Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ০৬ মুহাররম ১৪৪৪ হিজরী।। ০৫ আগস্ট ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ০৬ মুহাররম ১৪৪৪ হিজরী।। ০৫ আগস্ট ২০২২ ঈসায়ী।

    আসামে বুলডোজার দিয়ে মাদ্রাসা ভেঙ্গে দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন



    আসামের মইরাবাড়ি এলাকার জামিউল হুদা মাদ্রাসাটি গত ৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার হিন্দুত্ববাদী কর্তৃপক্ষ বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দিয়েছে। এ মাদ্রাসাটি মুফতি মোস্তফা পরিচালনা করতেন। সম্প্রতি হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন উনার নামে মিথ্যে অভিযোগ এনে গ্রেফতার করেছে।

    হিন্দুত্ববাদী পুলিশ কোন ধরণের তদন্দ ও প্রমাণ ছাড়াই বলেছে, উনার নাকি বাংলাদেশভিত্তিক জিহাদী সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম ও আল কায়দার সাথে সম্পর্ক রয়েছে। হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা ইতিমধ্যেই মুসলিমদের শাস্তি দেওয়ার জন্য মুসলমানদের বাড়িঘর এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে দিচ্ছে। অন্যায়ভাবে মসজিদ-মাদ্রাসা গুড়িয়ে দেওয়াকে তারা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।

    হিন্দুত্ববাদী আসাম প্রশাসন অনেক আগে থেকেই আসামের সকল মাদ্রাসা শিক্ষা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। বিভিন্ন সময় উচ্ছেদ অভিযানের নামেও মুসলিমদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুড়িয়ে দিয়েছে এই হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।

    ১৪ জানুয়ারী ২০২২ তারিখে তেলেঙ্গানার ওয়ারাঙ্গালে এক সমাবেশে ভাষণে আসামের উগ্র মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বলেছে, “আমাদের একটি নতুন ভারত গড়তে হবে, যেখানে কোনও ওয়াইসি, আওরঙ্গজেব, বাবরের জন্য কোনও স্থান থাকবে না এবং যেখানে কেউ নিজামের ইতিহাস পড়বে না এবং যদি কেউ ইতিহাস পড়ে তবে সে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ইতিহাস পড়বে।” মুসলিমদের ইতিহাস মুছে নতুন ভারত গড়ার আহ্বান জানিয়ে সে মূলত মুসলিম গণহত্যার আগুনে ঘি ঢালছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

    এছাড়া সে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ এবং ভারত-দখলকৃত কাশ্মীরের বিশেষ প্রশাসনিক মর্যাদা বাতিলেরও প্রশংসা করেছে।

    হিন্দুত্ববাদীরা এমন এক ভারতের স্বপ্ন দেখছে যেখানে কোন মুসলিম থাকবে না। মুসলিমদের অবদান মুছে ফেলতে ইসলামিক নাম পরিবর্তন করে হিন্দুয়ানী নামকরণ করা হচ্ছে। শিক্ষা সিলেবাসে মুসলিম ব্যক্তিদের লুটেরা, সন্ত্রাস হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। ভারত হবে তাদের কল্পিত হিন্দু রাষ্ট্র, যার কথা তারা প্রকাশ্যেই ঘোষণা করছে। আর এই লক্ষেই তারা মসজিদ-মাদ্রাসা ধ্বংস করার মিশন বাস্তবায়ন করছে।

    তবে হিন্দুত্ববাদীরা যাই বলুক বা করুক, বিজয়ের শেষ হাসি মুসলিমরাই হাসবেন বলে মনে করেন ইসলামি চিন্তাবীদগণ। কিন্তু এর জন্যে নববী মানহাজের অনুসরণ করে হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন মোকাবেলায় প্রস্তুতির কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন তাঁরা।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. Bulldozer demolishes madrassa in Assam, govt says owner a “terror accused”
    https://tinyurl.com/2p8nf9hd
    2. Names of Nizam and Owaisi will be eliminated: Assam CM Himanta Biswa’s hate speech in Telangana
    https://tinyurl.com/2xh7ncnu
    https://tinyurl.com/yysp7erh

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    হায়দ্রাবাদে এবার মসজিদ গুড়িয়ে দিল হিন্দুত্ববাদীরা



    ভারতের হায়দ্রাবাদের শামশাবাদ এলাকায় মুসলিমদের একটি মসজিদ বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে পৌর কর্মকর্তারা। কাজটি করার জন্য সেই পৌর কর্মকর্তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে খোদ পুলিশ প্রশাসন।

    ‘মাজিলিস বাঁচাও তেহরিক’ (এমবিটি) নেতা আমজেদুল্লাহ খান বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং বুলডোজার দিয়ে মসজিদটি গুঁড়ানো হয় বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, স্থানীয় পৌর কর্মকর্তারা রাত ৩টায় মসজিদ-ই-খাজা গুঁড়িয়ে দেয়। মসজিদটি শামশাবাদের গ্রিন অ্যাভিনিউ কলোনিতে অবস্থিত ছিল।

    তিনি আরও জানান, “শামশাবাদের মসজিদটি তিন বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল এবং সেখানে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা হতো। এই এলাকায় বসবাসকারী বেশিরভাগ লোক মুসলিম।”

    আমজাদুল্লাহ খান বলেন, বিশাল সিং নামে ওই এলাকার স্থানীয় এক বাসিন্দা মসজিদ নির্মাণের বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হয়। এর বৈধতা নিয়ে আদালতে এখনও মামলা চলছে বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন যে, এই বিশাল সিংয়ের বিরুদ্ধেই সেখানকার স্থানীয় লোকেরা তার বাড়িটি অবৈধভাবে নির্মিত হবার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে।

    আমজেদুল্লাহ খান বলেন, ক্ষমতাসীন টিআরএস সরকার “উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকারের পদাঙ্ক অনুসরণ করছে।” তিনি অভিযোগ করেন, “তেলঙ্গানায় টিআরএস দল ক্ষমতায় আসার পর থেকে এখানের বেশ কয়েকটি মসজিদ ও কবরস্থান ধ্বংস করা হয়েছে।”

    মুসলিম এক্টিভিস্টরা বলছেন, হিন্দুত্ববাদী ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার খুব স্পষ্টভাবে গণতন্ত্রের আড়ালে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করার কাজ অব্যাহত রেখেছে। প্রথমে তারা মুসলিমদের খোলা জায়গায় নামাজ আদায় করা বন্ধ করেছে, এখন তারা মুসলিমদের মসজিদও গুঁড়িয়ে দিচ্ছে, এবং সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন কোর্টে তারা এই রায় দিবে যে “মুসলিমদের জন্য মসজিদে নামাজ আদায় করা বাধ্যতামূলক নয়। এবং এমন রায় হলে মনে হয় না আমাদের তখন খুব একটা অবাক হবার কিছু থাকবে। কারণ ইতোপূর্বেই আমরা এমনটাই দেখে এসেছি।

    তারা আরও বলছেন, মুসলিম উলামাদের উচিত সবার আগে নিজেদের মাঝের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যমত হওয়া। এবং মুসলিম যুবকদেরকে তাদের মূল শত্রুদের চিনিয়ে দেওয়া, তাঁদেরকে সঠিক পথ অনুসরণ করতে সাহায্য করা।



    তথ্যসূত্র :
    ———
    1. Hyderabad: Masjid-e-Khaja bulldozed late at night in Shamshabad
    https://tinyurl.com/58fhxzp5

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      এভাবে তারা মাদ্রাসা মসজিদকে এবং ধর্মীয় স্থাপনাগুলোকে টার্গেট বানিয়েছে আমার মনে হচ্ছে তারা ভিতরের সাপকে বাহিরে নিয়ে আনার জন্য এই চাল চালছে। তাই আমাদের উচিৎ হল তাদের ধর্মীয় স্থাপনার উপর আঘাত হানা এবং সেখানে বোমা মারা তাহলে তারা সোজা হয়ে যাবে।
      পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

      Comment

      Working...
      X