Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#|২৯ মুহাররম ১৪৪৪ হিজরী।। ২৮ আগস্ট ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#|২৯ মুহাররম ১৪৪৪ হিজরী।। ২৮ আগস্ট ২০২২ ঈসায়ী।


    বোরকা পরায় ইবি ছাত্রীকে শিক্ষিকার হুমকি, শিবির ট্যাগ লাগিয়ে হেনস্তা




    পর্দা মুসলিম নারীদের অলঙ্ঘনীয় ফরজ বিধান। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি ইসলামী শরিয়া বিধান না থাকায় মুসলিম নারীরা পদে পদে বোরকা, হিজাব এবং পর্দার কারণে ইসলামবিদ্বেষীদের কাছে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছেন; হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। তাদেরকে বিভিন্ন ট্যাগ লাগিয়ে পর্দায় থাকা, বোরকা পরিধান আর শালীনতা মেনে চলাকে অসম্ভব করে তুলছে ইসলাম বিদ্বেষী চক্র।

    এসমস্ত কথিত মুক্তমনা আর ব্যক্তি স্বাধীনতার পূজারীরা মুসলিম নারীদেরকে বেহায়া, নির্লজ্জ বানাতে চায়।গত সপ্তাহে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বোরকা পরা শিক্ষার্থী কে হেনস্থা করার পর, এবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হলে আবাসিকতার জন্য সাক্ষাৎকারে বোরকা পরে অংশ নেওয়ায় শিবির ট্যাগ দিয়ে এক ছাত্রীকে হেনস্তা করেছে মাহবুবা সিদ্দিকা নামের এক শিক্ষিকা। অথচ, সে নাকি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। সে খালেদা জিয়া হলের হাউজ টিউটর।

    গত ২৩ আগস্ট হলের সিট বরাদ্দের জন্য সাক্ষাৎকারে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া ভুক্তভোগী ছাত্রী এক ছাত্র নেতার মাধ্যমে হেনস্তা না করার অনুরোধ করলে, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবারো ভুক্তভোগীকে ডেকে হুমকি দেয় অভিযুক্ত শিক্ষিকা। বিষয়টি ফেসবুকে জানাজানি হলে বোরকা পরায় শিবির ট্যাগ দেয়া ও হেনস্তা করার তীব্র নিন্দা জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

    এদিকে বিভিন্ন সময় হলের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে ওই শিক্ষিকা অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে বলেও জানিয়েছে একাধিক শিক্ষার্থী।জানা গেছে, গত ২৩ আগস্ট খালেদা জিয়া হলের আবাসিকতা প্রাপ্তির জন্য আবেদনকারী ছাত্রীদের সাক্ষাৎকার নেয় হল প্রশাসন। এ সময় বোরকা পরিহিতা ঐ ছাত্রীকে হেনস্তা করা হয়। পরে ওই ছাত্রী তার আত্মীয় এক সাবেক ছাত্র নেতাকে বিষয়টি জানান।

    পরে মাহবুবা সিদ্দিকার সাথে যোগাযোগ করে ওই ছাত্রীকে হেনস্তা না করার অনুরোধ করেন। পরে ২৪ আগস্ট হল প্রভোস্টের কার্যালয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে আবারো ডাকে মাহবুবা সিদ্দিকা। সে প্রভোস্টের কার্যালয়ে গেলে তাকে নানাভাবে হেনস্তা করে ও হুমকি দেয় ওই মাহবুবা সিদ্দিকা। এ সময় হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী, হাউজ টিউটর নাজমুল হুদা ও মেহেদী হাসান উপস্থিত ছিল বলে জানা গেছে।এ সময় ভুক্তভোগীর রুমমেট বোরকা পরায় তাকে শিবির হিসেবে আখ্যা দেয় ঐ শিক্ষিকা।

    এছাড়া একই কারণে ভুক্তভোগী ছাত্রীকেও নানাভাবে শিবির প্রমাণের চেষ্টা করেছে। এ সময় বোরকা পরার ব্যাপারে মাহবুবা সিদ্দিকা বলেছে, ‘সে আগে কেমন ছিলো আর এখন কি হয়েছে। একেবারেই আমুল পরিবর্তন। আমাদের তো সন্দেহ হবেই।’একই সময় ছাত্রনেতা সাগরের মাধ্যমে অনুরোধ করার বিষয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সে বলেছে, ‘আমি রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ছিলাম। চিনো তুমি আমারে? আমি কত পাওয়ার চালাইছিলাম তুমি জানো? তোমার এলাকার মেয়র টিটু ভাইকে চিনো? বইল্লা ঐখানে তোমারে পুইত্তা ফালামু। আমার বাড়ি কোথায় জানোস? আমার সাথে ফাইজলামি না? এলাকায়ও টিকতে পারবা না।’

    শিক্ষিকা নামধারী ঐ সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রীর এ কেমন ভাষা! এরাই নাকি প্রগতিশীল, এরাই নাকি স্বাধীনতার চেতনাধারী!ভুক্তভোগী ছাত্রী আরো বলেন, ‘আমি হিজাব পরি আর হলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যাই না। শুধুমাত্র এই কারণে আমাকে বলা হয়েছে আমি নাকি শিবির করি। এছাড়া আমাকে একই কারণে হেনস্তা করেছেন ও হুমকি দিয়েছেন।’

    মুসলিমদের অবহেলা আর গাফিলতির কারণে আজ সর্বক্ষেত্রেই ইসলামবিদ্বেষী, নাস্তিকমনা আর ব্যক্তি পূজারীরা ক্ষমতার দাপট নিয়ে বসে আছে। তারা প্রকাশ্যে মুসলিমদের বিভিন্ন বিধি-বিধান নিয়ে উপহাস করছে, ঠাট্টা-বিদ্রুপ করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। ইসলামী পোশাককে বিভিন্ন ট্যাগ লাগিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করছে।

    তারা ইসলামের সামান্য নিদর্শনকেও মানতে পারেনা। তারা চায় মুসলিমরাও পশ্চিমাদের মত বেহায়া হয়ে যাক।ইসলামিক চিন্তাবিদগণ তাই মুসলিমদেরকে এখনই সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এখনই সোচ্চার না হলে, অচিরেই এমন সময় আসবে যখন পাশের দেশ ভারতের মতো বাংলাদেশের স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ইসলামিক পোশাক নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। এখনই এসব ইসলামবিদ্বেষীদের প্রতিরোধ না করা গেলে, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অবস্থা আরো শোচনীয় হয়ে যেতে পারে।


    তথ্যসূত্র:
    ——-
    ১. বোরকা-পরা-নিয়ে-ইবি-ছাত্রীকে-শিক্ষিকার-হুমকি-অতঃপর..
    https://tinyurl.com/yc5xnehj

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    এক বছর পর ফিলিস্তিনি নারীর লাশ ফেরত দিল মানবতার শত্রু ইসরাইল

    বিনা বিচারে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের হত্যার পর তাদের লাশ ফেরত না দেওয়ার, কিংবা মৃত্যুর অনেক দিন পর এমনকি অনেক বছর পর লাশ ফেরত দেওয়ার এক অমানবিক চর্চা শুরু করেছে বর্বর ইসরাইল। পৈশাচিক কর্মকাণ্ডে একের পর একে নিজেদের রেকর্ড ছাড়িয়ে মানবতার সকল সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছে জায়নবাদী এই সন্ত্রাসী রাষ্ট্রটি।

    গত বছর জুন মাসে ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে গাড়ি চালানো অবস্থায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর টার্গেট করা গুলিতে নিহত হন এক ফিলিস্তিনি নারী। মাই আফানা নামের ঐ নারী ফিলিস্তিনের একটি কলেজের শিক্ষিকা ছিলেন। নিজ কর্মস্থলে যাবার সময় মাত্র ২৯ বছর বয়সেই সন্ত্রাসী ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে নিহত হন তিনি। তিনি ছোট্ট এক মেয়ে সন্তানের মা ছিলেন।

    গুলিতে খুন হওয়ার পর এই সম্মানিত নারীর লাশকে নিয়ে যায় নাপাক ইহুদি সেনারা। দীর্ঘ এক বছর পর গত ২৪ আগস্ট এ নারীর লাশ ফেরত দিয়েছে সন্ত্রাসী ইসরাইল। একজন সম্মানিতা নারীর লাশের সাথে এমন অসভ্য আচরণ করার পরেও কেউ কিচ্ছুটি বলছে না।

    ফিলিস্তিনি কমিশন অফ ডিটেনিজ জানিয়েছেন, তিনি ছাড়াও ইসরাইলের কাছে আরও ১০৪ জন নিহত ফিলিস্তিনি আটক রয়েছে। বিভিন্ন সময় নানা অযুহাতে খুন ও ইসরাইলি কারাগারে বন্দী অবস্থায় নিহত লাশ আটকে রেখেছে ইসরাইল। বছরের পর বছর ধরে লাশ আটকে থাকলেও পরিবারের কাছে হস্তান্তর করছেনা জালিম ইসরাইল।

    কথিত নারীবাদী আর প্রগতিবাদীরা শুধুমাত্র নারীদের অশ্লীল পোশাক পরার আর নোংরামির সীমা অতিক্রমের প্রতিযোগিতা করার ‘স্বাধীনতা’র পক্ষে কথা বলে। সম্মানিতা স্বাধীনা নারীদের ইজ্জত-আব্রুর বা শালীন পোশাকের স্বাধীনতার ব্যাপারে তারা একদমই মাথা ঘামায় না, টু শব্দও করে না। এমনকি নারীর লাশের সাথে এমন অমানবিক আচরণের পরেও কথিত ‘সভ্য’ জগত আর মানবতার ধ্বজাধারীরা একদম নীরব।

    মুসলিম জাতির দুর্বলতা আর মুসলিম শাসকগোষ্ঠীর গাদ্দারীর সুযোগ নিয়ে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে যা ইচ্চা তাই করে যাচ্ছে জালিম ইহুদিরা। উম্মার সম্মানিত নারীদের সাথে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সাথে যে ব্যবহার করছে ইতিহাসে তা বিরল।



    তথ্যসূত্র:
    ——-
    1. ‘Israel’ hands over body of slain Palestinian woman killed last year by Israeli forces
    https://tinyurl.com/bdd5fa8k

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment

    Working...
    X