Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ০৫ মুহাররম ১৪৪৪ হিজরী।। ০৪ আগস্ট ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ০৫ মুহাররম ১৪৪৪ হিজরী।। ০৪ আগস্ট ২০২২ ঈসায়ী।

    হিন্দুত্ববাদী গোক্ষকদের হাতে ১ মুসলিম খুন, আহতদের গ্রেফতারের হুমকি


    হিন্দুত্ববাদী ভারতে কোন ধরণের তদন্ত ছাড়াই শুধুমাত্র সন্দেহের বশবর্তী হয়ে মুসলিম গরু ব্যবসায়ীদের উপর হামলা চালিয়েছে কথিত গো-রক্ষক নামধারী সন্ত্রাসীরা।

    গত ২ আগস্ট মঙ্গলবার মধ্যরাতে মধ্যপ্রদেশের নর্মদাপুরম জেলার ব্রাখাদ গ্রামের কাছে উগ্র গোরক্ষকরা শুধু গরু পাচারের সন্দেহে একজন ৫০বছর বয়সী মুসলিম ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে খুন করে।

    মহারাষ্ট্রের অমরাবতীর বাসিন্দা নাজির আহমেদ নর্মদাপুরম জেলার নন্দেরওয়াদা নামক নিকটবর্তী গ্রাম থেকে শেখ লালা (৩৮) এবং সাইদ মুশতাক (৪০) এর সাথে ২৮ টি গরু নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন একদল কথিত গো-রক্ষক লাঠি ও রডসহ অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ঐ মুসলিমদের উপর। ট্রাক থামিয়ে তাদের উপর টর্চার শুরু করে তারা। তখন প্রায় রাত সাড়ে বারোটা বাজে। পরে ঐ মুসলিমদের মৃত মনে করে গোরক্ষকরা চলে গেলে স্থানীয়রা তিনজনকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

    মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত নাজির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেই মারা যান। অন্য দু’জন একাধিক গুরুতর আহত অবস্থায় জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

    হিন্দুত্ববাদীদের হামলার ঘটনাটি ঘটেছে “নন্দেরওয়াদা গ্রাম থেকে ৮-১০ কিলোমিটার দূরে, যেখানে তারা গরুগুলিকে তাদের গাড়িতে বোঝাই করেছিল।” সন্ত্রাসী সশস্ত্র গো-রক্ষক আগে থেকেই হামলার জন্য ওৎ পেতে বসেছিল।

    সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় বেঁচে যাওয়া একজন শেখ লালা বলেছিলেন যে, ৫০-৬০ জনের একটি সশস্ত্রর দল তাদের উপর হামলা করেছিল। “তারা লাঠি ও রড নিয়ে সজ্জিত হয়ে নাজির আহমদকে খুন করে।”

    হিন্দুত্ববাদী পুলিশ সন্ত্রাসী খুনীদের ধরতে পারেনি, উল্টো তারা হিন্দুদের হামলা থেকে গুরুতর আহত হয়ে বেঁচে যাওয়া মুসলিমদের নামেই এফআইআর দায়ের করেছে। বেআইনিভাবে গরু পরিবহনের জন্য বেঁচে যাওয়াদের বিরুদ্ধেই মামলা করেছে। হিন্দুত্ববাদী পুলিশ বলেছে, অবৈধভাবে গরু পরিবহনের জন্য বেঁচে যাওয়াদের শীঘ্রই আমরা গ্রেপ্তার করব।

    হিন্দুত্ববাদী ভারতে মুসলিমরা সর্বক্ষেত্রেই বৈষ্যমের শিকার হচ্ছেন। আলাদত, পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি সেক্টরে মুসলিম বিরোধী কার্যক্রম চলছে। শুধু সন্দেহের কারণেই তারা মুসলিমদের খুন করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে, গুরুতর আহত করছে। পরে হিন্দুত্ববাদী পুলিশ এসে আবার নানান ভিত্তিহীন অজুহাতে মুসলিমদের উপরেই চড়াও হচ্ছে, তাদেরকে গ্রেফতার-গুম-খুন করছে।


    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. MP: Vigilantes Lynch Muslim Man, Injure 2 Others Over Suspicion of Cow Smuggling
    https://tinyurl.com/2euk8d7d
    2. Muslim man lynched by cow vigilantes in Madhya Pradesh
    https://tinyurl.com/yavf28x4


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    বাংলাদেশের ভিতরে ঢুকে বিদ্যুতের খুঁটিতে তার লাগানোয় সীমান্ত-সন্ত্রাসী বিএসএফের বাঁধা



    বাংলাদেশের কথিত স্বাধীনতার পর থেকেই সীমান্তে পাখির মত গুলি করে মুসলিমদের খুন করছে হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় সন্ত্রাসী বিএসএফ। গুম, খুনের পাশাপাশি বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করেও প্রায়ই দাদাগিরি করে তারা। সীমান্ত এলাকার মুসলিমদেরকে হয়রানি, চাঁদাবাজি, লুণ্ঠন, ধর্ষণ সহ বিভিন্ন কাজে বাধা দেওয়া ও মুসলিম নারীদের তুলে নিয়ে যাওয়া – এগুলো তাদের নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।এর ধারাবাহিকতায়, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নে সিস্টিয়ার পাড় এলাকায় বিএসএফের বাধায় বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুতের খুঁটিতে তার টানা।

    গত ৩ আগস্ট বুধবার নেসকো ১১ হাজার লাইনের বিদ্যুতের খুঁটিতে তার লাগানোর সময় বাধা দেয় হিন্দুত্ববাদী বিএসএফ।সীমান্ত সূত্র জানায়, বুধবার দুপুরে নেসকোর কর্মীরা দহগ্রামের সিস্টিয়ার পাড় কলোনীপাড়া সীমান্তে ডিএমপি ১০ পিলারের ৬ এস সাব পিলারের কাছে নেসকোর পূর্বে বসানো খুঁটিতে তার লাগানোর কাজ শুরু করে। এ সময় ভারতীয় অরুণ ক্যাম্পের হিন্দুত্ববাদী সদস্যরা তাদের বাধা দিলে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

    পাটগ্রাম বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেছে, আমাদের ওখানে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার পর্যন্ত বিদ্যুতের খুঁটি আগেই স্থাপন করা হয়েছে। স্থাপন করা ওই খুঁটিতে এর আগে নেসকোর কর্মীরা তার টানতে গেলে বিএসএফ বাধা দেয়। এতে কাজ বন্ধ রাখা হয়।

    বুধবার নেসকোর কর্মীরা বিজিবির সম্মতি নিয়ে আবার পিলারে তার টানতে গেলে আবারো বিএসএফ বাধা প্রদান করে। ফলে এবারেও কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ও হতাশা দেখা দিয়েছে।গত বছরের ৪ এপ্রিল ২১ সালে সীমান্ত সন্ত্রাসী বিএসএফ-এর বাধায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ডাবল লাইন, দুটি স্টেশন ও সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ যায়। শূন্যরেখার ১৫০ গজের ভেতর নির্মাণ কাজ হচ্ছে- এমন বানোয়াট অভিযোগে বিএসএফের বাধার মুখে এই নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। এতে মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জানিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলছে, এর ফলে নির্দিষ্ট সময়ে তারা কাজ শেষ করতে পারবে না।

    বিজিবি’র এমন নির্লিপ্ততাও সচেতন মহলে প্রশ্নের জন্ম দেয় যে, বিজিবি কি এখন সীমান্তে তাদের মূল দায়িত্ব আগ্রাসী শত্রুর মোকাবিলা ছেড়ে শুধু এদেশের মুসলিমদের বুকে গুলি ছোরার হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডাই বাস্তবায়ন করে চলেছে? আর আমাদের দেশের কথিত গণতন্ত্রপন্থী নেতারা, যাদের দায়িত্ব ছিল এদেশের মুসলিমদের জান-মাল-ইজ্জতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, তারা কি ভারতের দালালি করতে করতে এতটাই কাপুরুষ হয়ে গেছে যে, সামান্য বিএসএফ-এর অন্যায়ের মৌখিক প্রতিবাদটুকু তারা করতে পারছে না!

    ইসলামি চিন্তাবীদগণ তাই মনে করেন যে, এদেশের মুসলিদের এখন সময় এসেছে ঘরের ও বাইরের শত্রুকে ভালো করে চিনে নেওয়ার, এবং তাদের ভবিষ্যৎ আসন্ন বিপদ মোকাবিলার চিন্তা-ফিকির করার। তা না হলে অচিরেই হয়তো হিন্দুত্ববাদী শক্তি ও তাদের এদেশীয় দোসরেরা মিলে বাংলার মুসলিমদের ভাগ্যে এক মহাবিপর্যয়ের অবতারনা করবে।


    তথ্যসূত্র:
    ——–
    ১.
    বিএসএফের বাধায় পাটগ্রামের দহগ্রাম সীমান্তে বিদ্যুতের খুঁটিতে তার টানা বন্ধ
    https://tinyurl.com/45nzxcra
    ২. বিএসএফের বাধায় দুটি রেলস্টেশন ও একটি সেতুর নির্মাণকাজ ১০ মাস ধরে বন্ধ
    https://tinyurl.com/swcdsvht






    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে পেট্রোলিয়াম নিবে হিন্দুত্ববাদী ভারত



      হিন্দুত্ববাদীদের চক্রান্তে স্বাধীন বাংলাদেশ পাকিস্থান থেকে মুক্ত হয়েও আবার হিন্দুত্ববাদী ভারতের সেবাদাসে পরিণত হয়েছে। এদেশীয় হিন্দুত্ববাদের দালালরা ভারতকে শুধু সুযোগ সুবিধা দিয়েই যাচ্ছে। বিনিময়ে হিন্দুত্ববাদীদের প্রতারণাপূর্ণ বন্ধুত্ব আর ধোঁকাবাজির গালগল্প ছাড়া কিছুই পায়নি।তারই ধারাবাহিকতায় এবার ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য ত্রিপুরা, দক্ষিণ আসাম ও মিজোরামে পেট্রোলিয়াম নিতে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করবে হিন্দুত্ববাদী ভারত। পেট্রোলিয়ামের এসব পণ্য ট্যাংকারে করে পাড়ি দেবে বাংলাদেশের ১৪০ কিলোমিটার পথ।

      বুধবার (৩ আগস্ট) বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভারতীয় পেট্রোলিয়াম বা এলপিজি পণ্য বহনকারী যানবাহন চলাচলের জন্য ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেড (আইওসিএল) এবং বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে মোটর স্পিরিট, হাই-স্পিড ডিজেল, সুপিরিয়র কেরোসিন তেল এবং তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসসহ পেট্রোলিয়াম পণ্যের চলাচলের সুবিধা পাবে।

      চুক্তি অনু্যায়ী, পণ্য পরিবহনে মেঘালয়ের ডাউকি থেকে বাংলাদেশের তামাবিলে এসে সিলেট হয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ, এরপর রাজনগর, সেখান থেকে মৌলভীবাজার অথবা ব্রাহ্মণবাজার থেকে শমশেরনগর হয়ে চাতলাপুর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরার কৈলাশর যাবে ট্যাংকারগুলো।

      পেট্রোলিয়াম অথবা এলপিজি ট্যাংকারগুলো যথাক্রমে ডাউকি থেকে তামাবিল এবং চাতলাপুর থেকে কৈলাশর দিয়ে সিল করা অবস্থায় প্রবেশ করবে এবং প্রস্থান করবে। ট্যাংকারগুলো বাংলাদেশে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবে। এর আগে ২০১৬ সালে একই ধরনের একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল।

      উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহারে হিন্দুত্ববাদী ভারতের সময় ও খরচ অনেক কম হয়। পক্ষান্তরে তাদের নিজস্ব ভূখণ্ড ব্যবহার করলে খরচ ও সময় বেশি লাগার পাশাপাশি সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় দুর্ঘটনার প্রবণতা অনেক বেশি।বিশ্লেষকগণ বলছেন, ভারত বাংলাদেশকে ব্যবহার করে নিজেদের চাহিদা পূরণ করছে। পক্ষান্তরে বাংলাদেশকে উপকার করার পরিবর্তে শোষন করছে। তাই চিন্তাবীদরা কারা প্রকৃত বন্ধু এবং কারা শত্রু তা চিনে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।


      তথ্যসূত্র:
      ——–
      ১. পেট্রোলিয়াম নিতে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করবে ভারত
      https://tinyurl.com/352dr4vh






      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        Originally posted by Al-Firdaws News View Post
        বাংলাদেশের ভিতরে ঢুকে বিদ্যুতের খুঁটিতে তার লাগানোয় সীমান্ত-সন্ত্রাসী বিএসএফের বাঁধা



        বাংলাদেশের কথিত স্বাধীনতার পর থেকেই সীমান্তে পাখির মত গুলি করে মুসলিমদের খুন করছে হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় সন্ত্রাসী বিএসএফ। গুম, খুনের পাশাপাশি বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করেও প্রায়ই দাদাগিরি করে তারা। সীমান্ত এলাকার মুসলিমদেরকে হয়রানি, চাঁদাবাজি, লুণ্ঠন, ধর্ষণ সহ বিভিন্ন কাজে বাধা দেওয়া ও মুসলিম নারীদের তুলে নিয়ে যাওয়া – এগুলো তাদের নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।এর ধারাবাহিকতায়, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নে সিস্টিয়ার পাড় এলাকায় বিএসএফের বাধায় বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুতের খুঁটিতে তার টানা।

        গত ৩ আগস্ট বুধবার নেসকো ১১ হাজার লাইনের বিদ্যুতের খুঁটিতে তার লাগানোর সময় বাধা দেয় হিন্দুত্ববাদী বিএসএফ।সীমান্ত সূত্র জানায়, বুধবার দুপুরে নেসকোর কর্মীরা দহগ্রামের সিস্টিয়ার পাড় কলোনীপাড়া সীমান্তে ডিএমপি ১০ পিলারের ৬ এস সাব পিলারের কাছে নেসকোর পূর্বে বসানো খুঁটিতে তার লাগানোর কাজ শুরু করে। এ সময় ভারতীয় অরুণ ক্যাম্পের হিন্দুত্ববাদী সদস্যরা তাদের বাধা দিলে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

        পাটগ্রাম বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেছে, আমাদের ওখানে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার পর্যন্ত বিদ্যুতের খুঁটি আগেই স্থাপন করা হয়েছে। স্থাপন করা ওই খুঁটিতে এর আগে নেসকোর কর্মীরা তার টানতে গেলে বিএসএফ বাধা দেয়। এতে কাজ বন্ধ রাখা হয়।

        বুধবার নেসকোর কর্মীরা বিজিবির সম্মতি নিয়ে আবার পিলারে তার টানতে গেলে আবারো বিএসএফ বাধা প্রদান করে। ফলে এবারেও কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ও হতাশা দেখা দিয়েছে।গত বছরের ৪ এপ্রিল ২১ সালে সীমান্ত সন্ত্রাসী বিএসএফ-এর বাধায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ডাবল লাইন, দুটি স্টেশন ও সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ যায়। শূন্যরেখার ১৫০ গজের ভেতর নির্মাণ কাজ হচ্ছে- এমন বানোয়াট অভিযোগে বিএসএফের বাধার মুখে এই নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। এতে মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জানিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলছে, এর ফলে নির্দিষ্ট সময়ে তারা কাজ শেষ করতে পারবে না।

        বিজিবি’র এমন নির্লিপ্ততাও সচেতন মহলে প্রশ্নের জন্ম দেয় যে, বিজিবি কি এখন সীমান্তে তাদের মূল দায়িত্ব আগ্রাসী শত্রুর মোকাবিলা ছেড়ে শুধু এদেশের মুসলিমদের বুকে গুলি ছোরার হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডাই বাস্তবায়ন করে চলেছে? আর আমাদের দেশের কথিত গণতন্ত্রপন্থী নেতারা, যাদের দায়িত্ব ছিল এদেশের মুসলিমদের জান-মাল-ইজ্জতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, তারা কি ভারতের দালালি করতে করতে এতটাই কাপুরুষ হয়ে গেছে যে, সামান্য বিএসএফ-এর অন্যায়ের মৌখিক প্রতিবাদটুকু তারা করতে পারছে না!

        ইসলামি চিন্তাবীদগণ তাই মনে করেন যে, এদেশের মুসলিদের এখন সময় এসেছে ঘরের ও বাইরের শত্রুকে ভালো করে চিনে নেওয়ার, এবং তাদের ভবিষ্যৎ আসন্ন বিপদ মোকাবিলার চিন্তা-ফিকির করার। তা না হলে অচিরেই হয়তো হিন্দুত্ববাদী শক্তি ও তাদের এদেশীয় দোসরেরা মিলে বাংলার মুসলিমদের ভাগ্যে এক মহাবিপর্যয়ের অবতারনা করবে।


        তথ্যসূত্র:
        ——–
        ১.
        বিএসএফের বাধায় পাটগ্রামের দহগ্রাম সীমান্তে বিদ্যুতের খুঁটিতে তার টানা বন্ধ
        https://tinyurl.com/45nzxcra
        ২. বিএসএফের বাধায় দুটি রেলস্টেশন ও একটি সেতুর নির্মাণকাজ ১০ মাস ধরে বন্ধ
        https://tinyurl.com/swcdsvht





        এর প্রধান কারণ হলো যে তারা চাচ্ছে যে কোন ভাবেই সীমান্তের লোকেরা যেন শক্তি শালী না হতে পারে ফলে তারা যে কোন সময়ে বাংলাদেশের উপর আক্রমণ চালাতে পারবে।
        পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

        Comment


        • #5
          Originally posted by Al-Firdaws News View Post
          বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে পেট্রোলিয়াম নিবে হিন্দুত্ববাদী ভারত



          হিন্দুত্ববাদীদের চক্রান্তে স্বাধীন বাংলাদেশ পাকিস্থান থেকে মুক্ত হয়েও আবার হিন্দুত্ববাদী ভারতের সেবাদাসে পরিণত হয়েছে। এদেশীয় হিন্দুত্ববাদের দালালরা ভারতকে শুধু সুযোগ সুবিধা দিয়েই যাচ্ছে। বিনিময়ে হিন্দুত্ববাদীদের প্রতারণাপূর্ণ বন্ধুত্ব আর ধোঁকাবাজির গালগল্প ছাড়া কিছুই পায়নি।তারই ধারাবাহিকতায় এবার ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য ত্রিপুরা, দক্ষিণ আসাম ও মিজোরামে পেট্রোলিয়াম নিতে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করবে হিন্দুত্ববাদী ভারত। পেট্রোলিয়ামের এসব পণ্য ট্যাংকারে করে পাড়ি দেবে বাংলাদেশের ১৪০ কিলোমিটার পথ।

          বুধবার (৩ আগস্ট) বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভারতীয় পেট্রোলিয়াম বা এলপিজি পণ্য বহনকারী যানবাহন চলাচলের জন্য ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেড (আইওসিএল) এবং বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে মোটর স্পিরিট, হাই-স্পিড ডিজেল, সুপিরিয়র কেরোসিন তেল এবং তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসসহ পেট্রোলিয়াম পণ্যের চলাচলের সুবিধা পাবে।

          চুক্তি অনু্যায়ী, পণ্য পরিবহনে মেঘালয়ের ডাউকি থেকে বাংলাদেশের তামাবিলে এসে সিলেট হয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ, এরপর রাজনগর, সেখান থেকে মৌলভীবাজার অথবা ব্রাহ্মণবাজার থেকে শমশেরনগর হয়ে চাতলাপুর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরার কৈলাশর যাবে ট্যাংকারগুলো।

          পেট্রোলিয়াম অথবা এলপিজি ট্যাংকারগুলো যথাক্রমে ডাউকি থেকে তামাবিল এবং চাতলাপুর থেকে কৈলাশর দিয়ে সিল করা অবস্থায় প্রবেশ করবে এবং প্রস্থান করবে। ট্যাংকারগুলো বাংলাদেশে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবে। এর আগে ২০১৬ সালে একই ধরনের একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল।

          উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহারে হিন্দুত্ববাদী ভারতের সময় ও খরচ অনেক কম হয়। পক্ষান্তরে তাদের নিজস্ব ভূখণ্ড ব্যবহার করলে খরচ ও সময় বেশি লাগার পাশাপাশি সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় দুর্ঘটনার প্রবণতা অনেক বেশি।বিশ্লেষকগণ বলছেন, ভারত বাংলাদেশকে ব্যবহার করে নিজেদের চাহিদা পূরণ করছে। পক্ষান্তরে বাংলাদেশকে উপকার করার পরিবর্তে শোষন করছে। তাই চিন্তাবীদরা কারা প্রকৃত বন্ধু এবং কারা শত্রু তা চিনে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।


          তথ্যসূত্র:
          ——–
          ১. পেট্রোলিয়াম নিতে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করবে ভারত
          https://tinyurl.com/352dr4vh





          আমি মনে করি তাদেরকে আক্রমণ করার এটাই সুযোগ । বাংলাদেশের মুজাহিদরা তাদের উপর এই সুযোগে বিভিন্ন ভাবে আক্রমণ করে তাদেরকে নাস্তানাবুদ করে ফেলবে।
          পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

          Comment

          Working...
          X