Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১৫ মুহাররম ১৪৪৪ হিজরী।। ১৪ আগস্ট ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১৫ মুহাররম ১৪৪৪ হিজরী।। ১৪ আগস্ট ২০২২ ঈসায়ী।

    ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র আর মুসলিমদের হিন্দু বানানোর উসকানিমূলক মন্তব্য হিন্দুত্ববাদী সুরেন্দ্রর



    ভারতে হিন্দুত্ববাদীরা এতদিন আড়ালে আবডালে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর কথা বলতো। এখন প্রকাশ্যে গণমাধ্যমকে মুসলিমদেরকে জোরপূর্বক হিন্দু বানিয়ে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর মন্তব্য করছে। সে অনুযায়ী তারা কাজও শুরু করেছে। ভারত জুড়ে মুসলিমদের উপর হিন্দুত্ববাদীদের হামলা বহুগুণে বেড়ে গেছে। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে মুসলিমদের উপর চাপ প্রয়োগ করে অসহায় করে তুলছে। যেন মুসলিমরা চাপে পড়ে হিন্দু হতে না চাইলেও ঘুড়ে দাাঁড়াতে না পারে।

    মুসলিম বিদ্বেষী উসকানিমূলক মন্তব্যবের ধারাবাহিকতায় এবার ‍যুক্ত হয়েছে ভারতের উত্তর প্রদেশের বিজেপি বিধায়ক হিন্দুত্ববাদী সুরেন্দ্র সিং। সে বলেছে, ‘ভারতকে শিগগিরি হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করা হবে এবং দেশের মুসলিমদের হিন্দু বানানো হবে।’ সম্প্রতি এই উগ্র নেতা গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মুসলিম বিদ্বেষী মন্তব্য করেছে।

    গত ১১ আগস্ট বৃহস্পতিবার হিন্দি গণমাধ্যম ‘জনসত্তা’ সূত্রে জানা গেছে, সুরেন্দ্র সিংয়ের এ সংক্রান্ত ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

    সুরেন্দ্র সিং বলেছে, ভারত যেকোনো উপায়ে হিন্দু রাষ্ট্র হবে এবং মুসলিমদের হিন্দু করা হবে। এছাড়া সে ভারত মাতা কী জয় এর মত কুফরী স্লোগান যারা না দেয় তাদেরকে ‘শয়তান’ এবং ‘রাবণ’-এর সঙ্গে তুলনা করেছে।

    এই হিন্দুত্ববাদী আরো বলেছে, ‘পৃথিবীতে রামের পাশপাশি রাবণও ছিল। ঠিক একইভাবে ভারতের মাটিতে বাস করে ‘ভারত মাতা কী জয়’ না বলা লোকদের মধ্যে রাবণের প্রবৃত্তি রয়েছে। এরা এমন লোক যারা এই মাটির অন্ন খায় এবং পানি পান করা সত্ত্বেও এরা ভারত ভূমিকে ‘মা’ মেনে নিতে রাজি নয়। এরা তো মানুষ হতে পারে না, শয়তানই হতে পারে।’

    যদি ভারত হিন্দু রাষ্ট্র হয় তাহলে মুসলিমদের কী হবে- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে সে বলেছে, দেশে যত মুসলিম আছে তারা আগে হিন্দু ছিলেন। হিন্দু ধর্ম থেকে পরিবর্তিত হয়ে তারা মুসলিম হয়েছিলেন। ওদের আমরা আবার হিন্দু বানাব। তাদের হিন্দুতে পরিণত করব।’

    এই হিন্দুত্ববাদীরা ভুলে যায় যে, মুসলিমরা দীর্ঘ ৬০০ বছর ভারতে বীরদর্পে শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করেছেন। তারা চাইলেই উপমহাদেশের সকল মানুষের ধর্মকে ইসলাম বানিয়ে ফেলতে পারতেন। জোরপূর্বক সকলকে মুসলিম বানিয়ে ফেলতে পারতেন। কিন্তু ইসলাম কাউকে জোরপূর্বক মুসলিম বানানোকে সমর্থন করে না; তাই তারা কাউকে জোরপূর্বক মুসলিম বানান নাই। জোরপূর্বক মুসলিম বানানোর ইতিহাসও কেউ দেখাতে পারবে না।

    এখন হিন্দুত্ববাদীরা যে অযৌক্তিক দাবি করছে যে, হিন্দুদেরকে মুসলিম বানানো হয়েছে – তা আসলেই মিথ্যা এবং ভ্রান্ত। বরং অনেক জ্ঞানী হিন্দুরাই ইসলামের সত্যতা, সৌন্দর্য এবং মুসলিমদের সুন্দর আচরণে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছেন। এমন অসংখ্য ঘটনা ইতিহাসের সোনালী পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ আছে।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    ১. ভারত হিন্দু রাষ্ট্র হবে, মুসলিমদের হিন্দু বানানো হবে: বিজেপি বিধায়ক
    https://tinyurl.com/2s47dmkz



    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    কারাগারে বৃদ্ধা ফিলিস্তিনির মৃত্যু, ৪০ দিন পর লাশ ফেরত দিল জালিম ইসরাইল



    ইসরাইলি কারাগারে মৃত্যুর ৪০ দিন পর সাদিয়া ফারাজাল্লাহ নামে এক বৃদ্ধা ফিলিস্তিনি মুসলিম নারীর লাশ পরিবারের কাছে ফেরত দিয়েছে জালিম ইসরাইল।

    বিবরণ অনুযায়ী, গত ২ জুলাই দখলদার ইসরাইলি কারাগারে মারা যান তিনি। মারা যাওয়ার সময় তাঁর বয়স ছিল ৬৮ বছর। বয়োবৃদ্ধ এ নারীর সাথেও পাশবিক আচরণের কোন কমতি করেনি মানবতার দুষমন ইহুদিরা। প্রথমে তাঁর লাশ পরিবারের কাছে ফেরত দিতে অস্বীকার করে বর্বর ইহুদিরা। এরপর বহু আন্দোলন ও প্রতীক্ষার পর গত ১১ আগস্ট তার লাশ ফিলিস্তিনিদের কাছে হস্তান্তর করে ইহুদিরা।

    উল্লেখ যে, গতবছর ১৮ ডিসেম্বর অধিকৃত পশ্চিম তীরে হেবরন শহর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে ইসরাইলি সেনারা। ঐ সময় তিনি ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক ইব্রাহিম মসজিদের পাশে বসবাসকারী তাঁর মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল।

    তাঁর জানাযায় অংশ নেন অসংখ্য ফিলিস্তিনি মুসলিম। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী কয়েকটি সংগঠনও জানাজায় উপস্থিত ছিল। তারা বৃদ্ধা মুসলিমরা মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়ার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
    বিশ্লেষকরা বলছেন, বয়োজ্যেষ্ঠ একজন মুসলিম নারীর প্রতি জালিম ইসরাইলের এমন বর্বর আচরণ উম্মাহর এক সময়ের জিহাদবিমুখতার ফল। মুসলিমরা অস্ত্র ছেড়ে দিয়ে যখন থেকে দুনিয়ার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে, তখন থেকেই এই ইহুদি জাতি এবং অন্যান্য অমুসলিম সম্প্রদায় মুসলিমদের উপর ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। মুসলিমদেরকে তাই আবারো দুনিয়াবিমুখ হয়ে নববী মানহাজ ও আদর্শে প্রত্যাবর্তন করার পরামর্শ দিয়েছেন হক্কানী উলামায়ে কেরাম।

    তথ্যসূত্র:
    ————-
    1. Israel delivered the body of the late prisoner Saadiya after 40 days of her death-
    https://tinyurl.com/ycx2827d

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      তালেবানের সুন্দর আচরণে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ান প্রফেসর এখন কাবুলে



      ইসলাম নিয়ে যুগে যুগে ইসলামবিদ্বেষীরা যতই প্রোপাগাণ্ডা ছড়াক, ইসলামের রীতিনীতি দেখে ও ইসলামের অনুসারীদের ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছেন অসংখ্য অগণিত মানুষ। সবচেয়ে বেশি ইসলাম গ্রহণের ঘটনা ঘটেছে তাদেরই হাতে, যারা ইসলামকে প্রকৃতভাবে নিজেদের জীবনে ফুটিয়ে তুলেছেন। যারা এক সময় ইসলামের ঘোর বিরোধী থাকতো তারাই ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য দেখে নিজেদের জীবনে ইসলামকে গ্রহণ করে নিয়েছেন। তেমনি একজন ব্যক্তি অস্ট্রেলিয়ান প্রফেসর টিমোথি উইকস।

      তালেবানের কারাগারে বন্দী থাকাকালীন তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। বর্তমানে তিনি ইসলামী আমিরাতের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাতৃভূমি থেকে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের মাটিতে পা রেখেছেন। একইসাথে নতুন সরকারকে সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন টিমোথি উইকস।

      গতকাল ১৩ আগস্ট শনিবার এক্সপ্রেস নিউজ জানায়, ২০১৬ সালে আফগানিস্তানে এসে এক মার্কিন সহকর্মীর সাথে তালেবান মোজাহিদিনদের হাতে আটক হন উইকস এবং তিন বছর তাদের হাতে বন্দী থাকেন। পরে তালেবান নিজেদের তিন নেতার মুক্তির বদলি হিসেবে মুক্তি দেন উইকস ও তার সহকর্মীকে। বন্দিত্বের সময়েই তালেবানের আচরণে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন এই অস্ট্রেলিয়ান প্রফেসর।



      মুক্তির পর যখন তিনি সিডনিতে পৌঁছান, তিনি বলেছিলেন, “তালেবানদের সাথে জিম্মি হয়ে যে সময় কাটিয়েছি তা আমার উপর গভীর এবং অকল্পনীয় প্রভাব ফেলেছে, আমি এমন আলোকিত মানুষ জীবনে কখনো দেখনি।”

      তিনি গতকাল আবারও আফগানিস্তানে ফরে এসেছেন। ইসলামি ইমারতের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মোজাহিদিনদের সঙ্গে আনন্দ উদযাপন করতে এসেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। একইসাথে নতুন সরকারকে সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

      ইসলাম গ্রহণের পর উইকস নিজের নতুন নাম রাখেন জিবরিল ওমর। তিনি যখন বন্দী ছিলেন তালেবান মুজাহিদিনদের হাতে তখন তার প্রহরার দায়িত্বে থাকা তালিবান মোজাহিদিনের নাম ছিল জিবরিল ওমর। তিনি এই মুজাহিদের আদর্শে এতোটাই অনুপ্রানিত হয়েছেন যে নিজের নামটিও রেখেছেন তাঁর নামানুসারে।

      ইসলাম গ্রহণের পর তিনি নানা ক্ষেত্রে তালেবানকে সহায়তা করেছেন। কাতারে অনুষ্ঠিত তালেবান-যুক্তরাষ্ট্র শান্তিচুক্তি আলোচনায় এই নওমুসলিম তালেবান নেতাদের সাথে সেখানে সাক্ষাৎ করেন এবং গত বছরের ১৫ আগস্ট যখন তালেবান শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করে, তখন তিনি নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানান।

      গতকাল তিনি যখন কাবুলে পা রাখেন, তখন তার চেহারা শুভ্র দাড়ি সজ্জিত দেখা যায়। তার পোশাকেও বেশ পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে; তিনি সাদা পাঞ্জাবি-পায়জামা, কালো কোট এবং একটি কান্দাহারী পাগড়ি পরিধান করে বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।



      সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে প্রফেসর জিবরিল ওমর বলেন, এই ভূখণ্ডে তালেবান শাসনের বর্ষপূর্তির আনন্দ উদযাপনে আমি আফগানিস্তান এসেছি। একইসাথে আমি অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাবেক এক আফগান এমপির সাথে মিলে এ দেশের সাধারণ জনগণের কল্যাণের জন্য একটি দাতব্য সংস্থা প্রতিষ্ঠা প্রকল্পের কাজ করছি।

      ইসলাম আল্লাহ তায়ালার মনোনীত ধর্ম। বাতিল অপশক্তি ইসলাম নিয়ে যতই অপ্রচার করুক। আল্লাহ যাদের কপালে হেদায়েত রেখেছেন তারা অবশ্যই ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করবেন।



      তথসূত্র:
      ——–
      ১. তালেবানের আচরণে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ান প্রফেসর কাবুলে পৌঁছেছেন
      https://tinyurl.com/mr2yyuh2

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X