Announcement

Collapse
No announcement yet.

মহিউদ্দিন রনির ৬ দফা, বিদ্যুৎ সমস্যা ও রিজার্ভ ঘাটতি : সমাধান কোন পথে?

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মহিউদ্দিন রনির ৬ দফা, বিদ্যুৎ সমস্যা ও রিজার্ভ ঘাটতি : সমাধান কোন পথে?

    মহিউদ্দিন রনির ৬ দফা, বিদ্যুৎ সমস্যা ও রিজার্ভ ঘাটতি : সমাধান কোন পথে?


    বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি দূর করা, সহজে টিকেট পাওয়া আর সেবা বৃদ্ধির দাবিতে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করে আসছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। কমলাপুরে রেল স্টেশনে অবস্থান নিয়ে তিনি এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন।

    রেলের টিকিট কিনে নিজে বিড়ম্বনায় পরার পর এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তিনি মনে করেন শুধু তিনিই নয় অসংখ্য মানুষ প্রতিনিয়তই পোহাতে হচ্ছে এ সমস্যা। তিনি জানান, রেল আমাদের জাতীয় সম্পদ। প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকা সেখানে ভর্তুকি দেয়া হয়। কিন্তু মানুষ রেলে ভ্রমণ করতে গিয়ে সেবা তো দূরের কথা, নানারকম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এজন্যই তিনি ছয় দফা দাবি তুলে ধরেছেন:

    ১। টিকেট ব্যবস্থাপনায় হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে, হয়রানির ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
    ২। যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে টিকেটের কালোবাজারি বন্ধ করতে হবো।
    ৩। অনলাইন কোটায় টিকেট ব্লক করা বা বুক করা বন্ধ করতে হবে। অনলাইন বা অফলাইনে সবার সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
    ৪। যাত্রী চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে রেলের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা নিতে হবে।
    ৫। রেলের টিকেট পরীক্ষক ও তত্ত্বাবধায়কসহ দায়িত্বশীলদের সার্বক্ষণিক নজরদারির মধ্যে আনতে হবে এবং রেলের সেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে।
    ৬। রেলে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটারি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

    এ দায়িত্ব পালন কিন্তু তার পক্ষে খুব সহজসাধ্য বিষয়ের মধ্যে নেই। পুলিশ তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে স্টেশন থেকে বিতাড়িত করেছে। সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এমনকি আজকে তাকে একদল সন্ত্রাসী বিভিন্নভাবে প্রশ্নের মুখোমুখি করে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। দীর্ঘ ১৪ দিন ধরে তিনি রেল স্টেশনে গণমানুষের দাবি আদায়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। এরপরও সরকার তার দাবি পূরণ করছে না। এমনকি দাবি পূরণের ইঙ্গিত পর্যন্ত দিচ্ছে না। সরকার যদি তার দাবি আদায়ের কথা স্বীকার করেও নেয়। তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়, কথিত গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় দাবি পূরণ করা কী সম্ভব?

    লোডশেডিং নিয়ে ব্যাপক কথা হচ্ছে দেশে। দেশের বিদ্যুৎ বিভাগে দুর্নীতির কথা সবারই জানা। সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হওয়া মন্ত্রণালয়ের একটি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। কোটি কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ মেরে খাচ্ছেন এমপি-মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

    এ দেশের দুর্নীতিবাজ শাসকগোষ্ঠীর কথা সবারই জানা। খালেদা জিয়ার সরকার দূর্নীতিতে কয়েকবার চ্যাম্পিয়ন হয়। আর হাসিনা সরকারের দূর্নীতি বলাই বাহুল্য। চট্টগ্রামে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণে উন্নয়ন প্রস্তাবনায় ৭৫০ টাকা মূল্যের প্রতিটি বালিশ ক্রয়ের ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছিল ২৭ হাজার ৭২০ টাকা। আর প্রতিটি বালিশের কভারের দাম ধরা হয়েছে ২৮ হাজার টাকা। রোগীকে আড়াল করতে একটি সেট পর্দার দাম ধরা হয়েছিল ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা!

    রিজার্ভ নিয়ে কথা হচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা জানাচ্ছেন, বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিপদজনক মাত্রায় চলে গেছে। বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় দুই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মত ৪০ বিলিয়ন বা চার হাজার কোটি ডলারের নিচে নেমে এসেছে। দূর্নীতিবাজ শাসকগোষ্ঠী মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে তাকা পাচার করতে করতে দেশকে আজ এ অবস্থায় এনেছে।

    মানুষের অধিকার রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। এই প্রতিশ্রুতি দিয়েই ক্ষমতায় এসে থাকে গণতান্ত্রিক দলগুলো। কিন্তু ক্ষমতায় এসে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার কোন নজির স্থাপন করতে পারেনি গণতান্ত্রিক দলগুলো। এমনকি পৃথিবীর একটি দেশেও দূর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র গঠন করতে পারেনি কথিত এই গণতন্ত্র।

    গণতান্ত্রিক দেশে বিরোধী দলগুলো বরাবরই বলে থাকে যে, ক্ষমতাসীন সরকার দেশ চালাতে ব্যর্থ হয়েছে। আবার বিরোধী দল ক্ষমতায় আসলে ক্ষমতাহীন দল বলে থাকে এ সরকার ব্যর্থ। সরকার যতই পরিবর্তন হোক দুর্নীতি ও ঘুণে ধরা সিস্টেমের কোন পরিবর্তন হয়না। মূলত সরকার বা বিরোধী দল ব্যর্থ হয়নি, ব্যর্থ হয়েছে ধোঁকাবাজির ধার করা পশ্চিমা গণতন্ত্র।

    মুসলিম জাতির সাথে একবিংশ শতাব্দীতে সবচেয়ে বড় ধোঁকা বস্তাপঁচা এই পশ্চিমা গণতন্ত্র। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, যতদিন ইসলামি শাসনব্যবস্থা ছিল ততদিন পৃথিবীর মানুষ শান্তিতে ছিল। তখন দুর্নীতির কথা ঘুনাক্ষরেও চিন্তা করতো না সাধারণ মানুষ।

    শুধুমাত্র বাংলাদেশই নয়, গোটা পৃথিবীই ভরে গেছে দুর্নীতিবাজ শাসকগোষ্ঠীতে। এখন সময় এসেছে এইসব গণতান্ত্রিক পথ পরিহার করে সুশীতল ইসলামি শরিয়াহ ব্যাবস্থা ফিরিয়ে আনার। যা মানুষকে দিবে শান্তি-সমৃদ্ধি ও নিরাপদ জীবনব্যবস্থা।


    লেখক : ইউসুফ আল-হাসান


    তথ্যসূত্র :

    ১। মহিউদ্দিন রনির দাবি নিয়ে কী ভাবছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ?-
    https://tinyurl.com/2p8mc28c
    ২। সরকারি কেনাকাটায় শুধুই অনিয়ম-
    https://tinyurl.com/3n5apesf
    ৩। রিজার্ভ নিয়ে কতটা সংকটে বাংলাদেশ, পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে?-
    https://tinyurl.com/4uchfp5f
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    গনতন্ত্রের আরেকটি সমস্যা হল এই যে সেখানে শুধু সিস্টেমএর গুরুত্ব দেওয়া হয় ব্যক্তির গুনাবলী এবং গ্রহনযোগ্যতার কোন মূল্য দেওয়া হয় না ফলে অসৎ লোকেরা তাদের অসৎ চতুরতার মাধ্যমে এখানে এগিয়ে যায় এবং সৎ লোকরা তাদের সৎ গুনাবলির কারলে এখানে কোন অসৎ চতুরতা অবলম্বন করতে পারে না তাই তারা পিছিয়ে থাকে।
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment


    • #3

      أَكْثَرُ النَّاسِ لَا يَشْكُرُوْنَ
      অধিকাংশ মানুষ শোকরিয়া আদায় করে না।

      أَكْثَرُ النَّاسِ لَا يَعْلَمُوْنَ
      অধিকাংশ মানুষ জানে না।

      أَكْثَرُ النَّاسِ لَا يُؤْمِنُوْنَ
      অধিকাংশ মানুষ ঈমান আনে না।
      হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

      Comment

      Working...
      X