Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১২ মুহাররম ১৪৪৪ হিজরী।। ১১আগস্ট ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১২ মুহাররম ১৪৪৪ হিজরী।। ১১আগস্ট ২০২২ ঈসায়ী।

    ভারতীয় সেনাদপ্তরে কাশ্মীরি স্বাধীনতাকামীদের হামলা: হতাহত ২০ এর বেশি



    হিন্দুত্ববাদী ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের রাজৌরি অঞ্চলে দেশটির দখলদার সেনাবাহিনীর একটি সদরদপ্তরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। যাতে বহু সংখ্যক হিন্দুত্ববাদী দখলদার সেনা নিহত এবং আহত হয়েছে।

    কাশ্মীর ভিত্তিক নিউজ পোর্টালসমূহের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, আজ ১১ আগষ্ট বৃহস্পতিবার ভোররাতে, রাজ্যটির রাজৌরির পারগাল এলাকায় দখলদার ভারতীয় সেনা সদরদপ্তরে অনুপ্রবেশ করেন সশস্ত্র দুইজন স্বাধীনতাকামী।

    সেনা সদরদপ্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনি পার করার সময় বর্বর হিন্দুত্ববাদী সেনারা তাদের দেখে ফেলে এবং তাদের দিকে গুলি ছুড়তে শুরু করে। এসময় ভারতীয় দখলদার সেনাদের টার্গেট করেও পাল্টা আক্রমণ এবং গুলি বর্ষণ করেন স্বাধীনতাকামীরা। ফলে কিছু বুঝে উঠার আগেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় ৩ সেনা।

    এরপর আশেপাশে থেকে আরো সেনা আসতে থাকলে বীরবিক্রমে উক্ত দুই স্বাধীনতাকামী তাদের উপরও হামলা চালান, এক উচ্চপদস্থ অফিসার (মেজর জেনারেল) সহ আরও পাঁচ দখলদারকে আহত করেন। এক পর্যায়ে অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হিন্দুত্ববাদী সেনা সদস্যদের চতুর্মুখী আক্রমণে শাহাদাতবরণ করেন দুই স্বাধীনতাকামী।



    এদিকে দখলদার ভারতীয় এক সেনা কর্মকর্তা রয়টার্সকে দেওয়া এক বার্তায় দাবি করেছে যে, বৃহস্পতিবারের এই হামলায় ৩ ভারতীয় সেনা নিহত এবং আরও ২ সেনা আহত হয়েছে।

    তবে কাশ্মীর ভিত্তিক কয়েকটি টুইটার সোর্স থেকে জানানো হয় যে, স্বাধীনতাকামীদের বীরত্বপূর্ণ এই অপারেশনে ভারতীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি, যা দখলদার সেনারা গোপন করছে। তাদের মতে, এই হামলায় বহু সংখ্যক ভারতীয় দখলদার সৈন্য নিহত হওয়া ছাড়াও, অন্তত ১২ সেনা গুরুতর আহত হয়েছে।

    কেবল দুইজন স্বাধীনতাকামীর এমন সাহসিকতাপূর্ণ হামলা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার ও দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী। তারা নিজেদের সংখ্যা, অস্ত্র কিংবা প্রশিক্ষণের উপর ভরসা না করে কেবল আল্লাহর উপর ভরসা করে হাতের কাছে যা আছে তা নিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন দ্বীন ও মিল্লাতের দুশমনদের উপর। আর তাঁরা সফল এই অভিযানটি এমন এক সময় চালিয়েছেন, যখন উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারত তার স্বাধীনতা বার্ষিকী উপলক্ষে জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়িয়েছে।

    উল্লেখযোগ্য যে, ১৯৪৭ সাল থেকে জম্মু-কাশ্মীর দখল করে রেখেছে হিন্দুত্ববাদী ভারত। এরপর থেকে এ অঞ্চলে রাজনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। স্বাধীনতা ও শরীয়তেরর পক্ষের কাশ্মীরি দলগুলোও সময়ে সময়ে ভারতীয় দখলদার সেনাবাহিনীর উপর হামলা চালিয়ে আসছেন।

    ইসলামি চিন্তাবীদগণ তাই মুসলিমদেরকে কাশ্মীরি স্বাধীনতাকামী ও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাফল্যের জন্য দোয়া করতে বলেছেন, এবং সাম্ভাব্য সকল উপায়ে তাদের সাহায্য করতে পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ, তাঁরা বলছেন, কাশ্মীরের মুক্তি মানেই হিন্দুত্ববাদের কবল থেকে গোটা উপমহাদেশের মুক্তি।



    তথ্যসূত্র :
    ———
    1. Suicide attack on Army Camp in Rajouri; 2 militants, 3 soldiers killed
    https://tinyurl.com/5xbtxjvv
    2. Three Army Men, Two Militants Killed In Pre-Dawn Attack
    https://tinyurl.com/yjzsyvn6
    3. J&K army camp attack: 3 soldiers, 2 militants killed
    https://tinyurl.com/28kv2n7h
    4. https://tinyurl.com/3s5ndkyc
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    কর্ণাটকে বাবরি মসজিদের মত ঈদগাহের মিনার ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি হিন্দু সন্ত্রাসীদের



    কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে মুসলিমদের ঈদগাহ ময়দানের প্রাঙ্গনে অবস্থিত ঈদগাহের মিনার ধ্বংস করার প্রকাশ্য হুমকি দিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা। গত ১০ আগস্ট বুধবার এই ঘটনা ঘটে।

    হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা ঈদগাহের জায়গাটি কর্ণাটক স্টেট বোর্ড অফ আউকাফ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে হস্তান্তর করার দাবিতে আন্দোলনে নামে। বিশ্ব সনাতন পরিষদের সভাপতি হিন্দুত্ববাদী নেতা ভাস্করন হুমকি দিয়েছে, সে অযোধ্যার বাবরি মসজিদের মত ঈদগাহের মিনারগুলো ভেঙে ফেলবে।

    উগ্রবাদী হিন্দু নেতা ভাস্করন দাবি জানিয়েছে যে, ঈদগাহ ময়দানকে “খেলার মাঠ হিসাবে ব্যবহার করা হবে।” এবং ৬ ডিসেম্বরের আগে ঈদগাহ মিনার ভেঙে ফেলার জন্য সরকারকে একটি সময়সীমা দিয়েছে। তার উসকানিতে মহারাষ্ট্র, কেরালা, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কর্ণাটকের বিভিন্ন অংশে অন্যান্য হিন্দু সংগঠনগুলোও ঈদগাহ কিবলা প্রাচীর ভেঙে ফেলার জন্য বিপুল সংখ্যক উগ্র হিন্দু জনতার সমাবেশ করেছে।

    হিন্দু সংগঠনগুলো দাবি করেছে যে, ঈদগাহ মিনারটি ভেঙে ফেলতে হবে। তা না হলে এটি নাকি হিন্দুদের উৎসব উদযাপনের সময় জটিলতা সৃষ্টি করবে।

    অথচ, যুগ যুগ ধরে ভারতবর্ষে মসজিদ ও ঈদগাহের মিনারাগুলো মুসলিমদের ইতিহাস ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হিন্দুত্ববাদীরা ইসলাম বিদ্বেষের কারণে মুসলিমদের গড়া স্থাপনাগুলো ভেঙ্গে দিচ্ছে। যেন মুসলিম গৌরবমাখা ইতিহাস মুছে ফেলা যায়।

    এদিকে ভারতের মুসলিমরা অসাম্প্রদায়িকতা আর তন্ত্র-মন্ত্রের পেছনে পরে নিজেদের এতটাই দুর্বল করে ফেলেছে যে, হিন্দুদের এইসব উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদটুকু তারা করতে পারছেন না। এই দুর্বলতা কাটাতে ইসলামি চিন্তাবীদগণ তাই মুসলিমদেরকে নববী মানহাজ ও আদর্শ আঁকড়ে ধরতে এবং ভবিষ্যৎ বিপদ মোকাবেলায় প্রস্তুত হতে আহব্বান জানিয়েছেন।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. TheNewsMinute : Hindutva activist threatens to demolish Eidgah wall in Bengaluru
    https://tinyurl.com/yuad54db

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      সিরিয়া। তেল চুরি করে আমেরিকায় পাচার করছে মার্কিন সেনারা

      গত ২ আগস্ট ভোরে সিরিয়ার জাজিরা অঞ্চল থেকে মার্কিন দখলদার সেনাবাহিনী তেল ভর্তি বেশ কয়েকটি ট্যাঙ্কার ট্রাকসহ ৩১ টি গাড়ির একটি কনভয় ইরাকে পাচার করে। তেল ছাড়াও কনভয়টিতে মার্কিন সেনাদের লুণ্ঠন করা সম্পদও ছিল।
      স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ আল-ওয়ালিদ সীমান্ত দিয়ে ইরাকের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে তেল স্থানান্তর করে তারা।শুধুমাত্র গত জুলাই মাসেই প্রায় ২০০ টি ট্যাঙ্কার ভর্তি ট্রাকে করে লুণ্ঠিত তেল সিরিয়া থেকে পাচার করে মার্কিন সেনারা। লুন্ঠিত তেল বিদেশে বিক্রি করার জন্য আমেরিকা সিরিয়ার সম্পদ (বিশেষ করে তেল) চুরি করার অনুশীলন আরও জোরদার করেছে।

      দখলদার সেনাবাহিনী দেশের গম লুণ্ঠনের জন্যও দায়ী, যা দেশের খাদ্য সংকটকে আরও তীব্র করেছে।খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মতে, যুদ্ধের আগে সিরিয়ার শস্যের উৎপাদন বার্ষিক গড় ৪.১ মিলিয়ন টন থেকে কমে ২০২১ সালে আনুমানিক ১.০৫ মিলিয়ন টনে নেমে এসেছে। আর এই শস্য উৎপাদনের পরিমাণ কমে যাবার জন্য দায়ী শুধুমাত্র আমেরিকা।
      ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) বলছে, বর্তমানে এক কোটি ২৪ লাখ সিরীয় বা দেশটির প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।এক সময়ের গম উৎপাদনকারী প্রধান দেশ সিরিয়া গত ১১ বছরের যুদ্ধের পর এখন খাদ্য সংকটে পড়েছে। এর উপরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা এখন তাদের ক্ষেতের বড় একটি অংশ ব্যবহার করতে পারছে না।

      সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে হাসাকাহ এবং দেইর’এর বেশিরভাগ তেলক্ষেত্র আইসিস (ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক এন্ড সিরিয়া) কবল থেকে রক্ষার অজুহাতে মার্কিন সেনারা এবং তাদের মিত্র বাহিনী সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

      মুসলিম বিশ্লেষকরা বলছেন, সিরিয়ায় মার্কিন সেনা মোতায়েন তাদেরই বানানো ‘আন্তর্জাতিক আইন’ অনুযায়ী অবৈধ। কারণ এটি দামেস্ক ও জাতিসংঘের সম্মতি ছাড়াই বাস্তবায়ন করা হয়েছিল।

      সুতরাং এর থেকে একটি বিষয় স্পষ্টই যে, এই কথিত ‘আন্তর্জাতিক আইন’ শুধুমাত্র মুসলিম দেশগুলিকে হাতের মুঠোয় রাখা এবং ইসলামকে মাথা তুলে দাঁড়াতে না দেওয়ার জন্যই বানানো।
      এছাড়াও মুসলিম দেশগুলো থেকে প্রাকৃতিক সম্পদ বিশেষ করে তেল এবং স্বর্ণ চুরি করে মুসলিম দেশগুলোতেই মানবসৃষ্ট দুর্যোগ তৈরী করাই হচ্ছে আমেরিকার উদ্দেশ্য।


      তথ্যসূত্র :
      ————

      1. New batch of stolen oil smuggled out of Syria by US troops
      https://tinyurl.com/3kdw9yyk






      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        আমি মনে করি ভারতের মুসলিমরা দুইভাবে বিভক্ত হয়ে যাক এক দল কাশ্মীরের মুজাহিদদের সাথে এক হয়ে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করুক । কারন কাশ্মীরভূমি এখন জিহাদের জন্য উপযুক্ত ভূমি এবং কাশ্মীর থেকে তারা তাদের আক্রমনের তীব্রতা প্রখর করে দিক তাহলে ভারত অন্যদিকে মনযোগ দেওয়ার কোনো সুযোগই পাবে না । কারণ কাশ্মীরীদের আক্রমনের ফলে তাদের দশা বেহাল হয়ে যাবে আর একদল মুজাহিদ ভারতের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সকল তথ্য সবখানে সরবরাহ করবে । তারা কোন গুরুত্বপূর্ণ এবং উল্লেখ যুগ্য আক্রমণের সুযোগ পেলে সেই আক্রমণ করে বসবে এবং কোন গুরুত্ব পূর্ণ ব্যক্তিকে হত্যা করার সুযোগ পেলে তাকে হত্যা করবে । সর্বোপরি তারা পিছন থেকে আক্রমণ করবে এবং ভারত কাশ্মীরের উপর যে কোন ধরনের বয়কট করলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের আক্রমণ করে তা প্রতিরোধ করবে।
        পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

        Comment


        • #5
          তাদের উদার পন্থী এবং সর্বজনীন আইন প্রনয়নে তাদের চক্রান্ত এই যে এতে সাধারণ মুসলিমরা প্রতারিত হবে । এবং তারা তাদের সুবিধা মত এই আইন লঙ্ঘন করে বিভিন্ন আক্রমণ বা ইত্যাদি করে তাদের স্বার্থ হাসিল করবে এদিকে সাধারণ মুসলমিমরা এটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ভেবে এ সকল আইনকে এড়িয়ে যাবে না । এভাবে তারা তাদের এই চক্রান্তের জাল অব্যাহত রেখে মুসলিমদেরকে ধীরে ধীরে পুরোদমেই নিঃশেষ করে দিতে পারবে এতে করে সাপও মারা যাবে এবং লাঠিও ভাঙবে না।
          পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

          Comment


          • #6
            হে আল্লাহ মুজাহিদ ভাইদেরকে সাহায্য কর।

            Comment

            Working...
            X