Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ২০ সফর ১৪৪৪ হিজরী।। ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ২০ সফর ১৪৪৪ হিজরী।। ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

    ইসলাম ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (ﷺ)-কে নিয়ে হিন্দুত্ববাদী পুলিশের কটূক্তি



    আবারো ইসলাম ধর্ম ও মহানবী (ﷺ)-কে নিয়ে কটূক্তি করেছে উগ্র হিন্দু পুলিশ কনস্টেবল প্রীতম মণ্ডল। সে ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী (ﷺ)-কে নিয়ে কটূক্তিমূলক পোস্ট দিয়েছে।

    পুলিশ সদস্য প্রীতম মণ্ডল ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা গ্রামের বাসিন্দা। সম্প্রতি ইসলাম ধর্ম ও মহানবী (ﷺ)-কে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করে। এ ঘটনায় মুসলিমদের অন্তরে রক্তক্ষরণ হতে থাকে।

    ইসলাম ধর্ম ও মহানবী (ﷺ)-কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে গত ১৬ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার নবাবগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন ও বিক্ষোভের ডাক দেয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা।

    উল্লেখ্য, কিছুদিন পরপরই মানবতার মুক্তির দূত মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানে কটূক্তি করে যাচ্ছে উগ্র হিন্দুরা। বর্তমান ভারতপন্থী দালাল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি অংশ ভারতের হিন্দুত্ববাদীদের উসকানীতে রাসুল (ﷺ) এর বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটভিত্তিক অবমাননা করে যাচ্ছে।

    এজন্য দেশের শীর্ষ ওলামা মাশায়েখগণ বার বার দাবি জানিয়ে বলেছেন, আল্লাহ ও রাসুল (ﷺ) এর বিরুদ্ধে কটুক্তিকারীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তাঁরা বলছেন, মুসলিমরা যদি রাসুল (ﷺ) এর বিরুদ্ধে কটুক্তিকারীদের পাওনা আদায় করে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারতেন, তাহলে বার বার রাসুল (ﷺ) কে অবমাননাকর বক্তব্য দিতে কেউ সাহস করতো না।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    ১. মহানবি (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি
    https://tinyurl.com/mr2kv7pc

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    পর্দা করায় ভাইভাতে অনুপস্থিত দেখালো ঢাবির মুসলিম ছাত্রীকে



    পর্দা করায় ভাইভা বোর্ডে মুখ না খোলার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগের একজন মুসলিম ছাত্রীকে অনুপস্থিত দেখিয়েছে বিভাগটির ইসলামবিদ্বেষী শিক্ষকরা।

    দৈনিক ইনকিলাব সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ই সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় সেমিস্টারের ভাইভা দিতে যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশনের বাংলা বিভাগের একজন মুসলিম নারী শিক্ষার্থী। ভাইভা বোর্ডের সদস্যরা চেহারা দেখতে চাইলে ঐ শিক্ষার্থী পর্দা করার কারণে পুরুষ শিক্ষকদের সামনে চেহারা দেখাতে অস্বীকৃতি জানান এবং ম্যাডামদের সামনে মুখ দেখানোর কথা বলেন।

    কিন্তু ঐ ইসলামবিরোধী শিক্ষকরা মুসলিম ছাত্রীর এই আবেদনে রাজি না হয়ে ভাইভাতে উপস্থিত থাকার পরও তাকে অনুপস্থিত দেখায়। একই কারণে প্রথম সেমিস্টারের ভাইভাতেও তাকে অনুপস্থিত দেখিয়েছিল ইসলামবিরোধী শিক্ষকরা।

    লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, আমি নিকাব করে ভাইভা পরীক্ষা দিতে গেলে শিক্ষকরা আমাকে নিকাব খোলা সাপেক্ষে উপস্থিতি স্বাক্ষর করতে বলেন। আমি বারবার তাদেরকে অনুরোধ করি যে, নন মাহরাম কারো সামনে আমি নিকাব খুলি না। আমি একাধিক ম্যাডামের সামনে আমার মুখ খুলে আমার পরিচয়ের সত্যতা নিশ্চিত করতে চাচ্ছি।

    কিন্তু শিক্ষকগণের বক্তব্য তারা আমার নিকাব খুলে চেহারা প্রদর্শন না করলে ভাইভা পরীক্ষা নেবেন না এবং উপস্থিতি স্বাক্ষর করতেও দেবেন না। আমি আবারও তাদের অনুরোধ জানাই যেন, একাধিক ম্যামের সামনে আমার চেহারা শনাক্ত করে নিকাব পরিহিত অবস্থায় আমার ভাইভা নেওয়া হয়। কিন্তু তারা তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকে এবং আমাকে গত ফার্স্ট সেমিস্টারসহ দুই সেমিস্টারের ভাইভাতে অনুপস্থিত করে দেয়। আমি তাদের কাছে বার বার অনুরোধ করলেও তারা সাফ জানিয়ে দেয় যে, আমার ভাইভা তারা আমার মুখ দেখা ছাড়া গ্রহণ করবে না।

    ওই মুসলিম শিক্ষার্থী আরও বলেন, আমার পর্দা করা কি অন্যায়? আমি শুধু পর্দা করার কারণে ভাইভাতে উপস্থিত থেকেও কোনো মার্ক পাচ্ছি না। যার ফলে এটি আমার রেজাল্টে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। আমি এর সুষ্ঠু সমাধান চাই।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিনিয়তই এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে ইসলাম পালন করতে চাওয়া শিক্ষার্থীদের। প্রতিষ্ঠানটির ইসলামবিদ্বেষী শিক্ষকরা কখনও মুসলিম ছাত্রীদের পর্দা নিয়ে কটূক্তি করে, কখনও মুসলিম ছাত্রদের দাঁড়ি-টুপি নিয়ে করে বাজে মন্তব্য। অথচ এসব শিক্ষকরাই আবার নির্লজ্জের মতো পোশাকের স্বাধীনতা, ধর্মের স্বাধীনতা ইত্যাদি বিষয়ে নানা বুলি আওড়ায়। মুসলিম অধ্যুষিত এই দেশের জাতীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলামবিদ্বেষীদের এমন দৌরাত্ম্য এদেশের মুসলিমদের শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রধান একটি বাধা বলে মনে করেন ইসলামী চিন্তাবিদগণ।

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মথুরায় আরেক মসজিদ অপসারণের পিটিশন দাখিল উগ্র সংগঠন ‘হিন্দু মহাসভা’র


      ভারতের মথুরায় মুঘল আমলের আরেকটি মসজিদ অপসারণের আবেদন করে আদালতে পিটিশন দাখিল করেছে উগ্র সংগঠন হিন্দু মহাসভা। যা মীনা মসজিদ নামে পরিচিত।

      আবেদনকারী দাবি করেছে যে, শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি কমপ্লেক্সের পূর্ব দিকে ঠাকুর কেশব দেব মন্দিরের একটি অংশে নাকি মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল। যদিও এ দাবির পক্ষে ঐতিহাসিক কোন ভিত্তি দেখাতে পারেনি তারা।

      অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার (ABHM) জাতীয় কোষাধ্যক্ষ উগ্র দীনেশ শর্মা তাদের কল্পিত ভগবান কৃষ্ণের ভক্ত এবং তার ‘বাদ মিত্র’ (স্যুটের বন্ধু) হিসাবে মামলাটি দায়ের করেছে। মামলাটি মথুরার সিভিল জজ (সিনিয়র ডিভিশন) জ্যোতি সিংয়ের আদালতে নথিভুক্ত করা হয়েছে।

      কথিত শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি কমপ্লেক্স থেকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শাহী ইদগাহ মসজিদ স্থানান্তর করার জন্য ইতিমধ্যেই মথুরার বিভিন্ন আদালতে বেশ কয়েকটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। যেখানে পিটিশনকারীরা দাবি করেছে, যে মসজিদ ‘ভগবান কৃষ্ণের জন্মস্থান’-এ নির্মিত হয়েছে।

      শাহী ইদগাহ মসজিদ

      উগ্র দীনেশ শর্মা এর আগে কথিত শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি সংলগ্ন শাহী ইদগাহ মসজিদ অপসারণের জন্য একটি মামলা করেছিল। এবার মীনা মসজিদ সরানোর পিটিশন দিয়েছে। তবে মুসলিমরা বলছেন, মামলার মূল উদ্দেশ্য হল মসজিদের স্থানগুলোকে প্রথমে বিতর্কিত করা। যেন পরে হিন্দুত্ববাদী আইন আদালতের মাধ্যমে দখল নিতে পারে। আর ঘটছেও এমনটাই।

      এদিকে, গত ১২ সেপ্টেম্বর, সোমবার উত্তরপ্রদেশের বাগপতে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়, রাজ্যের মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী এবং নিশাদ দলের প্রধান উগ্র হিন্দু সঞ্জয় নিষাদ বলেছে, মন্দিরগুলির আশেপাশে অবস্থিত মসজিদগুলিকে ‘স্বেচ্ছায়’ অপসারণ করা উচিত।

      ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিষাদ বলেছে- সে মসজিদগুলোকে এমনভাবে অপসারণ করতে চায় যেভাবে অযোদ্ধায় বাবরী মসজিদকে ভেঙ্গে সরিয়ে দিয়েছে।

      উল্লেখ্য, হিন্দুদের কল্পিত দেব দেবীর কোন শেষ নেই। এগুলোর কোন ঐতিহাসিক ভিত্তিও নেই। তাই যেকোন স্থানকেই দেবদেবীর জন্মস্থান হিসেবে অবান্তর দাবি করা অসম্ভব কিছু নয়। আজ এ মসজিদ কাল ঐ মসজিদ। এ কৌশলে হিন্দুত্ববাদীরা যেকোন মসজিদকেই ভেঙ্গে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। যার সূচনা হয়েছে বাবরী মসজিদ ভেঙ্গে দেওয়ার মাধ্যমে।



      তথ্যসূত্র:
      ——–
      1. Hindu Mahasabha Official Files Plea in Mathura for Removal of Another Mosque (Clarion India)
      https://tinyurl.com/2hy83w48
      2. ‘Mosques Should Voluntarily Move Away from Temples’: UP Minister Sanjay Nishad (The Wire)
      https://tinyurl.com/mtz38588

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        হজে বেঁচে যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে দিচ্ছে তালিবান



        চলতি বছর হজের খরচের জন্য হাজিদের থেকে যে পরিমাণ অর্থ নেয়া হয়েছিল, তা থেকে বেঁচে যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামী ইমারত আফগানিস্তান। দেশটির হজ ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

        গত ১০ সেপ্টেম্বর, এক সংবাদ সম্মেলনে হজ ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী নূর মোহাম্মদ সাকিব জানান, এ বছর সাড়ে ১৩ হাজারেরও বেশি হজ যাত্রীর কাছ থেকে মোট ৫৩ মিলিয়ন ডলার নেয়া হয়েছিল। সে অর্থ থেকে খরচ হয়েছে ৪৬ মিলিয়ন ডলার। বাকি সাত মিলিয়ন ডলার বেঁচে গেছে। এ অর্থ হজ যাত্রীদের ফেরত দেয়া হবে। মন্ত্রণালয়ের প্রাদেশিক বিভাগ থেকে হাজিগণ এ অর্থ ফেরত নিতে পারবেন।

        মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফজল মোহাম্মদ হুসাইন জানান, এবার হজ পরিচালনায় ৩০০ প্রশিক্ষক (মুআল্লিম) পাঠানো হয়েছিল। এছাড়া প্রশাসনের যেসব কর্মকর্তা হজে গিয়েছিলেন, তারা নিজস্ব খরচেই হজ করেছেন।

        মন্ত্রণালয় সূত্র থেকে জানা যায়, তালিবানের এবারের শাসনামলে এটিই প্রথম হজ যাত্রা। এবার হজে গেছেন মোট ১৩ হাজার ৫৮২ জন আফগান নাগরিক। হজে যাওয়ার সময় প্রত্যেকে খরচ হিসেবে ৪ হাজার ১৩০ ডলার করে দিয়েছেন। খরচ বেঁচে যাওয়ায় এবার তারা ৫১৫ ডলার করে ফেরত পাবেন।

        এক হজ যাত্রী জানান, সার্বিকভাবে এ বছর হজ যাত্রা পরিষেবা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। এমনকি গাইডও হজ যাত্রীরা নিজেদের পছন্দমতো বাছাই করে নিতে পেরেছেন। এই সুন্দর ব্যবস্থাপনার কারণে তালিবান প্রশাসন ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।

        এই খবরে সালাহ উদ্দিন আইয়ুবী নামের এক আফগান নাগরিক মন্তব্য করেছেন, সুদিন আসছে এবং এভাবেই আসবে। আমরা আবারো সততা, বিশ্বস্ততা, গৌরব ও আভিজাত্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো, ইনশাআল্লাহ।

        এদিকে লুটেরা আমেরিকা এখনও আফগানিস্তানের বিপুল রিজার্ভ আটকে রেখেছে। তা সত্ত্বেও তালিবান প্রশাসনের কৌশলি ইসলামি শরয়ী ব্যবস্থাপনার সুফল পেতে শুরু করেছেন আফগান জনগণ।

        ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নানা ধরনের জনকল্যাণমূলক কাজ শুরু করেছেন তালিবান মুজাহিদিন। জনগণের জান ও মালের শতভাগ নিরাপত্তা ও সঠিক ব্যবহারের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। ঘুষ, দুর্নীতি ও জনগণের মাল আত্মসাতের মত জুলুমকে শরয়ী ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সকল সেক্টর থেকে বিদায় জানিয়েছেন তারা।



        তথ্যসূত্র:
        ——–
        ১. খরচ না হওয়া অবশিষ্ট অর্থ ফেরত পাবে আফগান হাজিরা
        https://tinyurl.com/mr49sv3t

        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X