বাংলাদেশে ‘USAID’ সংস্থার প্রকাশ্য শরিয়াত বিরোধী কার্যক্রম
পশ্চিমারা সব সময় ইসলাম ও মুসলিমদের ক্ষতি করার জন্য ওঁত পেতে থাকে। মুসলিমদের শরিয়াতের বিধিনিষেধ থেকে সরিয়ে পশ্চিমা সংস্কৃতি গ্রহণ করাতে তাদের কার্যক্রম এখন পুরো পৃথিবী জুড়েই। বাংলাদেশে এমন অসংখ্য সংস্থা রয়েছে যেগুলো নিরলসভাবে ইসলাম বিরোধী কাজ করে যাচ্ছে, যেন এ দেশের মুসলিমরা আর কখনোই নিজেদের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ নিয়ে গড়ে উঠতে না পারে। ফলে ভুক্তভোগীরা আর কখনই পশ্চিমা স্বার্থসংশ্লিষ্ট কাজের বিরোধীতা করার যোগ্যতা থাকবেনা।
এসব সংস্থার মধ্যে ‘ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট'(USAID) নামক মার্কিন এ সংস্থাটি ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশে তাদের মিশন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। জীবন বাঁচাতে, দারিদ্র্য কমাতে, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করাসহ নারী উন্নয়ন ও নারী ক্ষমতায়নের সস্তা স্লোগান তুলে মুসলিম জাতিকে ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে এরা।
সম্প্রতি এ সংস্থাটি বাংলাদেশে শরিয়াত অনুযায়ী বৈধ বিয়েকে বাল্যবিবাহ নাম দিয়ে বন্ধ করতে তথাকথিত ১০ লাখ মানুষের গণস্বাক্ষর নিয়েছে। এবং গত ২০ আগস্ট এ সংক্রান্ত জাঁকজমকপূর্ণ একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরার কাছে কথিত গণস্বাক্ষর পত্রটি জমা দিয়েছে, যাতে করে হালাল বিয়েগুলোতে আরও বেশি বেশি বাঁধা সৃষ্টি করা যায়। এবং কিশোর-কিশোরীদেরকে ফ্রিমিক্সিং-এর নামে অবাধ যৌনতা ও বেহায়াপনার সাগরে ভাসিয়ে নেওয়া যায়। এই আয়োজনে যুক্ত ছিল ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন ডি স্টিভেনস।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বাংলাদেশ সরকারের তথাকথিত নারী উন্নয়নের জন্য হাসিনা সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছে ভবিষ্যতে উন্নয়নের জন্য তারা একসাথে কাজ করবে।
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী মার্কিনী যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে মুসলিম ভূখণ্ডগুলোতে জোরপূর্বক চাপিয়ে দিয়েছে গণতান্ত্রিক শাসন-আইন ব্যবস্থা, বাদ দিয়েছে আল্লাহ মনোনীত ওয়াহীভিত্তিক ইসলামি শাসন। আর এই শাসনব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে প্রত্যেকটি মুসলিম দেশে গড়ে তুলেছে নিজেদের অনুগত গোলাম শ্রেণি। যারা সব সময় তাদের প্রভুদের গোলামী করে যাচ্ছে। যারা গণতান্ত্রিক আইন বাস্তবায়নের জন্য শরিয়াতে বৈধ কাজকে নিষিদ্ধ এবং নিষিদ্ধ কাজকে বৈধতা দিচ্ছে৷ আর এসব বিষয় সহ নানান দ্বীনবিরোধী কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে একসাথে কাজ করতে চায় তারা।
সংস্থাটিকে নির্বিঘ্নে বাংলাদেশে শরিয়াত বিরোধী এসব কাজ করতে সুযোগ দেয়ায় দালাল সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে এর পরিচালকরা। মূলত এরা সকলে মিলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে ধর্মহীন একচোখা একটি প্রজন্ম বানানোর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে চলেছে।
এখন তাই সময় এসেছে শত্রুমিত্র চিহ্নিত করার; কারা মুসলিম জাতিকে সাহায্যের আড়ালে ইসলাম থেকে দূরে সরাতে চাইছে, আর কারা ইসলাম ও মুসলিমের জন্য নিজেদের জান-মাল ব্যয় করে কাজ করে যাচ্ছে তাদেরকে চিনে রাখার।
তথ্যসূত্র :
——–
১। বাল্যবিবাহ নিরসনে ১০ লাখ মানুষের স্বাক্ষর মন্ত্রীকে হস্তান্তর-
– https://tinyurl.com/msey8u5t
Comment