ইসলাম শিক্ষা পাঠকে ’শিক্ষা জিহাদ’ আখ্যা দিয়ে হিন্দুত্ববাদীদের এফআইআর
হিন্দুত্ববাদী ভারতে মুসলিমরা ইসলামের বিধিবিধান পালন করতে গিয়ে নানাভাবে হিন্দুদের বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছেন। হয়রানি, হেনেস্থা এমনকি হতাহতের ঘটনাও ঘটাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা।
এবার তারা মুসলিম শিক্ষার্থীদের ইসলামিক বিধি শিখাকে শিক্ষা জিহাদ ট্যাগ লাগিয়েছে। কিছু দিন পরপরই হিন্দুত্ববাদীরা অবান্তর উদ্ভট বিষয়কে জিহাদ হিসেবে ট্যাগ লাগিয়ে মুসলিমদের হয়রানি করে।
কানপুরের ফ্লোরেটস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পরিচালকদের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশ হিন্দুত্ববাদী পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা 295A এবং ইউপি প্রহিবিশন অফ লফুল কনভার্সন অফ রিলিজিয়ন অ্যাক্ট 2021-এর ধারা 5(1) এর অধীনে মামলা করেছে। তার কারণ হিসেবে তারা বলেছে- এ স্কুলে বহু ধর্মের উপাসনার অংশ হিসেবে ইসলামিক প্রার্থনার পাঠ শিক্ষা দেওয়া হয়। এ নিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মত কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী দল পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। হিন্দুত্ববাদী কর্মীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের জেরে টানা কয়েক দিনের মতো স্কুল বন্ধ ছিল। তাদের দাবি ইসলাম ধর্মের কোন কিছু শিক্ষা দেওয়া যাবে না।
সিসমউ থানায় জমা দেওয়া অভিযোগে উগ্র হিন্দুরা বলেছে যে, “স্কুলের দ্বারা ছাত্রদের ধর্মান্তরিত করার পথ প্রশস্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” স্কুলটি “শিক্ষা জিহাদ” পরিচালনা করছে। কারণ ছাত্রদের একটি ইসলামিক প্রার্থনার কিছু অংশ শিখানো হচ্ছে।
অথচ, যে বইটি পড়ানোর কারণে হিন্দুত্ববাদীদের অভিযোগ এটা কোন ইসলাম শিক্ষার বই ও নয়। বরং বহু ধর্মের উপসনার পদ্ধতি নিয়ে লিখিত। এতে গায়ত্রী মন্ত্র, সাঁচি বাণীসহ একাধিক বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কিত প্রার্থনা রয়েছে। কিন্তু ইসলাম বিদ্বেষের কারণে তাদের অভিযোগ শুধু ইসলামিক প্রার্থনার অংশটুকু নিয়েই।
একটি ভিডিও বিবৃতিতে ফ্লোরেটের অধ্যক্ষ বলেছেন যে, ২০০৩ সালে স্কুলের প্রতিষ্ঠার পর থেকে বহু-বিশ্বাসের প্রার্থনা শিক্ষা দেওয়া হত, কিন্তু ইসলামিক প্রার্থনাকে নিয়ে কিছু হিন্দুরা আপত্তি তুলে। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে শুধুমাত্র জাতীয় সঙ্গীত আবৃত্তি করবে।
তিনি আরো বলেছেন, “আমরা সমস্ত ধর্মের প্রার্থনা শিক্ষা দেই। কোনও একটি বিশেষ বিশ্বাসকে নয়, এটি গত ১২-১৩ বছর ধরে চলছে।”
কিন্তু হিন্দুত্ববাদীদের কথা একটাই ইসলামের কিছু অংশ থাকায় “শিক্ষা জিহাদ চালানোর জন্য স্কুল সিলগালা করতে হবে।” উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারত যতই সেকুলার সেজে সকলের সমান অধিকারের দাবি করুক, বাস্তবে মুসলিমদের বেলায় তার কিছুই নেই। হিন্দুত্ববাদী ভারতে ইসলামের সামান্য বিষয়ও তাদের সহ্য হয় না। তাদের উদ্দেশ্য একটাই ইসলাম ও মুসলিম মুক্ত ভারতে হিন্দুত্ববাদের রাম রাজ্য কায়েম করা। সেই লক্ষ্যেই তারা অগ্রসর হচ্ছে।
তথ্যসূত্রঃ
———
1. Police Book Kanpur School for Multi-faith Worship, FIR Says Islamic Prayer is ‘Shiksha Jihad’
– https://tinyurl.com/yc4krnt7
– https://shorturl.one/hekTS
2. UP school booked for multi-faith prayer, FIR says Islamic prayer is ‘Shiksha jihad”
– https://tinyurl.com/4a82dnex
হিন্দুত্ববাদী ভারতে মুসলিমরা ইসলামের বিধিবিধান পালন করতে গিয়ে নানাভাবে হিন্দুদের বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছেন। হয়রানি, হেনেস্থা এমনকি হতাহতের ঘটনাও ঘটাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা।
এবার তারা মুসলিম শিক্ষার্থীদের ইসলামিক বিধি শিখাকে শিক্ষা জিহাদ ট্যাগ লাগিয়েছে। কিছু দিন পরপরই হিন্দুত্ববাদীরা অবান্তর উদ্ভট বিষয়কে জিহাদ হিসেবে ট্যাগ লাগিয়ে মুসলিমদের হয়রানি করে।
কানপুরের ফ্লোরেটস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পরিচালকদের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশ হিন্দুত্ববাদী পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা 295A এবং ইউপি প্রহিবিশন অফ লফুল কনভার্সন অফ রিলিজিয়ন অ্যাক্ট 2021-এর ধারা 5(1) এর অধীনে মামলা করেছে। তার কারণ হিসেবে তারা বলেছে- এ স্কুলে বহু ধর্মের উপাসনার অংশ হিসেবে ইসলামিক প্রার্থনার পাঠ শিক্ষা দেওয়া হয়। এ নিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মত কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী দল পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। হিন্দুত্ববাদী কর্মীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের জেরে টানা কয়েক দিনের মতো স্কুল বন্ধ ছিল। তাদের দাবি ইসলাম ধর্মের কোন কিছু শিক্ষা দেওয়া যাবে না।
সিসমউ থানায় জমা দেওয়া অভিযোগে উগ্র হিন্দুরা বলেছে যে, “স্কুলের দ্বারা ছাত্রদের ধর্মান্তরিত করার পথ প্রশস্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” স্কুলটি “শিক্ষা জিহাদ” পরিচালনা করছে। কারণ ছাত্রদের একটি ইসলামিক প্রার্থনার কিছু অংশ শিখানো হচ্ছে।
অথচ, যে বইটি পড়ানোর কারণে হিন্দুত্ববাদীদের অভিযোগ এটা কোন ইসলাম শিক্ষার বই ও নয়। বরং বহু ধর্মের উপসনার পদ্ধতি নিয়ে লিখিত। এতে গায়ত্রী মন্ত্র, সাঁচি বাণীসহ একাধিক বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কিত প্রার্থনা রয়েছে। কিন্তু ইসলাম বিদ্বেষের কারণে তাদের অভিযোগ শুধু ইসলামিক প্রার্থনার অংশটুকু নিয়েই।
একটি ভিডিও বিবৃতিতে ফ্লোরেটের অধ্যক্ষ বলেছেন যে, ২০০৩ সালে স্কুলের প্রতিষ্ঠার পর থেকে বহু-বিশ্বাসের প্রার্থনা শিক্ষা দেওয়া হত, কিন্তু ইসলামিক প্রার্থনাকে নিয়ে কিছু হিন্দুরা আপত্তি তুলে। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে শুধুমাত্র জাতীয় সঙ্গীত আবৃত্তি করবে।
তিনি আরো বলেছেন, “আমরা সমস্ত ধর্মের প্রার্থনা শিক্ষা দেই। কোনও একটি বিশেষ বিশ্বাসকে নয়, এটি গত ১২-১৩ বছর ধরে চলছে।”
কিন্তু হিন্দুত্ববাদীদের কথা একটাই ইসলামের কিছু অংশ থাকায় “শিক্ষা জিহাদ চালানোর জন্য স্কুল সিলগালা করতে হবে।” উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারত যতই সেকুলার সেজে সকলের সমান অধিকারের দাবি করুক, বাস্তবে মুসলিমদের বেলায় তার কিছুই নেই। হিন্দুত্ববাদী ভারতে ইসলামের সামান্য বিষয়ও তাদের সহ্য হয় না। তাদের উদ্দেশ্য একটাই ইসলাম ও মুসলিম মুক্ত ভারতে হিন্দুত্ববাদের রাম রাজ্য কায়েম করা। সেই লক্ষ্যেই তারা অগ্রসর হচ্ছে।
তথ্যসূত্রঃ
———
1. Police Book Kanpur School for Multi-faith Worship, FIR Says Islamic Prayer is ‘Shiksha Jihad’
– https://tinyurl.com/yc4krnt7
– https://shorturl.one/hekTS
2. UP school booked for multi-faith prayer, FIR says Islamic prayer is ‘Shiksha jihad”
– https://tinyurl.com/4a82dnex
Comment