Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১৫ সফর ১৪৪৪ হিজরী।। ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১৫ সফর ১৪৪৪ হিজরী।। ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

    শিক্ষার্থীদের ধর্মহীন করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা দালাল সরকারের


    শিক্ষা ব্যবস্থায় একের পর এক নগ্ন-হস্তক্ষেপ করছে সেক্যুলার গনতান্ত্রিক শাসকগোষ্ঠী। নিজেদের মনপুত শিক্ষা কারিকুলাম প্রনয়ণ করে এ দেশের কোটি কোটি শিক্ষার্থীর উপর চাপিয়ে দিয়েছে সেক্যুলার শিক্ষা। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধকে পশ্চিমা বস্তুবাদী দর্শনের আলোকে সাজিয়ে জীবনকে ধ্বংসের দারপ্রান্তে নিয়ে গেছে তারা।

    শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি ছায়ানট আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছে, ‘আমারা শিক্ষা ব্যবস্থায় পরীক্ষানির্ভরতা কমিয়ে আনবো। শিক্ষার্থীরা ইতিহাস ঐতিহ্য থেকে শিখবে। পুরো শিক্ষা কার্যক্রমে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। যেখানে মুখস্ত বিদ্যা থাকবে না। শিক্ষার্থীরা শিক্ষাকে ধারণ করে তা প্রয়োগও করবে। শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে তারা দেশকে ভালোবাসবে।’

    রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) কেরানীগঞ্জের তারানগরে ছায়ানটের সংস্কৃতি সমন্বিত সাধারণ শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে পরিচালিত নালন্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেছে শিক্ষা মন্ত্রী।

    উল্লেখ যে, ছায়ানট একটি কুখ্যাত উগ্র সেক্যুলার সংগঠন। তাদের মিশন হচ্ছে এ দেশে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতি চালু করে ইসলামী আদর্শের বিরোধিতা করা। সারা দেশেই তারা বাঙালি সংস্কৃতির নামে হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতি চালুর পাশাপাশি নালন্দা বিদ্যালয়ে একাডেমি পর্যায়ে হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতি চালু করে রেখেছে।

    আর এই হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতির প্রশংসা করে উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়েছে আরও এক দালাল আওয়ামী লীগের নেতা এডভোকেট কামরুল ইসলাম। সে বলেছে, ‘সরকার চেষ্টা করছে এমন শিক্ষা কার্যক্রম প্রণয়ন করতে, যেখানে শিশুরা গড় উঠবে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধারণ করে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটাতে হবে।’

    এডভোকেট কামরুল ইসলাম ও দিপু মনির স্পষ্ট বক্তব্য হলো, এ দেশ থেকে ধর্মীয় শিক্ষা উঠিয়ে শিক্ষার্থীদের সেক্যুলার হিসেবে গড়ে তোলাই তাদের লক্ষ্য৷ এজন্য ছায়ানটের আদলে গতানুগতিক শিক্ষার গণ্ডি থেকে বাইরে এসে সংস্কৃতিমনা তথা হিন্দুত্ববাদী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করায় নালন্দা বিদ্যালয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছে তারা। আর ছাত্র তাদের চাপিয়ে দেওয়া ‘হিন্দুয়ানী ঐতিহ্য’ থেকে সিখবে বলে মন্তব্য করেছে তারা।

    বলাই বাহুল্য, ৯০ ভাগ মুসলিম জনসংখ্যা অধ্যুষিত এই দেশের সংস্কৃতি ভুলিয়ে দিয়ে তারা আমদানি করা হিন্দুয়ানী সংস্কৃতিকেই তারা বাঙালি সংস্কৃতি বলে চাপিয়ে দিচ্ছে সবার উপরে। আর সেই সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য থেকেই ছাত্ররা নাকি শিখবে। আবার কিছুদিন আগেই তারা ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বিষয়ের পরীক্ষা উঠিয়ে দিয়েছে, যাতে ছাত্ররা পরীক্ষা পাশের জন্যেও ইসলামি শিক্ষা গ্রহণ না করে।

    জ্ঞান অর্জন মানব জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সুশিক্ষা বয়ে আনে উন্নত চরিত্র, সভ্য ও কল্যাণময় সমাজ ব্যাবস্থা। পক্ষান্তরে কুশিক্ষা সমাজে বয়ে আনে অন্ধকার ও বর্বর পশুভিত্তিক সমাজ ব্যাবস্থা।

    ভারতের দালাল শাসকগোষ্ঠী চাইছে এ দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা যেন ইসলামী শিক্ষা-সংস্কৃতি ভুলে গিয়ে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতির সাথে একাকার হয়ে যায়। এজন্য মুসলিমদের উচিত নিজ সন্তানদের ইসলামী শিক্ষায় গড়ে তোলা। এবং পাশাপাশি দালালদের চাপিয়ে দেওয়া সিস্টেমকে উতখাত করে নববী চেতনা ও আদর্শ সমাজে বাস্তবায়নের সর্বাত্মক প্রচেস্তায় ব্রত হওয়া।- এমনটাই মতামত ইসলামী চিন্তাবিদের।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    ১। ‘শিক্ষা কার্যক্রম পরিবর্তনের চেষ্টা করছি, মুখস্ত বিদ্যা থাকবে না’
    https://tinyurl.com/3939u435

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ফের মার্কিন গণহত্যা সোমালিয়ায় : নিহত ৩০ বেসামরিক মুসলিম



    পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় ফের বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করে গণহত্যা চালাচ্ছে দখলদার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চলতি সপ্তাহেও ক্রুসেডার এই দেশটির হামলায় ৩০ জন বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

    বিবরণ অনুযায়ী, ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত ৯ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ সোমালিয়ার শাবেলি রাজ্যে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে। যা রাজ্যটির মোবারক শহরের একটি বাস স্টেশনে চালানো হয়েছে।

    এই স্টেশনটি বৃহস্পতি ও শুক্রবার খুব ব্যস্ত থাকে। এতে অন্তত ১০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং আরও ২০ জন আহত হয়েছেন।বর্বরোচিত এই হামলার শিকার আহতদেরকে পরে রাজধানী মোগাদিশুর একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এসময় আহতদের স্বজনরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, আহতদের অনেকের অবস্থাই গুরুতর।এদিকে হামলার পর ক্রুসেডার মার্কিনীদের গোলাম গাদ্দার সোমালি সরকার খুবই গর্বের সাথে ঘোষণা করে যে, এই আক্রমণের দ্বারা অঞ্চলটির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাবকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে অঞ্চলটি থেকে তোলা ছবিগুলিই গাদ্দার সরকারের এই মিথ্যা দাবিকে খণ্ডন করে।

    কেননা হামলার শিকার সবাই ছিলেন বেসামরিক নাগরিক। যারা শহরে তাদের প্রয়োজন শেষে একটি বাসে করে নিজ গন্তব্যে ফিরছিলেন।উল্লেখ্য যে, ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের গোলাম সরকার সোমালিয়ায় বেসামরিক মুসলিমদের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ধরে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। যার কোনো সুষ্ঠু তদন্ত হয় নি। এবং মিডিয়াগুলোও এধরণের সংবাদগুলো এড়িয়ে যাচ্ছে।

    কেমন যেনো নিজ মনিবদের সন্তুষ্ট করতে তারা নিরবতার ভূমিকা পালন করে।বিপরীতে মুজাহিদরা যখন জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, মার্কিন সমর্থিত গাদ্দার বাহিনী এবং স্থানীয় মিলিশিয়াদের পাকড়াও করেন, তখন এই মিডিয়াগুলোরই দাসত্বের চেতনা জাগ্রত হয়ে উঠে। তাঁরা সামরিক বাহিনীর এসব সদস্যদের বেসামরিক নাগরিক হিসাবে মিডিয়ায় উপস্থাপন করতে মরিয়া হয়ে উঠে।

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ‘আমার ছেলে কাঁদছে’, বলছেন হিন্দুত্ববাদী পুলিশের গ্রেফতার করা মুসলিম শিশুর মা



      ভারতের বিহার রাজ্যের সিওয়ানে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের মুসলিমবিরোধী সহিংসতার সময় গত ৮ই সেপ্টেম্বর ৮ বছর বয়সী রিজওয়ান নামে এক মুসলিম নাবালক ছেলেকে গ্রেফতার করেছে বিহারের হিন্দুত্ববাদী পুলিশ। একইসাথে শিশুটির ৭০ বছর বয়সী অসুস্থ বৃদ্ধ দাদাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। হিন্দুত্ববাদী পুলিশ এখনও তাদের মুক্তি দেয়নি, বরং অর্থ চাচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিশুটির মা।

      রিজওয়ানের মা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার পুত্র তার দাদার সাথে মসজিদে নামাজ আদায় করতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে পুলিশ তাদেরকে তুলে নিয়ে যায়। সহিংসতা শুরু হওয়ার পরের ঘটনা এটি। এ বিষয়ে আমরা কিছু জানতাম না। রাত ১১টার দিকে জানতে পারি যে, তারা দুজনে পুলিশের কাছে আছে।’
      ‘পুলিশ আমার সন্তানের সাথে কথা বলার অনুমতিও দেয়নি’ বলছিলেন রিজওয়ানের মা, ‘আদালত থেকে আমাকে আমার সন্তানের পরিচয়ের প্রমাণ নিয়ে আসতে বলার পর আমি আবারও সেখানে যাই। আমার সন্তানের সাথে দেখা করতেই সে কান্না শুরু করে দেয়। আর জিজ্ঞাসা করতে থাকে, কখন সে বাড়ি ফিরতে পারবে।’

      তিনি আরও বলেন, ‘১২০০০ রুপি দিলে পুলিশ রিজওয়ানকে মুক্তি দেবে বলেছে। কিন্তু এত টাকা আমি কোথায় পাব? আমরা গরিব, এত টাকা সংগ্রহের সামর্থ্য আমাদের নেই।’

      এভাবে পরিবার শিশুটির জন্মনিবন্ধন সনদ উপস্থাপন করলেও হিন্দুত্ববাদী পুলিশ তার মুক্তির জন্য টাকা দাবি করছে।

      উল্লেখ্য, গত ৮ই সেপ্টেম্বর বিকালে একদল হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী মহাবীর আখড়ার একটি র‌্যালি আসরের নামাজের সময় মসজিদের পাশ দিয়ে যায়। এসময় হিন্দু সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক স্লোগান দিতে থাকে এবং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মসজিদ ও দোকানপাটে ভাঙ্গচুর চালায়। মুসলিমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে হিন্দু সন্ত্রাসীদের সাথে সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর এ ঘটনায় হিন্দুত্ববাদী পুলিশ ২৫জন মুসলিম এবং মাত্র ১০জন হিন্দুকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার হওয়া মুসলিমদের মাঝে আছে ৮ বছর বয়সী শিশু রিজওয়ান এবং তার ৭০ বছর বয়সী অসুস্থ বৃদ্ধ দাদা।



      তথ্যসূত্র:
      ——–
      1. Bihar: “My son is crying,” says mother as 8-year-old Muslim kid remains in custody, Maktoob;
      https://tinyurl.com/yymbn2zk

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X