদিক এ এস এম জসিমের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক সালামাতুল্লাহ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

          এর আগে অসুস্থ শরীর নিয়ে বারবার হাসপাতালের বারান্দায় ঘুরে ঘুরে কোনো সমাধান পাননি তিনি।

          সাংবাদিক জসিম দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার পাথরঘাটা সংবাদদাতা ও স্থানীয় অনলাইন প্রোর্টাল পাথরঘাটা নিউজের বার্তা সম্পাদক। জসিম বলেন, ‘গত মাসের ২৫ তারিখ থেকে আজ-কাল বলে ঘুরিয়ে, গতকাল বৃহস্পতিবার নির্ধারিত সময়ে আমাকে আবার যেতে বলে। বৃহস্পতিবার সকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানতে পারি পরিবহন সংকটের কারণে দুদিন ধরে করোনা পরীক্ষার কার্যক্রম বন্ধ। পরে অনেক অনুরোধ করে নমুনা সংগ্রহ করে নিজ উদ্যোগে বরগুনা জেলা হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার চুক্তি করি। রাজি হয়েও একপর্যায়ে তাতে অপারগতা প্রকাশ করেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা আবুল ফাত্তাহ। পরে শুক্রবারও তিনি আমাকে যেতে বলেন, গিয়েও নমুনা দিতে পারিনি। তাই ব্যর্থ হয়ে হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছি।’

          এ নিয়ে বৃহস্পতি ও শুক্রবার দৈনিক আমাদের সময়ে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তফা গোলাম চৌধুরীর মাধ্যমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জসিমকে ডেকে শনিবার সকালে নমুনা সংগ্রহ করে বরগুনা পাঠায়। সেখান থেকে দক্ষিণ অঞ্চলের একমাত্র পরীক্ষাগার বরিশাল পাঠানো হয়।

          গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বরগুনা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সালামাতুল্লাহ খান মুঠোফোনে বলেন ‘কিছুক্ষণ আগে সাংবাদিক জসিমের করোনা পজিটিভ হওয়ার রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে।’

          এ বিষয়ে সাংবাদিক জসিম বলেন, ‘রাত ১০টার দিকে হাসপাতাল থেকে দায়িত্বরত এক চিকিৎসক ফোন করে ২১ দিন ঘরে অবস্থান করতে বলে। কিন্তু আমি যখন উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় ৯/১০ দিন ঘুরলাম তখন তারা বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি।’

          পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সভাপতি মোস্তফা গোলাম চৌধুরী বলেন, ‘করোনার উপসর্গ নিয়ে ক্লান্ত শরীরে
          হাসপাতালের বারান্দায় ঘুরে ঘুরে পরীক্ষা করাতে না পেরে জসিম হতাশায় ভেঙে পড়লে বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকরা গুরুত্ব সহকারে দেখে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা বিষয়টি গুরুত্ব দেয়। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।’ আমাদের সময়


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/08/39765/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ৮০ জনের নামের পাশে শুধুই মেম্বারের মোবাইল নম্বর



            করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশেষ তহবিল থেকে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় কর্মহীন লোকদের আর্থিক সহায়তার নামের তালিকায় যশোরের শার্শা উপজেলায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শার্শা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরেজমিনে এসব অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

            এই তহবিল থেকে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় শার্শা উপজেলায় ৮ হাজার ৭০০ কর্মহীন লোকের জনপ্রতি ২,৫০০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। যার প্রথম পর্বে পাবে দুই হাজার ৭০০ লোক। প্রথম পর্বের আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তি ২,৭০০ জনের নামের তালিকা যাচাই বাচাই চলছে। যাদের সিম কার্ড নেই তাদের সিম কার্ডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

            সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসে এই তহবিল থেকে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় কর্মহীন লোকের আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য শার্শার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা নামের তালিকা তৈরি করেন। অভিযোগ রয়েছে নামের তালিকায় বেশির ভাগই ক্ষমতাসীন দলের কর্মী, ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের আত্মীয়-স্বজনদের নাম দেওয়া হয়। তালিকায় কর্মহীনদের নাম দেওয়ার কথা থাকলেও তা না দিয়ে নাম দেওয়া হয়েছে বিত্তবান ও ব্যবসায়ীদের।

            খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শার্শা উপজেলায় যে তালিকা করে জমা দেওয়া হয়েছে তার ৯০ শতাংশ বাস্তবতার সাথে মিল নেই। যাদের নাম দেওয়া হয়েছে তাদের অনেকের জাতীয় পরিচয় পত্রের সাথে ঠিকানার মিল নেই। নেই মোবাইল ফোন নম্বর।

            নামের তালিকায় স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গ্রাম্য নেতাদের মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিক ব্যক্তির নামে দেওয়া হয়েছে। শার্শার ডিহি ইউনিয়নে ৮০ জনের নামের পাশে ইউপি সদস্যের মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে। এভাবে প্রায় সব ইউনিয়নের মেম্বাররা একাজ করেছেন। যা নিয়ম বহির্ভূত। এসব বিষয় জানাজানি হলে শার্শা উপজেলা প্রশাসন চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের দেওয়া নামের তালিকা বিভিন্নভাবে সরেজমিনে তদন্ত করে যাচাই বাছাই করছেন। তালিকায় অনেক অনিয়ম ধরা পড়ায় জনপ্রতিনিধিরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। কালের কন্ঠ


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/08/39766/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ল্যাবের সংখ্যা বাড়লেও কমছে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা



              করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে এসে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে ক্লান্ত অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আবু সাঈদ রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালের বাইরে দুটি অ্যাম্বুলেন্সের মাঝখানে বসে পড়েন। শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা করাতে ব্যর্থ হয়ে দুপুরের দিকে তাকে ফিরে যেতে হয়। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট না থাকায় বেশ কয়েকটি ক্লিনিক তার জ্বর, সর্দি এবং ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করেনি।

              জুলাইয়ের প্রথম সাত দিনে দেশে নতুন ছয়টি আরটি-পিসিআর ল্যাব যুক্ত হয়েছে। এতে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা থাকলেও উল্টো জুনের শেষ সাত দিনের চেয়ে কমেছে ১৫ হাজার ৪২৯টি।

              গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৩ হাজার ১৭৩টি নমুনা পরীক্ষায় তিন হাজার ২৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা পরীক্ষায় যুক্ত হয়েছে নতুন একটি ল্যাব। এ নিয়ে মোট ল্যাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪ ।

              আজ মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

              জুলাইয়ের প্রথম সাত দিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যে দেখা যায়, এই সাত দিনে করোনা পরীক্ষায় সংযুক্ত হয়েছে নতুন ছয়টি ল্যাব। গত ৩০ জুন পর্যন্ত ৬৮টি ল্যাবের পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া হলেও ১ থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত একটি করে, ৫ জুলাই দুটি ও আজ একটি নতুন ল্যাব যুক্ত হয়েছে।

              সে অনুযায়ী দেশে বর্তমানে করোনা পরীক্ষায় মোট আরটি-পিসিআর ল্যাবের সংখ্যা ৭৪টি।

              ল্যাবের সংখ্যা বাড়লেও গত সাত দিনে কমেছে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার সংখ্যা।

              গত ১ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঘোষিত ফলাফলে ১৬ হাজার ৮৯৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে বলে জানানো হয়। আজ জানানো হয়েছে, মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৩ হাজার ৪৯১টি।

              ১ জুলাই দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট পরীক্ষা হয়েছে ১৭ হাজার ৮৭৫টি নমুনা। আজ জানানো হয়েছে ১৩ হাজার ১৭৩টি পরীক্ষার ফলাফল। অর্থাৎ, ১ জুলাইয়ের তুলনায় আজ পরীক্ষা কম হয়েছে চার হাজার ৭০২টি।

              চলতি মাসে প্রথম সপ্তাহে সর্বোচ্চ সংখ্যক পরীক্ষা হয়েছে ২ জুলাই। সে দিন মোট ১৮ হাজার ৩৬২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এছাড়াও, ৩ জুলাই ১৪ হাজার ৬৫০টি, ৪ জুলাই ১৪ হাজার ৭২৭টি, ৫ জুলাই ১৩ হাজার ৯৮৮টি ও ৬ জুলাই ১৪ হাজার ২৪৫টি নমুনা পরীক্ষার তথ্য জানানো হয়।

              সব মিলিয়ে জুলাইয়ের প্রথম সাত দিনে মোট পরীক্ষা হয়েছে এক লাখ সাত হাজার ২০টি। যা জুনের শেষ সাত দিনের চেয়ে ১৫ হাজার ৪২৯টি কম।

              গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় বলে জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। এরপর থেকে ধীরে ধীরে দেশে বাড়তে থাকে করোনা পরীক্ষার পাশাপাশি আক্রান্তর সংখ্যাও।

              ২ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে তিন হাজার ৬৫টি। এরপর থেকে ক্রমাগত পরীক্ষার সংখ্যা বেড়ে এপ্রিলে ৬২ হাজার ৮২৬টি, মে মাসে দুই লাখ ৪৩ হাজার ৩৯টি ও জুনে চার লাখ ৫৭ হাজার ৫৩০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

              জুনের শেষ সাত দিনে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা: ২৪ জুন ১৬ হাজার ৪৩৩টি, ২৫ জুন ১৭ হাজার ৯৯৯টি, ২৬ জুন ১৮ হাজার ৪৯৮টি, ২৭ জুন ১৫ হাজার ১৫৭টি, ২৮ জুন ১৮ হাজার ৯৯টি, ২৯ জুন ১৭ হাজার ৮৩৭টি ও ৩০ জুন ১৮ হাজার ৪২৬টি— মোট এক লাখ ২২ হাজার ৪৪৯।

              সব মিলিয়ে সরকারি হিসেবে এ পর্যন্ত আট লাখ ৭৩ হাজার ৪৮০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে শনাক্ত হয়েছেন এক লাখ ৬৮ হাজার ৬৪৫ জন। শনাক্ত রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭৮ হাজার ১০২ জন এবং মারা গেছেন দুই হাজার ১৫১ জন। তবে বিভিন্ন বেসরকারি রিপোর্টে সরকারি হিসাবের চেয়ে বেশ তফাৎ দেখা গেছে ইতোমধ্যেই। দ্য ডেইলি স্টার


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/08/39774/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                আল্লাহ্ মুসলিম দের হেফাযত করুন,
                জলিম দের ধ্বংস করুন আমীন।

                Comment


                • #9
                  ইন্নালিল্লাহ...।
                  হে আল্লাহ আপনি ভারতের মুসলমানদেরকে হিফাজত করুন,আমীন।
                  হে আল্লাহ আপনি বিশ্বের সকল মুসলমানদেরকে এই করোনা মহামারি থেকে হিফাজত করুন,আমীন।
                  হে আপনি আপনি আমাদেরকে শহিদ হিসাবে কবুল করুন,আমীন।
                  ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                  Comment

                  Working...
                  X