কাশ্মীরে স্বায়ত্তশাসন প্রত্যাহারের তিন বছর : অব্যাহত রয়েছে দমন-পীড়ন
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, দখলদার ভারত সরকার কাশ্মীরে স্বায়ত্তশাসন তথা বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার তিন বছর পর জম্মু ও কাশ্মীরে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ, শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ এবং অন্যান্য মৌলিক অধিকার হ্রাস পেয়েছে।
গ্লোবাল রাইটস ওয়াচডগের মতে, ভারত সরকারের জোরপূর্বক দমনপীড়ন নীতি এবং কথিত নিরাপত্তা বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো অবিচার কাশ্মীরিদের অনিরাপত্তা বাড়িয়ে তুলেছে।
গত তিন বছর আগে ২০১৯-এ ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের সাংবিধানিক স্বায়ত্তশাসন প্রত্যাহার করে এবং রাজ্যটিকে দুটি ফেডারেল শাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করে। অসংখ্য মুসলিমকে গ্রেফতার, ইন্টারনেট পূর্ণ বিচ্ছিন্ন, স্বাধীনভাবে চলাফেরা এবং শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। পরবর্তীতে দখলদার সরকার ইন্টারনেট সুবিধা ফিরিয়ে দিলেও কথিত সন্ত্রাসবাদ দমনের নামে মিডিয়া এবং সুশীল সমাজের উপর ক্র্যাকডাউন আরও তীব্র করেছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জানায়, ‘ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীরে সাংবাদিক, মিডিয়া কর্মী এবং রাজনৈতিক নেতাদের নির্বিচারে আটক করার নীতি গ্রহণ করেছে।’
২০২১ সালের নভেম্বরে ভারতীয় পুলিশ একজন বিশিষ্ট কাশ্মীরি মানবাধিকার কর্মী খুররম পারভেজকে কথিত সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইনের দোহাই দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছিল। তিনি জম্মু ও কাশ্মীরে জোরপূর্বক গুম-খুনের ঘটনাগুলো নথিভুক্ত করতেন। এবং কাশ্মীরে অচিহ্নিত কবরগুলির বিসয়ে তদন্ত করছিলেন। ফলস্বরূপ, দখলদার ভারত সরকার বারবার তাকে তার কাজের জন্য লক্ষ্যবস্তু করেছে।
কাশ্মীরি সাংবাদিকরা ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা কথিত সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে নিয়মিত হয়রানি ও গ্রেফতারের সম্মুখীন হচ্ছেন।
কথিত জাতিসংঘের মানবাধিকার কর্মীরা পর্যন্ত পারভেজের অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বলেছে যে, ‘সরকার সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার কর্মীদের মৌলিক অধিকার জোরপূর্বক খর্ব করেছে।’
২০১৯ সালের আগস্ট থেকে কাশ্মীরে কমপক্ষে ৩৫ জন সাংবাদিক তাদের লেখালেখির জন্য পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ, অভিযান, হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, চলাফেরা ও বিদেশে ভ্রমণের উপর বিধিনিষেধ এবং বানোয়াট ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি হয়েছেন।
ভারত সরকার বিশ্বের যেকোনো জায়গার চেয়ে বেশি ইন্টারনেট বন্ধ করেছে কাশ্মীরে।
সংস্থাটি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ‘ভারতীয় কর্তৃপক্ষের উচিত নিরাপত্তা বাহিনীর অপব্যবহারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং কাশ্মীরি জনগণের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনকারী নীতিগুলি বন্ধ করা।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানবাধিকার সংস্থার বিবৃতিতে কাশ্মীরের যেসব সমস্যা উঠে এসেছে এগুলো মূল সমস্যার ছিটেফোঁটা মাত্র। কাশ্মীরি নারীদের ধর্ষণ, লাখ লাখ কাশ্মীরি হত্যার বিষয়টি একদম এড়িয়ে গেছে সংস্থাটি। মূলত মুসলিমদের কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতা ধরে রাখতেই মাঝেমধ্যে এইরকম দু’একটা বিবৃতি দিয়ে থাকে সংস্থাটি। এখন পর্যন্ত মুসলিমদের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করার কোন নজির নেই বলে জানিয়েছেন তারা।
তথ্যসূত্র:
----------
1. Repression persists in Kashmir three years after autonomy revoked: Global rights body-
– https://tinyurl.com/yryeha4a
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, দখলদার ভারত সরকার কাশ্মীরে স্বায়ত্তশাসন তথা বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার তিন বছর পর জম্মু ও কাশ্মীরে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ, শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ এবং অন্যান্য মৌলিক অধিকার হ্রাস পেয়েছে।
গ্লোবাল রাইটস ওয়াচডগের মতে, ভারত সরকারের জোরপূর্বক দমনপীড়ন নীতি এবং কথিত নিরাপত্তা বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো অবিচার কাশ্মীরিদের অনিরাপত্তা বাড়িয়ে তুলেছে।
গত তিন বছর আগে ২০১৯-এ ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের সাংবিধানিক স্বায়ত্তশাসন প্রত্যাহার করে এবং রাজ্যটিকে দুটি ফেডারেল শাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করে। অসংখ্য মুসলিমকে গ্রেফতার, ইন্টারনেট পূর্ণ বিচ্ছিন্ন, স্বাধীনভাবে চলাফেরা এবং শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। পরবর্তীতে দখলদার সরকার ইন্টারনেট সুবিধা ফিরিয়ে দিলেও কথিত সন্ত্রাসবাদ দমনের নামে মিডিয়া এবং সুশীল সমাজের উপর ক্র্যাকডাউন আরও তীব্র করেছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জানায়, ‘ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীরে সাংবাদিক, মিডিয়া কর্মী এবং রাজনৈতিক নেতাদের নির্বিচারে আটক করার নীতি গ্রহণ করেছে।’
২০২১ সালের নভেম্বরে ভারতীয় পুলিশ একজন বিশিষ্ট কাশ্মীরি মানবাধিকার কর্মী খুররম পারভেজকে কথিত সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইনের দোহাই দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছিল। তিনি জম্মু ও কাশ্মীরে জোরপূর্বক গুম-খুনের ঘটনাগুলো নথিভুক্ত করতেন। এবং কাশ্মীরে অচিহ্নিত কবরগুলির বিসয়ে তদন্ত করছিলেন। ফলস্বরূপ, দখলদার ভারত সরকার বারবার তাকে তার কাজের জন্য লক্ষ্যবস্তু করেছে।
কাশ্মীরি সাংবাদিকরা ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা কথিত সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে নিয়মিত হয়রানি ও গ্রেফতারের সম্মুখীন হচ্ছেন।
কথিত জাতিসংঘের মানবাধিকার কর্মীরা পর্যন্ত পারভেজের অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বলেছে যে, ‘সরকার সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার কর্মীদের মৌলিক অধিকার জোরপূর্বক খর্ব করেছে।’
২০১৯ সালের আগস্ট থেকে কাশ্মীরে কমপক্ষে ৩৫ জন সাংবাদিক তাদের লেখালেখির জন্য পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ, অভিযান, হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, চলাফেরা ও বিদেশে ভ্রমণের উপর বিধিনিষেধ এবং বানোয়াট ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি হয়েছেন।
ভারত সরকার বিশ্বের যেকোনো জায়গার চেয়ে বেশি ইন্টারনেট বন্ধ করেছে কাশ্মীরে।
সংস্থাটি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ‘ভারতীয় কর্তৃপক্ষের উচিত নিরাপত্তা বাহিনীর অপব্যবহারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং কাশ্মীরি জনগণের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনকারী নীতিগুলি বন্ধ করা।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানবাধিকার সংস্থার বিবৃতিতে কাশ্মীরের যেসব সমস্যা উঠে এসেছে এগুলো মূল সমস্যার ছিটেফোঁটা মাত্র। কাশ্মীরি নারীদের ধর্ষণ, লাখ লাখ কাশ্মীরি হত্যার বিষয়টি একদম এড়িয়ে গেছে সংস্থাটি। মূলত মুসলিমদের কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতা ধরে রাখতেই মাঝেমধ্যে এইরকম দু’একটা বিবৃতি দিয়ে থাকে সংস্থাটি। এখন পর্যন্ত মুসলিমদের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করার কোন নজির নেই বলে জানিয়েছেন তারা।
প্রতিবেদক – ইউসুফ আল-হাসান
তথ্যসূত্র:
----------
1. Repression persists in Kashmir three years after autonomy revoked: Global rights body-
– https://tinyurl.com/yryeha4a