Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১৭ই জিলক্বদ, ১৪৪১ হিজরী # ০৯ই জুলাই, ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১৭ই জিলক্বদ, ১৪৪১ হিজরী # ০৯ই জুলাই, ২০২০ঈসায়ী।

    ফিলিস্তিনে অভিযান চালিয়ে নারীসহ ১৮ মুসলিমকে গ্রেফতার করেছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল



    ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরস্থ রামাল্লাহ শহরে অনুপ্রবেশ করে শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য ফিলিস্তিনিদের ধরে নিয়ে গেছে ইহুদীবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল।

    আজ বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) ভোরে ফিলিস্তিনের রামাল্লায় এই ঘটনা ঘটে। ফিলিস্তিনি প্রিজনার সোসাইটির (পিপিএস)এর বরাতে সংবাদমাধ্যম ডাব্লিউএএফএ-র খবরে বলা হয়, আজ ভোরে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সেনাদের বিশাল একটি দল রামাল্লা নগরীতে অনুপ্রবেশ করে মূল শহরের আশপাশের এলাকাগুলোতে ধরপাকড় শুরু করে দেয়। এসময় তারা রুবা আ’সী নামী একজন মহিলাকে আটক করে নিয়ে যায়। স্থানীয়দের তথ্যমতে, রুবা আ’সী হচ্ছেন ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া একজন শিক্ষার্থী।

    ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরকে দখল করতে প্রতিনিয়তই এমন জঘন্য অপরাধ করে যাচ্ছে বিশ্ব সন্ত্রাসীদের ক্রীড়নক, মানবতার শত্রু ইসরায়েল।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/09/39848/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মসজিদুল আকসার পুনর্গঠন কমিটির পরিচালককে গ্রেপ্তার করেছে দখলদার ইসরাইল



    মুসলিমদের প্রথম কিবলা বায়তুল মুকাদ্দাসের পুনর্গঠন কমিটির পরিচালক বাসাম আল হাল্লাককে গ্রেপ্তার করেছে সন্ত্রাসী ইসরাইল।

    বুধবার (৮ জুলাই) বায়তুল মুকাদ্দাসের ভেতর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ইসরাইলী সেনাবাহিনী। ওয়াফা নিউজ ও আকসা মসজিদের ফেসবুক পেজে এ খবর দেওয়া হয়েছে।

    খবরে বলা হয়, পশ্চিমতীরে বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ এনে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, আল-আকসা মসজিদ, মসজিদুল আকসা বা বাইতুল মুকাদ্দাস নামেও পরিচিত। এটি জেরুজালেমের পুরনো শহরে অবস্থিত ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ। এটির সাথে একই প্রাঙ্গণে কুব্বাত আস সাখরা, কুব্বাত আস সিলসিলা ও কুব্বাত আন নবী নামক স্থাপনাগুলো অবস্থিত। স্থাপনাগুলোসহ পুরো স্থানটিকে হারাম আল শরিফ বলা হয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিরাজের রাতে মসজিদুল হারাম থেকে আল-আকসা মসজিদে এসেছিলেন এবং এখান থেকে তিনি ঊর্ধ্বাকাশের দিকে যাত্রা করেন।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/09/39833/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ইহুদিবাদী ইসরায়েলের কারাগারে বিনা চিকিৎসায় ফিলিস্তিনি বৃদ্ধের মৃত্যু



      ইহুদীবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের কারাগারে মূত্রথলির ক্যান্সারে আক্রান্ত সাদী গারবাল (৭৫) নামের এক প্রবীণ ফিলিস্তিনি বিনা চিকিৎসায় ইন্তেকাল করেছে। ইসরায়েলি কারাগারে তার যথাযথ চিকিৎসা মেলেনি বলে জানা যায়।

      সোমবার (৬ জুলাই) ওই ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে বলে ডাব্লিউএএএফএ-র খবরে বলা হয়েছে।

      ফিলিস্তিনি বন্দী কমিশন সূত্রে জানা যায়, সাদী গারবাল(৭৫) ফিলিস্তিনের উত্তর গাজা উপত্যকার শুজাইয়্যাহ গ্রামের বাসিন্দা। আমৃত্যু ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী এই প্রবীণ ফিলিস্তিনি মৃত্যুর আগে ২৬ বছর কারাভোগ করেছেন। ইসরাইলের অবৈধ দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সংগ্রামে অংশগ্রহণ ও জড়িত থাকার কারণে ১৯৯৪ সালে তাকে বন্দী করা হয় এবং বন্দী করার পর তাকে পাঠানো হয় নির্জন কারাবাসে।

      বন্দী কমিশন সূত্রে আরো জানা যায়, ২০০৬ সাল থেকে এই ফিলিস্তিনি ডায়াবেটিস, দৃষ্টি ও শ্রবণ জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রামাল্লার কারা ক্লিনিকে নেয়ার জন্য অবৈধ রাষ্ট্রের ইসরাইলী কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার আপিল করা হলেও তারা তা নাকচ করে দেয়।

      সর্বশেষ মূত্রথলির ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পরেও যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্রের ইসরাইলী কারা কর্তৃপক্ষ। ফলে কারাগারেই নির্মমভাবে শাহাদাত বরণ করেন এই স্বাধীনতাকামী প্রবীণ ফিলিস্তিনি।

      উল্লেখ্য, গারবালের ১০টি সন্তান রয়েছে। তার এক সন্তান আহমাদ(২০) ইসরায়েলী বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে ২০০২ সালে শাহাদাত বরণ করেন।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/09/39836/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        সড়ক নির্মাণ করতে ফিলিস্তিনিদের কৃষি জমি ধ্বংস করে দিচ্ছে ইসরায়েল



        নিজেদের চলাচলের জন্য সড়ক নির্মাণ করতে বুলডোজার দিয়ে ফিলিস্তিনিদের কৃষি জমি ধ্বংস করে দিচ্ছে ইহুদীবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল।

        সোমবার (৬জুলাই) ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের নাবলাস অঞ্চলের দক্ষিণে অবস্থিত হুওয়ারা শহরে এই ঘটনা ঘটে।

        উত্তর পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনা পর্যবেক্ষণকারী ঘাসসান দাঘলাস সংবাদ সংস্থা ডাব্লিউএএফএ-কে বলেছেন, নিজেদের নাগরিকদের চলাচলের জন্য রাস্তা নির্মাণের উদ্দেশ্যে ইসরাইলের কয়েকটি বুলডোজার ফিলিস্তিনের কৃষি জমির উপর দিয়ে চলে যায়। তারা ফসলি জমি ধ্বংস করার পাশাপাশি ফিলিস্তিনি কৃষকদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে।

        তিনি আরো বলেন, এসময় নিজেদের ভূমি ধ্বংসের প্রতিবাদ করায় ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি সেনারা টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। ফলে কয়েকজন হতাহতের ঘটনা ঘটে।

        ইহুদীবাদী ইসরায়েলীদের একক চলাচলের জন্য নির্মাণাধীন রাস্তাটি ঝা’তারা গ্রাম থেকে শুরু হয়ে হুওয়ারা,বাইতা ও আওদালা গ্রামের ফিলিস্তিনিদের নিজস্ব ভূমি দিয়ে অতিক্রম করেছে।

        উল্লেখ্য, ইহুদীবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল দখলদারিত্ব টিকিয়ে রাখতে ফিলিস্তিনের সীমান্তে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা মূলক স্থাপনা তৈরি করেছে, যার সংখ্যা ১০০টিরও বেশি। শুধু তাই নয়, ওইসব এলাকা দিয়ে চলাচলের ক্ষেত্রে নানাধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করে তারা ফিলিস্তিনিদেরকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/09/39839/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          দিল্লিতে স্বস্তি নেই নিপীড়িত মুসলিমদের, জুটছে দুর্ব্যবহার, অভিযোগ উঠেছে ভুরি ভুরি



          উত্তর-পূর্ব দিল্লির পগরমে আক্রান্তরা ক্ষতিপূরণের দাবি করেছিলেন। তাদের সেই দাবিকে অশ্লীল ভাষায় সমালোচনা করেছেন কারওয়াল নগরের সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট মালাউন পুনীত কুমার প্যাটেল। তাঁর বিরুদ্ধে আশু তদন্ত চেয়ে উত্তর-পূর্ব দিল্লির জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শশী কৌসলকে চিঠি পাঠিয়েছেন দিল্লি সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান জাফারুল ইসলাম খান।

          গত মঙ্গলবার ইমেলের মাধ্যমে পাঠানো এই চিঠিতে জাফারুল বলেছেন, উত্তর-পূর্ব দিল্লির অনেক নিপীড়িত মুসলিম ক্ষতিপূরণের আবেদন করতে পারেননি। এই প্রক্রিয়াকে পুনরায় শুরু করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি উচ্চ ন্যায়ালয়। তিনি আরও বলেছেন, অনেকে কারওয়াল নগরের এসডিএমের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আবেদনপত্র জমা দিতে, কিন্তু তিনি তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন এবং অকথ্য ভাষায় তাদের গালিগালাজ করেছেন। গেরুয়া সন্ত্রাসীদের নিপীড়িতরা কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে গেছেন। জাফারুল এই চিঠিতে আইনজীবী মিশিকা সিংহের একটি ট্যুইট জুড়ে দিয়ে দেখিয়েছেন যে কীভাবে এসডিএম প্যাটেল দুর্ব্যবহার করেছেন হিংসায় আক্রান্তদের সঙ্গে।

          ওই ট্যুইটে মিশিকা লিখেছিলেন যে প্যাটেল পগরমে পীড়িতদের ৩-৪ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে ‘নির্যাতন’ করেছেন। মানসিকভাবে হেনস্থাও করেছেন। পগরমে আক্রান্তরা আইনজীবীকে ফোন করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। জাফারুল এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত চেয়েছেন এই চিঠিতে। দিল্লি সংখ্যালঘু কমিশনের প্রধান জানিয়েছেন, ইমেল, ফোন কল ও অন্যান্য সূত্র থেকে তিনি তথ্য জোগাড় করেছেন। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই নিয়ে অনেক লেখালিখি হয়েছে। তাই তিনি বিষয়টি সকলের নজরে আনতে চেয়েছেন।

          তিনি বলেছেন, চিন্তার বিষয় হল, এই এলাকার ১৮-৩০ বছরের ছেলেদের লকডাউনের সময়ে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ওই পগরমে জড়িত থাকার মিথ্যে অভিযোগে। দিল্লি পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা জানায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে হত্যাকান্ডে যুক্ত থাকার প্রমাণ রয়েছে।
          সূত্র: পুবের কলম


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/09/39808/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            মালাউনদের গুলিতে নিরপরাধ মুসলিমের মৃত্যুকে ঘিরে নানা জল্পনা,কাশ্মিরি পরিবারে শোকের মাতম



            রাস্তায় পড়ে থাকা বশির আহমেদের নিথর দেশ সামাজিক গণমাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে। অদ্ভুতভাবে এক শিশু বসে আছে তার বুকের উপর, অভাগা এক শিশু। যেকোন দিক থেকেই দেখা হোক না কেন ছবিটি উদ্বেগ সৃষ্টিকারী।
            কাশ্মিরে মৃত্যু সর্বব্যাপী। এরপরও বুধবারের সকালটি ছিলো ব্যতিক্রম। রাস্তায় লাশের উপর বসে থাকা তিন বছর বয়সী শিশু, তারপর পুলিশের কোলে কাঁদতে থাকা, তারপর নতুন কাপড় পরিয়ে পুলিশের গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছে দেয়া। সামাজিক গণমাধ্যমে এই কাহিনীর অনেক সংস্করণ ছড়িয়ে পড়ে। আমি যখন ভাবছিলাম আসলে কি ঘটেছে তখনই হুট করে ঘরে প্রবেশ করেন আমার মা। তিনি বলেন, এইচটিএমের বশির সাহেবকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সে আমার চাচা।

            তার বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় আমি সামজিক গণমাধ্যমে দেখা বশির সাহেব ও আমার ভাগিনা এবি (নাম প্রকাশ করা হলো না)’র ছবিটি বুঝতে চেষ্টা করছিলাম। প্রথমে আমি তাকে চিনতে পারিনি!

            সকাল ছয়টার দিকে নাতিকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন বশির আহমেদ খান (৬৫)। তিনি হান্দওয়ারা যাচ্ছিলেন একজন গৃহকর্মীকে নিয়ে আসার জন্য। সোপরি মডেল টাউন এলাকায় মালাউন পুলিশের ক্রসফায়ারের মধ্যে পড়েন তিনি। সকাল সাড়ে আটটার দিকে এটি এ্যাম্বুলেন্স তার লাশ বাড়িতে দিয়ে যায়।

            শিশুটির চাচি বলেন, তিনি বশির এবির নিরাপত্তা নিয়েই উদ্বিগ্ন ছিলেন; তার নাতিকে নিয়ে এ ধরনের বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পড়ার চেয়ে বুলেটের আঘাত তার কাছে কম কষ্টের হতো। নাতি বেঁচে আছে এ কথা জানার আগেই সে মারা গেছে। জীবন দিয়ে নাতিকে বাঁচিয়ে গেছে সে।

            পুলিশ অস্বীকার করলেও বশিরের মৃত্যুর জন্য সরকারি বাহিনীকেই দায়ি করছে তার পরিবার। যারা বশিরের বাড়িতে গেছে তাদের সবাই এ ব্যাপারে একমত। সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) তাকে গুলি করেছে। সেখানে শোক প্রকাশের জন্য জড় হওয়া লোকজনের মধ্যে শরবত বিতরণকারী এক লোক বলে, যখনই মালাউন বাহিনীর কেউ নিহত হয় তখনই তারা কোন নিরপরাধ বেসামরিক লোককে হত্যা করে প্রতিশোধ নেয়।

            পুলিশ বলছে, ’জঙ্গিদের’ কাছ থেকে হুমকির কারণে পরিবারটি হত্যার দায় পুলিশকে দিচ্ছে। কিন্তু পরিবারটি এক কথা অস্বীকার করে। বশিরের ছেলে ফারুক আহমেদ বলেন, আমরা আতঙ্কে পাথর হয়ে গেছি। আমরা প্রিয়জনকে হারিয়েছি। সত্য কথা বলতে কে আমাদেরকে বাধা দেবে? আমাদের আতঙ্ক কাশ্মির জুড়ে অগনিত ভারতীয় সেনাদের নিয়ে।

            পুরনো নগরীর কাফালি মহল্লায় খানের পূর্বপুরুষদের গোরস্তান। কিন্তু তার পরিবার তাকে ঈদগাহের কাছে শহিদি গোরস্তানে দাফন করেছে। সেখানে তিনটি নতুন কবর খোঁড়া হয়েছিলো। একটিতে পুলিশের এনকাউন্টারে নিহত জুনিমারকে কবর দেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু পুলিশ তাকে সেখানে কবর দিতে দেয়নি। পুলিশি হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার কারণেই বশিরকে সেখানে কবর দেয়া হয়। কিন্তু পুলিশ যদি এই পরিকল্পনা টের পেতো তাহলে তাকেও সেখানে দাফন করতে দিতে না বলে খানের ছোট ভাই সাজাদ আহমেদ জানান।

            সূত্র: দি ওয়্যার


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/09/39807/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ভারতের ১০০ পরিবার একসাথে কালেমা পড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ



              ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ১০০ দলিত পরিবার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। জমি দখল এবং ধর্ষণের ঘটনায় উচ্চবর্ণের প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার প্রতিবাদে তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার দিল্লির যন্তর-মন্তরে ২০১৪ সালের ১৬ এপ্রিল থেকে সুবিচার চেয়ে দিচ্ছিলো।

              আন্দোলনরত পরিবারের সদস্যরা শুক্রবার ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। অবশেষে গত শনিবার তারা ইসলাম গ্রহণ করেন। আন্দোলনরতদের দাবি ছিল, ভাগানা ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে এবং শামলাত ভূমি থেকে অবৈধ দখলদার মুক্ত করতে হবে।

              হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টারের সঙ্গে দেখা করে দাবিও জানিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস না পেয়ে তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ভাগানা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থদের অভিযোগ, সুবিচার পাওয়ার আশায় তারা মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টারের সঙ্গে চারবার দেখা করেছেন।

              প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাছেও অনেকবার দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হিসার (হরিয়ানা) প্রশাসন নীরব থেকেছে। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২১ মে হরিয়ানার ভাগানা গ্রামে উচ্চবর্ণের লোকদের স”ঙ্গে দলিতদের বিবাদ শুরু হয়। এ সময় ৫২ টি পরিবারের সদস্যরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

              শামলাতে একটি জমি থেকে অবৈধ দখলদারি মুক্ত করার দাবিকে কেন্দ্র করে বিবাদের সূত্রপাত হয়। গ্রামবাসীরা দলিতদের একঘরে করে দিলে তারা গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হন। পরে ভাগানা গ্রামের ৪ দলিত নাবালিকাকে অপহরণ করে গণধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।

              ভাগানা কা সংঘর্ষ সমিতি বা বিকেএসএসর প্রেসিডেন্ট বীরেন্দর বাগোরিয়া বলেছেন, উচ্চবর্ণের লোকেরা আমাদের মানুষ বলেই মনে করতে চায় না, তাই ওই ধর্মে থাকার আর যৌক্তিকতা কোথায়? তিনি বলেছেন, মৌলবি আব্দুল হানিফের মাধ্যমে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তারা কলেমা পড়ে নামাজ পড়েছেন বলেও জানান বীরেন্দর বাগোরিয়া।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/09/39801/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই মালভূমি অঞ্চলে অত্যাধুনিক অস্ত্র মোতায়েন করলো চীন



                ভারতের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনা চলার মধ্যে চীন তার পশ্চিমাঞ্চলীয় উচ্চভূমি এলাকায় যুদ্ধের উপযোগী বেশ কিছু অত্যাধুনিক অস্ত্র মোতায়েন ও মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে। ওই এলাকায় প্রতিবেশী ভারতও অব্যাহতভাবে শক্তি বৃদ্ধি করছে।

                সীমান্তে উত্তেজনা হ্রাস করার ব্যাপারে দুই দেশে সর্বশেষ একমত হওয়ার আগে থেকেই চীনের মোতায়েন শুরু হয়। দুই দেশ এখন ফ্রন্টলাইন সেনাদের পরস্পর থেকে দূরে সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছে।

                চীনের মোতায়েন করা অত্যাধুনিক অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে পিএইচএফ-০৩ ও পিএইচএল-১১ সেল্ফ-প্রপেলড মাল্টিপল রকেট ল্যান্সার সিস্টেম, পিসিএল-১৮১ ভেহিকেল মাউন্টেড হাউৎজার, এইচজে-১০ এন্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল, টোওড ৩৫এমএম এন্টি-এয়ারক্রাফট গান, টাইপ-১৫ লাইট ট্যাঙ্ক ও জেড-১০ অ্যাটাক হেলিকপ্টার। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের উচ্চ মরুভূমি এলাকা ও দক্ষিণ পশ্চিম চীনের কুইঙ্ঘি-তিব্বত মালভূমিতে এগুলো মোতায়েন করা হয় বলে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চীনের সেন্ট্রাল টেলিভিশনের বেশ কিছু রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

                উচ্চপার্বত্য এলাকায় যুদ্ধ করার জন্য এসব অস্ত্র খুবই কার্যকর এবং উপত্যকা অঞ্চলের জন্য এগুলো বিশেষভাবে ডিজাইন করার সময় সেখানকার স্বল্প অক্সিজেনের বিষয়টি মাথায় রাখা হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।

                মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়, লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের কাছে ভারতীয় সেনারা মহড়া চালিয়েছে এবং তাতে অ্যাপাচি অ্যাটাক হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়। ভারত গালওয়ান উপত্যকায় টি-৯০ ট্যাংকও মোতায়েন করেছে বলে আলাদা আরেক রিপোর্টে বলা হয়।

                নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চীনের এক সামরিক বিশেষজ্ঞ মঙ্গলবার গ্লোবাল টাইমসকে বলেন, উচ্চ-ভূমিতে যুদ্ধ করার জন্য কার্যকর হবে এমন সতর্কতার সঙ্গে চীনা অস্ত্রগুলো বাছাই করা হয়েছে। শত্রুর যুদ্ধ ক্ষমতাও এ ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেয়া হয়।

                চীনের রকেট ও কামান দিয়ে স্থলভাগে শত্রুর দুর্গ ও অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করা যায়, এন্টি-এয়ারক্রাফট গান আকাশকে মুক্ত রাখবে এবং অ্যাটাক হেলিকপ্টার শত্রুর ট্যাঙ্ক ধ্বংস করবে। এরপর নিজস্ব ট্যাঙ্কবাহিনী জায়গার দখল নেবে।

                তবে দুই পক্ষের শক্তি বৃদ্ধির পরও চীনের বিশেষ প্রতিনিধি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ি এবং ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল গত রোববার বৈঠকে বসার পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়ে এসেছে।

                সাম্প্রতিক সামরিক ও কূটনৈতিক আলোচনার ফলাফলকে উভয় পক্ষ স্বাগত জানিয়েছে।

                গত জুন থেকে চীন ও ভারত কমান্ডার পর্যায়ে তিন দফা আলোচনা করে। সর্বশেষ আলোচনা হয় ৩০ জুন।

                চীনা বিশ্লেষকরা বলছেন যে বেইজিং আলোচনা ও উত্তেজনা হ্রাসকে স্বাগত জানায়। তবে ভারতীয়রা যদি আবারো উস্কানিমূলক কিছু করে তার জবাব দিতে চীনা সেনাবাহিনী সবসময় প্রস্তুত থাকবে।

                সূত্র: গ্লোবাল টাইমস


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/09/39804/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  কাশ্মিরে মালাউন বিজেপি নেতাকে গুলি করে হত্যা



                  কাশ্মিরের বান্দিপুর জেলায় ভারতের ক্ষমতাসীন সন্ত্রাসীদল বিজেপি’র স্থানীয় এক নেতাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শেখ ওয়াসিম নামে ওই নেতার সঙ্গে খুন হয়েছেন তার বাবা ও ভাই। ওয়াসিম বিজেপি’র জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন। বুধবার রাতে বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে বাড়ির পাশে এক দোকানে বসে থাকার সময়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি’র প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

                  মার্চের শেষদিকে ভারতজুড়ে কঠোর লকডাউন শুরু হলে কাশ্মিরে নিরাপত্তা অভিযান জোরালো করে দিল্লি। পুলিশের হিসাবে এ বছর কাশ্মিরে মালাউনদের অভিযানে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। গত মাসে বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছে অন্তত ৩৩ জন। তবে বেশ কয়েক দিন থেকেই কমে যায় সরকারী বাহিনী ও ভারত সরকারের সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা।

                  স্থানীয় সময় বুধবার রাত নয়টার দিকে বান্দিপুর জেলা বিজেপি সভাপতি শেখ ওয়াসিম বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে বাড়ির বাইরে দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় তাদের ওপর হামলা হয়। ঘটনাস্থলেই তিন জনের মৃত্যু হয়।

                  কাশ্মির পুলিশের প্রধান দিলবাগ সিং জানিয়েছেন, ওই পরিবারের নিরাপত্তায় আট পুলিশ সদস্য নিয়োজিত ছিল। কিন্তু ঘটনার সময়ে সেখানে কেউই উপস্থিত ছিল না।
                  সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/09/39814/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    মায়ানমার সামরিক বাহিনীর নির্যাতন বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন প্রকাশ



                    মিয়ানমারের সংঘাত বিক্ষুদ্ধ রাখাইন এবং চিন রাজ্যের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সংঘাত চলাকালে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারের সাহায্যে নির্বিচার হামলা চালিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। এ ধরনের হামলায় মারা গেছেন অসংখ্য বেসামরিক নাগরিক; যাদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। এ অভিযোগে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি দেশটির বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে শীর্ষস্থানীয় একটি বৈশ্বিক মানবাধিকার গোষ্ঠী।

                    গত বুধবার (৮ জুলাই) অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বা তাতমাদাও চিন রাজ্যের বেশ কয়েকটি গ্রামে গত এপ্রিল এবং মার্চে ভয়াবহ বোমা বর্ষণ করে, এ সংক্রান্ত প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে। এসব হামলায় কয়েক ডজন মানুষ হতাহত হয়।

                    মানবাধিকার গোষ্ঠীটি প্রমাণ সংগ্রহে স্থানীয় বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাৎকার নেয় ভার্চুয়াল মাধ্যম এবং মোবাইল সংযোগ ব্যবহার করে।

                    একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গত ১৪ এবং ১৫ মার্চ পালেতাওয়া এলাকায় চালানো বিমান হামলায় তার ভাই এবং তার ১৬ বছরের এক বন্ধু মারা যায়।

                    একই গ্রামের অপর এক পরিবারের দুই প্রত্যক্ষদর্শী- তাদের পরিবারের অন্য নয় সদস্যের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। নিহতদের মধ্যে সাত বছরের এক বালক শিশুও ছিল।

                    শিশুটির বাবা অ্যামনেস্টিকে জানান, ”বোমার আঘাতে আমার পুরো পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।”

                    পালেতাওয়া গ্রামেই গত ৭ এপ্রিলের এক বিমান হামলায় আরও ৭ জন মারা যান, আহত হন কমপক্ষে আটজন। স্থানীয় এক কৃষকের বরাত দিয়ে যা প্রতিবেদনে উল্লেখ করে অ্যামনেস্টি।

                    নির্বিচারে চালানো এসব বিমান হামলায় বেসামরিক প্রাণহানি ঘটায়, তা যুদ্ধাপরাধের সমান বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।

                    মিয়ানমারের সামরিক জান্তা এমন সময় বিমান হামলার পরিমাণ বাড়িয়েছে, যখন মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং রাখাইনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ চলছে।

                    রাখাইন রাজ্যের সিংহভাগ অধিবাসী বৌদ্ধ হলেও, এই অঞ্চলই রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্মভূমি। এরসঙ্গে সীমান্ত রয়েছে চিন রাজ্যের। সেখানকার অধিকাংশ বাসিন্দাই খ্রিষ্ট ধর্মালম্বী।

                    গত বছরের জানুয়ারি থেকেই উভয় পক্ষের মধ্যে চরম মাত্রায় সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ওই সময় আরাকান আর্মি স্থানীয় পুলিশের তল্লাশি চৌকিগুলোকে লক্ষ্য করে তীব্র আক্রমণ চালায়। এরপর গত মার্চে দেওয়া এক বিবৃতিতে, আরাকান আর্মিকে দেশের শান্তি শৃঙ্খলার প্রতি হুমকি বলে উল্লেখ করে, তাদের ‘সন্ত্রান্সী’ গোষ্ঠী বলে আখ্যায়িত করে মিয়ানমার সরকার।

                    এ অবস্থায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নতুন ধরনের বর্বরতার বিষয়টি তুলে ধরেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক নিকোলাস বেকেলিন। তিনি বলেন, একদিকে যখন চলমান কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে মিয়ানমারের সরকার জনগণকে ঘরে অবস্থান করার আহ্বান জানাচ্ছে, ঠিক তখনই রাখাইন এবং চিন রাজ্যে তাদের সামরিক বাহিনী মানুষের বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে। নিরস্ত্র মানুষের রক্তের হোলি খেলায় মেতে উঠেছে তারা। এ ধরনের আচরণ যুদ্ধাপরাধ ব্যতীত অন্যকিছু নয়।

                    এই অবস্থায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি মিয়ানমারের চলমান ঘটনা যুদ্ধাপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচার করার আহ্বান জানান তিনি।

                    অ্যামনেস্টির এ আহ্বানের প্রেক্ষিতে দেশটির দেশটির অং সান সুচি সরকারের মুখপাত্র জো হাতেয়- এর সঙ্গে যোগাযোগ করে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা। তবে তিনি এই বিষয়ে তাৎক্ষনিক কোনো মন্তব্য জানাতে অস্বীকার করেন।

                    সূত্র: টিবিএস


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/09/39817/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনায় কৃত্রিম জলাবদ্ধতায় পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ



                      মহামারী করোনার দুঃসময়েও দুর্ভোগে আছে ফতুল্লা ইউনিয়নের ৬টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। প্রায় একমাস ধরে কৃত্রিম জলাবদ্ধতায় কষ্টভোগ করতে হচ্ছে তাদের। এই ইউনিয়নের লালপুর, পৌষারপুকুপাড়, আলমবাগ, পাকিস্তানখাদ টাগারপাড়, গাবতলী গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ একমাস ধরে পানিতে তলিয়ে আছে। অথচ ডিএনডি বাঁধের ভেতরে হলেও প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হতে পারেনি এলাকাটি। টানা বৃষ্টি আর ডাইংসহ শিল্প কারখানার বর্জ্য এই জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

                      জলাবদ্ধতার ফলে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। পয়ঃনিস্কাশনের পানি, ক্যামিকেলের পানি মিলে মিশে একাকার হয়ে জনজীবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছে। জলাবদ্ধতার কারণে ঘরে ঘরে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধরা এই কষ্টের শিকার হচ্ছে বেশী। নোংরা, পচা, ময়লা, ক্যামিকেল ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি মাড়ানোর কারণে অনেকেরই দেখা দিয়েছে চর্মরোগ ও চুলকানি।

                      পানি নিষ্কাশিত না হওয়ায় ফতুল্লা-লালপুর-পৌষারপুকুরপাড়-পাকিস্তানখাদ ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি তলিয়ে গিয়ে সেখানে এখন হরহামেশাই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। রাস্তার জায়গায় জায়গায় পানির নীচে লুকানো খানাখন্দ তৈরি হওয়ায় দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে পথচারী, রিকশাযাত্রী ও চালকরা। কোনো কোনো এলাকায় পানি উপচে রাস্তা ও বাসা বাড়িতে ঢুকে গেছে। ড্রেনের নোংরা পানি ও মলমূত্রের সাথে যোগ হয়েছে শিল্প-কারখানার কেমিক্যালযুক্ত বিষাক্ত পানি। অধিকাংশ এলাকার রাস্তাঘাট ডুবে গেছে নোংরা ও ডাইং কলখারখানার গরম পানিতে। রাতে রাস্তা খুঁজে পাওয়া কঠিন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে অফিসগামী, মুসল্লি, দোকানিসহ পানিবন্দি প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।

                      পৌষারপুকুরপাড় এলাকার গৃহিনী রেহেনা আক্তার (৩২) বলেন, পানির সাথে মলমূত্র ও শিল্প-কারখানার কেমিক্যালযুক্ত বিষাক্ত পানি মিশে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে শত শত মানুষ। ময়লা পানি বিশেষ করে যাদের একতলা ও নিচতলায় বাড়ি সেখানে ঢুকে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। রান্নাসহ নানা কাজ কর্মে সমস্যা হচ্ছে।

                      বিষয়টি নিয়ে কথা বললে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে পানির পাম্প ছাড়া উপায় নেই, কারণ এলাকা নিচু হওয়ায় ড্রেনগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে।

                      তিনি আরো জানান, এলাকাটি ডিএনডির ভিতরে হওয়ায় বিষয়টি আমরা স্থানীয় এমপি ও ডিএনডি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। এলাকাটি ডিএনডি প্রকল্পের আওতায় নিলে এটার স্থায়ী সমাধান সম্ভব। কালের কন্ঠ


                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/09/39842/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        ধরা পড়লো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগকারী সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতা



                        সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা খাদ্যগুদামের সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী উপজেলা সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতা আরিফুর রহমান মজুমদার দিলীপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা এবং তা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করা হচ্ছে। কৌশল হিসেবে ওই নেতা অনলাইন নিউজ পোর্টালের কতিপয় নামধারী সাংবাদিককে দিয়ে উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি, সাধরণ সম্পাদকসহ তাঁর (দিলীপ) বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশকারী সাংবাদিকদের চাঁদাবাজ আখ্যায়িত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করেছেন। এমনকি একটি স্থানীয় দৈনিকের উপজেলা প্রতিনিধি খাদ্যগুদামে উপস্থিত না থাকা সত্ত্বেও তাঁকে চাঁদাবাজ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

                        এর প্রতিবাদে আজ বুধবার দুপুরে উপজেলা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদসংলগ্ন সড়কে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। মানববন্ধন শেষে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনতাসির হাসান বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান।

                        গত রবিবার সুনামগঞ্জের শাল্লা থেকে কিনে আনা নিম্নমানের মোটা ধান অবৈধভাবে ধর্মপাশা খাদ্যগুদামে ঢোকানোর চেষ্টা চালান দিলীপ মজুমদারের ছোট ভাই সম্রাট মজুমদার। এ সময় কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বিষয়টি ধর্মপাশা উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইসহাক মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক এম এম এ রেজা পহেলসহ স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিককে জানানো হলে তাঁরা বিষয়টি দেখতে সেখানে যান। এ সময় দেখা যায়, সম্রাট মজুমদার একটি বাল্কহেড নৌকা বোঝাই করে ৫৬ জন কৃষকের ধান নিয়ে এসেছেন। ৫৬ জন কৃষকের ধান দেওয়ার জন্য ৫৬ জন কৃষক কার্ড নিয়ে আসবে কি না সাংবাদিকরা জানতে চাইলে খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) সুজন চন্দ্র রায় বলেন, কার্ডগুলো তিনি (সম্রাট) কৃষকদের ম্যানেজ করে এনেছেন। এতে আর অসুবিধা নাই।’

                        এ ছাড়া তিনি জানান, ৫৬টি কার্ডের মধ্যে ২০টি কার্ড পেয়েছেন এবং বাকি কার্ডগুলো সম্রাট পরে দেবেন। সাংবাদিকরা কৃষকদের উপস্থিতিতে ধান নেওয়ার জন্য ওসিএলএসডিকে বললে সম্রাট মজুমদার এসে বলেন, ‘তোমরারে কি কৃষক আইন্যা দেহানি লাগব? আমার পয়সা দিয়ে আমি ব্যবসা করতে আইছি।’

                        পরে সম্রাট তাঁর ভাই দিলীপ মজুমদারকে খবর দিয়ে খাদ্যগুদামে আনেন। এ সময় সেখানে কোনো কৃষক উপস্থিত ছিলেন না। দিলীপ মজুমদার খাদ্যগুদামে পৌঁছেই উপস্থিত সাংবাদিকদের গালমন্দ, হুংকার ও চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। এ সময় দিলীপ মজুমদার বলেন, ‘মাইর করলে লাঠি লইয়া আয়, ধান দিলে দেখি কে ফিরায়? আমরা কি বানের জলে ভাইস্যা আইছি। যদি কই খাইয়ালবাম খাইয়াই হালবাম।’

                        দিলীপ মজুমদারের উপস্থিতিতে সম্রাট প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম এম এ রেজা পহেলের গায়ে একাধিকবার ধাক্কা দেন। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা ও তার ভাই অশোভন আচরণ করায় ওসিএলএসডি সুজন চন্দ্র রায় তাৎক্ষণিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন। বিষয়টি নিয়ে পরদিন সমকাল, কালের কণ্ঠ, যায়যায়দিনসহ বিভিন্ন জাতীয় ও কয়েকটি স্থানীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। মঙ্গলবার তিনি কিছু স্থানীয় নামসর্বস্ব অনলাইন নিউজ পোর্টাল সাংবাদকর্মীদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের অপকর্ম ঢাকার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশকারী সাংবাদিকদের চাঁদাবাজ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

                        স্থানীয় সাংবাদিক চয়ন কান্তি দাস বলেন, আমি সেই দিন খাদ্যগুদামে উপস্থিত ছিলাম না। তবু আমাকে চাঁদাবাজ আখ্যায়িত করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে। যা সত্যিই দুঃখজনক।

                        উপজেলা হাওর বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মজুমদার মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বলেন, জানতে পেরেছি উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দুর্নীতিমূলক কাজ করে আসছে। কৃষকের কাছ থেকে ধান নেওয়ার কথা থাকলেও নিম্নমানের ধান পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই গুদামে ধান দিচ্ছে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। কালের কন্ঠ

                        উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম এম এ রেজা পহেল বলেন, *’দিলীপ মজুমদার তিনি তাঁর লিখিত বক্তব্যে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সাংবাদিকদের পুলিশে দেওয়ার কথা বলেছেন। আর সাংবাদিক নামধারীরা তা বসে শুনেছেন। যা সত্যিই দুঃখজনক।

                        উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইসহাক মিয়া বলেন, দিলীপ মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন, তিনি খাদ্যগুদামে পৌঁছার আগেই সাংবাদিকরা সেখানে থেকে সটকে পড়েন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। দিলীপ মজুমদার নিজের অপকর্ম ঢাকতে সংবাদ সম্মেলন করে আমার ক্লাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মতো একটি ঘৃণ্য অভিযোগ তুলেছেন। যা অত্যন্ত হাস্যকর ও বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’


                        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/09/39845/
                        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                        Comment


                        • #13
                          ইন্নালিল্লাহ....।
                          হে আল্লাহ আপনি ফিলিস্তিন সহ বিশ্বের সকল মুসলিম জাতিকে কাফেরদের হাত থেকে হিফাজত করুন,আমীন।
                          হে আল্লাহ আপনি কাফেরদেরকে উচিৎ শিক্ষা দিন,আমীন।
                          আর বিশ্বের নির্যাতিত মাজলুম মুসলমানদেরকে হিফাজত করুন,আমীন।
                          হে আল্লাহ আপনি আমাদেরকে শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমীন।
                          ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                          Comment


                          • #14
                            হে আল্লাহ! সারা বিশ্বের নির্যাতিত, নিপীড়িত মুসলিমদেরকে হিফাযত করুন, সাহায্য করুন এবং জালিমদেরকে ধ্বংস করুন। আমীন
                            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                            Comment

                            Working...
                            X