Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ২৯শে যিলহজ্ব, ১৪৪৩ হিজরি।। ২৯শে জুলাই, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ২৯শে যিলহজ্ব, ১৪৪৩ হিজরি।। ২৯শে জুলাই, ২০২২ ঈসায়ী।

    বাকস্বাধীনতার ডাবল-স্ট্যান্ডার্ড : ফিলিস্তিনি মুসলিমদের আইডি ও পোস্টগুলোতে সোশ্যাল প্লাটফর্মগুলোর অন্যায় হস্তক্ষেপ



    হোয়াইট সোশ্যাল সেন্টার নামক একটি ফিলিস্তিনি সংস্থা সোশ্যাল মিডিয়া পর্যবেক্ষণ ও অধিকার নিয়ে কাজ করে থাকে। এটি ফিলিস্তিনি নাগরিকদের সোশ্যাল মিডিয়া কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছেন যে, সোশ্যাল প্লাটফর্মগুলো ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ব্যবহৃত আইডি ও পেইজগুলোতে অন্যায়ভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। এবং চলতি বছর মে মাসের মধ্যে অন্তত ১৩২ বার ফিলিস্তিনিদের আইডিগুলোতে হস্তক্ষেপ করেছে।

    সংস্থাটির পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট বলছে, ফিলিস্তিনি আইডিগুলোতে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে মেটা(ফেইসবুক) কর্তৃপক্ষ। যার কারণে পোস্ট করা, পোস্টের কাছে পৌঁছানো এবং ফিলিস্তিন সম্পর্কিত সংবাদ পোস্ট করতে পারছেন না ফিলিস্তিনিরা।

    অবাক করা বিষয় হচ্ছে, দখলদার ইসরাইলি কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিদের নাম মেটা কর্তৃপক্ষ বিপদজনক ব্যাক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করে রেখেছে। যার মধ্যে ইসরাইলি কারাগার থেকে পালাতে সক্ষম হওয়া ছয় জনের একজন জাকারিয়া আল জুবাইদির নামও অন্তর্ভুক্ত। ফলে যারাই তার নাম অনুসন্ধান করছে তাদেরকে ফেইসবুক সতর্কতা জারি করেছে।

    এছাড়াও, ফেইসবুক বেশ কিছু ফিলিস্তিনি ব্যক্তি এবং সংস্থাকে বিপজ্জনক হিসাবে কাল তালিকাভুক্ত করে রেখেছে। সে সকল ফিলিস্তিনিরা তেল আবিবে ইহুদিদের উপর হামলা এবং আল-জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলের অন্তেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে ইসরাইলি সেনাদের হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ছবি, ভিডিও ও লেখা শেয়ার করেছিল, সেসব পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছে ফেইসবুক।

    কথিত সন্ত্রাসবাদ দমনের নামে সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদ মাধ্যমের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করে রাখা ইসরাইলি নেসেটের (সংসদ) আইন পুরোপুরি মেনে চলে ফেইসবুক। ফিলিস্তিনিদের নির্যাতন ও আগ্রাসন ধামাচাপা দিতে ফেইসবুক বার বারই এ আইন ব্যবহার করে ফিলিস্তিনিদের পোস্টগুলোতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এ আইনের লক্ষ্য হল ফিলিস্তিন সমর্থনকারী সোশ্যাল প্লাটফর্ম ও মিডিয়াকে কন্ঠরোধ করা। যাতে করে ইসরাইলি আগ্রাসন বহির্বিশ্বের কাছে পৌঁছতে না পারে। এবং ইসরাইলের আগ্রাসন ধামাচাপা দিতে পারে।

    সংস্থাটি আরও জানিয়েছে যে, ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যমগুলো নিয়মিতই বিধিনিষেধের সম্মুখিন হচ্ছে। বিশেষ করে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যায় এমন যে কোন পোস্ট হলেই বিধিনিষেধের অযুহাতে বাধা সৃষ্টি করা হয়। এরমধ্যে শুধু মে মাসেই গণমাধ্যম, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীসহ মোট ৬৪টি আইডিতে বিধিনিষেধের অযুহাতে পোস্টে হস্তক্ষেপ করেছে সোশ্যাল প্লাটফর্মগুলো। যা মোট হস্তক্ষেপের মধ্যে ৪৮%।

    ২০২২ সালে মে মাস অবধি সাংবাদিক ও গণমাধ্যমে যতগুলো হস্তক্ষেপ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে তারমধ্যে ফেসবুক ৭০টি, টুইটার ৫টি, ইনস্টাগ্রাম ৮টি, ইউটিউব ১৩টি,হোয়াটসঅ্যাপ ৪২টি, টিকটক ৫টি এবং ক্লাবহাউস ১টি। এছাড়াও ২০২১ সালে মোট ১৫৯৩টি মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি। যার মধ্যে ১৭৪টি ইনস্টাগ্রামে, ১৬টি ইউটিউবে, ৮৫৩টি ফেসবুকে এবং ৪৪৫টি টুইটারে। অন্যদিকে ২০২০ সালেও ১২০০টি অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে ২৫টি ইনস্টাগ্রামে, ১০টি ইউটিউবে, ৮০১টি ফেসবুকে এবং ২৭৬টি টুইটারে।

    বর্তমান ইসলাম বিরোধী বিশ্ব ব্যবস্থায় শুধুমাত্র ফিলিস্তিনই নয়। সারা বিশ্বের যেখানেই যারাই ইসলাম ও মুসলিমদের পক্ষে আওয়াজ তুলছেন, তাদেরই কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। হোক সেটা সোশ্যাল প্লাটফর্মে কিংবা অন্যান্য মাধ্যমে। সবখানেই কথিত মৌলবাদীদের উসকানি দেয়ার কারণে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। এ অবস্থায় মুসলিম জাতিকে এসব সামাজিক মাধ্যমের উপর নিরভর না করতে, এবং মুসলিম জাতির সত্যাসত্য খবরাখবর জানতে ও জানাতে মুজাহিদদের পরিচালিত বিভিন্ন সাইট ও মিডিয়ার দিকে ঝুঁকতে পরামরশ দিয়েছেন হকপন্থী উলামায়ে কেরাম।


    তথ্যসূত্র:
    _____
    1. NGO: 132 violations against Palestinian content on Social Media platforms in May-
    https://tinyurl.com/4fv3rj2d

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    আবারো শরিয়াতে হালাল বিয়ে বন্ধ করলো দালাল পুলিশ, অবিভাবককে কারাদণ্ড



    বারাবরই ইসলামি শরিয়াতের উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করে মুসলিমদের বৈধ বিয়েকে ভেঙে দিচ্ছে দালাল প্রশাসন। এর-ই ধারাবাহিকতায় এবার যশোরের চৌগাছায় সীমান্তবর্তী আন্দুলিয়া গ্রামে ইসলামি শরিয়াত অনুযায়ী বৈধ বিয়েকে ভেঙে দিয়েছে দালাল প্রশাসন। শুধু বিয়ে ভেঙে দিয়ে শেষ নয়, পিতার অবর্তমানে কনের দায়িত্ব নেয়া বৃদ্ধ নানাকে দেয়া হয়েছে ৯ মাসের কারাদণ্ড।

    জানা যায়, আজ শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরে আন্দুলিয়া গ্রামে যুবতী মেয়ের বিয়ের আয়োজন করা হয়। কনের ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়ার অযুহাতে চৌগাছা উপজেলা হিন্দুত্ববাদী সহকারী ভূমি কর্মকর্তা গুঞ্জন বিশ্বাস এ সময় পুলিশের একটি টিম নিয়ে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বিয়েটি বন্ধ করে দেয়। এ সময় পুলিশ দেখে বরপক্ষ পালিয়ে যায়। এ সুযোগে হিন্দুত্ববাদী ভূমি কর্মকর্তা পরিবারকে শাসিয়ে সতর্ক করে এবং মেয়ের ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না বলে মুচলেকা নেয়।

    কনের বাবা প্রবাসে থাকায় তার নানা লিয়াকত আলী এ বিয়ের আয়োজন করেছিল। বাল্যবিবাহ আয়োজন করায় তাকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর ৮ ধারায় ৯ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

    গাদ্দার প্রশাসন কথিত রাষ্ট্রীয় আইনের অযুহাতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে। অথচ বিপরীতে কোন হিন্দু বা খ্রিস্টানদের ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোন নজির নেই বাংলাদেশে। শুধুমাত্র মুসলিমদের ক্ষেত্রে যত রাষ্ট্রীয় আইনের অযুহাত দেখানো হয়।

    মূলত হিন্দুত্ববাদী ভারত ও পশ্চিমাদের খুশি করতেই ইসলামি শরিয়তের উপর হস্তক্ষেপ করছে দালাল সরকার। ভারত ও পশ্চিমারা চায় যেন মুসলিমদের সংখ্যা বৃদ্ধি না হয়। এজন্যই তারা মুসলিমদের হালাল বিয়েতে হস্তক্ষেপ করছে। কেননা ভারত ও পশ্চিমারা প্রায়ই এ দেশের জনসংখ্যা নিয়ে কথিত আশংকা প্রকাশ করে থাকে। এবং দালাল সরকারকে বাধ্য করে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে। এমনকি যারাই সন্তান না নিতে বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করে, তাদেরকে সরকার প্রনোদনা হিসেবে লুঙ্গি, শাড়ি ও নগদ অর্থ দিয়ে থাকে। আর এসব অর্থ সরবরাহকারী সংস্থার বেশিরভাগই পশ্চিমা বিশ্বের।

    তাছাড়া মুসলিমদের সঠিক সময়ে বিয়ে করা ও জনসংখ্যা কমাতে বাল্য বিয়ের নামে নানান ‘মিথ’ তৈরি করেছে পশ্চিমা দাজ্জালি সভ্যতার ধারকরা। তারা প্রচার করে থাকে যে, মেয়েদের আগে বিয়ে হলে বা আগে বাচ্চা হলে নাকি নানান শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। অথচ আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে যে ২৫-এর পরে যে নারীরা প্রথম গর্ভধারণ করে, তারাই বিভিন্ন জটিলতার সম্মুখিন হয়। এমনকি বিশেষজ্ঞরা এটাও নিশ্চিত করেছেন যে, বাচ্চা প্রসব একজন নারীর শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতায় পূর্ণতা দান করে। তাহলে তো সেটা তারাতারি হওয়াই ভাল, এক্ষেত্রে অকারণে দেরি করা কি যৌক্তিক?

    গাদ্দার প্রশাসন বাল্য বিয়ে নামকরণ করে হালাল বিয়েগুলো ভেঙ্গে দিলেও, বাল্য প্রেম বা অবৈধ সম্পর্ক রোধে কোন ব্যবস্থা নেয় না। কোন মেয়ে যখন প্রেমিকের সাথে পার্কে যায়, বা ডেটিংয়ের নামে অবৈধ কাজে জড়িয়ে পড়ে, তখন তারাই আবার ব্যক্তি স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে থাকে। তাহলে আল্লাহর হালালকৃত বিয়ের ক্ষেত্রে তাদের কথিত ব্যক্তি স্বাধীনতা কোথায়। এজন্য উলামায়ে কেরাম অনেকদিন থেকেই এসব অবৈধ কাজকর্মের বিরুদ্ধে এবং সরকার ও প্রশাসনের এমন ইসলামবিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহব্বান জানিয়ে আসছেন।


    তথ্যসূত্র:
    ——–
    ১। বাল্যবিবাহ বন্ধ করল প্রশাসন
    https://tinyurl.com/2mtydezn

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মুসলিমদের ক্ষেত্রে তাদের কোন মানবাধিকারের দোহাই নেই এবং বাকস্বাধীনতার কোন প্রশ্ন নেই। আর এর বাহিরে তাদের সকল অধিকারের দোহাই আছে এর অর্থ দাঁড়ায় তাদের দৃষ্টিতে মুসলিমরা মানুষের খাতায় নেই। মূলত তারাই হল চির অপরাধী যারা অনন্ত কাল জাহান্নামে শাস্তি ভোগ করবে।
      পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

      Comment

      Working...
      X