Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ০৪ঠা মুহাররম ১৪৪৪ হিজরী।। ০৩রা আগস্ট ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ০৪ঠা মুহাররম ১৪৪৪ হিজরী।। ০৩রা আগস্ট ২০২২ ঈসায়ী।

    ইসলাম শিক্ষা পাঠকে ’শিক্ষা জিহাদ’ আখ্যা দিয়ে হিন্দুত্ববাদীদের এফআইআর


    হিন্দুত্ববাদী ভারতে মুসলিমরা ইসলামের বিধিবিধান পালন করতে গিয়ে নানাভাবে হিন্দুদের বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছেন। হয়রানি, হেনেস্থা এমনকি হতাহতের ঘটনাও ঘটাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা।

    এবার তারা মুসলিম শিক্ষার্থীদের ইসলামিক বিধি শিখাকে শিক্ষা জিহাদ ট্যাগ লাগিয়েছে। কিছু দিন পরপরই হিন্দুত্ববাদীরা অবান্তর উদ্ভট বিষয়কে জিহাদ হিসেবে ট্যাগ লাগিয়ে মুসলিমদের হয়রানি করে।

    কানপুরের ফ্লোরেটস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পরিচালকদের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশ হিন্দুত্ববাদী পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা 295A এবং ইউপি প্রহিবিশন অফ লফুল কনভার্সন অফ রিলিজিয়ন অ্যাক্ট 2021-এর ধারা 5(1) এর অধীনে মামলা করেছে। তার কারণ হিসেবে তারা বলেছে- এ স্কুলে বহু ধর্মের উপাসনার অংশ হিসেবে ইসলামিক প্রার্থনার পাঠ শিক্ষা দেওয়া হয়। এ নিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মত কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী দল পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। হিন্দুত্ববাদী কর্মীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের জেরে টানা কয়েক দিনের মতো স্কুল বন্ধ ছিল। তাদের দাবি ইসলাম ধর্মের কোন কিছু শিক্ষা দেওয়া যাবে না।

    সিসমউ থানায় জমা দেওয়া অভিযোগে উগ্র হিন্দুরা বলেছে যে, “স্কুলের দ্বারা ছাত্রদের ধর্মান্তরিত করার পথ প্রশস্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” স্কুলটি “শিক্ষা জিহাদ” পরিচালনা করছে। কারণ ছাত্রদের একটি ইসলামিক প্রার্থনার কিছু অংশ শিখানো হচ্ছে।



    অথচ, যে বইটি পড়ানোর কারণে হিন্দুত্ববাদীদের অভিযোগ এটা কোন ইসলাম শিক্ষার বই ও নয়। বরং বহু ধর্মের উপসনার পদ্ধতি নিয়ে লিখিত। এতে গায়ত্রী মন্ত্র, সাঁচি বাণীসহ একাধিক বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কিত প্রার্থনা রয়েছে। কিন্তু ইসলাম বিদ্বেষের কারণে তাদের অভিযোগ শুধু ইসলামিক প্রার্থনার অংশটুকু নিয়েই।

    একটি ভিডিও বিবৃতিতে ফ্লোরেটের অধ্যক্ষ বলেছেন যে, ২০০৩ সালে স্কুলের প্রতিষ্ঠার পর থেকে বহু-বিশ্বাসের প্রার্থনা শিক্ষা দেওয়া হত, কিন্তু ইসলামিক প্রার্থনাকে নিয়ে কিছু হিন্দুরা আপত্তি তুলে। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে শুধুমাত্র জাতীয় সঙ্গীত আবৃত্তি করবে।

    তিনি আরো বলেছেন, “আমরা সমস্ত ধর্মের প্রার্থনা শিক্ষা দেই। কোনও একটি বিশেষ বিশ্বাসকে নয়, এটি গত ১২-১৩ বছর ধরে চলছে।”

    কিন্তু হিন্দুত্ববাদীদের কথা একটাই ইসলামের কিছু অংশ থাকায় “শিক্ষা জিহাদ চালানোর জন্য স্কুল সিলগালা করতে হবে।” উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারত যতই সেকুলার সেজে সকলের সমান অধিকারের দাবি করুক, বাস্তবে মুসলিমদের বেলায় তার কিছুই নেই। হিন্দুত্ববাদী ভারতে ইসলামের সামান্য বিষয়ও তাদের সহ্য হয় না। তাদের উদ্দেশ্য একটাই ইসলাম ও মুসলিম মুক্ত ভারতে হিন্দুত্ববাদের রাম রাজ্য কায়েম করা। সেই লক্ষ্যেই তারা অগ্রসর হচ্ছে।


    তথ্যসূত্রঃ
    ———
    1. Police Book Kanpur School for Multi-faith Worship, FIR Says Islamic Prayer is ‘Shiksha Jihad’
    https://tinyurl.com/yc4krnt7
    https://shorturl.one/hekTS
    2. UP school booked for multi-faith prayer, FIR says Islamic prayer is ‘Shiksha jihad”
    https://tinyurl.com/4a82dnex

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    তুচ্ছ অযুহাতে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে খুন, দিলশান হত্যাকাণ্ডে মামলা নেয়নি পুলিশ


    দখলদার ইসরাইল যেভাবে মুসলিমদের খুন করলে শাস্তির মুখোমুখি বা কৈফিয়ত দিতে হয়না, ভারতেও ঠিক একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এখানে দিন-দুপুরে প্রকাশ্যে মুসলিমদের হত্যা করলেও কোন কৈফিয়ত দিতে হচ্ছেনা।

    গত ৩১ জুলাই রাতে ভারতের বিহার রাজ্যের সমষ্টিপুরে ৩৫ বছর বয়সী মুসলিম যুবক মুহাম্মদ মুস্তাকিমকে পিটিয়ে হত্যা করে হিন্দুত্ববাদীরা। গরু চুরির মিথ্যা অভিযোগে হিন্দু যুবকরা নিষ্ঠুরভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে তাকে। কথিত গরু চুরির নামে এর আগেও অসংখ্য মুসলিমকে হত্যা করা হয়েছে এলাকাটিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টকৃত ভিডিওতে দেখা যায় হিংস্র হিন্দুত্ববাদীরা অমানবিকভাবে পিটিয়েছে তাকে। কেউ মুখে কেউবা শরীরে পালাক্রমে আঘাত করছে তাকে।

    অন্যদিকে গত ২৩ জুলাই ভারতের উত্তরপ্রদেশের কনৌজের মাদাইয়া গ্রামে ‘আরএস ইন্টার কলেজে’ ভর্তি হতে যাওয়া মুসলিম ছাত্র দিলশানকে রুমে তালাবদ্ধ করে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা নেয়নি হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় পুলিশ।

    কনৌজের পুলিশ সুপার (এসপি) অনুপম সিং ভারতীয় গণমাধ্যম ‘দ্যা প্রিন্টকে’ বলেছে, ‘নির্যাতনের অভিযোগগুলি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। কিশোরের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।’



    এছাড়াও ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও দিলশানকে অসুস্থ বলে প্রামাণ করা হয়েছে। এমনকি মামলা না করতে হুমকি দেয়া হচ্ছে দিলশানের পিতাকে। তবে দিলশানের পিতা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে নতুন করে তদন্ত করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

    এই হচ্ছে হিন্দুত্ববাদী ভারতের অবস্থান। যেখানে পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি সেক্টরে মুসলিম বিরোধী কার্যক্রম চলছে। তুচ্ছ সব কারণ দেখিয়েই হিন্দুত্ববাদীরা দিনে-দুপুরে মুসলিমদের খুন করছে। মুসলিমদের জান-মালের নিরাপত্তা যেন হিন্দুত্ববাদীদের ঐচ্ছিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা ইচ্ছা করলেই কাউকে জখম করছে কিংবা খুন করছে, মালামাল ধ্বংস করছে বা আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে। মুসলিম নিধনে সকল ক্ষেত্রেই তারা তাদের কাজকে জায়েজ করার জন্য নানান অযৌক্তিক অজুহাত দাড় করাচ্ছে। পরে হিন্দুত্ববাদী পুলিশ এসে আবার তাদের এসব ভিত্তিহীন দাবির পক্ষ নিয়ে মুসলিমদের উপরেই চড়াও হচ্ছে, তাদেরকে গ্রেফতার-গুম-খুন করছে।

    এ অবস্থায় উপমহাদেশের মুসলিমদের নিজ জান-মাল রক্ষায় নববী সুন্নাত অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ আলিমরা।


    তথ্যসূত্র:
    ——-
    1. 35-year-old Muslim man Muhammad Mustaqim was lynched to death in Bihar by Hindu extremists-
    https://tinyurl.com/yb7hub5w
    2. ‘No illness, he was beaten to death’ — why family of Kannauj Muslim teen wants fresh autopsy
    ARCHIVES-
    https://tinyurl.com/mr2eu45f
    3. ভিডিও লিংক-
    https://tinyurl.com/3ahsxadm

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামপন্থী লেখকদের বই নিষিদ্ধ, স্কুল থেকে মসজিদ শিক্ষা সফরে বাধা


      ভারতে মধ্যপ্রদেশের স্কুল পাঠ্যক্রম থেকে মুঘল শাসকদের ইতিহাস বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তের পর আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দু’জন ইসলামিক স্কলারের বই পাঠ্যসূচি থেকে বাদ দেয়ার দাবি ছিল উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের। এরই প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইসলামপন্থীদের বই পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

      একজন সিনিয়র শিক্ষাবিদ জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে ইসলামপন্থী এ দুই লেখকদের বই কথিত ‘সন্ত্রাসবাদ ও ধর্মান্ধতা সৃষ্টির’ অযুহাতে সেগুলো নিষিদ্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছিল উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। এর পরই এ দু’জন লেখকদের বই নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

      প্রতিষ্ঠানটির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান মুহাম্মদ ইসমাইল ভারতীয় গণমাধ্যম ‘দ্যা টেলিগ্রাফ’ কে জানিয়েছেন, ‘কোন বিতর্ক হোক আমারা তা চাই না, বিধায় আমারা পাকিস্তানের আবুল আ’লা আল-মৌদুদী এবং মিশরের সাইয়্যেদ কুতুবের বইগুলি পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

      তিনি আরও জানান যে, ‘ ইসলামপন্থী লেখকদের বই ‘সন্ত্রাসবাদ ও ধর্মান্ধতা’ প্রচার করেছে কথাটি সঠিক নয়। বইগুলিতে আপত্তিকর কিছু নেই। ডানপন্থী হিন্দুরা কিভাবে বুঝতে পেরেছে বই দু’টিতে সমস্যা আছে তা আমার জানা নেই।’



      অন্যদিকে ভারতের রাজধানী দিল্লি শহরের একটি সরকারি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সফর হিসেবে এই সপ্তাহে শহরের একটি মসজিদে ভ্রমণে যেতে চেয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। মসজিদে ভ্রমণের খবর পেয়ে উগ্র হিন্দুত্ববাদী বজরং দলের সদস্যরা বাধা দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এ সময় জয় শ্রীরাম স্লোগান তুলে মসজিদে ভ্রমণ বাদ দিতে দাবি জানায় তারা। অন্যথায় বড়সড় আন্দোলনের হুমকি দেয়া হয় তাদের পক্ষ থেকে।

      স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এর আগে আমরা শিক্ষা সফরের অংশ হিসেবে মন্দির পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। এবার আমারা ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে শহরের একটি মসজিদে যাওয়ার দিনক্ষণ ঠিক করেছিলাম। কিন্তু তাদের বাধার কারণে মসজিদে ভ্রমণ বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমারা।

      মূলত মসজিদে ভ্রমণে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা ইসলামি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানবে এটা হিন্দুত্ববাদীদের সহ্য হয়নি। বরং ভারত থেক ইসলামি সংস্কৃতি ধ্বংস করে হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র কায়েম করতে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদকে শহিদ করেছে তারা। অন্যান্য ইসলামি স্থাপনা ধ্বংস করতে মরিয়া হয়ে আছে তারা। এবং বর্তমানে ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতিও ধ্বংস করার জঘন্য কাজ করছে হিন্দুরা। এজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ইসলামপন্থী লেখকদের বই ও মসজিদে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করছে। এবং প্রাইমারি স্কুলে ভারত মাতা পূজা করার নির্দেশ জারি করেছে বলে মনে করেন ইসলামি বিশেষজ্ঞরা।

      ভারতের এমন শোচনীয় অবস্থায় নিজেদের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও ধর্মীয় স্থাপনা তথা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য তন্ত্র-মন্ত্রের ধোঁকায় না পড়ে মুসলিমদেরকে নববী মানহাজের অনুসরণ করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের উপদেশ দিয়ে আসছেন সচেতন উলামায়ে কেরাম।


      তথ্যসূত্র:
      ——-
      1. Aligarh Muslim University drops texts of two Islamic scholars-
      https://tinyurl.com/y86hdkc9
      2. Vadodara school calls off kindergarten field trip to mosque after Bajrang Dal threat-
      https://tinyurl.com/53ap23s3

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        যেহেতু শেষ জামানায় ইমাম মাহাদীর সময় কালে একদল মুসলিম শাম দেশে যুদ্ধ করবে এবং অপর দল হিন্দুস্তানে যুদ্ধ করবে এবং এই দুটি যুদ্ধই মুসলিম উম্মাহর প্রধান যুদ্ধ। এ জন্য ভারত এবং ইজরায়েল এক হয়ে কাজ করছে এবং এক কৌশলে এগুচ্ছে । এবং কাফেররা ঐক্যবদ্ধ ভাবে এই দুই স্থানে তাদের মিশন পরিচালনা করছে । তাই বর্তমান মুসলিমদের উচিৎ হল শাম দেশের আয়তাভূক্ত দেশ সমূহ এবং হিন্দুস্তানের আওতা ভূক্ত দেশ সমূহের দিকে পূর্ণ মনোনিবেশ দেওয়া।
        পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

        Comment


        • #5
          তারা আমাদেরকে ধর্মান্ধ বলছে । কিন্তু তারা যে নিজেদের হতে খড়কুটো দিয়ে তৈরি করা মূর্তির পূজা করছে । গরুর নিকৃষ্ট প্রস্রাব খাচ্ছে। গরুর দূরগন্ধময় খাবার খাচ্ছে তাহলে ইহাকি খুবই ধর্মদৃষ্টতা। ভাবতে বড়ই অবাক লাগে।
          পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

          Comment

          Working...
          X