২ বছর পরেও সাংবাদিক সিদ্দিক কাপানের জামিন দেয়নি হিন্দুত্ববাদী এলাহাবাদ হাইকোর্ট
হিন্দুত্ববাদী ভারত সাংবাদিকতার জন্য সত্যিই একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক জায়গা হয়ে উঠেছে। সাংবাদিকরা তাদের কাজের জন্য হিন্দুত্ববাদীদের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে কোন সাংবাদিক মুসলিম হলে কঠোরতা বেড়ে যায় কয়েক গুণ।
সাংবাদিকদের মধ্যে যারাই হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে কথা বলে, তাদের বিরুদ্ধেই রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয় বা UAPA-এর মতো কঠোর আইনের অধীনে গ্রেপ্তার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, যাতে প্রমাণ সরবরাহ করার প্রয়োজন ছাড়াই একতরফাভাবে ব্যক্তিদের সন্ত্রাসী হিসাবে আখ্যায়িত করা যায়।
মুসলিম সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান অক্টোবর ২০২০ থেকে কারাগারে রয়েছেন। হাতরাস গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রতিবেদন করার চেষ্টা করায় তাকে ভারতের রাষ্ট্রদ্রোহ আইন এবং কঠোর বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন (UAPA) এর অধীনে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
কোন অপরাধ না করেও প্রায় ২ বছর ধরে কারাগারে বন্দী আছেন। হিন্দুত্ববাদী এলাহাবাদ হাইকোর্ট ‘হাতরাস ষড়যন্ত্র মামলা’-তে সাংবাদিক সিদ্দিক কাপানের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। গত ২ আগস্ট মঙ্গলবার রায় দেওয়ার পর বিচারপতি কৃষ্ণা পাহলের বেঞ্চ তার জামিন নামঞ্জুর করে। তিনি কারাগারে তীব্র অসুস্থতায় ভুগছেন। হিন্দুত্ববাদীরা কোন চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেনি তার। চিকিৎসার জন্য জামিন ও দিচ্ছে না। অথচ, মুসলিম ব্যতিত অন্যান্য বড় বড় অপরাধীদেরকেও জামিন দেওয়া হয়।
কাপ্পান একা নন, কাশ্মীরি সাংবাদিক আসিফ সুলতানও তিন বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন। কাপ্পান এবং সুলতান বানোয়াট অভিযোগে কোন বিচার ছাড়াই বন্দী রয়েছেন। তারা কেবল মুসলিম সাংবাদিক হওয়ার কারণেই জেলে রয়েছেন।
এরকম অসংখ্য কাপ্পান আর আসিফ ভারতের জেলগুলোতে বিনা বিচারে আটক রয়েছে বছরের পর বছর। অনেকের আবার হদিসও পাওয়া যায়নি। আর জেল হেফাজতে মৃত্যুও হয়েছে নাম না জানা বেশ কয়েকজন মুসলিম সাংবাদিকের।
তবে কিছু দালাল মিডিয়া সর্বদাই হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের চাটুকারিতায় ব্যস্ত থাকে। মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে মুসলিম বিদ্বেষ উস্কে দিতে এবং বিজেপির মুসলিম গণহত্যা ও অখণ্ড ভারত নির্মাণের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে এরা আদা জল খেয়ে মাঠে নেমেছে। নির্যাতিত এই মুসলিমদের কোন তথ্যই প্রকাশ করে না দালাল এই মিডিয়াগুলো।
তথ্যসূত্র:
——-
1. Allahabad High Court Denies Bail To Siddique Kappan’s In UAPA Case
– https://tinyurl.com/532krh8x
হিন্দুত্ববাদী ভারত সাংবাদিকতার জন্য সত্যিই একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক জায়গা হয়ে উঠেছে। সাংবাদিকরা তাদের কাজের জন্য হিন্দুত্ববাদীদের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে কোন সাংবাদিক মুসলিম হলে কঠোরতা বেড়ে যায় কয়েক গুণ।
সাংবাদিকদের মধ্যে যারাই হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে কথা বলে, তাদের বিরুদ্ধেই রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয় বা UAPA-এর মতো কঠোর আইনের অধীনে গ্রেপ্তার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, যাতে প্রমাণ সরবরাহ করার প্রয়োজন ছাড়াই একতরফাভাবে ব্যক্তিদের সন্ত্রাসী হিসাবে আখ্যায়িত করা যায়।
মুসলিম সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান অক্টোবর ২০২০ থেকে কারাগারে রয়েছেন। হাতরাস গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রতিবেদন করার চেষ্টা করায় তাকে ভারতের রাষ্ট্রদ্রোহ আইন এবং কঠোর বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন (UAPA) এর অধীনে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
কোন অপরাধ না করেও প্রায় ২ বছর ধরে কারাগারে বন্দী আছেন। হিন্দুত্ববাদী এলাহাবাদ হাইকোর্ট ‘হাতরাস ষড়যন্ত্র মামলা’-তে সাংবাদিক সিদ্দিক কাপানের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। গত ২ আগস্ট মঙ্গলবার রায় দেওয়ার পর বিচারপতি কৃষ্ণা পাহলের বেঞ্চ তার জামিন নামঞ্জুর করে। তিনি কারাগারে তীব্র অসুস্থতায় ভুগছেন। হিন্দুত্ববাদীরা কোন চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেনি তার। চিকিৎসার জন্য জামিন ও দিচ্ছে না। অথচ, মুসলিম ব্যতিত অন্যান্য বড় বড় অপরাধীদেরকেও জামিন দেওয়া হয়।
কাপ্পান একা নন, কাশ্মীরি সাংবাদিক আসিফ সুলতানও তিন বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন। কাপ্পান এবং সুলতান বানোয়াট অভিযোগে কোন বিচার ছাড়াই বন্দী রয়েছেন। তারা কেবল মুসলিম সাংবাদিক হওয়ার কারণেই জেলে রয়েছেন।
এরকম অসংখ্য কাপ্পান আর আসিফ ভারতের জেলগুলোতে বিনা বিচারে আটক রয়েছে বছরের পর বছর। অনেকের আবার হদিসও পাওয়া যায়নি। আর জেল হেফাজতে মৃত্যুও হয়েছে নাম না জানা বেশ কয়েকজন মুসলিম সাংবাদিকের।
তবে কিছু দালাল মিডিয়া সর্বদাই হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের চাটুকারিতায় ব্যস্ত থাকে। মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে মুসলিম বিদ্বেষ উস্কে দিতে এবং বিজেপির মুসলিম গণহত্যা ও অখণ্ড ভারত নির্মাণের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে এরা আদা জল খেয়ে মাঠে নেমেছে। নির্যাতিত এই মুসলিমদের কোন তথ্যই প্রকাশ করে না দালাল এই মিডিয়াগুলো।
তথ্যসূত্র:
——-
1. Allahabad High Court Denies Bail To Siddique Kappan’s In UAPA Case
– https://tinyurl.com/532krh8x
Comment