৬ মাস ধরে অনশনরত নির্দোষ ফিলিস্তিনি বন্দী, মুক্তি দিতে অস্বীকার
দখলদার ইসরাইলের কারাগারে বন্দি ৮ মাস ধরে। ৪০ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি খলিল আওয়াদেহ্ কোন অভিযোগ ছাড়াই পাচ্ছেন এই সাজা। যেটিকে প্রশাসনিক আটকাদেশ হিসেবে আখ্যা দেয় সন্ত্রাসী ইসরাইল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সশস্ত্র সংগঠন ‘প্যালেস্টানিয়ান ইসলামিক জিহাদ’ এর সাথে জড়িত এই ফিলিস্তিনি।
ইসরায়েলি এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে মার্চ মাস থেকে রুখে দাঁড়ান তিনি। ঘোষণা দেন অনশন ধর্মঘটের। ১৭০ দিন পেরিয়ে গেলেও খলিল অনড় অবস্থানে। হাসপাতালে লড়ছেন মৃত্যুর সাথে। তবুও, তাকে মুক্তি দিতে নারাজ ইসরায়েলি সুপ্রিম কোর্ট।
খলিল বলেছেন, ফিলিস্তিনিরা জন্মগতভাবেই অবিচল ও স্বাধীনতাকামী। স্বাধীনতাকামী সবার প্রতি সংহতি জানাতেই এ অনশন-ধর্মঘট। প্রশাসনিক আটকাদেশ স্থগিতের মাধ্যমে আমাকে এ অবস্থান থেকে হঠাতে পারবে না। কারণ, কোনো অপরাধ করিনি আমি। আমি নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
খলিলের স্ত্রী দালাল আওয়াদেহ্ বলেছেন, খলিলের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে প্রশাসনিক আটকাদেশ স্থগিত করলেন সুপ্রিম কোর্ট। তাকে রোগী হিসেবে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। যেখানে, পরিবারের সদস্যরা দেখা করতে পারবেন।
খলিলের বাবা মোহাম্মদ আওয়াদেহ্ জানান, আমরা তার্কুমিয়া ক্রসিংয়ে গিয়েছিলাম। যাত্রাপথের দীর্ঘ ভোগান্তি আর দুই ঘণ্টা অপেক্ষার পর সেনারা জানালেন, খলিলের সাথে দেখা করতে পারবো না। কারণ, আগের রাতেই বাতিল করা হয়েছে অনুমতি।
খলিলের আইনজীবী আহলাম হাদ্দাদের দাবি, মুক্তির আবেদন খারিজ মৃত্যুদণ্ড দেয়ার শামিল। কারণ, নিজ অবস্থান থেকে সরবেন না ফিলিস্তিনি বন্দী। খলিল স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন ধর্মঘটে অনড় থাকবেন তিনি। কিন্তু, হঠাৎ করেই তিনি প্রাণ হারাতে পারেন। হাসপাতাল থেকে আদালতে পাঠানো রিপোর্টে বলা হয়েছে, যেকোনো মুহূর্তে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে তার। অথবা, একসাথে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হবে। যে অবস্থা থেকে বেঁচে ফেরা অসম্ভব।
ইসরায়েলের কারাগারে বর্তমানে সাজাভোগ করছেন ৪ হাজার ৪শ’ ফিলিস্তিনি। যাদের ৬৭০ জন প্রশাসনিক আটকাদেশের আওতায় বিনা দোষে বন্দী জীবন পার করছেন।
কথিত মানবতাবাদী আর প্রগতিশীলরা যে কোন তুচ্ছ বিষয়ে মানবাধিকারের স্লোগান তুললেও, মুসলিমদের বেলায় কোন কথা থাকে না তাদের। খলিলের ব্যাপারে তাদের এই নীরবতা আবারো প্রমাণ করেছে যে, তাদের দৃষ্টিতে মুসলিমদের কোন মানবাধিকার নেই। আর এইসব কথিত মানবাধিকার সংস্থাগুলোও পশ্চিমাদের হাতের পুতুল; পশ্চিমাদের ইশারাতেই মানবতাবাদীদের মানবতার পারদ উঠা-নামা করে।
তথ্যসূত্র:
——–
1. Israel court denies release of Palestinian hunger striker
– https://tinyurl.com/jck852fm
দখলদার ইসরাইলের কারাগারে বন্দি ৮ মাস ধরে। ৪০ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি খলিল আওয়াদেহ্ কোন অভিযোগ ছাড়াই পাচ্ছেন এই সাজা। যেটিকে প্রশাসনিক আটকাদেশ হিসেবে আখ্যা দেয় সন্ত্রাসী ইসরাইল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সশস্ত্র সংগঠন ‘প্যালেস্টানিয়ান ইসলামিক জিহাদ’ এর সাথে জড়িত এই ফিলিস্তিনি।
ইসরায়েলি এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে মার্চ মাস থেকে রুখে দাঁড়ান তিনি। ঘোষণা দেন অনশন ধর্মঘটের। ১৭০ দিন পেরিয়ে গেলেও খলিল অনড় অবস্থানে। হাসপাতালে লড়ছেন মৃত্যুর সাথে। তবুও, তাকে মুক্তি দিতে নারাজ ইসরায়েলি সুপ্রিম কোর্ট।
খলিল বলেছেন, ফিলিস্তিনিরা জন্মগতভাবেই অবিচল ও স্বাধীনতাকামী। স্বাধীনতাকামী সবার প্রতি সংহতি জানাতেই এ অনশন-ধর্মঘট। প্রশাসনিক আটকাদেশ স্থগিতের মাধ্যমে আমাকে এ অবস্থান থেকে হঠাতে পারবে না। কারণ, কোনো অপরাধ করিনি আমি। আমি নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
খলিলের স্ত্রী দালাল আওয়াদেহ্ বলেছেন, খলিলের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে প্রশাসনিক আটকাদেশ স্থগিত করলেন সুপ্রিম কোর্ট। তাকে রোগী হিসেবে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। যেখানে, পরিবারের সদস্যরা দেখা করতে পারবেন।
খলিলের বাবা মোহাম্মদ আওয়াদেহ্ জানান, আমরা তার্কুমিয়া ক্রসিংয়ে গিয়েছিলাম। যাত্রাপথের দীর্ঘ ভোগান্তি আর দুই ঘণ্টা অপেক্ষার পর সেনারা জানালেন, খলিলের সাথে দেখা করতে পারবো না। কারণ, আগের রাতেই বাতিল করা হয়েছে অনুমতি।
খলিলের আইনজীবী আহলাম হাদ্দাদের দাবি, মুক্তির আবেদন খারিজ মৃত্যুদণ্ড দেয়ার শামিল। কারণ, নিজ অবস্থান থেকে সরবেন না ফিলিস্তিনি বন্দী। খলিল স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন ধর্মঘটে অনড় থাকবেন তিনি। কিন্তু, হঠাৎ করেই তিনি প্রাণ হারাতে পারেন। হাসপাতাল থেকে আদালতে পাঠানো রিপোর্টে বলা হয়েছে, যেকোনো মুহূর্তে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে তার। অথবা, একসাথে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হবে। যে অবস্থা থেকে বেঁচে ফেরা অসম্ভব।
ইসরায়েলের কারাগারে বর্তমানে সাজাভোগ করছেন ৪ হাজার ৪শ’ ফিলিস্তিনি। যাদের ৬৭০ জন প্রশাসনিক আটকাদেশের আওতায় বিনা দোষে বন্দী জীবন পার করছেন।
কথিত মানবতাবাদী আর প্রগতিশীলরা যে কোন তুচ্ছ বিষয়ে মানবাধিকারের স্লোগান তুললেও, মুসলিমদের বেলায় কোন কথা থাকে না তাদের। খলিলের ব্যাপারে তাদের এই নীরবতা আবারো প্রমাণ করেছে যে, তাদের দৃষ্টিতে মুসলিমদের কোন মানবাধিকার নেই। আর এইসব কথিত মানবাধিকার সংস্থাগুলোও পশ্চিমাদের হাতের পুতুল; পশ্চিমাদের ইশারাতেই মানবতাবাদীদের মানবতার পারদ উঠা-নামা করে।
তথ্যসূত্র:
——–
1. Israel court denies release of Palestinian hunger striker
– https://tinyurl.com/jck852fm
Comment