মুসলিমদের পিটিয়ে খুনের কথা প্রকাশ্যে স্বীকার বিজেপির নেতার, খুনিদের মুক্ত করার ঘোষণা
ভারতে হিন্দুত্ববাদী শাসকদের প্রকাশ্য মদতেই চলছে মুসলিম হত্যার কাজ। মুসলিম হত্যার পিছনে রয়েছে তাদের প্রচুর সাহায্য সহযোগিতা। এগুলো অনেকটাই এখন ওপেন সিক্রেট।
এবার ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে প্রকাশ্যে একথা স্বীকার করেছে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী জনতা পার্টির রাজস্থানের নেতা এবং বিজেপি বিধায়ক জ্ঞান দেব আহুজা। সে বলেছে আমরা ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে পিটিয়ে খুন করেয়েছি। পিটিয়ে খুন করার জন্য আমি আমার সমর্থকদের জন্য মুক্ত হস্তে ব্যয় করেছি।
গত ২০ আগস্ট টুইটারে একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিবিদ আহুজাকে সমর্থকরা ঘিরে বসে আছে। আর সে মুসলিমদের কোথায় কোথায় কত সালে পিটিয়ে খুন করেছে তার বর্ণণা দিচ্ছে।
সে বলেছে “আমরা এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে পিটিয়েছি, সেটা লালাওয়ান্দি হোক বা বেহরোর। তবে এই এলাকায় এই প্রথম কাউকে পিটিয়ে মারার ঘটনা ঘটল। আমি আমার লোকদের হত্যার জন্য মুক্ত হস্তে দিয়েছি। খুন করতে গিয়ে যারা আটক হয়েছে আমরা তাদের বেকসুর খালাস এবং জামিন নিশ্চিত করব।
হিন্দুত্ববাদী বিজেপি নেতা ২০১৮ সালে লালাবাদনিতে আকবর খানের এবং ২০১৮ সালের শেষের দিকে বেহরোরে পেহলু খানের কথা উল্লেখ করে বলেছে, ‘দু’জনকেই আমাদের হিন্দু সমর্থকরা পিটিয়ে হত্যা করেছে।’ উগ্রবাদী আহুজা মুসলিমদের যারা গবাদি পশু পরিবহন বা জবাই করার সাথে জড়িত, তাদেরকে হুমকি দিয়েছে। তারাও কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারন করেছে।
এটাই মুসলিম বিদ্বেষী হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের প্রকৃত চেহারা। এরাই মুসলিম হত্যার জন্য ইন্ধন যোগাচ্ছে। তাদের সমর্থকদেরকে টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করছে। মুসলিম হত্যার পর যদি কোন খুনি ধরা পড়ে যায়, তাকে মুক্ত করার জন্য সর্বদিক দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করছে, জামিনের ব্যবস্থা করছে, মামলা খারিজের ব্যবস্থা করছে।
আর হিন্দুত্ববাদীরা যখন দেখছে ,মুসলিমদেরকে খুন করার পরেও তাদের কোন বিচার হচ্ছে না কিংবা আটকা পড়ে গেলেও তাদের প্রভুরা তাদেরকে মুক্ত করার ব্যবস্থা করছে, তখন তাদের ভিতরে লালিত মুসলিম বিদ্বেষ আরো বেশি চাঙ্গা হয়ে উঠছে। কারণে অকারণেই তারা মুসলিমদের উপর হামলা চালাচ্ছে, বাড়িঘর ভেঙ্গে দিচ্ছে, মুসলিম নারীদেরকে অপহরণ, ধর্ষণ, এমনকি খুন করছে। কারণ, তারা জানে- তাঁদের কিছুই হবে না।
আর বাংলাদেশেও যে ধীরে ধীরে এমন অবস্থার দিকে যাচ্ছে বা অনেকটা চলে গিয়েছে, সেটা বুঝা যায় যখন দালাল প্রধানমন্ত্রী ও তার চেলা-চামুণ্ডারা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের ‘আপনজন’ ঘোষণা দেয়, আর নবী অবমাননার ঘটনা ঘটলেই আইডি হ্যাক হওয়ার গল্প শুনিয়ে মুসলিমদের উপর গুলিবর্ষণ করে। আর জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে তো পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাটে হাঁড়ি ভেঙ্গেই দিলেন।
উপমহাদেশের পরিস্থিতি যখন মুসলিমদের জন্য দিন দিন আরও টলটলায়মান হচ্ছে, বিপদ যখন আরও ঘনীভূত হচ্ছে, তখন মুসলিমদের সামনে হক্কানি আলেমদের আহব্বানে সারা দিয়ে নববি মানহজ অনুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ করা ভিন্ন আর কোন পথ খলা নেই।
তথ্যসূত্র:
——–
1. “We lynched five persons so far;” Rajasthan BJP leader caught on camera
– https://tinyurl.com/469yfey2
2. VIDEO LINK:
– https://tinyurl.com/35wftt8j
ভারতে হিন্দুত্ববাদী শাসকদের প্রকাশ্য মদতেই চলছে মুসলিম হত্যার কাজ। মুসলিম হত্যার পিছনে রয়েছে তাদের প্রচুর সাহায্য সহযোগিতা। এগুলো অনেকটাই এখন ওপেন সিক্রেট।
এবার ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে প্রকাশ্যে একথা স্বীকার করেছে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী জনতা পার্টির রাজস্থানের নেতা এবং বিজেপি বিধায়ক জ্ঞান দেব আহুজা। সে বলেছে আমরা ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে পিটিয়ে খুন করেয়েছি। পিটিয়ে খুন করার জন্য আমি আমার সমর্থকদের জন্য মুক্ত হস্তে ব্যয় করেছি।
গত ২০ আগস্ট টুইটারে একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিবিদ আহুজাকে সমর্থকরা ঘিরে বসে আছে। আর সে মুসলিমদের কোথায় কোথায় কত সালে পিটিয়ে খুন করেছে তার বর্ণণা দিচ্ছে।
সে বলেছে “আমরা এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে পিটিয়েছি, সেটা লালাওয়ান্দি হোক বা বেহরোর। তবে এই এলাকায় এই প্রথম কাউকে পিটিয়ে মারার ঘটনা ঘটল। আমি আমার লোকদের হত্যার জন্য মুক্ত হস্তে দিয়েছি। খুন করতে গিয়ে যারা আটক হয়েছে আমরা তাদের বেকসুর খালাস এবং জামিন নিশ্চিত করব।
হিন্দুত্ববাদী বিজেপি নেতা ২০১৮ সালে লালাবাদনিতে আকবর খানের এবং ২০১৮ সালের শেষের দিকে বেহরোরে পেহলু খানের কথা উল্লেখ করে বলেছে, ‘দু’জনকেই আমাদের হিন্দু সমর্থকরা পিটিয়ে হত্যা করেছে।’ উগ্রবাদী আহুজা মুসলিমদের যারা গবাদি পশু পরিবহন বা জবাই করার সাথে জড়িত, তাদেরকে হুমকি দিয়েছে। তারাও কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারন করেছে।
এটাই মুসলিম বিদ্বেষী হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের প্রকৃত চেহারা। এরাই মুসলিম হত্যার জন্য ইন্ধন যোগাচ্ছে। তাদের সমর্থকদেরকে টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করছে। মুসলিম হত্যার পর যদি কোন খুনি ধরা পড়ে যায়, তাকে মুক্ত করার জন্য সর্বদিক দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করছে, জামিনের ব্যবস্থা করছে, মামলা খারিজের ব্যবস্থা করছে।
আর হিন্দুত্ববাদীরা যখন দেখছে ,মুসলিমদেরকে খুন করার পরেও তাদের কোন বিচার হচ্ছে না কিংবা আটকা পড়ে গেলেও তাদের প্রভুরা তাদেরকে মুক্ত করার ব্যবস্থা করছে, তখন তাদের ভিতরে লালিত মুসলিম বিদ্বেষ আরো বেশি চাঙ্গা হয়ে উঠছে। কারণে অকারণেই তারা মুসলিমদের উপর হামলা চালাচ্ছে, বাড়িঘর ভেঙ্গে দিচ্ছে, মুসলিম নারীদেরকে অপহরণ, ধর্ষণ, এমনকি খুন করছে। কারণ, তারা জানে- তাঁদের কিছুই হবে না।
আর বাংলাদেশেও যে ধীরে ধীরে এমন অবস্থার দিকে যাচ্ছে বা অনেকটা চলে গিয়েছে, সেটা বুঝা যায় যখন দালাল প্রধানমন্ত্রী ও তার চেলা-চামুণ্ডারা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের ‘আপনজন’ ঘোষণা দেয়, আর নবী অবমাননার ঘটনা ঘটলেই আইডি হ্যাক হওয়ার গল্প শুনিয়ে মুসলিমদের উপর গুলিবর্ষণ করে। আর জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে তো পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাটে হাঁড়ি ভেঙ্গেই দিলেন।
উপমহাদেশের পরিস্থিতি যখন মুসলিমদের জন্য দিন দিন আরও টলটলায়মান হচ্ছে, বিপদ যখন আরও ঘনীভূত হচ্ছে, তখন মুসলিমদের সামনে হক্কানি আলেমদের আহব্বানে সারা দিয়ে নববি মানহজ অনুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ করা ভিন্ন আর কোন পথ খলা নেই।
তথ্যসূত্র:
——–
1. “We lynched five persons so far;” Rajasthan BJP leader caught on camera
– https://tinyurl.com/469yfey2
2. VIDEO LINK:
– https://tinyurl.com/35wftt8j
Comment