আগস্ট মাসজুড়ে ১৯ কাশ্মীরি মুসলিমকে খুন করেছে হিন্দুত্ববাদীরা
দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে গত আগস্ট মাস জুড়ে মোট ১৯ জন বেসামরিক কাশ্মীরি মুসলিমকে খুন করেছে হিন্দুত্ববাদীরা। স্বাধীনতাকামী আন্দোলন শুরুর পর বিশেষ করে ২০১৯ সালের ৫ই আগস্ট কাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসন বাতিলের পর হিন্দুত্ববাদীরা কাশ্মীরে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পূর্বের চেয়ে অনেক বেশি বারিয়ে দিয়েছে।
কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের রিসার্চ সেকশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৮ জন যুবককে বিভিন্ন ভুয়া এনকাউন্টারের নামে খুন করেছে হিন্দুত্ববাদীরা। এছাড়াও ৪ জন নারীকে বিধবা এবং ১৪ জন শিশুকে এতিম করেছে তারা।
পুরো আগস্ট জুড়ে হিন্দুত্ববাদীদের সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিশেষ তদন্ত সংস্থা (এসআইএ) এবং জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) এর সন্ত্রাসীরা ১৫০ জন বেসামরিক মুসলিম নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে। এমনকি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের উপরেও সন্ত্রাসী পুলিশ বাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী গুলি ও টিয়ারগ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে কমপক্ষে ১৮ জনকে আহত করেছে। এছাড়াও পুরো আগস্টে তারা কাশ্মীরের তিনটি বাড়ি ধ্বংস করেছে, যা ছিল মুসলিমদের মালিকানাধীন।
হিন্দুত্ববাদীদের দমন নিপীড়নের সবচেয়ে বড় শিকার হলো কাশ্মীরের বিভিন্ন সাংবাদিক ও এক্টিভিস্টরা। কাশ্মীরে স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে খুবই কঠোর নীতি অনুসরণ করে দখলদার হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন। আর বিশ্লেষকগণ এব্যাপারে একমত যে, প্রকাশিত এই সংখ্যাগুলোর চেয়ে প্রকৃত হতাহত আর নির্যাতিত মুসলিমের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। মিডিয়াগুলো অনেক চাপের মুখে প্রকৃত সংখ্যা লুকিয়ে কম সংখ্যা প্রকাশ করতে বাধ্য হয়।
মূলত পুরো কাশ্মীরকে একটি উন্মুক্ত কারাগারে পরিণত করে রেখেছে হিন্দুত্ববাদীরা। দখলদার ভারত সরকার গুম, খুন, বন্দী ইত্যাদির মাধ্যমে জোরপূর্বক কাশ্মীরের মুসলিমদের ওপর নিজেদের হিন্দুত্ববাদী আদর্শ চাপাতে মরিয়া। কাশ্মীরে হিন্দুদেরকে ব্যাপক ভিত্তিক পুনর্বাসন প্রকল্প হাতে নেওয়ার এবং অকাশ্মীরি হিন্দুদেরকে সেখানকার ভোটাধিকার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা। আর এর মাধ্যমে তারা মূলত কাশ্মীরে ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার আনুপাতিক হার বদলে দিতে চাইছে; যাতে করে মুসলিমদেরকে আরো কোণঠাসা করে কাশ্মীরে নিরঙ্কুশ হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করা যায়।
হক্কানী উলামাগণ তাই অনেক বছর ধরেই বল আসছেন যে, কাশ্মীরি মুসলিমদের এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে অবশ্যই তাদেরকে ইতিমধ্যে শুরু হওয়া প্রতিরোধ সংগ্রামকে আরো জোরদার করতে হবে। মুসলিম উম্মাহকেও কাশ্মীরি মুসলিমদেরকে সম্ভাব্য সকল উপায়ে সহযোগিতা করতে হবে। কারণ কোন জাতিসংঘ বা কথিত মানবাধিকার সংস্থা কাশ্মীরি মুসলিমদেরকে বর্তমান এই অবস্থা থেকে মুক্ত করতে আসবে না।
তথ্যসূত্র :
———
1. Indian troops martyr 19 Kashmiris in August
– https://tinyurl.com/4nka8sy8
দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে গত আগস্ট মাস জুড়ে মোট ১৯ জন বেসামরিক কাশ্মীরি মুসলিমকে খুন করেছে হিন্দুত্ববাদীরা। স্বাধীনতাকামী আন্দোলন শুরুর পর বিশেষ করে ২০১৯ সালের ৫ই আগস্ট কাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসন বাতিলের পর হিন্দুত্ববাদীরা কাশ্মীরে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পূর্বের চেয়ে অনেক বেশি বারিয়ে দিয়েছে।
কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের রিসার্চ সেকশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৮ জন যুবককে বিভিন্ন ভুয়া এনকাউন্টারের নামে খুন করেছে হিন্দুত্ববাদীরা। এছাড়াও ৪ জন নারীকে বিধবা এবং ১৪ জন শিশুকে এতিম করেছে তারা।
পুরো আগস্ট জুড়ে হিন্দুত্ববাদীদের সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিশেষ তদন্ত সংস্থা (এসআইএ) এবং জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) এর সন্ত্রাসীরা ১৫০ জন বেসামরিক মুসলিম নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে। এমনকি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের উপরেও সন্ত্রাসী পুলিশ বাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী গুলি ও টিয়ারগ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে কমপক্ষে ১৮ জনকে আহত করেছে। এছাড়াও পুরো আগস্টে তারা কাশ্মীরের তিনটি বাড়ি ধ্বংস করেছে, যা ছিল মুসলিমদের মালিকানাধীন।
হিন্দুত্ববাদীদের দমন নিপীড়নের সবচেয়ে বড় শিকার হলো কাশ্মীরের বিভিন্ন সাংবাদিক ও এক্টিভিস্টরা। কাশ্মীরে স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে খুবই কঠোর নীতি অনুসরণ করে দখলদার হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন। আর বিশ্লেষকগণ এব্যাপারে একমত যে, প্রকাশিত এই সংখ্যাগুলোর চেয়ে প্রকৃত হতাহত আর নির্যাতিত মুসলিমের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। মিডিয়াগুলো অনেক চাপের মুখে প্রকৃত সংখ্যা লুকিয়ে কম সংখ্যা প্রকাশ করতে বাধ্য হয়।
মূলত পুরো কাশ্মীরকে একটি উন্মুক্ত কারাগারে পরিণত করে রেখেছে হিন্দুত্ববাদীরা। দখলদার ভারত সরকার গুম, খুন, বন্দী ইত্যাদির মাধ্যমে জোরপূর্বক কাশ্মীরের মুসলিমদের ওপর নিজেদের হিন্দুত্ববাদী আদর্শ চাপাতে মরিয়া। কাশ্মীরে হিন্দুদেরকে ব্যাপক ভিত্তিক পুনর্বাসন প্রকল্প হাতে নেওয়ার এবং অকাশ্মীরি হিন্দুদেরকে সেখানকার ভোটাধিকার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা। আর এর মাধ্যমে তারা মূলত কাশ্মীরে ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার আনুপাতিক হার বদলে দিতে চাইছে; যাতে করে মুসলিমদেরকে আরো কোণঠাসা করে কাশ্মীরে নিরঙ্কুশ হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করা যায়।
হক্কানী উলামাগণ তাই অনেক বছর ধরেই বল আসছেন যে, কাশ্মীরি মুসলিমদের এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে অবশ্যই তাদেরকে ইতিমধ্যে শুরু হওয়া প্রতিরোধ সংগ্রামকে আরো জোরদার করতে হবে। মুসলিম উম্মাহকেও কাশ্মীরি মুসলিমদেরকে সম্ভাব্য সকল উপায়ে সহযোগিতা করতে হবে। কারণ কোন জাতিসংঘ বা কথিত মানবাধিকার সংস্থা কাশ্মীরি মুসলিমদেরকে বর্তমান এই অবস্থা থেকে মুক্ত করতে আসবে না।
প্রতিবেদক : আবু উবায়দা
তথ্যসূত্র :
———
1. Indian troops martyr 19 Kashmiris in August
– https://tinyurl.com/4nka8sy8
Comment