Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ২৪শে যিলহজ্ব, ১৪৪৩ হিজরি।। ২৪শে জুলাই, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ২৪শে যিলহজ্ব, ১৪৪৩ হিজরি।। ২৪শে জুলাই, ২০২২ ঈসায়ী।

    জেরুজালেমে ফিলিস্তিনি নারীকে অপমান, আরবজাতিকে জারজ সন্তান বলে গালি


    মুসলিমদের এবং মানবজাতির চরম শত্রু ইহুদীরা এবার একজন মুসলিম ফিলিস্তিনি নারীকে প্রকাশ্যে অপমান করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে দখলকৃত ফিলিস্তিনের জাফা রাস্তার ট্রাম স্টেশনে। উক্ত ঘটনার ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হবার পর মুসলিমদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

    ভিডিওটিতে দেখা যায়, কিছু ইহুদী তরুণ ইহুদী জাতিকে “প্রণয়ী” হিসেবে এবং আরব জাতিকে “জারজ” হিসেবে অভিহিত করে স্লোগান দিচ্ছে। সেখানে আরও দেখা যায় যে এক ইহুদি একজন মুসলিম নারীকে অকথ্য ভাষায় গালি দিচ্ছে। পুরো ঘটনাটি আবার তারা নিজেদের ফোনে ধারণ করছে।

    মানবজাতির শত্রু ইহুদিদের এই কাজ অবশ্য বেশ পুরনো। বহু বছর ধরেই তারা পথে-ঘাটে, রেস্তোরাঁয়, কিংবা যেকোন জায়গায় যখন তখন ফিলিস্তিনি মুসলিমদের সম্মানহানি করে আসছে। কথিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বা অমুসলিম জাতিসঙ্ঘ ফিলিস্তিনি মুসলিমদের উপরে ইহুদি নির্যাতনের ব্যাপারে বরাবরই নীরব। তাই ইহুদিরা ভেবে নিয়েছে যা তারা এই অসহায় মুসলিমদের সাথে যা ইচ্ছা তেমন আচরন করতে পারবে, যাকে খুশি মারতে পারবে, যাকে ইচ্ছা সম্মান বা স্লিলতা হানী করতে পারবে- তাদের কিছুই হবে না।

    মুসলিম বিশেষজ্ঞগণ বলছেন যে, ফিলিস্তিনি মুসলিমদের প্রতি মুসলিমদের চরম শত্রু ইহুদিদের এরূপ আচরণের পরেও আজ আরব বিশ্ব ইজরাইলের সাথে নিজেদের সম্পর্ক নরম করছে। এতেই বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয় যে, বর্তমান আরব বিশ্বের নেতারা মূলত মুসলিমদের নয় বরং পশ্চিমা এবং ইহুদিদেরই দেশীয় এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই মুসলিমদের উচিত পশ্চিমা এবং ইহুদিদের এসব দেশীয় এজেন্টদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং সেই সাথে নিজেদের মাঝে ঐক্য স্থাপন করা।


    তথ্যসূত্র :
    ———
    1. “A Jew is a sweetheart but any Arab is a son of a bi***!”
    https://tinyurl.com/487ecyuw


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    জম্মুর মুসলিম এলাকাগুলোর নাম পরিবর্তনের মিশনে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সরকার


    হিন্দুত্ববাদী ভারতের ক্ষমতাসীন দল দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোর নাম পরিবর্তন করে জাম্মু ও কাশ্মীরে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করার মিশনে এগিয়ে নিচ্ছে। এই বছরের জুনে জম্মু মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন জম্মুর শেখ নগরকে শিব নগর নামে পরিবর্তন করার জন্য একটি প্রস্তাব পাস করেছে এবং সাথে আম্ফাল্লা চকের নাম পরিবর্তন করে হনুমান চক রাখার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

    উগ্র বিজেপির কাউন্সিলর শারদা কুমারী উক্ত প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছে। এই শারদার মতে, “এই এলাকায় শিব মন্দির রয়েছে এবং জনগণও চায় যে এর নাম পরিবর্তিত হোক। তাই আমরা শেখ নগরের নাম পরিবর্তন করে শিব নগর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের প্রস্তাবটি হাউসে পাস হয়েছে।”

    সে আরও জানায় “প্রস্তাবটি এখন অনুমোদনের জন্য জম্মু ও কাশ্মীরের সিভিল সেক্রেটারিয়েটে পাঠানো হবে।”

    ২০২০ সালে, এই হিন্দুত্ববাদীরা ঐতিহাসিক সিটি স্কয়ারের নাম পরিবর্তন করে ভারত মাতা চক, পাঞ্জথিরথির নাম পরিবর্তন করে অটল জি চক এবং নারওয়াল স্কয়ারের নাম পরিবর্তন করে রাজা মান্ডলিক চক রাখা হয়। অবশ্য হিন্দুত্ববাদীদের এই নাম পরিবর্তনের ঘৃণ্য রাজনীতি চালু হয়েছে ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর থেকেই।

    উক্ত নাম পরিবর্তনের মিশনটি গনতন্ত্রপন্থীরা আগামী ২০২৪ সালের নির্বাচনের জন্য মনে করলেও ইসলামপন্থী বিশেষজ্ঞগণ মনে করছেন ভিন্ন কথা। তাঁদের মতে, এই হিন্দুত্ববাদীরা নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশ থেকে ইসলাম ও মুসলিমদের সকল নাম ও নিশানা মুছে দিতে চায়। এবং সেই সাথে দেশে হিন্দুত্ববাদের গোড়াপত্তন করতে চায়।

    উল্লেখ্য যে, ২০১৯ সালের আগস্ট মাস থেকে এখন পর্যন্ত হিন্দুত্ববাদী ভারতের ক্ষমতাসীন দল গোটা কাশ্মীরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। সেখানকার মুসলিমদেরকে সকল প্রকার মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করে আসছে। গুম, খুন, হয়রানি, ধর্ষণ, আটক এর মতো অপরাধের সাথে সাথে মুসলিম লোকালয়ের নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে তাঁদের আবেগে আঘাত করার ঘৃণ্য রাজনীতিতেও মেতে উঠেছে তারা।

    এত কিছুর পরও জাতিসংঘ নামক সংস্থা নিরব ভূমিকা পালন করে ভারতকে সমর্থন করে যাচ্ছে। তাই মুসলিম উলামারা কাশ্মীরের জন্য মুসলিম বিশ্বকে কোন সেক্যুলার সংস্থার অপেক্ষা না করে বরং নিজেদেরই এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন।


    তথ্যসূত্র :
    ———
    1. BJP-led Jammu admin renames Muslim localities, opposition leaders protest
    https://tinyurl.com/2p84yh2a

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      উত্তরপ্রদেশে তুচ্ছ কারণে বিজেপি নেতা ও গুণ্ডাদের হাতে মুসলিম ক্যাব চালক খুন



      উত্তরপ্রদেশে লাখিমপুর খেরির বাসিন্দা ২৮ বছর বয়সী আকিল আহমেদ। একটি সুইং রাইডের সামান্য কারণে জেলা পর্যায়ের এক হিন্দুত্ববাদী বিজেপি নেতা অনুপ শুক্লা সহ চারজন গুণ্ডা তাকে পিটিয়ে খুন করেছে।

      গত ১৯ জুলাই লাখিমপুর খেরিতে একটি জনাকীর্ণ মেলার মাঠে ক্যাব চালক মুসলিম যুবক আকিল আহমেদকে পিটিয়ে খুন করা হয়। খুনি জেলা-স্তরের বিজেপি নেতা এবং তিন সহযোগীকে লোক দেখানোর জন্য গ্রেপ্তার করলেও তাদের নামে খুনের মামলা দেয়নি হিন্দুত্ববাদী পুলিশ। ফলে দেখা যাবে কয়েকদিনের মধ্যেই তারা জেল থেকে বেরিয়ে অন্যান্য মুসলিমদের উপর আগের চেয়ে ক্ষিপ্ততার সাথে হামলা চালাবে। এমনটাই হয়ে আসছে।

      আকিলের আত্মীয় এবং প্রতিবেশীরা, গত ২০শে জুলাই বুধবারের গ্রেপ্তারের পরে একটি প্রতিবাদ সভা করে, সেখানে তারা খুনের আসামিদের দুই বছরেরও কম শাস্তি দেওয়ার কারণে হিন্দুত্ববাদী পুলিশের পক্ষপাতিত্ব করার কথা জানান।

      হিন্দুত্ববাদী অনুপ শুক্লা, প্রাক্তন বিজেপি জেলা সহ-সভাপতি এবং বর্তমানে জেলা সমবায় ফেডারেশনের চেয়ারম্যান – যেটি সরকারকে কৃষি এবং অন্যান্য বিষয়ে পরামর্শ দেয়।

      মুসলিমদের পিঠিয়ে খুন করলেও তাদের নামেমাত্র বিচার বা কোন বিচার হবে না। কারণ কথিত বিচার ব্যবস্থার চেয়ার দখল করে আছে এই হিন্দুত্ববাদীরাই। তাই মুসলিমদের জান মাল মুসলিমদেরকেই রক্ষা করার সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্ববান জানিয়েছেন উম্মাহ দরদী উলামায়ে কেরাম।


      তথ্যসূত্র :
      ——–
      1. BJP leader arrested after cab driver lynching in Lakhimpur Kheri
      https://tinyurl.com/2d9ycvx2
      https://tinyurl.com/39m7dvt7

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        বাজারের খোলা জায়গায় নামাজ আদায় করায় গ্রেফতার ৮ মুসলিম




        ভারতে মুসলিমদের ভাগ্যে দুর্যোগের ঘনঘটা দিন দিন গভীর থেকে গভীর হচ্ছে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের লখনৌতে একটি শপিংমলে নামাজ আদায়ের কারণে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৪ জন মুসলিম যুবককে। এমন ঘটনা আবারো পুনরাবৃত্তি ঘটছে ভারতের উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে। সেখানে সাপ্তাহিক বাজারের খোলা মাঠে নামাজ আদায়ের কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে ৮ জন মুসলিম যুবককে।

        হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় পুলিশ সুপার স্বাধীন কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিজাম (২২), নাসিম (৫২), সাজ্জাদ আহমদ (৫০), মুরসালিন (৩৮), আশরাফ (৪৮), আসগর (৩৭), মুস্তফা (৩৫) এবং ইকরাম (৪৭) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা যায়, ঐদিন তারা মাগরিবের নামাজ আদায় করছিলেন। উক্ত সময় তাদের ভারতীয় ফৌজদারি কার্যবিধি ১৫১ ধারায় (যেকোনো অপরাধ করার জন্য পরিকল্পনা) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

        হিন্দুত্ববাদী ভারত দীর্ঘদিন নিজেদেরকে তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতান্ত্রের আড়ালে লুকিয়ে মুসলিমদের গণহারে হত্যা করে হিন্দুত্ববাদী রাম রাজত্ব প্রতিষ্ঠার সকল নকশা বাস্তবায়ন করেছে, আর এখন তারা নিজেদের আসল রূপেই আবির্ভূত হয়েছে। এজন্যই তারা নামাজ, কোরবানি ও ইসলামি বিধি নিষেধের উপর জারি করছে নিষেধাজ্ঞা।গণহত্যার উপর আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা ইতিপূর্বেই ভারতে মুসলিমদের উপর আসন্ন গণহত্যা সম্পর্কে সতর্কবার্তা দিয়েছে।

        এছাড়াও অচিরেই ভারতের মুসলিমরা পূর্ব-তুর্কিস্তানের উইঘুর জাতীর ভাগ্য বরণ করতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।এরপরও তথাকথিত সুশীল ও মানবাধিকার সংস্থা বা জাতিসংঘ এ ঘটনায় চুপ। যদিও কথিত জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ইসলাম ও মুসলিম বিরোধী কার্যক্রম সম্পর্কে সবারই জানা। তবু এখনও কিছু কিছু মুসলিম জাতিসংঘের সমাধানের উপর নির্ভর করে বসে আছে; তাদেরকে দিবাস্বপ্ন ছেড়ে নিজেদের রক্ষায় প্রস্তুত হতে বলেছেন ইসলামি চিন্তাবীদগণ।


        তথ্যসূত্র:
        ——–
        1. Haridwar: Eight Arrested for Offering ‘Namaz’ in Public-
        https://tinyurl.com/2p9bxemc






        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5






          [89] وَدّوا لَو تَكفُرونَ كَما كَفَروا فَتَكونونَ سَواءً ۖ فَلا تَتَّخِذوا مِنهُم أَولِياءَ حَتّىٰ يُهاجِروا فى سَبيلِ اللَّهِ ۚ فَإِن تَوَلَّوا فَخُذوهُم وَاقتُلوهُم حَيثُ وَجَدتُموهُم ۖ وَلا تَتَّخِذوا مِنهُم وَلِيًّا وَلا نَصيرًا
          [89] তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও। অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে আসে। অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না।( এখানে মূলত জাতিসংঘ চাচ্ছে যে আমরাও হিন্দু এবং জাতিসংঘের মত কূফরি করে আমরা। আমাদের মানবাধিকার অর্জন করে নেই। তারা আমাদের ইসলামকে পরিত্যাগ করানোর মাধ্যমে সুযোগ সুবিধা দিতে চায় । তাদের কাছে ইসলাম ধর্মের কোন মূল্য নেই তাদের সমস্যা একমাত্র ইসলামকে নিয়ে আমরা ইসলামকে বিসর্জন দিলেই তারা আমাদেরকে সকল সুযোগ সুবিধা দিবে। কিন্তু আমরা ইসলামকে বিসর্জন দিতে রাজি নই তাই আমরা তাদের কোন সুবিধা গ্রহনে প্রত্যাশী নই।
          পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

          Comment

          Working...
          X