Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ২৭ সফর ১৪৪৪ হিজরী।। ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ২৭ সফর ১৪৪৪ হিজরী।। ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

    বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের সাহায্যে জাতিসংঘের টালবাহানা; বিক্ষুব্ধ গাজাবাসী



    দখলদার ইসরাইল লবিং করে গাজায় ধ্বংস হওয়া বাড়িঘর পুনঃর্নির্মাণে জাতিসংঘের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার দাবি জানায়। এরপর থেকেই গাজায় জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা (ইউএনআরডাব্লিউএ) ইসরাইলের আগ্রাসনে ধ্বংস হওয়া ঘরবাড়ি পুনঃনির্মাণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে অনিহা প্রকাশ করেছে।

    ফলশ্রুতিতে, ফিলিস্তিনিরা ত্রাণ ও পুনর্বাসনের জন্য সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। এদিকে গত ১৯ সেপটেম্বর একদল বিক্ষুদ্ধ ফিলিস্তিনি ইউএনআরডব্লিউএ এর গেইটের সামনে আগুন ধরিয়ে দেয়।

    বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, অবরুদ্ধ গাজায় দখলদার ইসরাইলি হামলায় ২০১৪, ২০২১ ও চলতি বছর ২০২২ সালে ধ্বংস হয়া বাড়িঘর পুনঃর্নির্মাণে টালবাহানা করছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির দাবি, আন্তর্জাতিক দাতারা নাকি ২০১৪ সালে ধ্বংস হওয়া বাড়িগুলির জন্য অর্থ প্রদান করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। কারণ এটি নাকি পুরোনো সমস্যা। সেসময় কমপক্ষে ১২ হাজার বাড়ি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস ও ১লাখ ৬০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল।

    ফিলিস্তিনি শরণার্থী কমিটি জানিয়েছে, ‘দখলদারদের দ্বারা ধ্বংস হওয়া বাড়িগুলির পুনঃর্নির্মাণে বিলম্বের অর্থ হল জাতিসংঘ ইসরাইলি দখলদারিত্বের এজেন্ডাকেই বাস্তবায়ন করছে। এর মাধ্যমে ফলিস্তিনিদের দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়ে তুলছে জাতিসংঘ। কমিটি জোর দিয়ে বলেছে যে, ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়িগুলির পুনঃর্নির্মাণে জাতিসংঘ বিলম্ব করার কোনো কারণ নেই।

    জাতিসংঘ সব সময়ই ফিলিস্তিনে সমস্যা জিইয়ে রেখেছে এবং গোপনে ইসরাইলের পক্ষে কাজ করেছে। এবার ফিলিস্তিনের বাড়িঘর পুনঃর্নির্মাণের বিষয়টিকে পুরোনো সমস্যার অযুহাত দেখিয়ে বন্ধ রেখেছে। এর মাধ্যমে জাতিসংঘ ইসরাইলকে বৈধ রাষ্ট্র হিসেবেই স্বীকৃতি দিচ্ছে বলে মত ইসলামি চিন্তাবিদদের।

    তথ্যসূত্র:
    ——
    1. UNRWA: protesters set fire to gate of Gaza office –
    https://tinyurl.com/522nvs4h

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ইসরাইল সফরের পরিকল্পনা ইহুদিদের মিত্র এরদোয়ানের



    তুরস্কের সেক্যুলার প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান আগামী ১৯ নভেম্বর দেশটির নির্বাচনের পর ইহুদিবাদী ইসরাইলে সফরের পরিকল্পনা করেছে বলে জানা যাচ্ছে। একজন সিনিয়র তুর্কি কর্মকর্তা মিডল ইস্ট আইকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

    ইতোমধ্যে গত ১৯ সেপ্টেম্বর সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদি প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেছে এরদোয়ান। বৈঠকে এরদোয়ান ইহুদি প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে বলেছে যে, ইহুদিদের বিরোধিতা করা মানে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ করা। এবং আগামী কিছুদিনের মধ্যে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দখলদার ইসরাইলি প্রেসিডেন্টের সাথে এরদোয়ান আরও একটি বৈঠক করবে বলে ইহুদি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।

    তুর্কি প্রেসিডেন্টকে বারবারই ইহুদিদের পক্ষ নিয়ে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে। গত মার্চ মাসে দখলদার ইহুদিদের ওপর কয়েকটি সফল হামলা চালিয়েছিল ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। বরকতময় এ হামলায় যখন গোটা মুসলিম উম্মাহর হৃদয় প্রশান্ত হয়েছিল ঠিক সেসময় ফিলিস্তিনিদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল তুরস্কের এই সেক্যুলার নেতা। সমবেদনা জানাতে এরদোয়ান সেসময় ইসরাইলি রাষ্ট্রপতি আইজ্যাক হারজোগের সাথে টেলিফোনে কথাও বলেছিল। এবং ফিলিস্তিনিদের বরকতময় হামলাগুলোকে “জঘন্য সন্ত্রাসী হামলা” বলে আখ্যা দিয়ে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল।

    ইসরাইলের আগ্রাসনে প্রতিদিনই ফিলিস্তিনিদের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে । নিয়মিতই খালি হচ্ছে ফিলিস্তিনি মায়েদের বুক। রাত হলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের। এমনকি গত মাসেই গ্রেফতার করা হয় ৪৭৫ ফিলিস্তিনিকে। ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে শত শত বাড়িঘর। হত্যা করা হয়েছে এ বছর অন্তত দের শতাধিক ফিলিস্তিনিকে। এসব ফিলিস্তিনিদের আর্তনাদ এরদোয়ানের কানে পৌঁছায় না!

    ইসরাইলি এসব আগ্রাসনের বিষয়ে বরাবরের মতই চুপ থেকেছে গাদ্দার মুসলিম ভূখন্ডের শাসকগোষ্ঠী। এসব শাসকগোষ্ঠী ইসরাইলের সাথে এতই দহরম মহরম যে মৌখিক প্রতিবাদ করতেও অপরাগ তারা। বরং ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে রীতিমত প্রতিযোগিতায় লিপ্ত রয়েছে তারা। এছাড়াও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রধান অন্তরায় হিসেবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করছে এসব দালাল শাসকগোষ্ঠী। এজন্য দখলদার ইহুদি ও পশ্চিমা ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধের প্রয়োজনেই এসব গাদ্দার শাসকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোও মুসলিমদের কর্তব্য বলে জানিয়েছেন হকপন্থী উলামা-মাশায়েখরা।


    তথ্যসূত্র:
    ——
    1. Turkey’s Erdogan plans to visit Israel after November elections-
    https://tinyurl.com/mvw5y4n6

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      পূর্ব তুর্কিস্তান || দেড় মাস ধরে উইঘুর শিশুরা স্কুলে বন্দী




      সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে যে, তুর্কীস্তানের একটি বিদ্যালয়ের মুসলিম শিশুরা বন্দী আছে তাদের শ্রেণীকক্ষেই। তাদের জন্য সেখানে না আছে বিদ্যুৎ, আর না আছে খাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত খাবার। এমনকি শোবার জন্য কোন ব্যবস্থাও নেই। ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে তাই ঘুমাতে হচ্ছে শ্রেণীকক্ষের বেঞ্চে কিংবা টেবিলের ওপর। কেউ কেউ ঘুমাচ্ছে সিমেন্টের ফ্লোরেই।বিগত দেড় মাস ধরে এই মুসলিম শিশুদেরকে শ্রেণীকক্ষে বন্দী করে বিচ্ছিন্ন রেখেছে তাদের বাবা-মা থেকে। এমতাবস্থায় সেই বাচ্চাদের জীবন নিয়ে বাবা-মা’রা বেশ আতঙ্কিত।গত দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে কথিত “জিরো কোভিড নীতির” অজুহাতে পুরো পূর্ব তুর্কীস্তানে কঠোর লকডাউন জারি রেখেছে দখলদার চীন সরকার। তুর্কীস্তানের উইঘুর মুসলিমদেরকে নিজ নিজ বাড়িতে বন্দী করে রেখেছে, আর তাদের শিশুদের বন্দী করে রেখেছে বিদ্যালয়ে। অথচ, সেখানকার অভিবাসী হান চাইনিজরা ঠিকই চলাফেরা করছে রাস্তায়। তাদের ক্ষেত্রে কোনই কঠোরতা আরোপ করেনি দখলদার প্রশাসন।প্রশাসনের এমন দ্বিমুখী নীতির কারণে ইতোমধ্যেই চীনা সরকারকে নিন্দা জানিয়েছে মুসলিম বিশ্বের জনগণ। অনেকে বলছেন যে, উইঘুর মুসলিমদের না খাইয়ে মারতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে ক্ষমতাসীন সি চিন পিং সরকার। অনেকে আবার বলছেন, এটি উইঘুর মুসলিমদের গণহত্যা প্রক্রিয়ারই একটি অংশ বিশেষ।ভাইরাল হওয়া আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, তুর্কীস্তানের একটি গ্রামের মুসলিম কৃষক অভিযোগ করছেন যে, কোভিড লকডাউন চলাকালীন তার মাঠ থেকে বেশির ভাগ ফসল চুরি হয়ে গেছে। সে বলছে, এই দেড় মাসের লকডাউনে শুধুমাত্র হান চাইনিজরাই খোলামেলাভাবে বাইরে ঘুরতে পেরেছে। অথচ মুসলিমদেরকে ঘরে বন্দী করে রাখা হয়েছে। তাই সে ধারণা করছে এমন কাজ হয়তো হান চাইনিজরাই করে থাকতে পারে।অন্য আরেক ভিডিওতে দেখা গেছে, এই দেড় মাসের লকডাউনে উইঘুর কৃষকরা বাইরে না বের হতে পারায় তাদের মাঠের সব ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া একজন কৃষকের প্রায় ৩০০টি ভেড়া না খেয়ে মারা গেছে।একটি ভিডিওতে একজন অসহায় শিশু বলছে যে, তার মা সবজি বিক্রি করে তাদের ঘর চালাতো। এখন তার মা সেটা পারছে না। এই লকডাউন কবে শেষ হবে? আমরা কবে বাইরে যেতে পারবো?বিগত দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এই লকডাউনে ইতোমধ্যেই মারা গেছে অনেক অনেক উইঘুর মুসলিম। অফিশিয়ালি মৃতের প্রকৃত সংখ্যা জানা না গেলেও মনে করা হচ্ছে, এই লকডাউনে শুধু না খেয়ে এবং ওষুধের অভাবেই মারা গেছে শত শত উইঘুর। উইঘুররা সাহায্যের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের অসহায় অবস্থার কথা প্রকাশ করলেও দখলদার সরকার উল্টো হুমকি দিয়েছে কোন প্রকার ভিডিও কিংবা ছবি না প্রকাশ করতে। কিছু উইঘুর এই লকডাউনের প্রতিবাদ করায়, দখলদার চীন প্রশাসন তাদের বন্দী করেছে।অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, পূর্ব তুর্কীস্তানে সাধারণ উইঘুর মুসলিমদের প্রতি কোন প্রকার মানবিকতা প্রদর্শন করতেই নারাজ ক্ষমতাসীন সি চিন পিং। উলামাগণ তাই বলছেন, উইঘুর মুসলিমদের এই বিপদের সময় উচিত হবে একে অন্যকে যতটুকু সম্ভব সাহায্য করা এবং এই বিপদকে আল্লাহ্‌ তা’আলার সরল পথে ফিরে আসার উপলক্ষ হিসেবে গ্রহণ করা।

      তথ্যসূত্রঃ
      ------------
      1. Video: These #Uyghur kids were locked down in their classroom.
      https://tinyurl.com/yc4y95952. Video: #Uyghur peasants in Uyghur homeland have been under “0-virus lockdown” for 45+ days.
      https://tinyurl.com/3b48np343. Video: #Uyghur farmers have been under lockdown by #Xitler’s order…
      https://tinyurl.com/m3bzx6vn4. Video: This #Uyghur boy says: When we can go outside…
      https://tinyurl.com/3vskxffm










      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করলো হিন্দু শিক্ষার্থী, নিরাপদে রাখতে আটক করলো প্রশাসন



        ফেসবুকে ইসলাম নিয়ে কটূক্তির ধৃষ্টতা দেখালো আরেক উগ্র হিন্দু যুবক। এবার রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সুজন পাল ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করেছে। এতে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে তাকে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে আটক করা হয়।

        তাজহাট থানার ওসি বলেছে, ‘ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে তাকে (সুজন পাল) আটক করা হয়েছে। এখনো তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি।’

        ওদিকে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেছে, ‘ধর্মের বিষয়টি স্পর্শকাতর। ওই শিক্ষার্থী ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার রাতে উত্তেজনা তৈরি হলে তাকে আটক করা হয়। যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে তাকে সেফ করার জন্য আটক করা হয়েছে। আটক না করলে আজ হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি হতো।’

        অর্থাৎ ইসলাম নিয়ে কটূক্তিকারীকে তারা নিরাপদে রাখার জন্য আটক করেছে। এভাবেই ইসলাম ও নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে কটূক্তিকারীদেরকে বাঁচানোর জন্য সরকার আটকের নামে তাদেরকে মূলত নিরাপত্তায় রাখে। আর সরকারের এমন পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েই ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক এবং হিন্দু সন্ত্রাসীরা বার বার ইসলাম ও নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে কটূক্তি করার ধৃষ্টতা দেখায়।

        সূত্র: ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে বেরোবি ছাত্র আটক https://tinyurl.com/2p935krb



        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X