Announcement

Collapse
No announcement yet.

চীনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের প্রতিবেদন : আস্থা নেই উইঘুর ও বিশ্লেষকদের

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • চীনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের প্রতিবেদন : আস্থা নেই উইঘুর ও বিশ্লেষকদের

    চীনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের প্রতিবেদন : আস্থা নেই উইঘুর ও বিশ্লেষকদের



    সম্প্রতি পূর্ব তুর্কীস্তানের প্রতি চীনের ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনকে কেন্দ্র করে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে; তবে এর প্রতি কোন আস্থা পাচ্ছেন না উইঘুর মুসলিমরা। উক্ত প্রতিবেদনে উইঘুর মুসলিমদের প্রতি চীনের নির্যাতনের “গ্রহণযোগ্য প্রমাণ” খুঁজে পেয়েছে প্রতিবেদকরা।

    জাতিসংঘের প্রতিবেদন মতে, উইঘুর মুসলিমদের কথিত পুনঃশিক্ষার পেছনে চীন যে “সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের” অজুহাত দেখিয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। জাতিসংঘ বলছে, উইঘুর মুসলিমদের প্রতি চীন প্রশাসন বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে। উইঘুর মুসলিমদের জোরপূর্বক জন্ম নিয়ন্ত্রণ, আটক, ধর্ষণ, হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ করেছে চীনের প্রশাসন।

    উক্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে চীন বারবার জাতিসংঘকে সেটি প্রকাশ না করার চাপ দিয়েছিল। এমনকি চীন তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে। জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন প্রকাশ পাবার পর বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন চীনকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে বলেছে। যদিও উইঘুর মুসলিমরা এতে তেমন কোন আস্থা পাচ্ছেন না।

    তুরস্কে বসবাসকারী এক মহিলা উইঘুর শরণার্থী মুকার্‌রাম আবিতগলু আলজাজিরার এক সাংবাদিককে বলেন, “পাঁচ বছর হয়ে গেছে, চীন অনেক উইঘুর মুসলিম যুবককে হত্যা করেছে, শিশুদেরকে এতিম করেছে, জাতিসংঘ উইঘুরদের জন্য যা করছে তা আসলে যথেষ্ট নয়।”মুকাররাম আবিতগলু পাঁচ বছর ধরে তুরস্কে শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছেন। সেখানে তিনি একটি দোকান চালিয়ে নিজের জীবিকা নির্বাহ করছেন। আবিতগলুর স্বামী ও দুই সন্তান এখনও চীনে রয়েছেন। পাঁচ বছর ধরে তাঁদের কোন খবর তিনি পাননি।

    অপর এক উইঘুর মুসলিম আব্দুস সালাম তেক্‌লিমাকান বলছেন, জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনটি আরও আগে আসা উচিত ছিল। এমন একটি প্রতিবেদন তাদের এতদিন ধরে আটকে রাখা উচিত হয় নি।মূলত উইঘুর মুসলিমদের পক্ষে জাতিসংঘ উক্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করলেও, তারা মনে করছে এতে বিশেষ কোন কিছু পরিবর্তন হবে না। বরং চীন তাদের আগের নীতিতেই অটল থাকবে।উইঘুর মুসলিমরা বিগত কয়েক দশক ধরে, বিশেষ করে গত সাত-আট বছর ধরে চীনের অমানবিক ও বিকৃত নির্যাতনের শিকার হচ্ছে এবং পুরো বিশ্ব বিশেষ করে মুসলিম বিশ্ব তা চুপ করে শুধু দেখে যাচ্ছে। আর জাতিসঙ্ঘ তাদের দায়িত্ব শুধুমাত্র প্রতিবেদন-বিবৃতি প্রদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ করে রেখেছে।বিশ্লেষকদের মত হলো, কথিত জাতিসঙ্ঘ এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে মূলত নিপিরিত উইঘুরদের জন্য ‘কিছু করা’র দায় সেরে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছে। এমনকি তাদের এই প্রতিবেদন উইঘুর মুসলিমদের নির্যাতনের বিষয়টিকে সহজশ্রাব্য ও সহজগ্রাহ্য করে তুলেতেই ভূমিকা রাখছে বেশি।উইঘুর মুসলিমদের এই করুন দশার প্রেক্ষিতে তাই হক্কানী উলামাগণ মুসলিম উম্মাহকে উইঘুর মুসলিমদের প্রতি তাদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। নির্যাতিত উইঘুর মুসলিমদের কথা, বর্বর চীনাদের নিষ্ঠুরতার নানা দিক – এগুলো উম্মাহের যুবকদের সঠিক মাত্রায় জানিয়ে তাদেরকে উব্দুদ্ধ করাও এখন আমাদের কর্তব্য বলে মনে করেন তাঁরা। এতে উইঘুর ইস্যুতে মুসলিম উম্মাহের মাঝে একটি ঐক্যের সৃষ্টি হবে এবং বর্বর চীনের বিরুদ্ধে সকলে একসাথে রুখে দাঁড়াতে অনুপ্রাণিত হবে ইনশাআল্লাহ্‌।


    তথ্যসূত্রঃ
    ———
    1. Uighurs fear UN report on abuse of China’s Uighurs will go ignore
    https://tinyurl.com/4tjbhea9






    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    এর পুরোটাই হল তাদের চক্রান্ত। কারণ এখানে একটি গ্রুপ মুসলিমদের উপর অত্যাচার করছে এবং জাতিসংঘ নামক আরেকটি গ্রুপ এখানে মায়াকান্না দেখাচ্ছে যাতে করে মুসলিমরা জাতিসংঘের দিকে ধাবিত হয় এবং সমর্থন করে এবং পূর্ণ দমে জাতিসংঘকে সমর্থন করে একে বারে মুরতাদ হয়ে যায় এবং জাতিসংঘও ঐ সময় পূর্ণ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবে যখন এইসব নির্যাতিত মুসলিমরা জাতিসংঘকে পূর্ণ সমর্থন করে মুরতাদ হয়ে যাবে । এর মধ্যমে জাতিসংঘ নির্যাতিত মুসলিমদেরকে এবং অন্যান্য মুসলিমদেরকে তাদের পক্ষে নিয়ে যাবে এবং পর্যায়ক্রমে তাদেরকে মুরতাদ বানিয়ে দিবে এবং তাদেরকে জাতিসংঘ মুখি বানিয়ে মুসলিমদেরকে শীতল করে রাখবে এবং তাদেরকে থামিয়ে দিবে।
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment

    Working...
    X