Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১৪ সফর ১৪৪৪ হিজরী।। ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১৪ সফর ১৪৪৪ হিজরী।। ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

    কাশ্মীরে হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শ চাপানোর চেষ্টা আরও জোরদার হিন্দুত্ববাদী সরকারের



    দখলকৃত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মু ও কাশ্মীরে হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শ চাপানোর চেষ্টা আরও জোরদার করলো হিন্দুত্ববাদী ভারতের ক্ষমতাসীন সরকার। জম্মু ও কাশ্মীরের মুসলিম পরিচয় মুছে ফেলতে এবং সেখানে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) এবং অন্যান্য উগ্র হিন্দু সংগঠনগুলির হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শ চাপিয়ে দিতে এখন জোরদার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তারা।

    এরই প্রেক্ষিতে সন্ত্রাসী মোদী সরকারের মদদে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি শহরে জোরপূর্বক মুসলিম ওয়াকফ জমি দখল করেছে হিন্দুত্ববাদী আরএসএস ও বজরং দলের গুন্ডারা। এমনকি শহরের একটি ঐতিহাসিক মসজিদের পুনর্নির্মাণের কাজও বন্ধ করে দিয়েছে তারা। একই সঙ্গে সাম্বা জেলার একটি মসজিদের জমি জোরপূর্বক দখল করে সেখানে হিন্দু মন্দিরও নির্মাণ করেছে এই উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল।

    হিন্দুত্ববাদী গুন্ডাদের এই কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে মুসলিমরা যাতে বিক্ষোভ না করতে পারে, সেজন্য ইতোমধ্যেই রাজৌরি শহরে কারফিউ জারি করেছে দখলদার কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় বাসিন্দারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পুলিশের গাড়িগুলো সারাদিন শহরে টহল দিচ্ছে এবং লোকজনকে বাড়ি থেকে বের না হতে নির্দেশ দিচ্ছে। তারা আরও জানিয়েছেন যে, শহরে যানবাহন চলাচলও সীমিত করে দিয়েছে দখলদার কর্তৃপক্ষ।

    বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষকরা বলছেন যে, সন্ত্রাসী মোদী সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীকে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীতে রূপান্তর করতে বদ্ধপরিকর।

    তবে মুসলিম বিশেষজ্ঞগণ এবং উলামাগণ বলছেন যে, জম্মু ও কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামীদের সাথে হিন্দুত্ববাদী বাহিনীর এই যুদ্ধে শেষমেশ হিন্দুত্ববাদীরাই পরাজয় বরণ করবে এবং নিজেদের সামনেই তারা সমগ্র ভারতে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠিত হতে দেখবে।



    তথ্যসূত্র :
    ———
    1. Modi regime intensifies attempts to impose Hindutva ideology in IIOJK
    https://tinyurl.com/2kwphbud

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    বাড়িতে কুরআন শিক্ষা : উইঘুর বাবা-ছেলের কারাদণ্ড



    নিজ বাড়িতে সন্তানকে কুরআন ও ইসলাম শিক্ষা প্রদান করার অভিযোগে পূর্ব তুর্কিস্তানে এক উইঘুর ইমাম ও তার ছেলে গত চার বছর ধরে কারাবন্দী।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উইঘুর মুসলিম জানিয়েছেন, পূর্ব তুর্কিস্তানের হোতান বিভাগের কেরিয়ে জেলার লেঙ্গার গ্রামের ৫০ বছর বয়সী উইঘুর ইমাম মেমেত মূসা এবং তাঁর ২০ বছর বয়সী ছেলে ওসমান মেমেতকে ২০১৮ সালে কারাগারে পাঠায় দখলদার চীনা প্রশাসন। তাদের অভিযোগ ছিল যে, মূসা তাঁর ছেলে ওসমানকে ঘরে কুরআন শিক্ষা দিয়েছিলেন।

    সূত্র মারফত আরও জানা যায় যে, মূসা একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে সমাজে পরিচিত ছিলেন। দখলদার চীনা কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত সীমা মেনে চলার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অন্যতম। কেউ যদি মূসাকে কুরআন শেখাতে আবেদন করতো, মূসা অত্যন্ত বিনীতভাবে সবাইকে না করে দিতেন।

    কিন্তু মূসা তাঁর পুত্র ওসমানকে ঘরেই কুরআন এবং ইসলামের মৌলিক শিক্ষা দিচ্ছিলেন। একজন পিতা হিসেবে মূসা তাঁর দায়িত্ব পালন করছিলেন বলে জানান সেই উইঘুর ব্যক্তি।

    কেরিয়ে জেলার চীনা সরকারী কর্মকর্তারা মেমেত মূসা ও তার ছেলের কারাবাস সম্পর্কে রেডিও ফ্রি এশিয়ার (আরএফএর) প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করলেও লেঙ্গার গ্রামের পুলিশ কর্মকর্তারা আরএফএ-কে উক্ত তথ্য নিশ্চিত করেছে।

    লেঙ্গার গ্রামের এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “আমি তাঁর (মূসার) মামলার কথা শুনেছি।” গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের একজন ছিলেন মূসা। তাঁকে ও তাঁর ছেলেকে একসাথে সাজা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঐ পুলিশ কর্মকর্তা।

    অপর এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গ্রামের মসজিদে ইমাম হিসেবে কাজ করতেন তিন সন্তানের জনক মূসা। পরে তাঁকে দশ বছরের কারাদণ্ড এবং তাঁর ছেলেকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেয় চীনা কর্তৃপক্ষ।
    তিনি আরও জানান, মূসা ও মেমেত দুজনেই এখন কেরিয়ের একটি কারাগারে বন্দী আছেন।

    এদিকে, ফাঁস হওয়া চীনা সরকারী নথিপত্র এবং কথিত “পুনঃ শিক্ষাকেন্দ্রের” প্রাক্তন বন্দীদের মাধ্যমে জানা যায় যে, বিগত পাঁচ বছরে দখলদার চীনা কর্তৃপক্ষ পূর্ব তুর্কীস্তানে বিপুল সংখ্যক উইঘুর এবং অন্যান্য তুর্কী সংখ্যালঘু মুসলিমদেরকে পরিবার-ভিত্তিক ইসলাম শিক্ষায় অংশ নেওয়ার “অপরাধে” গ্রেপ্তার করেছে।

    গত ২৪শে মে প্রকাশিত ওয়াশিংটন ভিত্তিক ভিকটিমস অফ কমিউনিজম মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের “শিনজিয়াং পুলিশ ফাইলসের” নথি অনুসারে, বাবা-মা ও দাদা-দাদির কাছ থেকে ইসলাম শিক্ষা গ্রহণের জন্য তরুণ উইঘুরদেরকে বন্দী করছে দখলদার চীনা কর্তৃপক্ষ।

    নির্বাসনে থাকা এক উইঘুর মুসলিম জানান, ২০১৭ সাল থেকে কমিউনিস্ট চীন সরকার পূর্ব তুর্কীস্তান জুড়ে পরিবার-ভিত্তিক ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণকে “অপরাধ” হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

    ২০১৭ সাল থেকে দখলদার চীনা কর্তৃপক্ষ উইঘুর এবং অন্যান্য তুর্কি মুসলিমদের কথিত উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের অজুহাতে নির্বিচারে আটক ও বন্দী করতে শুরু করে। আর সেখানে কথিত পুনঃ শিক্ষাকেন্দ্র নির্মাণ করে জোরপূর্বক তাদের চীনা সংস্কৃতি গ্রহণ করতে বাধ্য করে।
    এছাড়াও সেসব কেন্দ্রে উইঘুর মুসলিমদেরকে জোরপূর্বক শ্রম, নির্যাতন, যৌন নিপীড়ন, জোরপূর্বক গর্ভপাতের মতো ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন করার অভিযোগও আছে চীনা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। দখলদার কর্তৃপক্ষ উইঘুর ভাষা, সংস্কৃতি ও ধর্মকে নির্মূল করার জন্যই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে দাবি করেছে উইঘুর মুসলিমরা।

    মুসলিম বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে হয়তো প্রায় ২ কোটি উইঘুর তাদের মুসলিম পরিচয় হারিয়ে ফেলবে। তাই তাঁরা মনে করেন, মুসলিমদের উচিত অতিসত্বর উইঘুরদের সাহায্যে এগিয়ে আসা এবং দখলদার চীন থেকে পূর্ব তুর্কিস্তানকে মুক্ত করা।



    তথ্যসূত্র :
    ———
    1. Uyghur imam sentenced for providing religious instruction to son in Xinjiang
    https://tinyurl.com/45p2vyvf

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ইমামকে গুলি করে হত্যার এবং মসজিদ বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি ইউপি-তে



      ভারতের উত্তর প্রদেশের বেরেলিতে নগরীর জামে মসজিদ বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার এবং ইমাম খুরশিদ আলমকে গুলি করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। গত ০৭ সেপ্টেম্বর (বুধবার) সকালে মসজিদ সংলগ্ন দেয়ালে লাগানো হাতে লেখা হুমকি-পোস্টারের ঘটনায় মুসল্লিদের মাঝে এবং ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

      সম্প্রতি হুমকির চিঠির এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। হুমকির চিঠিতে বলা হয় যে, কোনো জুম্মা বারে মসজিদে বোমা রাখা হবে। এবং ইমাম খুরশিদ আলমকে গুলি খুন করা হবে।

      মসজিদটির ইমাম খুরশীদ আলম বলেন, কারো সঙ্গে তার কোনো শত্রুতা নেই, কোনো বিরোধ নেই, তা সত্ত্বেও এ ধরনের পোস্টার লাগিয়ে পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি বলেন, শহরের পরিবেশ নষ্ট করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এই অপকর্ম করা হয়েছে।

      উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা ভারতে মুসলিম নিধন করে রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠার করার জন্য আদা জল খেয়ে মাঠে নেমেছে। তারা মুসলিমদের উপর তুচ্ছ কারণে হামলা চালাচ্ছে। আর মুসলিম নিধনের আগে কোন একটি এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে এধরনের কাজ করে থাকে হিন্দুত্ববাদীরা।

      কয়েদিন আগে আরএসএস এর প্রাক্তন এক সদস্য জানিয়েছে, তার সংগঠন ভারতে বিভিন্ন মসজিদে হামলা করার জন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়, বোমা বানায়। তাই এ হুমকি হিন্দুত্ববাদী আরএসএস সন্ত্রাসীদের পক্ষ থেকে হওয়ার কথাই জানিয়েছেন স্থানীয় মুসলিমগণ।



      তথ্যসূত্র:
      ——–
      ১. উত্তর প্রদেশে বোমা মেরে মসজিদ উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি
      https://tinyurl.com/2s3jn6jb

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে না, ভবিষ্যতেও মামলা করা যাবে না – ভারতের সুপ্রিম কোর্ট




        মহানবী হজরত মোহাম্মদ (ﷺ)-কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য ইস্যুতে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাবেক নেত্রী নূপুর শর্মাকে গ্রেফতার করার আবেদন উঠতেই পত্রপাঠ মামলা খারিজ করে দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। আবেদন শুনতেই চাইল না হিন্দুত্ববাদী দেশটির শীর্ষ আদালত।

        সর্বোচ্চ আদালত শুক্রবার জানিয়ে দেয়, কোনো নির্দেশ দেয়ার আগে আদালতকে পরিস্থিতি বিবেচনা করতে হয়। আমাদের পরামর্শ হলো, এই আবেদন খারিজ করা। এমনটাই জানিয়েছেন, প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত।সংবাদসংস্থা বার অ্যান্ড বেঞ্চ জানিয়েছে, এর পর আবেদন প্রত্যাহার করে নেন মামলাকারী। তিনি মুসলিম সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে নূপুর শর্মাকে গ্রেফতারের দাবি জানান।

        গত জুলাই মাসে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয় নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে কোনোরকম কঠোর পদক্ষেপ নেয়া যাবে না। গোটা দেশের বিভিন্ন জায়গায় মামলায় দায়ের হয়েছিল নূপুরের বিরুদ্ধে। কিন্তু বিজেপির সাবেক নেত্রীর বিরুদ্ধে কোনো কঠোর পদক্ষেপ না নেয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

        শীর্ষ আদালত এও জানায়, নূপুরের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতেও কোনো মামলা দায়ের করা যাবে না। করলেও তাতে কোনো রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না।সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টকে কেন্দ্র করে তুচ্ছ অযুহাতে অসংখ্য মুসলিমকে সাংবাদিক ও লেখককে গ্রেফতার করে রেখেছে হিন্দুত্ববাদী ভারত।

        অথচ নবী (ﷺ)-কে অবমাননা করার পরও নূপুর শর্মারা নিরাপদে রয়েছে; বরং তাদের নিরাপত্তা আরও জরদার করা হয়েছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে পুনরায় গ্রেফতার ও অভিযোগ করার বিষয়েও নিষেধ করে দিয়েছে ভারতীয় আদালত।

        এই হচ্ছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারতের প্রহসনের গণতান্ত্রিক আইন ব্যবস্থা; আর এর উপরেই ভরসা করার সবক দেয় একদল নাদান মুসলিম! বর্তমান ভারতের উত্তপ্ত পরিস্থিতিও এই নাদানদের দিবানিদ্রা ভাঙাতে পারেনি বলে আফসোস প্রকাশ করেছেন ইসলামি চিন্তাবিদগণ।এ অবস্থায় তাই প্রাণপ্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অবমাননার শাস্তি মুসলিমদের নিজেদেরকেই আদায় করে নেয়ার পক্ষে মতামত দিয়েছেন আলেম-উলামার।


        তথ্যসূত্র:
        ——–
        ১। নূপুর শর্মাকে গ্রেফতারের আবেদন শুনলই না ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
        https://tinyurl.com/2jajsjhr






        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          হে আল্লাহ! আপনি শয়তানের বাহিনী কে পরাজিত করুন ধ্বংস করুন ।
          হে আল্লাহ!শয়তানের বাহিনী কে আদ সামুদ জাতির মত হত্যা করুন।তাদেন নিঃস্বশ বন্ধ করে দিন।আমিন ইয়া রব্বাল আলামিন

          Comment

          Working...
          X