হিজাব পরায় মুসলিম ছাত্রীদের পরীক্ষার হলে প্রবেশে হিন্দুত্ববাদী পুলিশের বাধা
হিন্দুত্ববাদী ভারতের কথিত গণতন্ত্রের মুখোশধারীরা এখনো ব্যক্তি-স্বাধীনতার কথা বললেও, মুসলিমদের ক্ষেত্রে তারা প্রতিটি বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে। ইসলামের অন্যান্য বিধানের মত হিজাবের ক্ষেত্রে তাদের বিদ্বেষ চোখে পরার মত। এবার মুসলিম মেয়েরা হিজাব পরার কারণে কোটা, ওয়াশিমের (NEET) এনইইটি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী পুলিশ।
গত ১৬ জুলাই রবিবার রাজস্থানের কোটা এবং মহারাষ্ট্রের ওয়াশিমে ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি এন্ট্রান্স টেস্ট (এনইইটি) ২০২২ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যাওয়া বেশ কয়েকজন মুসলিম ছাত্রী হিজাব পরার কারণে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। কোটায় মুসলিম ছাত্রীদের মোদি কলেজের প্রবেশপথে থামিয়ে তাদের হিজাব খুলে ফেলতে বলা হয়। এতে কেন্দ্রের বাইরে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করে। পুলিশ সেখান থেকেও ধাওয়া করতে থাকে।
এক পর্যায়ে পর্যবেক্ষককে ডাকা হয় এবং শিক্ষার্থীদের একটি লিখিত আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করার হয়রানির পর প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
এদিকে, ওয়াশিমের বেশ কয়েকজন মুসলিম শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা দেওয়ার আগে তাদের হিজাব খুলে ফেলতে বাধ্য করেছে হিন্দুত্ববাদী পুলিশ। ইরাম মোহাম্মদ জাকির এবং আরিবা সামান আজহার হুসেন সহ প্রায় ছয়জন শিক্ষার্থী প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের দুর্ব্যবহার এবং তাদের হিজাব খুলে ফেলতে বাধ্য করার কথা জানিয়েছেন। মাতোশ্রী শান্তাবাই গোটে কলেজ মহাবিদ্যালয়ের পরীক্ষার হল থেকে শিক্ষার্থীদের ডেকে নিয়ে জোর করে তাদের হিজাব খুলে ফেলা হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয় মুসলিমরা ক্ষুব্ধ হয় এবং ক্যাম্পাসের বাইরে বিশাল জনতা জড়ো হয়। তাদের সরাতে কলেজের বাইরে বিশাল ফোর্স নিয়োগ করে হিন্দুত্ববাদী পুলিশ সুপার।
(NEET)এনইইটির ড্রেস কোড
ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির অফিসিয়াল নির্দেশিকা অনুসারে, প্রার্থীদের নৈমিত্তিক এবং আবহাওয়া-উপযুক্ত পোশাক পরতে পরামর্শ দেওয়া হয়। পেষাকের ব্যাপারে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। তারা শুধু ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষের কারণের হয়রানি করেছে। হিন্দুত্ববাদীদের এমন বিদ্বেষের কারণেই অনেক মুসলিম শিক্ষার্থী লেখাপড়া এবং পরীক্ষা দেওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এক্ষেত্রে কথিত সুশীলরা, মিডিয়া কিংবা নারীবাদীরা কোন কথা বলে না। তারা পড়ে আছে আফগান নারীদের নিয়ে যে, তারা স্বাধীনভাবে চলতে পারে না কিংবা পোষাক পরিধান করতে পারে না। কারণ তাদের উদ্দেশ্য নারীদের কল্যাণকামিতা নয় বরং অমুসলিমদের মত মুসলিম নারীদেরও হায়া নষ্ট করে দেওয়া। উলামাগন তাই এসব অনাচারের বিরুদ্ধে মুসলিমদেরকে ঐক্যবদ্ধ আন্দলন গড়ে তুলতে বলেছেন।
তথ্যসূত্র:
———
1. Muslim girls face trouble at NEET examination centres in Kota, Washim for wearing hijabs
– https://tinyurl.com/mr3kt2yn
হিন্দুত্ববাদী ভারতের কথিত গণতন্ত্রের মুখোশধারীরা এখনো ব্যক্তি-স্বাধীনতার কথা বললেও, মুসলিমদের ক্ষেত্রে তারা প্রতিটি বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে। ইসলামের অন্যান্য বিধানের মত হিজাবের ক্ষেত্রে তাদের বিদ্বেষ চোখে পরার মত। এবার মুসলিম মেয়েরা হিজাব পরার কারণে কোটা, ওয়াশিমের (NEET) এনইইটি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী পুলিশ।
গত ১৬ জুলাই রবিবার রাজস্থানের কোটা এবং মহারাষ্ট্রের ওয়াশিমে ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি এন্ট্রান্স টেস্ট (এনইইটি) ২০২২ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যাওয়া বেশ কয়েকজন মুসলিম ছাত্রী হিজাব পরার কারণে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। কোটায় মুসলিম ছাত্রীদের মোদি কলেজের প্রবেশপথে থামিয়ে তাদের হিজাব খুলে ফেলতে বলা হয়। এতে কেন্দ্রের বাইরে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করে। পুলিশ সেখান থেকেও ধাওয়া করতে থাকে।
এক পর্যায়ে পর্যবেক্ষককে ডাকা হয় এবং শিক্ষার্থীদের একটি লিখিত আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করার হয়রানির পর প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
এদিকে, ওয়াশিমের বেশ কয়েকজন মুসলিম শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা দেওয়ার আগে তাদের হিজাব খুলে ফেলতে বাধ্য করেছে হিন্দুত্ববাদী পুলিশ। ইরাম মোহাম্মদ জাকির এবং আরিবা সামান আজহার হুসেন সহ প্রায় ছয়জন শিক্ষার্থী প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের দুর্ব্যবহার এবং তাদের হিজাব খুলে ফেলতে বাধ্য করার কথা জানিয়েছেন। মাতোশ্রী শান্তাবাই গোটে কলেজ মহাবিদ্যালয়ের পরীক্ষার হল থেকে শিক্ষার্থীদের ডেকে নিয়ে জোর করে তাদের হিজাব খুলে ফেলা হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয় মুসলিমরা ক্ষুব্ধ হয় এবং ক্যাম্পাসের বাইরে বিশাল জনতা জড়ো হয়। তাদের সরাতে কলেজের বাইরে বিশাল ফোর্স নিয়োগ করে হিন্দুত্ববাদী পুলিশ সুপার।
(NEET)এনইইটির ড্রেস কোড
ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির অফিসিয়াল নির্দেশিকা অনুসারে, প্রার্থীদের নৈমিত্তিক এবং আবহাওয়া-উপযুক্ত পোশাক পরতে পরামর্শ দেওয়া হয়। পেষাকের ব্যাপারে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। তারা শুধু ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষের কারণের হয়রানি করেছে। হিন্দুত্ববাদীদের এমন বিদ্বেষের কারণেই অনেক মুসলিম শিক্ষার্থী লেখাপড়া এবং পরীক্ষা দেওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এক্ষেত্রে কথিত সুশীলরা, মিডিয়া কিংবা নারীবাদীরা কোন কথা বলে না। তারা পড়ে আছে আফগান নারীদের নিয়ে যে, তারা স্বাধীনভাবে চলতে পারে না কিংবা পোষাক পরিধান করতে পারে না। কারণ তাদের উদ্দেশ্য নারীদের কল্যাণকামিতা নয় বরং অমুসলিমদের মত মুসলিম নারীদেরও হায়া নষ্ট করে দেওয়া। উলামাগন তাই এসব অনাচারের বিরুদ্ধে মুসলিমদেরকে ঐক্যবদ্ধ আন্দলন গড়ে তুলতে বলেছেন।
তথ্যসূত্র:
———
1. Muslim girls face trouble at NEET examination centres in Kota, Washim for wearing hijabs
– https://tinyurl.com/mr3kt2yn
Comment