বুলডোজারের বিরুদ্ধে কথা বলায় মধ্যপ্রদেশে মুসলিম এক্টিভিস্ট আটক
মুসলিমদেরকে কথিত ধর্মনিরপেক্ষতা আর বাকস্বাধীনতার ফাঁকা বুলি দিয়ে ধোঁকায় ফেলে রাখা ও শোষণ করা হিন্দুত্ববাদীদের একটি পুরনো কৌশল। তারা যা ইচ্ছা করবে-বলবে, এ ব্যাপারে মুসলিমরা কিছু বলতে পারবে না। কিন্তু মুসলিমরা কিছু বললেই কঠিন আইনের মারপ্যাঁচে ফেলে জেলে ঢুকিয়ে দিবে।
মোহাম্মদ জাইদ পাঠান, যিনি একজন ভারতীয় মানবাধিকার কর্মী, তিনি মধ্যপ্রদেশে স্থানীয় সরকারের বুলডোজার ব্যবহার করে মুসলিমদের বাড়িঘর ভেঙে ফেলার বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন।
এজন্য গত ১৫ আগস্ট জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএ) অধীনে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ ধর্মীয় অনুভূতি জাগানো এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর বিষয় প্রকাশ করার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
হিন্দুত্ববাদীদের অপকর্মের বিরুদ্ধে মত প্রকাশই যেন ভারতের সবচেয়ে বড় অপরাধ হয়ে উঠেছে। ফলে খুন, ধর্ষণ করার পরেও অনেক হিন্দু আসামী মুক্ত বাতাসে ঘোরাফেরা করছে। আর অন্যদিকে, শুধু হিন্দুত্ববাদীদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় অনেক মুসলিম এখন জেলে বন্দী। এই তালিকায় নুতুন সংযোজন প্রতিবাদকারী মুসলিম এই জাইদ পাঠান।
জাইদ পাঠান হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হয়রানির শিকার মুসলিমদের পক্ষে অত্যন্ত সোচ্চার ছিলেন, তিনি খারগোনে মুসলিম-বিরোধী পগরম এবং বাড়িঘর ভাঙার বিরুদ্ধেও সোচ্চার ছিলেন। এ কারণেই গত সোমবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করে কঠোর জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএ) অধীনে মামলা করে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।
এদিকে ইন্দোরের কালেক্টর হিন্দুত্ববাদী মনীশ সিং বলেছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা, ধর্মীয় অনুভূতিতে উসকানি দেওয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর পোস্ট করার অভিযোগেই নাকি পাঠানকে গ্রেপ্তার করেছে প্রশাসন।
মুসলিম অধিকারকর্মী নাদিম খান বলেছেন, যখন থেকে তিনি খারগোনে মুসলমানদের সম্পত্তি বেআইনি ধ্বংসের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন তখন থেকেই পাঠানকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়।
ভারতের কথিত স্যেকুলার-গণতন্ত্রের মুখোশধারীরা এতদিন ধরে যাই বলে থাকুক না কেন, এখন মুসলিমদের প্রতিবাদটুকুও তাদের সহ্য হচ্ছে না। তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে যেন কেউ টু শব্দটুকু করতে না পারে, সেজন্য প্রতিবাদী মুসলিমদের গলা টিপে শ্বাসরুদ্ধ করে দিচ্ছে। গণতন্ত্র নামক বিষ বৃক্ষ থেকে এর বেশি কিছু পাওয়া সম্ভব নয়, যার ধোঁকায় এখনো ফেঁসে আছে উপমহাদেশের মুসলিমরা।
তাই ইসলামি বিশেষজ্ঞগণ মুসলিমদেরকে এসব তন্ত্র-মন্ত্র আর কথিত অসাম্প্রদায়িকতার জাল ছিন্ন করে ঐক্যবদ্ধভাবে নববী মানহাজ ও আদর্শ আঁকড়ে ধরতে বলেছেন।
তথ্যসূত্র:
——–
1. MP: Muslim activist who spoke against bulldozer drive in Khargone, booked under NSA, sent to jail
– https://tinyurl.com/ye2aedf2
মুসলিমদেরকে কথিত ধর্মনিরপেক্ষতা আর বাকস্বাধীনতার ফাঁকা বুলি দিয়ে ধোঁকায় ফেলে রাখা ও শোষণ করা হিন্দুত্ববাদীদের একটি পুরনো কৌশল। তারা যা ইচ্ছা করবে-বলবে, এ ব্যাপারে মুসলিমরা কিছু বলতে পারবে না। কিন্তু মুসলিমরা কিছু বললেই কঠিন আইনের মারপ্যাঁচে ফেলে জেলে ঢুকিয়ে দিবে।
মোহাম্মদ জাইদ পাঠান, যিনি একজন ভারতীয় মানবাধিকার কর্মী, তিনি মধ্যপ্রদেশে স্থানীয় সরকারের বুলডোজার ব্যবহার করে মুসলিমদের বাড়িঘর ভেঙে ফেলার বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন।
এজন্য গত ১৫ আগস্ট জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএ) অধীনে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ ধর্মীয় অনুভূতি জাগানো এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর বিষয় প্রকাশ করার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
হিন্দুত্ববাদীদের অপকর্মের বিরুদ্ধে মত প্রকাশই যেন ভারতের সবচেয়ে বড় অপরাধ হয়ে উঠেছে। ফলে খুন, ধর্ষণ করার পরেও অনেক হিন্দু আসামী মুক্ত বাতাসে ঘোরাফেরা করছে। আর অন্যদিকে, শুধু হিন্দুত্ববাদীদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় অনেক মুসলিম এখন জেলে বন্দী। এই তালিকায় নুতুন সংযোজন প্রতিবাদকারী মুসলিম এই জাইদ পাঠান।
জাইদ পাঠান হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হয়রানির শিকার মুসলিমদের পক্ষে অত্যন্ত সোচ্চার ছিলেন, তিনি খারগোনে মুসলিম-বিরোধী পগরম এবং বাড়িঘর ভাঙার বিরুদ্ধেও সোচ্চার ছিলেন। এ কারণেই গত সোমবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করে কঠোর জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএ) অধীনে মামলা করে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।
এদিকে ইন্দোরের কালেক্টর হিন্দুত্ববাদী মনীশ সিং বলেছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা, ধর্মীয় অনুভূতিতে উসকানি দেওয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর পোস্ট করার অভিযোগেই নাকি পাঠানকে গ্রেপ্তার করেছে প্রশাসন।
মুসলিম অধিকারকর্মী নাদিম খান বলেছেন, যখন থেকে তিনি খারগোনে মুসলমানদের সম্পত্তি বেআইনি ধ্বংসের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন তখন থেকেই পাঠানকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়।
ভারতের কথিত স্যেকুলার-গণতন্ত্রের মুখোশধারীরা এতদিন ধরে যাই বলে থাকুক না কেন, এখন মুসলিমদের প্রতিবাদটুকুও তাদের সহ্য হচ্ছে না। তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে যেন কেউ টু শব্দটুকু করতে না পারে, সেজন্য প্রতিবাদী মুসলিমদের গলা টিপে শ্বাসরুদ্ধ করে দিচ্ছে। গণতন্ত্র নামক বিষ বৃক্ষ থেকে এর বেশি কিছু পাওয়া সম্ভব নয়, যার ধোঁকায় এখনো ফেঁসে আছে উপমহাদেশের মুসলিমরা।
তাই ইসলামি বিশেষজ্ঞগণ মুসলিমদেরকে এসব তন্ত্র-মন্ত্র আর কথিত অসাম্প্রদায়িকতার জাল ছিন্ন করে ঐক্যবদ্ধভাবে নববী মানহাজ ও আদর্শ আঁকড়ে ধরতে বলেছেন।
তথ্যসূত্র:
——–
1. MP: Muslim activist who spoke against bulldozer drive in Khargone, booked under NSA, sent to jail
– https://tinyurl.com/ye2aedf2
Comment