ফিলিস্তিনি মুসলিমদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের আদ্যোপান্ত
বিশ্ব মানবতার শত্রু ইসরায়েল ২০২১ সালের ২৪ শে মে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের অভ্যুত্থান রোধ করার জন্য কথিত “আইন ও শৃঙ্খলা” এর নামে একটি গণ-গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করে।
দখলদার ইসরায়লী পুলিশ ঘোষণা দেয় যে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তারা ৫০০ জন মুসলিমকে গ্রেফতার করবে। এবং ১০ই জুন পর্যন্ত এই দখলদার বাহিনী ২,১৫০ জনেরও বেশি মুসলিমকে গ্রেপ্তার করে। এবং এই মোট গ্রেপ্তারকৃতদের ৯১ শতাংশই ছিলো ইসরায়লের দখলকৃত অঞ্চলে অবস্থিত ফিলিস্তিনি মুসলিম। দখলদার ইসরায়লের পুলিশ বাহিনী, বিশেষ ইউনিট, সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং গোপন পুলিশ সবাই একযোগে প্রধানত আরব শহরগুলোতে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালায়। দখলদার বাহিনীগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের গ্রেপ্তার করে এবং দীর্ঘসময় ধরে তাদের আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ করে।
সুস্পষ্ট অধিকার লঙ্ঘন
ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনগুলির মধ্যে বিক্ষোভকারীদের প্রতি সহিংস আচরণ, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, গ্রেপ্তারকৃতদের ব্যক্তিগত ফোন বাজেয়াপ্ত, সাংবাদিক ও সমাজকর্মীদের এবং যারা দখলদারদের সহিংস আচরণের ভিডিও ধারণ করে তাদের মারধর, দখলদারদের বিশেষ বাহিনীর ফিলিস্তিনি শিশুদের অপহরণ, গ্রেপ্তার এবং আটক কেন্দ্রে স্থানান্তরের সময় অত্যধিক বল প্রয়োগ, কারাগারের অমানবিক অবস্থা, এবং বন্দীদের বিবৃতি আদায় পর্যন্ত তাদের জরুরি চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
এছাড়াও বন্দীদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের মধ্যে বিশেষ করে শিশুদেরকে থানায় ভয়ানক শারীরিক নির্যাতন করা, হুমকি এবং ভয়ভীতি দেখানো, জিজ্ঞাসাবাদের আগে আইনি পরামর্শকদের সাথে তাদের যোগাযোগ করতে না দেওয়ার মতো মৌলিক অধিকার হরণ করা, আরবি ভাষায় জিজ্ঞাসাবাদ না করা, জিজ্ঞাসাবাদের সময় পিতা-মাতা বা অভিভাবককে তাদের সন্তানদের সামনে উপস্থিত না রাখা, এবং ইচ্ছাকৃতভাবে দীর্ঘসময় পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করাও অন্তর্ভুক্ত। অনেক ক্ষেত্রে, দখলদার পুলিশ জেলে প্রবেশের দরজা অবরুদ্ধ করে দেয় যাতে আইনজীবীরা বন্দীদের নাম এবং সংখ্যা জানতে না পারে।
এছাড়াও ইসরাইলী বাহিনীর অন্যান্য অপরাধগুলোর মধ্যে একটি হলো তারা বন্দীদের আইনজীবীদের তাদের মক্কেলদের সম্পর্কে যে কোন প্রাসঙ্গিক তথ্য দিতে অস্বীকার করে এবং আইনজীবীদের তাদের মক্কেলদের পরামর্শ দেওয়া থেকে বিরত রাখে।
দখলকৃত ফিলিস্তিনের নাজারেথ পুলিশ স্টেশনে ইসরায়েলি সন্ত্রাসীদের একটি কুখ্যাত “নির্যাতন কক্ষ” আছে যেখানে গ্রেপ্তারকৃত বিক্ষোভকারী থেকে শুরু করে পথচারী এমনকি অ্যাটর্নিদের পর্যন্ত শারীরিক, মৌখিক এবং মানসিক নির্যাতন করা হয়। উম আল-ফাহ্ম পুলিশ স্টেশনটি তো পুরোপুরি বন্ধই করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে আইনজীবীরা বন্দীদের বিশেষ করে যাদের চিকিৎসার প্রয়োজন তাদের মৌলিক অধিকার আদায়ের ব্যপারে জোর দিলে সেখানের কর্তৃপক্ষ এখন আর কারও ফোন রিসিভ করে না।
অ্যাটর্নিদের বন্দীদের সাক্ষাত না করতে দেবার জন্য প্রায়ই ইসরায়েলি পুলিশ কিছু হয়রানিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে। যেমন বন্দীদের দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা কিংবা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতে ইচ্ছাকৃত বিলম্ব করা কিংবা মক্কেলদের সাথে দেখা করার আগে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে বাধ্য করা।
ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রায়ই তাদের উপর ‘ভবিষ্যতে কোনও বিক্ষোভে অংশ না নেওয়ার’ শর্তারোপ করা হয়। কিছু কিছু ব্যক্তিকে দীর্ঘ সময়ের জন্য গৃহবন্দী করে রাখা হয়, কিছু কিছু ব্যক্তিকে তো তাদের বাসস্থান ও এমনকি তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও বের করে দেওয়া হয়।
বেশিরভাগ বিচারকই বন্দীদের উপর পুলিশের নির্যাতন, শিশুদের অধিকার এবং মুসলিম জনগণের প্রতিবাদ করার অধিকার সম্পর্কে তাদেরই কথিত ‘সাংবিধানিক যুক্তিগুলি’ উপেক্ষা করে।
শিশুদের টার্গেট করা
ইসরায়েলি প্রসিকিউটররা ইচ্ছাকৃতভাবে ফিলিস্তিনি শিশুদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে এবং তাদের মুক্তির বিরুদ্ধে আগ্রাসীভাবে আপিল দায়ের করে। ফিলিস্তিনি মুসলিম শিশুদের তাদের বয়স ও অন্যান্য বিষয় উপেক্ষা করে তাদের বেআইনি ভাবে দীর্ঘদিন আটক করে রাখে।
২০২১ সালে ‘ফিলিস্তিনি অভ্যুত্থানের’ সময় দখলদার ইসরাইলীরা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ‘শাস্তি নীতি’ গ্রহণ করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো পাবলিক প্রসিকিউশন বিচারকের দেওয়া শাস্তি নমনীয় উল্লেখ করে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর শাস্তি দাবি করে বিচার বিভাগে আপিল করে এবং বিচারক তা মঞ্জুরও করে।
২১ শে এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় অ্যাটর্নি অফিস ৬১৬ জন ফিলিস্তিনি মুসলিমের বিরুদ্ধে ৩৯৭ টি অভিযোগ দায়ের করে। যার মধ্যে ছিল ১৬১ জন শিশু।
ইতিকথা
প্রকৃতপক্ষে এই প্রসিকিউশন ফিলিস্তিনি মুসলিমদের শত্রু হিসেবে বিবেচনা করে তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করে যে- “আরবরা ইহুদীদের বিরুদ্ধে যে পরিমাণ সহিংসমূলক আচরণ করে সে তুলনায় তাদের ইহুদিদের কাছ থেকে খুব কমই সহিংসমূলক আচরণের শিকার হতে হয়।”
ইসরায়েলের এই গণগ্রেপ্তার অভিযানের এক বছরেরও বেশি সময় পার হয়ে গিয়েছে। এবং তাদের বর্তমান কর্মকান্ডে এখন এটি স্পষ্ট যে, ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের বিরুদ্ধে তারা এর থেকেও জঘন্য পন্থা গ্রহণ করতে দ্বিধাবোধ করবে না। আর অবৈধ ইহুদিদের ফিলিস্তিন ভূখণ্ডকে সম্পূর্ণভাবে অধিগ্রহণ করে ফেলার চূড়ান্ত পদক্ষেপ গ্রহণকে এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই প্রতিয়মান হচ্ছে। কেননা এখন তাদের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রতিযোগিতায় নামা আরব শাসকরাও এই কাজে আর কোন বাঁধা নয়।
সুতরাং সময় হয়েছে মুসলিম উম্মাহের গণতন্ত্রের ছায়া থেকে বের হয়ে এসে ইসলামের সুশীতল ছায়ায় যোগদান করার। এবং মুসলিমদের ও মানবতার শত্রু ইসরাইল ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে এবং এদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা কথিত বিশ্ব সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে তাদেরকে প্রতিরোধ করার।
তথ্যসূত্র :
1. How Israel waged judicial war against Palestinian citizens after the May 2021 uprising
– https://tinyurl.com/yu4e5vts
বিশ্ব মানবতার শত্রু ইসরায়েল ২০২১ সালের ২৪ শে মে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের অভ্যুত্থান রোধ করার জন্য কথিত “আইন ও শৃঙ্খলা” এর নামে একটি গণ-গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করে।
দখলদার ইসরায়লী পুলিশ ঘোষণা দেয় যে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তারা ৫০০ জন মুসলিমকে গ্রেফতার করবে। এবং ১০ই জুন পর্যন্ত এই দখলদার বাহিনী ২,১৫০ জনেরও বেশি মুসলিমকে গ্রেপ্তার করে। এবং এই মোট গ্রেপ্তারকৃতদের ৯১ শতাংশই ছিলো ইসরায়লের দখলকৃত অঞ্চলে অবস্থিত ফিলিস্তিনি মুসলিম। দখলদার ইসরায়লের পুলিশ বাহিনী, বিশেষ ইউনিট, সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং গোপন পুলিশ সবাই একযোগে প্রধানত আরব শহরগুলোতে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালায়। দখলদার বাহিনীগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের গ্রেপ্তার করে এবং দীর্ঘসময় ধরে তাদের আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ করে।
সুস্পষ্ট অধিকার লঙ্ঘন
ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনগুলির মধ্যে বিক্ষোভকারীদের প্রতি সহিংস আচরণ, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, গ্রেপ্তারকৃতদের ব্যক্তিগত ফোন বাজেয়াপ্ত, সাংবাদিক ও সমাজকর্মীদের এবং যারা দখলদারদের সহিংস আচরণের ভিডিও ধারণ করে তাদের মারধর, দখলদারদের বিশেষ বাহিনীর ফিলিস্তিনি শিশুদের অপহরণ, গ্রেপ্তার এবং আটক কেন্দ্রে স্থানান্তরের সময় অত্যধিক বল প্রয়োগ, কারাগারের অমানবিক অবস্থা, এবং বন্দীদের বিবৃতি আদায় পর্যন্ত তাদের জরুরি চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
এছাড়াও বন্দীদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের মধ্যে বিশেষ করে শিশুদেরকে থানায় ভয়ানক শারীরিক নির্যাতন করা, হুমকি এবং ভয়ভীতি দেখানো, জিজ্ঞাসাবাদের আগে আইনি পরামর্শকদের সাথে তাদের যোগাযোগ করতে না দেওয়ার মতো মৌলিক অধিকার হরণ করা, আরবি ভাষায় জিজ্ঞাসাবাদ না করা, জিজ্ঞাসাবাদের সময় পিতা-মাতা বা অভিভাবককে তাদের সন্তানদের সামনে উপস্থিত না রাখা, এবং ইচ্ছাকৃতভাবে দীর্ঘসময় পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করাও অন্তর্ভুক্ত। অনেক ক্ষেত্রে, দখলদার পুলিশ জেলে প্রবেশের দরজা অবরুদ্ধ করে দেয় যাতে আইনজীবীরা বন্দীদের নাম এবং সংখ্যা জানতে না পারে।
এছাড়াও ইসরাইলী বাহিনীর অন্যান্য অপরাধগুলোর মধ্যে একটি হলো তারা বন্দীদের আইনজীবীদের তাদের মক্কেলদের সম্পর্কে যে কোন প্রাসঙ্গিক তথ্য দিতে অস্বীকার করে এবং আইনজীবীদের তাদের মক্কেলদের পরামর্শ দেওয়া থেকে বিরত রাখে।
দখলকৃত ফিলিস্তিনের নাজারেথ পুলিশ স্টেশনে ইসরায়েলি সন্ত্রাসীদের একটি কুখ্যাত “নির্যাতন কক্ষ” আছে যেখানে গ্রেপ্তারকৃত বিক্ষোভকারী থেকে শুরু করে পথচারী এমনকি অ্যাটর্নিদের পর্যন্ত শারীরিক, মৌখিক এবং মানসিক নির্যাতন করা হয়। উম আল-ফাহ্ম পুলিশ স্টেশনটি তো পুরোপুরি বন্ধই করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে আইনজীবীরা বন্দীদের বিশেষ করে যাদের চিকিৎসার প্রয়োজন তাদের মৌলিক অধিকার আদায়ের ব্যপারে জোর দিলে সেখানের কর্তৃপক্ষ এখন আর কারও ফোন রিসিভ করে না।
অ্যাটর্নিদের বন্দীদের সাক্ষাত না করতে দেবার জন্য প্রায়ই ইসরায়েলি পুলিশ কিছু হয়রানিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে। যেমন বন্দীদের দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা কিংবা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতে ইচ্ছাকৃত বিলম্ব করা কিংবা মক্কেলদের সাথে দেখা করার আগে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে বাধ্য করা।
ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রায়ই তাদের উপর ‘ভবিষ্যতে কোনও বিক্ষোভে অংশ না নেওয়ার’ শর্তারোপ করা হয়। কিছু কিছু ব্যক্তিকে দীর্ঘ সময়ের জন্য গৃহবন্দী করে রাখা হয়, কিছু কিছু ব্যক্তিকে তো তাদের বাসস্থান ও এমনকি তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও বের করে দেওয়া হয়।
বেশিরভাগ বিচারকই বন্দীদের উপর পুলিশের নির্যাতন, শিশুদের অধিকার এবং মুসলিম জনগণের প্রতিবাদ করার অধিকার সম্পর্কে তাদেরই কথিত ‘সাংবিধানিক যুক্তিগুলি’ উপেক্ষা করে।
শিশুদের টার্গেট করা
ইসরায়েলি প্রসিকিউটররা ইচ্ছাকৃতভাবে ফিলিস্তিনি শিশুদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে এবং তাদের মুক্তির বিরুদ্ধে আগ্রাসীভাবে আপিল দায়ের করে। ফিলিস্তিনি মুসলিম শিশুদের তাদের বয়স ও অন্যান্য বিষয় উপেক্ষা করে তাদের বেআইনি ভাবে দীর্ঘদিন আটক করে রাখে।
২০২১ সালে ‘ফিলিস্তিনি অভ্যুত্থানের’ সময় দখলদার ইসরাইলীরা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ‘শাস্তি নীতি’ গ্রহণ করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো পাবলিক প্রসিকিউশন বিচারকের দেওয়া শাস্তি নমনীয় উল্লেখ করে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর শাস্তি দাবি করে বিচার বিভাগে আপিল করে এবং বিচারক তা মঞ্জুরও করে।
২১ শে এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় অ্যাটর্নি অফিস ৬১৬ জন ফিলিস্তিনি মুসলিমের বিরুদ্ধে ৩৯৭ টি অভিযোগ দায়ের করে। যার মধ্যে ছিল ১৬১ জন শিশু।
ইতিকথা
প্রকৃতপক্ষে এই প্রসিকিউশন ফিলিস্তিনি মুসলিমদের শত্রু হিসেবে বিবেচনা করে তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করে যে- “আরবরা ইহুদীদের বিরুদ্ধে যে পরিমাণ সহিংসমূলক আচরণ করে সে তুলনায় তাদের ইহুদিদের কাছ থেকে খুব কমই সহিংসমূলক আচরণের শিকার হতে হয়।”
ইসরায়েলের এই গণগ্রেপ্তার অভিযানের এক বছরেরও বেশি সময় পার হয়ে গিয়েছে। এবং তাদের বর্তমান কর্মকান্ডে এখন এটি স্পষ্ট যে, ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের বিরুদ্ধে তারা এর থেকেও জঘন্য পন্থা গ্রহণ করতে দ্বিধাবোধ করবে না। আর অবৈধ ইহুদিদের ফিলিস্তিন ভূখণ্ডকে সম্পূর্ণভাবে অধিগ্রহণ করে ফেলার চূড়ান্ত পদক্ষেপ গ্রহণকে এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই প্রতিয়মান হচ্ছে। কেননা এখন তাদের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রতিযোগিতায় নামা আরব শাসকরাও এই কাজে আর কোন বাঁধা নয়।
সুতরাং সময় হয়েছে মুসলিম উম্মাহের গণতন্ত্রের ছায়া থেকে বের হয়ে এসে ইসলামের সুশীতল ছায়ায় যোগদান করার। এবং মুসলিমদের ও মানবতার শত্রু ইসরাইল ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে এবং এদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা কথিত বিশ্ব সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে তাদেরকে প্রতিরোধ করার।
অনুবাদ ও সংকলন : আবু উবায়দা
তথ্যসূত্র :
1. How Israel waged judicial war against Palestinian citizens after the May 2021 uprising
– https://tinyurl.com/yu4e5vts
Comment