এই লড়াই শেষ হবার নয় : আমিরুল মুমিনিন মোল্লা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা

ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের প্রত্যাবর্তনের প্রায় এক বছর পর, রাজধানী কাবুলে অনুষ্ঠিত হয় গ্র্যান্ড ইসলামিক কাউন্সিলর সভা। যেখানে উপস্থিত হন আমিরুল মুমিনিন মোল্লা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা (হাফিজাহুল্লাহ্)। পনের বছরেরও বেশি সময় ধরে এতো বড় কোন সমাবেশে তিনি উপস্থিত হননি।
সমাবেশে প্রায় সাড়ে চার হাজারেরও বেশি আলেম এবং উপজাতীয় নেতারা একত্রিত হয়েছিলেন। যারা নতুন করে তাঁর হাতে আনুগত্যের বায়াত করেন। এই উলামা সমাবেশের দ্বিতীয় দিন তিনি প্রায় ১ ঘন্টারও অধিক সময় ধরে বক্তব্য রাখেন। এসময় তিনি অহেতুক সমালোচকদের মোক্ষম জবাব দেন।
এরপর তিনি বলেন, আমরা পশ্চিমাদের কোনো নির্দেশ গ্রহণ করব না। যারা আমাদের বলতে থাকে- এটা করো, ওটা করো, এটা করো না!- ইত্যাদি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে তারা এমন কে, যাদের আদেশ আমরা মান্য করবো? আর তারা আমাদের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কে? তাদেরকে এই অধিকার কে দিয়েছে?

জেনে রাখুন! আমরা শুধু আল্লাহর কাছেই মাথা নত করি, তাঁর আদেশই মেনে চলি। আর তাঁর কাছেই আমারা প্রত্যাবর্তন করবো।
এরপর শাইখ তালিবান সরকারের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলার পর, বিগত বিশ বছর ধরে বিভিন্ন আফগান সরকার কর্তৃক দুর্নীতি, স্বার্থপরতা, স্বেচ্ছাচারিতা, জাতীয়তাবাদ এবং স্বজনপ্রীতির কঠিন বিরোধিতা করে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন তিনি।
মোল্লা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা (হাফিজাহুল্লাহ্) আগস্টে তালিবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে জনসমক্ষে কখনও চিত্রায়িত বা ছবি তোলার অনুমতি দেননি। এই দীর্ঘ সময়টাতে তিনি দক্ষিণ আফগানিস্তানের কান্দাহারে নির্জনে অবস্থান নেন এবং সেখান থেকেই সবকিছু দেখা-শোনা করতে থাকেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ধর্মীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের একটি সমাবেশে তিনি যোগদান করেন। তিন দিনের উক্ত সমাবেশের প্রধান লক্ষ্য ছিলো, ইমারাতে ইসলামিয়াকে সুসংহত করা এবং আলেমদের সমন্বয়ে গুরত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করা।
রাষ্ট্রীয় রেডিওতে সম্প্রচারিত আমিরুল মুমিনিনের এক ঘন্টার বক্তৃতায় তিনি একটি বিষয়কেই সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দেন। আর সেটি হচ্ছে, শরিয়াহ্ আইন প্রয়োগ করা, যে ইসলামী ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষ তার জীবনে নিরাপত্তা, শান্তি ও স্বাধীনতার সুখ খুঁজে পাবেন।
“বর্তমান বিশ্ব এত সহজে ইমারাতে ইসলামিয়ার নতুন এই উত্থান মেনে নেবে না”

তিনি পশ্চিমাদের জন্য সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেন: “ইসলাম এবং কাফেরদের মধ্যে কোনো পুনর্মিলন হতে পারে না। এটা অতীতে কখনো হয়নি, এখন হবে না।” “তাদের আর আমাদের মধ্যে চিরন্তন এই যুদ্ধ চলতেই থাকবে, যা শেষ হবার নয়।”
এসময় তিনি তালিবান মুজাহিদদের বলেন, এটি ঈমান ও কুফরের লড়াই। তোমাদের এই যুদ্ধ এখনো শেষ হয় নি। কারণ আজকের বিশ্ব এত সহজে ইমারাতে ইসলামিয়ার নতুন এই উত্থান মেনে নেবে না। তাই তোমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
ইসলামি চিন্তাবীদগণ তাই বলছেন, এখন দেখার বিষয় এই যে- আমিরুল মু’মিনিনের এই নতুন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য ইমারতে ইসলামিয়ার ভবিষৎ কর্মপদ্ধতিতে কেমন ধরনের পরিবর্তন সাধন করে।
লেখক – ত্বহা আলী আদনান

ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের প্রত্যাবর্তনের প্রায় এক বছর পর, রাজধানী কাবুলে অনুষ্ঠিত হয় গ্র্যান্ড ইসলামিক কাউন্সিলর সভা। যেখানে উপস্থিত হন আমিরুল মুমিনিন মোল্লা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা (হাফিজাহুল্লাহ্)। পনের বছরেরও বেশি সময় ধরে এতো বড় কোন সমাবেশে তিনি উপস্থিত হননি।
সমাবেশে প্রায় সাড়ে চার হাজারেরও বেশি আলেম এবং উপজাতীয় নেতারা একত্রিত হয়েছিলেন। যারা নতুন করে তাঁর হাতে আনুগত্যের বায়াত করেন। এই উলামা সমাবেশের দ্বিতীয় দিন তিনি প্রায় ১ ঘন্টারও অধিক সময় ধরে বক্তব্য রাখেন। এসময় তিনি অহেতুক সমালোচকদের মোক্ষম জবাব দেন।
এরপর তিনি বলেন, আমরা পশ্চিমাদের কোনো নির্দেশ গ্রহণ করব না। যারা আমাদের বলতে থাকে- এটা করো, ওটা করো, এটা করো না!- ইত্যাদি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে তারা এমন কে, যাদের আদেশ আমরা মান্য করবো? আর তারা আমাদের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কে? তাদেরকে এই অধিকার কে দিয়েছে?

জেনে রাখুন! আমরা শুধু আল্লাহর কাছেই মাথা নত করি, তাঁর আদেশই মেনে চলি। আর তাঁর কাছেই আমারা প্রত্যাবর্তন করবো।
এরপর শাইখ তালিবান সরকারের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলার পর, বিগত বিশ বছর ধরে বিভিন্ন আফগান সরকার কর্তৃক দুর্নীতি, স্বার্থপরতা, স্বেচ্ছাচারিতা, জাতীয়তাবাদ এবং স্বজনপ্রীতির কঠিন বিরোধিতা করে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন তিনি।
মোল্লা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা (হাফিজাহুল্লাহ্) আগস্টে তালিবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে জনসমক্ষে কখনও চিত্রায়িত বা ছবি তোলার অনুমতি দেননি। এই দীর্ঘ সময়টাতে তিনি দক্ষিণ আফগানিস্তানের কান্দাহারে নির্জনে অবস্থান নেন এবং সেখান থেকেই সবকিছু দেখা-শোনা করতে থাকেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ধর্মীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের একটি সমাবেশে তিনি যোগদান করেন। তিন দিনের উক্ত সমাবেশের প্রধান লক্ষ্য ছিলো, ইমারাতে ইসলামিয়াকে সুসংহত করা এবং আলেমদের সমন্বয়ে গুরত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করা।
রাষ্ট্রীয় রেডিওতে সম্প্রচারিত আমিরুল মুমিনিনের এক ঘন্টার বক্তৃতায় তিনি একটি বিষয়কেই সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দেন। আর সেটি হচ্ছে, শরিয়াহ্ আইন প্রয়োগ করা, যে ইসলামী ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষ তার জীবনে নিরাপত্তা, শান্তি ও স্বাধীনতার সুখ খুঁজে পাবেন।
“বর্তমান বিশ্ব এত সহজে ইমারাতে ইসলামিয়ার নতুন এই উত্থান মেনে নেবে না”

তিনি পশ্চিমাদের জন্য সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেন: “ইসলাম এবং কাফেরদের মধ্যে কোনো পুনর্মিলন হতে পারে না। এটা অতীতে কখনো হয়নি, এখন হবে না।” “তাদের আর আমাদের মধ্যে চিরন্তন এই যুদ্ধ চলতেই থাকবে, যা শেষ হবার নয়।”
এসময় তিনি তালিবান মুজাহিদদের বলেন, এটি ঈমান ও কুফরের লড়াই। তোমাদের এই যুদ্ধ এখনো শেষ হয় নি। কারণ আজকের বিশ্ব এত সহজে ইমারাতে ইসলামিয়ার নতুন এই উত্থান মেনে নেবে না। তাই তোমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
ইসলামি চিন্তাবীদগণ তাই বলছেন, এখন দেখার বিষয় এই যে- আমিরুল মু’মিনিনের এই নতুন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য ইমারতে ইসলামিয়ার ভবিষৎ কর্মপদ্ধতিতে কেমন ধরনের পরিবর্তন সাধন করে।
লেখক – ত্বহা আলী আদনান
Comment