হিন্দুত্ববাদী নেতাদের ‘বিদ্বেষী’ বলায় অল্ট নিউজের সহ-প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে এফআইআর
ভারতে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে চারিদিকে মুসলিম বিদ্বেষের আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে, চলছে মুসলিম গণহত্যার চূড়ান্ত প্রস্তুতি। আর সেই আগুনে নিয়মিত ঘি ঢেলে যাচ্ছে সাধু সন্ন্যাসীর নামধারী উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসী ধর্মগুরুরা। সকল শ্রেণীর হিন্দুদের মুসলিমদের উপর ক্ষেপিয়ে তুলতে মুসলিম বিদ্বেষী কাজগুলোকে তারা তাদের কৃতিত্ব হিসেবে তুলে ধরছে। যেন অন্যরাও মুসলিম বিদ্বেষী কাজে উৎসাহ পায়। মুসলিম বিদ্বেষী এমন কার্জক্রম প্রকাশ্যে চালিয়ে গেলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন। ঘৃণা ও মুসলিম বিদ্বেষ ছড়ানোর অপরাধে তাদের শাস্তির পরিবর্তে তাদেরকে বিদ্বেষী বলায় অল্ট নিউজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ জুবায়েরের বিরুদ্ধে এফআইআর নিয়ে তৎপর হয়েছে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।
অল্ট নিউজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ জুবায়ের। উত্তরপ্রদেশের খয়রাবাদের একটি থানায় তার বিরুদ্ধে নথিভুক্ত একটি তথ্য প্রতিবেদনে (এফআইআর) নাম দেওয়া হয়েছে। তার কারণ হল তিনি একটি টুইটে উগ্র হিন্দুত্ববাদী ইয়াতি নরসিংহানন্দ, মহন্ত বজরং মুনি এবং আনন্দ স্বরূপকে “বিদ্বেষকারী” বলে অভিহিত করেছেন।
উল্লেখ্য, এসমস্ত সাধু সন্ন্যাসীর নামধারী উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসী ধর্মগুরুরা মুসলিমদের গণহত্যা, মুসলিম নারীদের বাড়ি থেকে অপহরণ করে ধর্ষণ করার ঘোষণা দিয়েছে।
২৭ মে জুবায়ের টুইটের একটি সিরিজে, ভারতীয় নিউজ টেলিভিশন চ্যানেলগুলিতে প্রাইম টাইম বিতর্কের নিন্দা করেছিলেন, যা তিনি বলেছিলেন, “বিদ্বেষীদেরকে অন্য ধর্ম সম্পর্কে খারাপ কথা বলতে উৎসাহিত করার একটি প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে”।
টাইমস নাউ চ্যানেলে একটি বিতর্কের একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে, এর উপস্থাপক নাভিকা কুমার পরিচালিত ‘দ্য জ্ঞানভাপি ফাইলস’-এ, জুবায়ের টুইট করেছিলেন।
নির্দিষ্ট টুইটের উল্লেখ করে, হিন্দুত্ববাদী অভিযোগকারী বলেছে যে জুবায়েরের টুইট দ্বারা নাকি তার হিন্দু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। কারণ তার ” ধর্মীয় মহন্ত বজরং মুনিকে বিদ্বেষকারী” হিসাবে উল্লেখ করেছে।
ইয়াতি নরসিংহানন্দ গিরি (সাবেক সরস্বতী), হিন্দুত্ববাদী নেতা এবং জুনা আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বরদের মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্যের অনেক প্রমাণ রয়েছে।
যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ২০২০ সালের দিল্লি পগরমের আগে কপিল মিশ্র এবং অশ্বিনী উপাধ্যায়ের মতো বিজেপি নেতারা মুসলিম বিদ্বেষ উসকে দিয়েছিল।
এমনিভাবে, হরিদ্বারেরও ধর্ম সংসদের নামে হিন্দুত্ববাদীরা প্রকাশ্যে মুসলিমদের গণহত্যা চালানোর আহ্ববান জানায়। সেই ধর্মসভায় উপস্থিত ছিল হিন্দু রক্ষা সেনার প্রবোধানন্দ গিরি, বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী উদিতা ত্যাগী এবং বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়সহ অন্যান্যরা। এই বিতর্কিত ধর্মগুরুর সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠতা সর্বজনবিদিত। যা থেকে সহজেই অনুমেয় সবকিছু হিন্দুত্ববাদী শাসকের মদদেই হচ্ছে।
২ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের সীতাপুর জেলার বদি সংগত আশ্রমের পুরোহিত মহন্ত বজরং মুনি হিন্দু নববর্ষ উপলক্ষে পুলিশের উপস্থিতিতে মুসলিম মহিলাদের গণধর্ষণের হুমকি দিয়েছিল।
তথ্যসুত্র:
———
1. FIR Against Mohammed Zubair for Calling Militant Hindutva Leaders ‘Hatemongers
– https://tinyurl.com/2vy6w6f8
2. At RSS event, BJP CMs highlight anti-Muslim policies in their states as achievements
– https://tinyurl.com/3ty5phtn
3. মুসলিমদের মারতে অস্ত্র তুলে নিন’, জেল থেকে ছাড়া পেয়েই ফের ‘ঘৃণা ভাষণ’ বিতর্কিত ধর্মগুরুর
– https://tinyurl.com/2p9yhd2d
ভারতে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে চারিদিকে মুসলিম বিদ্বেষের আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে, চলছে মুসলিম গণহত্যার চূড়ান্ত প্রস্তুতি। আর সেই আগুনে নিয়মিত ঘি ঢেলে যাচ্ছে সাধু সন্ন্যাসীর নামধারী উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসী ধর্মগুরুরা। সকল শ্রেণীর হিন্দুদের মুসলিমদের উপর ক্ষেপিয়ে তুলতে মুসলিম বিদ্বেষী কাজগুলোকে তারা তাদের কৃতিত্ব হিসেবে তুলে ধরছে। যেন অন্যরাও মুসলিম বিদ্বেষী কাজে উৎসাহ পায়। মুসলিম বিদ্বেষী এমন কার্জক্রম প্রকাশ্যে চালিয়ে গেলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন। ঘৃণা ও মুসলিম বিদ্বেষ ছড়ানোর অপরাধে তাদের শাস্তির পরিবর্তে তাদেরকে বিদ্বেষী বলায় অল্ট নিউজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ জুবায়েরের বিরুদ্ধে এফআইআর নিয়ে তৎপর হয়েছে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।
অল্ট নিউজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ জুবায়ের। উত্তরপ্রদেশের খয়রাবাদের একটি থানায় তার বিরুদ্ধে নথিভুক্ত একটি তথ্য প্রতিবেদনে (এফআইআর) নাম দেওয়া হয়েছে। তার কারণ হল তিনি একটি টুইটে উগ্র হিন্দুত্ববাদী ইয়াতি নরসিংহানন্দ, মহন্ত বজরং মুনি এবং আনন্দ স্বরূপকে “বিদ্বেষকারী” বলে অভিহিত করেছেন।
উল্লেখ্য, এসমস্ত সাধু সন্ন্যাসীর নামধারী উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসী ধর্মগুরুরা মুসলিমদের গণহত্যা, মুসলিম নারীদের বাড়ি থেকে অপহরণ করে ধর্ষণ করার ঘোষণা দিয়েছে।
২৭ মে জুবায়ের টুইটের একটি সিরিজে, ভারতীয় নিউজ টেলিভিশন চ্যানেলগুলিতে প্রাইম টাইম বিতর্কের নিন্দা করেছিলেন, যা তিনি বলেছিলেন, “বিদ্বেষীদেরকে অন্য ধর্ম সম্পর্কে খারাপ কথা বলতে উৎসাহিত করার একটি প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে”।
টাইমস নাউ চ্যানেলে একটি বিতর্কের একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে, এর উপস্থাপক নাভিকা কুমার পরিচালিত ‘দ্য জ্ঞানভাপি ফাইলস’-এ, জুবায়ের টুইট করেছিলেন।
নির্দিষ্ট টুইটের উল্লেখ করে, হিন্দুত্ববাদী অভিযোগকারী বলেছে যে জুবায়েরের টুইট দ্বারা নাকি তার হিন্দু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। কারণ তার ” ধর্মীয় মহন্ত বজরং মুনিকে বিদ্বেষকারী” হিসাবে উল্লেখ করেছে।
ইয়াতি নরসিংহানন্দ গিরি (সাবেক সরস্বতী), হিন্দুত্ববাদী নেতা এবং জুনা আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বরদের মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্যের অনেক প্রমাণ রয়েছে।
যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ২০২০ সালের দিল্লি পগরমের আগে কপিল মিশ্র এবং অশ্বিনী উপাধ্যায়ের মতো বিজেপি নেতারা মুসলিম বিদ্বেষ উসকে দিয়েছিল।
এমনিভাবে, হরিদ্বারেরও ধর্ম সংসদের নামে হিন্দুত্ববাদীরা প্রকাশ্যে মুসলিমদের গণহত্যা চালানোর আহ্ববান জানায়। সেই ধর্মসভায় উপস্থিত ছিল হিন্দু রক্ষা সেনার প্রবোধানন্দ গিরি, বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী উদিতা ত্যাগী এবং বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়সহ অন্যান্যরা। এই বিতর্কিত ধর্মগুরুর সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠতা সর্বজনবিদিত। যা থেকে সহজেই অনুমেয় সবকিছু হিন্দুত্ববাদী শাসকের মদদেই হচ্ছে।
২ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের সীতাপুর জেলার বদি সংগত আশ্রমের পুরোহিত মহন্ত বজরং মুনি হিন্দু নববর্ষ উপলক্ষে পুলিশের উপস্থিতিতে মুসলিম মহিলাদের গণধর্ষণের হুমকি দিয়েছিল।
তথ্যসুত্র:
———
1. FIR Against Mohammed Zubair for Calling Militant Hindutva Leaders ‘Hatemongers
– https://tinyurl.com/2vy6w6f8
2. At RSS event, BJP CMs highlight anti-Muslim policies in their states as achievements
– https://tinyurl.com/3ty5phtn
3. মুসলিমদের মারতে অস্ত্র তুলে নিন’, জেল থেকে ছাড়া পেয়েই ফের ‘ঘৃণা ভাষণ’ বিতর্কিত ধর্মগুরুর
– https://tinyurl.com/2p9yhd2d
Comment