Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১৪ই যিলহজ্ব, ১৪৪৩ হিজরি।। ১৪ই জুলাই, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১৪ই যিলহজ্ব, ১৪৪৩ হিজরি।। ১৪ই জুলাই, ২০২২ ঈসায়ী।

    হিন্দুত্ববাদী পুলিশ-হেফাজতে কাশ্মীরি মুসলিম যুবক খুন



    কাশ্মীরী মুসলিমদের উপরে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা যুগ যুগ ধরে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের কোন বিচার হবে না জেনেই তারা নির্দ্বিধায় মুসলিমদের উপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে।

    গত ৯ই জুলাই, মুসলিমদের অন্যতম আনন্দের দিন ঈদুল আযহার ঠিক এক দিন আগে, অন্যান্যদের মত কাশ্মীরী ভদ্র মহিলা শফিকা তার ছেলের জন্য নতুন জামা কিনেছেন। কিন্তু এখন আর তার পরিবারে ঈদের আমেজ নেই; আছে শুধু ভয় আর হতাশা। নতুন কেনা শার্ট, যা তার ছেলে ঈদের দিন পরার কথা ছিল, এটাই এখন তার কান্নাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ তিনি জানেন না, হিন্দুত্ববাদী পুলিশের হাতে ঈদের দিন আটক কলিজার টুকরা ছেলে বেঁচে থাকবে কি না।

    ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ৯ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে। শফিকা শঙ্কিত হয়ে পড়েন- যখন কাশ্মীর উপত্যকার নওগাম থানার দুই হিন্দুত্ববাদী পুলিশ বেসামরিক পোশাকে তার বাড়িতে আসে। এবং তার ২১ বছর বয়সী ছেলে মুনিরের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে। পরে এফআইআর নং ৯৫/২০২২ এর অধীনে একটি চুরির মামলায় জড়িত থাকার মিথ্যে অভিযোগে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ তাকে আটক করে।

    মুনিরের ২৬ বছর বয়সী চাচাতো ভাই জিশান শওকত বলেন, “তারা শফিকাকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, তার ছেলেকে নিরাপদে তার কাছে ফিরিয়ে আনা হবে।”

    বিকেল সোয়া ৪টার দিকে শফিকাকে পুলিশের ফোন দেয়। তাকে নওগাম থানায় যেতে বলা হয়। তিনি যেতে না চাওয়ায় দুই পুলিশ আবার বেসামরিক পোশাকে এসে জোরপূর্বকভাবে উনাকে ব্যক্তিগত গাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়ি থেকে কয়েক গজ দূরে গাড়ি থামিয়ে শফিকাকে আরেকটি প্রাইভেট গাড়িতে বসতে বলা হয়। গাড়ির দরজা খুলে শফিকা দেখতে পান তার ছেলে একটি সিটে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে এবং ভেতরে আরও পাঁচ পুলিশ সদস্য বসে আছে। যখন তিনি তার ব্যাপারে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে থাকেন, তখন শফিকাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে তার ছেলেকে চারজন পুলিশ বাড়িতে নিয়ে আসে।

    অথচ তার চাচাতো ভাই শওকত বলেন, “সে সকালে তাদের সাথে পায়ে হেঁটে গিয়েছিল এবং সন্ধ্যায় তারা তাকে অজ্ঞান করে নিয়ে আসে। দুইজন লোক তাকে তার বাহুতে এবং দুইজন তার পায়ে ধরেছিল।” ফলে সহজেই বুঝা যাচ্ছিল হিন্দুত্ববাদী পুলিশ তাকে কেমন অমানবিকভাবে টর্চার করেছে।

    বিকাল ৪:৩৮ মিনিটে যাওয়ার আগে, একজন পুলিশ অফিসার তার ফোনে একটি মিস কল করে এবং মুনিরের অবস্থা ভালো না হলে শফিকাকে তাকে একটি কল দিতে বলে। পুলিশ চলে যাওয়ার পর, শফিকা তার ছেলের জ্ঞান ফেরার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। এক পর্যায় তিনি দেখেন তার ছেলের জ্ঞান ফেরার পরিবর্তে তার শরীর ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। কারণ সে আগেই মারা গিয়েছে।

    কিছুক্ষণ পর, শওকত মুনিরের আতঙ্কিত মায়ের কাছ থেকে একটি ফোন কল পান। শ্রীনগরের নাটিপোরা এলাকায় তার বাড়িতে পৌঁছে শওকত মুনিরের ঠান্ডা লাশ মেঝেতে দেখতে পান।

    শওকত বলেনে, “আমরা তাকে নিকটস্থ একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাই যেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মুনিরের মৃতদেহ নিয়ে পরিবার রাস্তায় নামে। বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।”

    পরিবারকে দমিয়ে রাখতে পুলিশ দাবি করে যে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় স্বাস্থ্যের অবনতিজনিত কারণে মুনিরের মৃত্যু হয়েছে। তারা নিজেদের দোষ চাপা দিতে দাবি করে- সে অতিরিক্ত মদ খেয়েছিল। পরিবারটি এসম ভ্রান্ত দাবি নিয়ে প্রশ্ন তোলে যে, “এত বেশি মাত্রায় মাদক সেবনকারী ব্যক্তি কীভাবে সকালে তার বাড়ি থেকে হাঁটিয়ে নিয়ে যেতে পারে, যখন তাকে ধরে নেওয়া হয়েছিল? আর সে তো মদই পান করতো না। তাছাড়া, জিজ্ঞাসাবাদের সময় যদি তার অবস্থার অবনতি হয়, তবে তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার পরিবর্তে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া কি তাদের দায়িত্ব ছিল না?”

    গত ৯ জুলাই রাতে বিক্ষোভের পরে, পুলিশ মুনিরের লাশ ময়নাতদন্তের নামে শ্রীনগরের শ্রী মহারাজা হরি সিং (SMHS) হাসপাতালে নিয়ে যায়।

    ময়না তদন্তের রিপোর্ট যাচাই করার জন্য বিজয় কুমার, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এবং রাকেশ বালওয়াল, সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (এসএসপি) এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও, তারা কথা বলতে রাজি হয়নি।

    এটা শুধু এক মাজলুম পরিবারের অবস্থা নয়। হিন্দুত্ববাদীদের আগ্রাসনে পুরো কাশ্মীরেই মুসলিমরা এমনই অসহায়। তাদের পক্ষে কথা বলার কেউ নেই।

    জান-মাল-ইজ্জত-আব্রুর কুরবানি দিতে দিতে কাশ্মীরি মুসলিমরা আজ তাই আগ্রাসি হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন, শুরু করেছেন কাশ্মীর স্বাধীন করার ও শরিয়াহ কায়েম করার প্রতিরোধ যুদ্ধ। তাই উম্মাহ দরদী উলামায়ে কেরাম অসহায় কাশ্মীরী মুসলিমদের হয়ে হিন্দুত্ববাদীদের আগ্রাসন রুখে দেওয়ার জন্য সকলকে আহ্বান জানিয়ে আসছেন।

    তথ্যসূত্র:
    ——-
    1. “Can’t trust police blindly”: Family of Kashmiri youth who killed in custody
    https://tinyurl.com/372h65pw
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    কাশ্মীরের শহীদ দিবস ভুলতে ও ভুলাতে চায় হিন্দুত্ববাদী ভারত


    গতকাল ছিল ১৩ জুলাই। ১৯৪৯ সাল থেকে এই দিনটি আনুষ্ঠানিকভাবে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে শহীদ দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে আসছে। তবে ২০১৯ সালে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর নয়াদিল্লি এই দিনটিকে সরকারী ছুটির তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেয়। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর হিন্দুত্ববাদী সরকার যে কয়টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার মধ্যে এটি অন্যতম।

    এই দিনটিকে কাশ্মীরি জনগণ রাজনৈতিক জাগরণের সূচনা হিসাবে স্মরণ করে থাকে। ১৯৩১ সালের এদিন স্বৈরাচারী রাজার বাহিনীর হাতে ২২ জন কাশ্মীরি মুসলিম নিহত হন।

    ১৯৩১ সালের ১৩ জুলাই, আব্দুল কাদিরের মামলার শুনানির সময় শ্রীনগরে আদালতের বাইরে জড়ো হওয়া মানুষদের উপর ডোগরা বাহিনী গুলি চালায়। আব্দুল কাদিরের বিরুদ্ধে একটি কথিত “উস্কানিমূলক বক্তৃতা” দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল। মূলত কাদিরের এই বক্তব্য ছিল প্রিন্সলি স্টেটের কয়েকটি মুসলিম-বিরোধী ঘটনার পটভূমি থেকে। কাশ্মীর চার শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বিদেশী শাসনের অধীনে ছিল। মুঘল ও আফগানদের পর শিখ এবং সবশেষে ডোগরারা যারা- ব্রিটিশদের কাছ থেকে এই অঞ্চলটিকে কেনার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ পায়।

    তবে ১৯৩১ সালের ১৩ জুলাই প্রথম কাশ্মীরিরা কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কাশ্মিরি রাজনীতিবিদ ও পণ্ডিত প্রেম নাথ বাজাজের মতে, এই আন্দোলনের পেছনে মূল কারণ ছিল মুসলমানদের মধ্যে অসন্তোষ। এবং এই দিনই কাশ্মীরে সবচেয়ে আধুনিক অর্থে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম শুরু হয়।

    তখন থেকে এই দিনটি বিশেষ করে জম্মু ও কাশ্মীরের মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। ১৯৪৮ সালে এই দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। দিনটি কেবল কাশ্মীরের রাজনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, এর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

    সকল ধারার রাজনৈতিক মহলেও দিনটি সমান গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি গনতন্ত্রপন্থী রাজনীতিবিদরাও ১৯৩১ সালের ১৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া সংগ্রামের চূড়ান্ত পরিণতি হিসেবে কাশ্মীরের ভারতে যোগদান করাকে দেখেন। তবে প্রতিরোধ বাহিনীগুলো মনে করে- কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রাম ১৯৩১ সালের ১৩ ই জুলাই শুরু হয়েছিল, যা এখনও চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেনি।

    দিনটিকে শ্রীনগরের শহরতলী এলাকায় একটি বড় মিছিল দ্বারা পালন করা হয়। এই মিছিলগুলো বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে নওহাটা এলাকার নকশব্ন্দসাহেবের মাজারে শহীদদের কবরস্থানে গিয়ে শেষ হয়, যেখানে ১৯৩১ সালের শহীদদের দাফন করা হয়।

    উপত্যকার চারপাশের লোকেরা তাদের রাজনৈতিক পছন্দের উপর নির্ভর করে এই মিছিলগুলির মধ্যে থেকে একটিতে যোগ দেয়। লোকেরা এই মিছিলগুলি দেখার জন্য শহরের কেন্দ্রস্থলে বসবাসকারী তাদের আত্মীয়দের সাথেও দেখা করতে যায়।

    সকালে মিরওয়াইজের নেতৃত্বের মিছিলটি জামিয়া মসজিদ থেকে শুরু হয়ে শহীদদের কবরে গিয়ে শেষ হয়। এরপরে বিকেলে বৃহত্তর জাতীয় সম্মেলনের মিছিল অনুষ্ঠিত হয় এবং এটি জয়না কাদালের তৎকালীন এনসি (ন্যাশনাল কনফারেন্স) সদর দপ্তর থেকে শহীদের কবর পর্যন্ত শুরু হয়। মিছিলটি সাধারণত শেখ আবদুল্লাহ এবং পরবর্তী বছরগুলিতে তার ছেলের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। মিছিলগুলিতে দলীয় স্লোগান থাকতো, থাকতো শক্তি প্রদর্শন। দিনটি কখনও তার প্রাসঙ্গিকতা হারায়নি, কেবল এটির দর্শন বদলে যায়।

    স্বাধীনতাকামী আন্দোলনের পর, দিনটি স্বাধীনতাকামী আখ্যানের সাথে আরও সংযুক্ত হয়ে ওঠে এবং উপত্যকাটি যে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল এবং এখনও যাচ্ছে তার সূচনা হিসাবে চিত্রিত করা হয়। গণতন্ত্রী ধারার কথা বলতে গেলে, দিনটি এখন সরকারী বিবৃতি এবং কবর পরিদর্শনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী, মূলধারার নেতারা এখন শুধু শহীদদের কবরগুলি পরিদর্শন করে। অন্যদিকে স্বাধীনতাকামী ও প্রতিরোধ বাহিনীগুলোর জন্য দিনটি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও স্বাধীনতার আহবান জানানোর অন্যতম উপলক্ষ হয়ে উঠে।

    তবে ২০২০ সালে বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর দিনটি আর আনুষ্ঠানিক রাখা হয়নি। যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকার এই অঞ্চলের কার্যাবলীর শীর্ষে, তাই তারা এই অঞ্চল এবং এর জনগণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে এবং করে যাচ্ছে। এমন সব সিদ্ধান্ত তারা নিচ্ছে যেখানে কাশ্মীরি জনগণদের বা তাদের প্রতিনিধিদের কোনওভাবেই কোনও বক্তব্য গৃহীত হয় না।

    বিশেষ মর্যাদা বাতিল থেকে শুরু করে অধিবাস আইন, ভূমিমালিক আইন, চুক্তি, প্রায় সবকিছুই তারা চায়। এমনকি কাশ্মীরিদের আবেগককে উপেক্ষা করে এই বিশেষ দিনটিকে ছুটির তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ভারতের সাথে অধিভুক্তির দিনটিকে তারা ছুটির দিনের তালিকায় যুক্ত করে।

    এত কিছু সত্ত্বেও, এই দিনটি সকল ধারার লোকেরা তাদের নিজস্ব ভঙ্গিতে স্মরণ করে। গত বছরের মতো এ বছরও কাউকে শহীদদের কবর জিয়ারত করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে স্বাধীনতাকামীদের জন্য দিনটি তাদের সংগ্রামের একটি স্মারক।

    দিনটি আজীবন তার তাৎপর্য এবং ইতিহাসের জন্য কাশ্মীরিদের মাঝে একটি আলাদা স্থান নিয়ে থাকবে। যদিও তাদেরকে হিন্দুত্ববাদী সরকার এটি স্মরণ করার অনুমতি দিবে না, তবুও তারা এই দিনটি মনে রাখবে।

    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. 13 July: Kashmir’s martyrs day India wants to forget
    https://tinyurl.com/4j7ck4yn

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      কাশ্মীর | প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় ভারতীয় ৩ দখলদার হতাহত


      কাশ্মীরের শ্রীনগরের লাল বাজার এলাকায় দখলদার বাহিনীর উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছেন স্বাধীনতাকামী কাশ্মীরি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এতে ভারতীয় ৩ পুলিশে সদস্য হতাহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

      আঞ্চলিক নিউজ মিডিয়া আউটলেট থেকে জানা যায়, শ্রীনগরের লাল বাজার এলাকায় হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। যেখানে কাশ্মীর ভিত্তিক প্রতিরোধ যোদ্ধারা উক্ত এলাকায় টহলরত দখলদার পুলিশ সদস্যদের একটি দলকে টার্গেট করে পিস্তল দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি চালানোর মাধ্যমে চালান।

      এতে প্রাথমিকভাবে ভারতীয় দখলদার বাহিনীর অন্তত ৩ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে বলা জানানো হয়। পরে আহত পুলিশ সদস্যদের হাসপাতালে স্থানান্তর করার পর সেখানেই এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়।

      এদিকে প্রতিবারের মতই ঘটনাস্থলের পুরো এলাকা সিলগালা করে ভারতীয় বাহিনী। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয় নি। কেননা ভারতীয় বাহিনীর কঠিন নিরাপত্তার মধ্য দিয়েই প্রতিরোধ যোদ্ধারা নিজেদের অবস্থানে ফিরে যান।

      বিশ্লেষকরা সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মীরে দখলদারদের উপর প্রতিরোধ যোদ্ধা ও স্বাধীনতাকামীদের হামলা বৃদ্ধির ঘটনাকে ইতিবাচক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অনেকেই আশা প্রকাশ করছেন যে, কাশ্মীরে হিন্দুত্ববাদীদেরকে সমুচিত জবাব দেওয়ার মাধ্যমে আস্তে আস্তে গোটা উপমহাদেশ থেকেই হিন্দুত্ববাদের শেকর উপ্রে ফেলার কাজ অনেকটাই বেগবান হবে।



      তথ্যসূত্র :
      ———
      1. ASI shot dead, two cops injured in Srinagar militant attack
      https://tinyurl.com/bdh3pj6z

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        Originally posted by Al-Firdaws News View Post
        কাশ্মীর | প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় ভারতীয় ৩ দখলদার হতাহত


        কাশ্মীরের শ্রীনগরের লাল বাজার এলাকায় দখলদার বাহিনীর উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছেন স্বাধীনতাকামী কাশ্মীরি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এতে ভারতীয় ৩ পুলিশে সদস্য হতাহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

        আঞ্চলিক নিউজ মিডিয়া আউটলেট থেকে জানা যায়, শ্রীনগরের লাল বাজার এলাকায় হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। যেখানে কাশ্মীর ভিত্তিক প্রতিরোধ যোদ্ধারা উক্ত এলাকায় টহলরত দখলদার পুলিশ সদস্যদের একটি দলকে টার্গেট করে পিস্তল দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি চালানোর মাধ্যমে চালান।

        এতে প্রাথমিকভাবে ভারতীয় দখলদার বাহিনীর অন্তত ৩ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে বলা জানানো হয়। পরে আহত পুলিশ সদস্যদের হাসপাতালে স্থানান্তর করার পর সেখানেই এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়।

        এদিকে প্রতিবারের মতই ঘটনাস্থলের পুরো এলাকা সিলগালা করে ভারতীয় বাহিনী। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয় নি। কেননা ভারতীয় বাহিনীর কঠিন নিরাপত্তার মধ্য দিয়েই প্রতিরোধ যোদ্ধারা নিজেদের অবস্থানে ফিরে যান।

        বিশ্লেষকরা সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মীরে দখলদারদের উপর প্রতিরোধ যোদ্ধা ও স্বাধীনতাকামীদের হামলা বৃদ্ধির ঘটনাকে ইতিবাচক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অনেকেই আশা প্রকাশ করছেন যে, কাশ্মীরে হিন্দুত্ববাদীদেরকে সমুচিত জবাব দেওয়ার মাধ্যমে আস্তে আস্তে গোটা উপমহাদেশ থেকেই হিন্দুত্ববাদের শেকর উপ্রে ফেলার কাজ অনেকটাই বেগবান হবে।



        তথ্যসূত্র :
        ———
        1. ASI shot dead, two cops injured in Srinagar militant attack
        https://tinyurl.com/bdh3pj6z
        সহমত ।এভাবে ভারতের অন্যান্য মুসলিরা তাদের সাথে যোগ হয়ে ভারত বিজয়ে অবতরণ করলে ভারত যেমন দূর্বল হয়ে পড়বে তেমনি ভাবে মুসলিমরাও‌ শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
        পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

        Comment

        Working...
        X