Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ০২রা সফর ১৪৪৪ হিজরী।। ৩০ আগস্ট ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ০২রা সফর ১৪৪৪ হিজরী।। ৩০ আগস্ট ২০২২ ঈসায়ী।

    বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে কনে গ্রেফতার, ইহুদি বর্বরতার শেষ কোথায়?


    বিয়ে মানব জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ আহকাম। দীর্ঘ অপেক্ষার কাঙ্ক্ষিত এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়েও ফিলিস্তিনিদের জীবনে নেমে এলো ইহুদি বাহিনীর নিষ্ঠুর বর্বরতা। ফিলিস্তিনি এক বর-কনের জীবনের সকল আশা-আকাঙ্ক্ষা ও সুন্দর দিনটিকে মুহূর্তে মাটি করে দিল জালিম ইসরাইলের সেনাবাহিনী।

    গতকাল ২৮ আগস্ট অধিকৃত পশ্চিম তীরের আররাবা শহরে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকেই কিনা কনেকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেল দখলদার ইহুদি বাহিনী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিয়ের পোশাক পরিহিত অবস্থায় ওই কনেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছে বর্বর ইহুদি সেনারা।

    অভিযান চালানোর সময় সন্ত্রাসী ইসরাইলি সেনারা টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে বিয়ের অনুষ্ঠান নষ্ট করে দেয়। বরকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনের সদস্য সন্দেহে অভিযানটি চালায় ইহুদিরা। এ সময় সেনারা বরকে গ্রেফতার করতে চাইলে কনেসহ অনেকেই বাধা প্রদান করে। এই সুযোগ বর পালিয়ে গেলে বেপরোয়া ইহুদিরা কনেকেই গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।

    ইসরাইল সন্ত্রাসবাদের এমন বর্বর নজির স্থাপনের পরও কথিত সুশীল সমাজ, মানবাধিকার কর্মী, কথিত জাতিসংঘ, আরব-অনারব সবাই চুপ। অন্যদিকে, মন্টিনেগ্রোতে অলস ব্যাক্তির শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে আয়োজিত অনুষ্ঠান প্রচারে ব্যস্ত দালাল মিডিয়াও এই ঘটনা নিয়ে কোন নিউজ করেনি! হলুদ মিডিয়ার কাছে মন্টিনেগ্রোর এমন নিরর্থক বিষয় ফলাও করে প্রচার করার মতো ‘গুরুত্বপূর্ণ’ মনে হলেও, ফিলিস্তিনি মুসলিম নারীকে বিয়ের আসর থেকে তার স্বামীর বদলে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো অমানবিক নির্যাতনের খবরের কোন গুরুত্ব নেই তাদের কাছে।

    মূলত মুসলিম হবার কারণেই কেউ ফিলিস্তিনের পক্ষে কেউ কথা বলছেনা। বর্তমান বিশ্বে মুসলিমদের কোন মানবাধিকার নেই, বেঁচে থাকার অধিকার নেই, কথা বলার অধিকার নেই। আর নিজেদের অধিকার নিজেরা আদায় করে নেওয়া ছাড়া মুসলিমদের সামনে আর কোন পথও নেই।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. Police arrest bride in wedding dress in northern town as wanted groom flees-
    https://tinyurl.com/7d5mhbke
    2. ভিডিও লিংক-
    https://tinyurl.com/yc3crj9z

    3. ভিডিও লিংক-
    https://tinyurl.com/3d59xurr


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    চিকিৎসায় বাধা ইসরাইলের : বিনা চিকিৎসায় ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু



    অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সন্ত্রাসী ইরাইলি বাধার কারণে বিনা চিকিৎসায় মারা গেল ৬ বছর বয়সি এক ফিলিস্তিনি শিশু। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজা উপত্যকার বাইরে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ইসরাইলি সেনাদের বাধার কারণে নেয়া যায়নি। অবশেষে রোববার বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল ৬ বছর বয়সি শিশু ফারুক আবু আবুল-নাজা।

    বিবরণ অনুযায়ী, জেরুজালেম আল-কুদস শহরের হাদাসা এইন কেরেম হাসপাতালে আবুল-নাজার চিকিৎসা হওয়ার কথা ছিল। কারণ, গাজার কোনো হাসপাতালে তার রোগের চিকিৎসা ছিল না। কিন্তু ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনি শিশুটিকে গাজা থেকে জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত হাসপাতালটিতে নিয়ে যেতে দেয়নি।

    হাদাসা হাসপাতালে আবুল-নাজার চিকিৎসার তারিখ ছিল গত জানুয়ারি মাসে। এজন্য সেখানে যেতে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের কাছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়। কিন্তু সে আবেদন পর্যালোচনার নামে মাসের পর মাস সময় ক্ষেপণ করতে থাকে সন্ত্রাসী ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। আর এভাবে শিশুটিকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় ইসরাইলিরা।

    উল্লেখ যে, দখলদার ইসরাইল ২০০৭ সালে গাজা উপত্যকার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে। এর ফলে উপত্যকায় ব্যাপকভাবে বেকারত্ব ছড়িয়ে পড়ে এবং জীবনযাত্রার মান ভয়ঙ্করভাবে নিচে নেমে যায়।

    উড়ে এসে জুড়ে বসা ইহুদিদের এমন অমানবিক অবরোধের পরও বিশ্ববাসী এর বিরুদ্ধে কোন প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। সন্ত্রাসবাদী পশ্চিমা বিশ্ব আফগানিস্তানে সিনেমায় নারীর দৃশ্য না থাকার ফলে মানবাধিকার ও নারী অধিকার খর্ব হয়েছে বললেও, ফিলিস্তিনে অবরোধের কারণে মানবাধিকার লঙ্ঘন হবার বিষয়টি তাদের চোখে পড়ে না।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    ১। ইসরাইলি বাধায় চিকিৎসার অভাবে মারা গেল ফিলিস্তিনি শিশু-
    https://tinyurl.com/yckbf78k

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      শারীরিক চর্চায় রত মুসলিম যুবকদের গ্রেফতার করে সন্ত্রাসী হিসেবে প্রচার


      হিন্দুত্ববাদীরা ছলে বলে কৌশলে মুসলিমদের বদনাম করতে মাঠে নেমেছে। তারা চাইছে কোনভাবে মুসলিমদের উপর দোষ চাপিয়ে পুরিপুরি মুসলিম গণহত্যার কাজ শুরু করে দিতে। সেই অপচেষ্টার ধারাবাহিকতায় এবার গত ১৩ জুলাই পাটনা পুলিশ তিনজন মুসলিম যুবককে গ্রেপ্তার করেছিল।

      গ্রেফতারকৃত তিন মুসলিম ব্যক্তি হলেন আতহার পারভেজ, ঝাড়খণ্ড পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ জালালুদ্দিন এবং আরমান মালিক। তাদের নামে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) মামলা হাতে নিয়েছে এবং দুটি এফআইআর দায়ের করেছে। অথচ, তারা কোন ধরণের অপরাধের সাথে জড়িত নয়।

      মানবাধিকার কর্মীদের একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দল তদন্ত করে খুঁজে পেয়েছে যে পাটনার ফুলওয়ারি শরীফে আটককৃতরা নিরাপত্তা বাহিনী এবং হিন্দুত্ববাদী মিডিয়ার অভিযোগ ও অপপ্রচার অনুযায়ী কোনও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেননি। হলুদ মিডিয়া ঘটনাটিকে ব্যবহার করে মুসলিম সম্প্রদায়কে বদনাম করেছে। এবং হিন্দু সম্প্রদায়কে মেরুকরণ করে মুসলিম গণহত্যার মাঠ প্রস্তুত করছে।

      এখানে উল্লেখ্য, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলতে তারা মুসলিমদের ফরজ বিধান জিহাদকে বুঝায়। আর শারীরিক প্রশিক্ষণ নেওয়া তো যেকোন ব্যক্তির অধিকার। কিন্তু মুসলিমরা নিলেই হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের মনে জিহাদের আতঙ্ক জেগে উঠে, জুলুমের রাজত্ব হারানোর ভয় জেগে উঠে। তাই তারা মুসলিমদের সামান্য শারীরিক কসরতটুকুও মেনে নিতে পারে না।

      এবিষয়ে পাটনার সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (এসএসপি) মানবজিৎ সিং ধিলোন বলেছে যে, “তারা নিজেদের মাঝে মিটিং করেছে এবং শারীরিক প্রশিক্ষণ দিয়েছে যেমন আরএসএস শাখাগুলিকে শারীরিক প্রশিক্ষণ এবং লাঠি চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।” তাহলে প্রশ্ন হল, তারা আরএসএস’এর প্রশিক্ষণ নেওয়া কাউকে কেন গ্রেফতার করে না? উত্তরটা এখন সবার কাছে স্পষ্ট।

      পিইউসিএল (পিপলস ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টিজ) এর একটি দল ঘটনাটির সত্যতা বের করতে এলাকা পরিদর্শন করে এবং স্থানীয় লোকজন ও অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে।

      দলটি ১৮ আগস্ট পাটনায় প্রকাশিত তার ফ্যাক্ট-ফাইন্ড রিপোর্টে বলেছে, “পাটনার ফুলওয়ারি শরীফে এটি প্রতীয়মান হয়েছে যে,তারা কোনও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত ছিল না। এমন জনবসতিপূর্ণ জায়গায় অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ তোলা অত্যন্ত অবাস্তব।” মূলত মুসলিমদের বদনাম করতেই এমনটা করা হয়েছে।

      এভাবেই হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে একেরপর এক মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। আর সেই তালে হাওয়া দিচ্ছে হিন্দুত্ববাদী মিডিয়াগুলো। একই চিত্র চলছে বাংলাদেশেও। হিন্দুরা নিজেরাই অপরাধ মূলক কাজ করে দোষ চাপিয়ে দেয় মুসলিমদের উপর। আর তাদের মিডিয়াগুলো সেসব রটনা যাচাই ছাড়াই প্রচার করে। এরা সকলে মিলে যেকোন অজুহাতে মুসলিম গণহত্যা ত্বরান্বিত করতে চাইছে; সে সতর্কতা পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরাও দিয়েছেন। মুসলিমদের তাই এখন প্রতিরোধ ভিন্ন অন্য কোন উপায় নেই বলে মনে করেন বিশ্লেষকগণ।



      তথ্যসূত্র:
      ——–
      1. No Terror Activities in Phulwari Shareef, Media Vilifying Muslims: Fact-Finding Report
      https://tinyurl.com/4exyj4tp
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X