Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ২১ সফর ১৪৪৪ হিজরী।। ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ২১ সফর ১৪৪৪ হিজরী।। ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

    এবার ভারতের উত্তর প্রদেশে মাদ্রাসার ওপর নজরদারির ঘোষণা
    ]

    সম্প্রতি একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরপ্রদেশের উগ্র হিন্দুত্ববাদী যোগী সরকার। রাজ্যে সরকারি অনুদান ছাড়া যে সব মাদরাসা আছে, তাদের জরিপ হবে। সেখানে জানতে চাওয়া হবে, মাদরাসা চালানোর টাকা কোথা থেকে আসে, কী পড়ানো হয় সেখানে, কতজন শিক্ষক আছেন, কারা এই মাদরাসার সঙ্গে যুক্ত ইত্যাদি। আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে জরিপ শেষ করে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেয়া হবে।

    উত্তরপ্রদেশে মোট ১৬ হাজার ৪৬১টি মাদরাসা আছে। যার মধ্যে ৫৬০টি মাদরাসা সরকারি অনুদান পায়। যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে নতুন করে কোনো মাদরাসাকে সরকারি অনুদান দেয়া হয়নি। বরং মাদরাসা বন্ধ করে দেয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছে।

    আসামে ইতোমধ্যেই একাধিক মাদরাসা বুলডোজার পাঠিয়ে ভেঙে দিয়েছে আরেক উগ্রবাদী হিন্দু হিমন্ত বিশ্বশর্মা সরকার। এসব মাদরাসায় বাংলাদেশ থেকে কথিত সন্দেহজনক মানুষের আনাগোনা ও জিহাদিদের ট্রেনিং হবার প্রোপাগান্ডা চালিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে হিন্দুত্ববাদীরা। একই কাজ উত্তরপ্রদেশে হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    কেননা উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিন্দুত্ববাদী যোগী আদিত্যনাথ চরম ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী। সে বহু আগে থেকেই মুসলিমদের বিরুদ্ধে সাধারণ হিন্দুদের উসকে দেওয়ার কাজ করে যাচ্ছে। এখন আসামের মতো উত্তরপ্রদেশেও সে মাদ্রাসায় বুলডোজার চালানোর অযুহাত তালাশ করছে বলে মনে করেন বিজ্ঞজনেরা।

    ভারতে মাদরাসায় নজরদারি করা ও জরিপ চালানোর বিষয়টিকে সাধারণ বিষয় হিসেবে দেখছেন না ইসলামি চিন্তাবিদরা। কেননা, এর আগে আসামে অবৈধ বাঙ্গালি তাড়ানোর জন্য তারা এনআরসি, সিএএ- এর মতো বহু প্রতারণামূলক জরিপ কৌশল অবলম্বন করে মুসলিমদের তাড়ানোর চক্রান্ত করেছে। এবার তারা জরিপের নামে আবারও নতুন কোনো ফন্দি এঁটে ইসলাম ও মুসলিমদের একটি গুরুত্বপূর্ণ দুর্গ মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    হিন্দুত্ববাদীদের জরিপের উপর কোনোভাবেই বিশ্বাস রাখতে পারছেন না মুসলিমরা। কারণ এরাই তুচ্ছ অজুহাতে মুসলিমদের হত্যা করছে, অবৈধ স্থাপনার অজুহাতে মুসলিমদের বাড়িঘর-দোকানপাট বুলডোজার চালিয়ে ধ্বংস করে দিচ্ছে। অথচ একই স্থানে একসাথে হিন্দুদের বাড়িঘর ও অন্যান্য স্থাপনা থাকলেও হিন্দুদের বাড়িঘর বহাল তবিয়তে রেখেই মুসলিমদেরটি ভেঙে দেয়া হয়েছে।

    এভাবে হিন্দুত্ববাদীরা নানা কৌশলে ধীরে ধীরে ভারত থেকে মুসলিমদের বিতাড়নের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে বলে মনে করেন ইসলামি চিন্তাবিদগণ। এর আগে গবেষণাতেও উঠে এসেছে, ভারতীয় মুসলিমদের উপর গণহত্যা চালানোর প্রক্রিয়ায় রয়েছে হিন্দুরা। ধর্মীয় স্থাপনাকে কেন্দ্র করে এর আগেও মুসলিমদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে। ১৯৯২ সালে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস করার সময় মুসলিমদের উপর হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। একইভাবে বর্তমানে মাদরাসাকে কেন্দ্র করেও যেকোনো সময় হিন্দুরা মুসলিমদের ওপর গণহত্যার চক্রান্ত বাস্তবায়নে নামতে পারে বলে মনে করছেন ইসলামি চিন্তাবিদরা। তাই আসন্ন বিপদের সময় নিজেদের পরিবার-পরিজনকে হিন্দুদের দয়ার ওপর ছেড়ে না দিয়ে প্রতিরোধের প্রস্তুতি গ্রহন করা।


    তথ্যসূত্র :
    ——–
    ১।
    এবার উত্তর প্রদেশের মাদ্রাসার ওপর নজরদারির ঘোষণা
    https://tinyurl.com/2p89myfj

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    সিলেটের কলেজে দাড়ি রাখতে চাইলে লাগে অনুমতি, অধ্যক্ষ বরাবর ছাত্রের দরখাস্ত




    দাড়ি রাখার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করে সিলেটের জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর আবেদন জানিয়েছে একাদশ শ্রেণির একজন ছাত্র। ১৫ই সেপ্টেম্বরে করা সেই আবেদনপত্রটি অনলাইনে ভাইরাল হয়েছে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া আবেদনপত্রটিতে দেখা যায়, সিলেটের বটেশ্বর অঞ্চলে অবস্থিত জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর আবেদন করা ছাত্রের নাম নাসিফ রাইয়ান চৌধুরী।

    তিনি প্রতিষ্ঠানটির একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।তিনি তার আবেদনপত্রে লিখেছেন, “আমি রাসূল (সা.) এর সুন্নত অনুযায়ী দাড়ি রাখতে ইচ্ছুক। এই ব্যাপারে আমার অভিভাবকের সম্মতি আছে, কিন্তু জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে দাড়ি রাখতে হলে অনুমতি প্রয়োজন হয়।”এভাবে ঐ ছাত্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বরাবর দাড়ি রাখার অনুমতি প্রার্থনা করেন। একটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দাড়ি রাখার জন্যও যে অনুমতি চাইতে হয়, এটা নিয়ে বিস্ময় এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।

    উল্লেখ্য, ২০২১ সালের এপ্রিলে জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের দুইজন শিক্ষককেও পাঞ্জাবি-টুপি পরিধান করার কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে তখন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা এবং সাধারণ জনগণ প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।








    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment

    Working...
    X