আসামে হিন্দুত্ববাদী সরকারের নতুন ‘পলিসি’তে ১৫ লাখ মুসলিম খাদ্য ঝুঁকিতে
হিন্দুত্ববাদী ভারতের কথিত সেকূলাররা সকলের সমান অধিকারের কথা মুখে বললেও পদে পদে মুসলিমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। কয়েক বছর ধরে এনআরসি নিয়ে আসামের হিন্দুত্ববাদী সরকার সেখানে বসবাসরত মুসলিমদের হয়রানি করেছে। তাদেরকে ভিনদেশী আখ্যা দিয়ে ভিটা বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার আয়োজন করেছে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।
আসামে বসবাসরত মুসলিমদের অধিকাংশই দরিদ্র। ফলে তাদেরকে রেশন কার্ডের মাধ্যমে অর্জিত ভর্তুকিযুক্ত খাবারের উপর অনেকটা নির্ভর করতে হয়। যা তারা ২০ বছর আগে থেকে পেয়ে আসছে। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী কেন্দ্রীয় সরকার মুসলিমদেরকে এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করতে ১২ সংখ্যার আধার কার্ড সনাক্তকরণ নম্বরের একটি নতুন নিয়ম জারি করেছে। যার ফলে এখন শুধু রেশন কার্ড দিয়ে এ সুবিধা পাওয়া যাবে না। আধার কার্ডের সাথে লিঙ্ক করাতে হবে। অথচ, অধিকাংশ মুসলিমদের আধার কার্ড করার সুযোগই দেয়নি হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।
আসামে, হিন্দুত্ববাদী সরকার ২০১৭ সালে আধার নিবন্ধন বন্ধ করে দেয়, যখন জনসংখ্যার মাত্র ৭% মুসলিম নথিভুক্ত হয়েছিল। ফলে বিপুল সংখ্যক লোক নিবন্ধন থেকে বাদ পড়ে যায়। ফলে প্রায় ১৫ লাখ মুসলিম খাদ্য ঝুঁকিতে পড়েছে। আসামে বসবাসকারী ৪০ বছর বয়সী আশরাফ আলী একজন দিনমজুর। তার স্ত্রী মইফুল বেগম। এই দম্পতি গত ১৫ বছর ধরে অনেক কষ্টে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
তারা ভাড়া করা একটি টিনের ঝুপড়িতে থাকেন। সাঁইত্রিশ বছর বয়সী মইফুল বেগম গুয়াহাটির চারটি আলাদা বাড়িতে রান্না বান্না এবং পরিষ্কারের কাজ করেন৷ দিনে সাত ঘণ্টার বেশি কাজ করে তার প্রতি মাসে ৫,০০০-৬,০০০ টাকা আয় হয়। তার স্বামী আশরাফ আলী দিনমজুরী করে আরো কিছু টাকা পান। জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইনে মইফুল বেগমের চার সদস্যের পরিবার প্রতি মাসে ২০ কেজি করে চাল পেতেন। এর পরিপূরক হিসেবে তারা প্রায় ১৫ কেজি চাল কিনতেন। এভাবেই অতি কষ্টে তাদের জীবন চলতো।
এখন তাদের আধার কার্ড না থাকায় রেশন থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে।ফলে গত তিন মাসে তাদের জীবন আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। দিন মজুর মোহাম্মদ আশরাফ আলী বলেছেন, “এখন, আমরা যে সামান্য মজুরি পাই, তা দিয়ে আমরা কোনওভাবে বেঁচে থাকতে পারতাম। আমরা দরিদ্র মানুষ, ভর্তুকিযুক্ত খাবার আমাদের অনাহার থেকে বাঁচাতে সাহায্য করতো। কিন্তু এখন তাও বন্ধ করে দিয়েছে।”
আসামে শুধু একটি পরিবার নয়, হিন্দুত্ববাদীদের মুসলিম বিদ্বেষী নিয়মের কারণে ১৫ লাখ মানুষ খাদ্য ঝুঁকিতে পড়েছে। হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিমদের উপর আর্থিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ভাবে বয়কট করে আগ্রাসন চালাচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে সকল মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলার তাগিদ দিয়েছেন ইসলামি চিন্তাবীদগণ। যেন এক মুসলিম আরেক মুসলিমের বিপদে আপদে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন। কারণ হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিমদের উপর গণহত্যা চালিয়ে কল্পিত রাম রাজত্ব কায়েমের দ্বিবাস্বপ্নে বিভোর। তারা চায় মুসলিমদের সমস্যায় ফেলে তাদেরকে আরো দুর্বল করতে, যাতে তাদেরকে সহজেই গণহত্যার টার্গেটে পরিণত করা যায়।
হিন্দুত্ববাদী ভারতের কথিত সেকূলাররা সকলের সমান অধিকারের কথা মুখে বললেও পদে পদে মুসলিমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। কয়েক বছর ধরে এনআরসি নিয়ে আসামের হিন্দুত্ববাদী সরকার সেখানে বসবাসরত মুসলিমদের হয়রানি করেছে। তাদেরকে ভিনদেশী আখ্যা দিয়ে ভিটা বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার আয়োজন করেছে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।
আসামে বসবাসরত মুসলিমদের অধিকাংশই দরিদ্র। ফলে তাদেরকে রেশন কার্ডের মাধ্যমে অর্জিত ভর্তুকিযুক্ত খাবারের উপর অনেকটা নির্ভর করতে হয়। যা তারা ২০ বছর আগে থেকে পেয়ে আসছে। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী কেন্দ্রীয় সরকার মুসলিমদেরকে এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করতে ১২ সংখ্যার আধার কার্ড সনাক্তকরণ নম্বরের একটি নতুন নিয়ম জারি করেছে। যার ফলে এখন শুধু রেশন কার্ড দিয়ে এ সুবিধা পাওয়া যাবে না। আধার কার্ডের সাথে লিঙ্ক করাতে হবে। অথচ, অধিকাংশ মুসলিমদের আধার কার্ড করার সুযোগই দেয়নি হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।
আসামে, হিন্দুত্ববাদী সরকার ২০১৭ সালে আধার নিবন্ধন বন্ধ করে দেয়, যখন জনসংখ্যার মাত্র ৭% মুসলিম নথিভুক্ত হয়েছিল। ফলে বিপুল সংখ্যক লোক নিবন্ধন থেকে বাদ পড়ে যায়। ফলে প্রায় ১৫ লাখ মুসলিম খাদ্য ঝুঁকিতে পড়েছে। আসামে বসবাসকারী ৪০ বছর বয়সী আশরাফ আলী একজন দিনমজুর। তার স্ত্রী মইফুল বেগম। এই দম্পতি গত ১৫ বছর ধরে অনেক কষ্টে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
তারা ভাড়া করা একটি টিনের ঝুপড়িতে থাকেন। সাঁইত্রিশ বছর বয়সী মইফুল বেগম গুয়াহাটির চারটি আলাদা বাড়িতে রান্না বান্না এবং পরিষ্কারের কাজ করেন৷ দিনে সাত ঘণ্টার বেশি কাজ করে তার প্রতি মাসে ৫,০০০-৬,০০০ টাকা আয় হয়। তার স্বামী আশরাফ আলী দিনমজুরী করে আরো কিছু টাকা পান। জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইনে মইফুল বেগমের চার সদস্যের পরিবার প্রতি মাসে ২০ কেজি করে চাল পেতেন। এর পরিপূরক হিসেবে তারা প্রায় ১৫ কেজি চাল কিনতেন। এভাবেই অতি কষ্টে তাদের জীবন চলতো।
এখন তাদের আধার কার্ড না থাকায় রেশন থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে।ফলে গত তিন মাসে তাদের জীবন আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। দিন মজুর মোহাম্মদ আশরাফ আলী বলেছেন, “এখন, আমরা যে সামান্য মজুরি পাই, তা দিয়ে আমরা কোনওভাবে বেঁচে থাকতে পারতাম। আমরা দরিদ্র মানুষ, ভর্তুকিযুক্ত খাবার আমাদের অনাহার থেকে বাঁচাতে সাহায্য করতো। কিন্তু এখন তাও বন্ধ করে দিয়েছে।”
আসামে শুধু একটি পরিবার নয়, হিন্দুত্ববাদীদের মুসলিম বিদ্বেষী নিয়মের কারণে ১৫ লাখ মানুষ খাদ্য ঝুঁকিতে পড়েছে। হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিমদের উপর আর্থিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ভাবে বয়কট করে আগ্রাসন চালাচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে সকল মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলার তাগিদ দিয়েছেন ইসলামি চিন্তাবীদগণ। যেন এক মুসলিম আরেক মুসলিমের বিপদে আপদে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন। কারণ হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিমদের উপর গণহত্যা চালিয়ে কল্পিত রাম রাজত্ব কায়েমের দ্বিবাস্বপ্নে বিভোর। তারা চায় মুসলিমদের সমস্যায় ফেলে তাদেরকে আরো দুর্বল করতে, যাতে তাদেরকে সহজেই গণহত্যার টার্গেটে পরিণত করা যায়।
প্রতিবেদক : মাহমুদ উল্লাহ্
তথ্যসূত্র :
1. Scroll: In Assam, an Aadhaar-NRC logjam threatens to cut off 15 lakh people from vital food rations
– https://tinyurl.com/58tw9y72
1. Scroll: In Assam, an Aadhaar-NRC logjam threatens to cut off 15 lakh people from vital food rations
– https://tinyurl.com/58tw9y72