সমাপ্তির পথে যুদ্ধবিরতি: টিটিপি’র হামলায় হতাহত ১৯, ব্যাপক যুদ্ধের দামামা
চলতি সপ্তাহে পাকিস্তানের সীমান্ত অঞ্চলগুলিতে শুরু হয়েছে প্রতিরোধ বাহিনী টিটিপি ও দেশটির গাদ্দার সামরিক বাহিনীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি তীব্র লড়াই। যাতে প্রতিদিনই গাদ্দার পাকি-বাহিনীর ডজনখানেক সৈন্য হতাহত হচ্ছে। আর সংঘর্ষের এই ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর বুধবার পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তান, খাইবার এজেন্সি, কুররাম এজেন্সি, বান্নু ও ওরাকজাই অঞ্চলে বেশ কিছু সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। যেখানে প্রতিরোধ বাহিনী টিটিপি ও দেশটির গাদ্দার সামরিক বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই সংঘটিত হয়েছে।
এরমধ্যে প্রথম সংঘর্ষটি হয়েছিল উত্তর ওয়াজিরিস্তানে, যেখানে টিটিপি সক্রিয় অবস্থানে রয়েছে। জানা গেছে যে, গাদ্দার ইসলামাবাদ প্রশাসনিক বাহিনী উক্ত অঞ্চলে টিটিপি’র একটি সদর দফতরে অভিযান চালানোর চেষ্টা করছিলো। আর তখনই টিটিপি’র বীর যোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন। এতে পাকিস্তানি গাদ্দার সামরিক বাহিনীর অন্তত ৫ সৈন্য নিহত এবং ১ জন মুজাহিদ শহীদ হয়েছেন।
দ্বিতীয় আক্রমণ সংগঠিত হয় ওরাকজাই অঞ্চলে। যেখানে ডাবরি থানায় মুজাহিদদের আস্তানা ও পথ আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে গাদ্দার বাহিনী। এসময় সেনারা এলাকাটিতে নিজেদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে মুজাহিদগণ হামলা করে বসেন। যাতে আগ্রাসি পাকি-বাহিনীর ডাবুরি থানার “এসএইচও” জন নিহত হয়। আর অন্যরা আহত অবস্থায় জীবন নিয়ে পালিয়ে যায়।
এদিন বান্নু প্রদেশের লাক্কি মারওয়াত জেলার গুন্ডি চেকপোস্টে হামলা চালান মুজাহিদগণ। যাতে গাদ্দার পাকি সামরিক বাহিনীর ৪ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়।
এদিন রাতে খাইবার এজেন্সির সীমান্ত এলাকা ময়দানের ‘সান্দানা’ সামরিক পোস্টের কাছাকাছি অবস্থান নেন টিটিপি মুজাহিদিন। এসময় তাঁরা সীমান্ত বেড়া কেটে ভিতরে ঢুকার চেষ্টা করলে হামলা চালায় পাকি সেনারা। ফলে টিটিপি’র মুজাহিদগণ পাকি-সেনাদের উপর গুলি চালান। যাতে অন্তত ১ সেনা অফিসার গুরুতর আহত হয়, এবং বাকিরা পালিয়ে যায়। পরে মুজাহিদরা নিরাপদে পাক-সীমান্তে ঢুকতে সক্ষম হন।
একই রাতে খাইবার এজেন্সিতে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে আসা গাদ্দার ‘এফসি’ সদস্যদের গাড়িতে বোমা হামলা চালান টিটিপি মুজাহিদিন। এতে শাহজাহান নামে ১ সেনা সদস্য নিহত এবং আরও ২ সেনা আহত হয়।
এমনিভাবে, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) মুজাহিদরা কুররাম এজেন্সির ‘পাড়া চমকানি’ এলাকায় অবস্থিত গাদ্দার পাকি-বাহিনীর একটি সেনা চেকপোস্ট উড়িয়ে দিয়েছেন।
এই অভিযানে টিটিপির প্রতিরোধ যোদ্ধারা মাইন, হ্যান্ড গ্রেনেড এবং হালকা অস্ত্র ব্যবহার করেছেন। যার ফলশ্রুতিতে ২ গাদ্দার সেনা সদস্য নিহত এবং অন্য ৩ সেনা সদস্য আহত হয়।
উল্লেখ্য যে, দেশটির সমগ্র সীমান্ত অঞ্চল জুড়ে টিটিপি এবং ইসলামাবাদ প্রশাসনের গাদ্দার সামরিক বাহিনীর মধ্যে টানটান সামরিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, এর ফলে খুব শীগ্রই যুদ্ধবিরতি পুরোপুরি ভেস্তে যেতে চলেছে।
মার্কিন সমর্থিত গাদ্দার ইসলামাবাদ প্রশাসন এবং টিটিপি গত মে মাসে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু করে। কিন্তু পাকিস্তানের গাদ্দার সামরিক বাহিনী বারবার এই আলোচনাকালীন যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে।
ফলে যুদ্ধবিরতির মধ্যেই হামলার ঘটনা ঘটছে। তবে সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকে এই আক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। আর চলতি মাসের শুরু থেকে টিটিপি’র মুজাহিদগণ দলে দলে আফগানিস্তানের সীমান্ত হয়ে পাকিস্তানে ঢুকছেন। তাই বিশ্লেষকরা মনে করেন, যুদ্ধবিরতি এখন প্রায় শেষ, শুধু উভয় বাহিনীর মাঝে একটি বিবৃতির মাধ্যমে অভিযান শুরু করা বাকি।
চলতি সপ্তাহে পাকিস্তানের সীমান্ত অঞ্চলগুলিতে শুরু হয়েছে প্রতিরোধ বাহিনী টিটিপি ও দেশটির গাদ্দার সামরিক বাহিনীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি তীব্র লড়াই। যাতে প্রতিদিনই গাদ্দার পাকি-বাহিনীর ডজনখানেক সৈন্য হতাহত হচ্ছে। আর সংঘর্ষের এই ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর বুধবার পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তান, খাইবার এজেন্সি, কুররাম এজেন্সি, বান্নু ও ওরাকজাই অঞ্চলে বেশ কিছু সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। যেখানে প্রতিরোধ বাহিনী টিটিপি ও দেশটির গাদ্দার সামরিক বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই সংঘটিত হয়েছে।
এরমধ্যে প্রথম সংঘর্ষটি হয়েছিল উত্তর ওয়াজিরিস্তানে, যেখানে টিটিপি সক্রিয় অবস্থানে রয়েছে। জানা গেছে যে, গাদ্দার ইসলামাবাদ প্রশাসনিক বাহিনী উক্ত অঞ্চলে টিটিপি’র একটি সদর দফতরে অভিযান চালানোর চেষ্টা করছিলো। আর তখনই টিটিপি’র বীর যোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন। এতে পাকিস্তানি গাদ্দার সামরিক বাহিনীর অন্তত ৫ সৈন্য নিহত এবং ১ জন মুজাহিদ শহীদ হয়েছেন।
দ্বিতীয় আক্রমণ সংগঠিত হয় ওরাকজাই অঞ্চলে। যেখানে ডাবরি থানায় মুজাহিদদের আস্তানা ও পথ আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে গাদ্দার বাহিনী। এসময় সেনারা এলাকাটিতে নিজেদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে মুজাহিদগণ হামলা করে বসেন। যাতে আগ্রাসি পাকি-বাহিনীর ডাবুরি থানার “এসএইচও” জন নিহত হয়। আর অন্যরা আহত অবস্থায় জীবন নিয়ে পালিয়ে যায়।
এদিন বান্নু প্রদেশের লাক্কি মারওয়াত জেলার গুন্ডি চেকপোস্টে হামলা চালান মুজাহিদগণ। যাতে গাদ্দার পাকি সামরিক বাহিনীর ৪ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়।
এদিন রাতে খাইবার এজেন্সির সীমান্ত এলাকা ময়দানের ‘সান্দানা’ সামরিক পোস্টের কাছাকাছি অবস্থান নেন টিটিপি মুজাহিদিন। এসময় তাঁরা সীমান্ত বেড়া কেটে ভিতরে ঢুকার চেষ্টা করলে হামলা চালায় পাকি সেনারা। ফলে টিটিপি’র মুজাহিদগণ পাকি-সেনাদের উপর গুলি চালান। যাতে অন্তত ১ সেনা অফিসার গুরুতর আহত হয়, এবং বাকিরা পালিয়ে যায়। পরে মুজাহিদরা নিরাপদে পাক-সীমান্তে ঢুকতে সক্ষম হন।
একই রাতে খাইবার এজেন্সিতে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে আসা গাদ্দার ‘এফসি’ সদস্যদের গাড়িতে বোমা হামলা চালান টিটিপি মুজাহিদিন। এতে শাহজাহান নামে ১ সেনা সদস্য নিহত এবং আরও ২ সেনা আহত হয়।
এমনিভাবে, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) মুজাহিদরা কুররাম এজেন্সির ‘পাড়া চমকানি’ এলাকায় অবস্থিত গাদ্দার পাকি-বাহিনীর একটি সেনা চেকপোস্ট উড়িয়ে দিয়েছেন।
এই অভিযানে টিটিপির প্রতিরোধ যোদ্ধারা মাইন, হ্যান্ড গ্রেনেড এবং হালকা অস্ত্র ব্যবহার করেছেন। যার ফলশ্রুতিতে ২ গাদ্দার সেনা সদস্য নিহত এবং অন্য ৩ সেনা সদস্য আহত হয়।
উল্লেখ্য যে, দেশটির সমগ্র সীমান্ত অঞ্চল জুড়ে টিটিপি এবং ইসলামাবাদ প্রশাসনের গাদ্দার সামরিক বাহিনীর মধ্যে টানটান সামরিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, এর ফলে খুব শীগ্রই যুদ্ধবিরতি পুরোপুরি ভেস্তে যেতে চলেছে।
মার্কিন সমর্থিত গাদ্দার ইসলামাবাদ প্রশাসন এবং টিটিপি গত মে মাসে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু করে। কিন্তু পাকিস্তানের গাদ্দার সামরিক বাহিনী বারবার এই আলোচনাকালীন যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে।
ফলে যুদ্ধবিরতির মধ্যেই হামলার ঘটনা ঘটছে। তবে সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকে এই আক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। আর চলতি মাসের শুরু থেকে টিটিপি’র মুজাহিদগণ দলে দলে আফগানিস্তানের সীমান্ত হয়ে পাকিস্তানে ঢুকছেন। তাই বিশ্লেষকরা মনে করেন, যুদ্ধবিরতি এখন প্রায় শেষ, শুধু উভয় বাহিনীর মাঝে একটি বিবৃতির মাধ্যমে অভিযান শুরু করা বাকি।
প্রতিবেদক : আলী হাসনাত
Comment