Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১৮ই জিলহজ, ১৪৪১ হিজরী # ০৯ আগস্ট, ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১৮ই জিলহজ, ১৪৪১ হিজরী # ০৯ আগস্ট, ২০২০ঈসায়ী।

    ভারতে ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘মোদি জিন্দাবাদ’ না বলায় মুসলিম বৃদ্ধকে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের মারধর

    ভারতের রাজস্থানে ‘জয় শ্রী রাম’ ও ‘মোদি জিন্দাবাদ’ না বলায় এক মুসলিম অটো চালককে বেধড়ক মারধর করেছে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা ।

    গফফার আহমেদ কাছওয়া (৫২) নামে ওই অটোচালকের কাছে থেকে নগদ ৭০০ টাকা ও হাত ঘড়িও ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে।

    শনিবার ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ, শুক্রবার রাজস্থান রাজ্যের সিকার জেলার ওই ঘটনায় অভিযুক্ত শম্ভুদয়াল জাট (৩৫) এবং রাজেন্দ্র জাট (৩০) নামে দু’জনকে আটক করা হয়েছে।

    ক্ষতিগ্রস্ত অটো চালক গফফার আহমেদ কাছওয়া বলেন, মারধরের ফলে তার দাঁত ভেঙে গেছে এবং মুখ ও চোখে আঘাত লেগেছে। তাকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়া হয় বলেও অভিযোগ।

    অভিযোগপত্রে ক্ষতিগ্রস্ত অটো চালক গফফার আহমেদ জানান, এক ব্যক্তি তাকে ‘মোদি জিন্দাবাদ’ ধ্বনি দিতে বলতে বলেন। তিনি তা অস্বীকার করলে তাকে সজোরে চড় মারা হয়। এরপরেই তিনি গাড়ি নিয়ে সিকারের দিকে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা গাড়ি অনুসরণ করে জগমালপুরার কাছে তাকে আটকায়।

    তিনি বলেন, এসময় জোর করে আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় এবং তারা আমাকে জোর করে ‘মোদি জিন্দাবাদ’ ও ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি দিতে বলে। মারধরের পাশাপাশি তাকে পাকিস্তানে পাঠানোর হুমকি দেয়া হয় বলে তিনি জানান।

    এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের দেওয়ান আব্দুল গণি কলেজের বিশিষ্ট অধ্যাপক ও সমাজকর্মী ড. মুহাম্মাদ ইসমাইল শনিবার বলেন, ‘ভারতে যাদের ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেয়ার কথা নয়, যারা মনেপ্রাণে চায় না তা বলতে, তাদেরকে *জোর করে বলানো হচ্ছে, বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজনকে। এখন আবার নতুন করে গত ৫ আগস্ট রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্যদিয়ে বিজেপি আরো একটা চেষ্টা করতে চাচ্ছে, সমান্তরালভাবে শ্রী রামের পাশাপাশি মোদিকেও আদর্শ হিসেবে উপস্থাপন করতে চাচ্ছে। তাদের প্রথম ও দ্বিতীয় মেয়াদে এপর্যন্ত গঠনমূলক কাজকর্ম দেখলে স্পষ্ট হবে, বর্তমানে ভারতের অর্থনৈতিক দুরবস্থা, বেকারত্ব ও অন্যান্য সমস্যা বেড়েছে।’

    তিনি আরো বলেন, ‘ওরা ধর্মকে কেন্দ্র করে একটা শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। যার মধ্য দিয়ে অশিক্ষিত মানুষজনকে মগজ ধোলাই করে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাচ্ছে। এটাই ওদের মূল উদ্দেশ্য এবং এটা অবশ্যই নিন্দনীয়। কারণ জোর করে কাউকে ‘জয় শ্রীরাম’ও বলানো যায় না, আর মোদির নামে ধ্বনিও দেয়ানো যায় না। শাসকশ্রেণির প্রশ্রয়ে এসব যুবক এবং বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এসব কাজকর্ম করাচ্ছে।’

    আমরা বরাবরই এসবের নিন্দা জানিয়েছি এবং সমস্ত শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ এসব ঘটনার নিন্দা জানাবে বলেও অধ্যাপক ও সমাজকর্মী ড. মুহাম্মাদ ইসমাইল মন্তব্য করেন।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    'বিস্ফোরণ নয়, বোমা বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল লেবাননের রাজধানী বৈরুতে'

    লেবাননের ভয়াবহ বিস্ফোরণ নিছক কোনো দুর্ঘটনা নয়, একটি পরিকল্পিত হামলা। বোমা কিংবা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এমন আশঙ্কা দেশটির প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনের।

    বিস্ফোরণের চার দিন পর শুক্রবার বৈরুতে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সন্দেহের কথা তুলে ধরেন আউন।

    তিনি বলেন, শস্যভাণ্ডার ধ্বংসের কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে এতে বাইরের কোনো দেশের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।

    বাইরে থেকে রকেট হামলা, বোমা অথবা অন্য কোনো মাধ্যমে গুদামঘরে হামলা হয়ে থাকতে পারে বলেও মন্তব্য করেন লেবানিজ প্রেসিডেন্ট।

    শুক্রবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট অ্যামেনুয়েল ম্যাক্রন লেবানন সফরে গেলে প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন তার কাছে বিস্ফোরণের সময়কার স্যাটেলাইটে ধারণ করা ছবি দিয়ে তদন্ত কাজে সহযোগিতার আহ্বান জানান।

    লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় বিদেশি ষড়যন্ত্র খতিয়ে দেখতে চায় দেশটির সরকার।

    বিস্ফোরণের নেপথ্যে বিদেশি ষড়যন্ত্র ও যোগসাজশ থাকতে পারে বলে মনে করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন। তদন্তে এই বিষয়টিই খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    মঙ্গলবার বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনভাবে তদন্ত চলছে, প্রথমত বিস্ফোরক উপাদান কীভাবে গুদামঘরে ঢুকল এবং সংরক্ষণ কীভাবে করা হয়েছিল।

    দ্বিতীয়ত, বিস্ফোরণটি দুর্ঘটনাবশত অথবা অবহেলার কারণে হয়েছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সবশেষ এতে বাইরের কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলেও মনে করেন তিনি। তবে তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে বলে আশাবাদী লেবাননের প্রেসিডেন্ট।

    লেবানন থেকে সাইপ্রাসের দূরত্ব ১৮০ কিলোমিটার হলেও বিস্ফোরণের ঘটনায় কেঁপে ওঠে দ্বীপ রাষ্ট্রটি। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সে দেশের জনগণের মধ্যে। অনেকেই ভেবেছিলেন তাদের আশপাশের কোথাও বিস্ফোরণ ঘটেছে।

    এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫৭ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আরও মরদেহ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    সূত্র :ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ওসি প্রদীপের অঢেল সম্পদ ॥ দেশে-বিদেশে বিলাসবহুল বাড়ির খোঁজে গোয়েন্দারা

      মাদক বিরোধী অভিযানের নামে কক্সবাজারে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। মাদক বিরোধী অভিযানের নামে মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে শুরু করে বন্দুকযুদ্ধ প্রতিযোগিতা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যমতে-দেশে সবচেয়ে বেশি বন্দুকযুদ্ধে নিহতের ঘটনা ঘটেছে টেকনাফে। আর এই নৃশংস ঘটনার মূল হোতা প্রদীপ কুমার দাশ। চাহিদা মতো টাকা না দিলে লোকজনকে ধরে এনে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করা হতো। এছাড়াও অনেক রোহিঙ্গাকে বন্দুকযুদ্ধে হত্যা করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে অপকর্ম চালিয়ে যেতেন সদ্য প্রত্যাহার ও গ্রেফতার হওয়া ওসি প্রদীপ। আর বন্দুকযুদ্ধের আড়ালে তিনি গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। সর্বশেষ ঈদুল আযহার আগের দিন ৩১ জুলাই সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে গুলী করে হত্যার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রদীপ কুমার, পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৭ পুলিশ সদস্য। এই নয় পুলিশের বিরুদ্ধে করা হত্যা মামলায় ওসিসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা বর্তমানে র*্যাব-১৫ এর হেফাজতে ৭ দিনের রিমান্ডে আছেন। আরও দুই জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। পাশাপাশি ওসি প্রদীপ কুমার ও তার স্ত্রীর সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

      সাবেক মেজর সিনহাকে গুলী করে হত্যার অভিযোগ এনে এ ঘটনা আইনশৃঙ্খরা বাহিনীর পাশাপাশি তদন্ত করছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতরের (ডিজিএফআই) গোপন তদন্ত প্রতিবেদনে স্থানীয় টেকনাফ থানা পুলিশের বিরুদ্ধে সন্দেহভাজন অপরাধীদের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, হত্যার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকা পুলিশ একজন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যায়ও কোনরূপ দ্বিধা করেনি। একটি গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে জানাগেছে, থানার ওসির নির্দেশ ছাড়া কোন অফিসার গুলী চালাতে পারে না। সিনহাকে গুলী করার ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শী বিবরণ থেকে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয়েছেন। গুলী করার আগে এসআই লিয়াকত তার মোবাইল ফোন থেকে ওসি প্রদীপের সাথে কথা বলে তার নির্দেশেই সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে গাড়ি থেকে নামিয়ে কোন কথা বলতে না দিয়েই সরাসরি বুকে পর পর গুলী করেন।

      জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর ওসি প্রদীপ কুমার টেকনাফ থানায় যোগদান করেন। এর পর থেকে গত ২২ মাসে শুধু টেকনাফে ১৪৪টি কথিত বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। আর এসব বন্দুকযুদ্ধের নামে ওসি প্রদীপ কুমার ২০৪ জনকে গুলী করে হত্যা করেছে। তাদের অর্ধেকের বেশি লাশ পড়েছিল মেরিন ড্রাইভে। যারা তার হাতে মারা গেছে, তাদের পরিবারগুলোও বর্তমানে নিঃস্ব হয়ে গেছে। যাকে ক্রসফায়ার করা হতো, তাকে ক্রসফায়ারের আগে অন্তত ১০ থেকে ১২ দিন থানা হাজতে রাখা হতো। এমন ঘটনাও রয়েছে মাসের পর মাস হাজতেই রাখা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে থানা হাজতে থাকা ব্যক্তির পরিবার পরিজনের কাছ থেকে ক্রসফায়ার না দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আদায় করা হতো লক্ষ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি স্বর্ণালংকার। কিন্তু শেষ সম্বল পর্যন্ত প্রদীপের হাতে তুলে দিয়েও বাঁচতে পারেনি অনেকেই। গত এক বছরে কক্সবাজারে ৫৩ রোহিঙ্গা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। যাদের ইয়াবা কারবারী বলে পুলিশ উল্লেখ করেছে। টেকনাফ থানার বহুল আলোচিত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ২০১৯ সালে পুলিশের সর্বোচ্চ পদক ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক’ বা বিপিএম পেয়েছিলেন। পদক পাওয়ার জন্য তিনি পুলিশ সদর দফতরে ছয়টি কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করেন। সব কটি ঘটনাতেই আসামী নিহত হন। প্রদীপ কুমার দাশ প্রায় ২২ বছরের চাকরিজীবনে ঘুরেফিরে বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন চট্টগ্রাম অঞ্চলে।
      ওসি প্রদীপ গ্রেফতার হওয়ার পর মুখ খোলতে শুরু করেছেন ভুক্তভুগীরা। তারা ওসির অপকর্মের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন। মাদক নির্মূলের নামে বন্দুকযুদ্ধে লোকজনকে জিম্মি করে টাকা আদায়, এমনকি ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগও উঠছে তার বিরুদ্ধে। প্রদীপের দানবীয় কর্মকান্ড থেকে রক্ষা পায়নি বোনের জায়গাও! অভিযোগ উঠেছে, অনৈতিক কর্মকান্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থন দিয়ে প্রদীপ আয় করেছেন শত শত কোটি টাকা। দেশ-বিদেশে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের টেকনাফ থানা থেকে সদ্য প্রত্যাহার হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের চাকরিজীবনের পুরোটাই সমালোচনা ও বিতর্কে ভরা। বিতর্কিত এই পুলিশ কর্মকর্তা নানা বিতর্কের জন্ম দিয়ে চাকরিজীবনে বরখাস্ত ও প্রত্যাহার হয়েছেন কমপক্ষে পাঁচবার। প্রতিবার অদৃশ্য ক্ষমতাবলে ফিরেছেন স্বপদে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বলেন, প্রদীপ কুমার দাশ তিন বছর ধরে ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন। তার কাছে সবাই অসহায় ছিল। চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার ওসি থাকাকালে বাদুড়তলায় বোরকা পরা এক বৃদ্ধাকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ব্যাপক সমালোচিত হন প্রদীপ। এ ঘটনার পর সারা দেশে তোলপাড় হয়। এরপর পাঁচলাইশ থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয় ওসি প্রদীপকে। অসংখ্য অভিযোগ থাকার পরও অতদওসি প্রদীপ কুমার ছিলেন এতদিন ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

      একটি সূত্র জানায়, ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকী কারনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ সম্প্রতি অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রাম কার্যালয়। সম্প্রতি এই অভিযোগটির অনুসন্ধান শুরু হয়। অনুসন্ধানের একপর্যায়ে তাদের কাছে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এই দম্পতি আলাদাভাবে তাদের সম্পদের হিসাব কমিশনে জমা দিয়েছেন। দুদকের অনুসন্ধানে ওসি প্রদীপ কুমার ও তার স্ত্রীর নামে-বেনামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ থাকার প্রমাণ মিলেছে। এর মধ্যে স্ত্রীর নামে চট্টগ্রাম মহানগরে ৬তলা বাড়ি, প্লট, ফ্ল্যাট, একাধিক গাড়ি ও অন্যান্য সম্পদের প্রমাণ পাওয়া যায়। বিদেশেও বাড়ি রয়েছে এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই আওয়ামী পুলিশ অফিসারের সাথে ভারতীয় দূতাবাসের যোগসাজশের কথা উঠে আসছে নানা গণমাধ্যমে । দৈনিক সংগ্রাম
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ফিলিস্তিনি যুবতীকে গুলি করে হত্যা করলো ইসরায়েলি সেনারা

        ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনারা ফিলিস্তিনের ডালিয়া আহমেদ সুলাইমান আস-সামুদি নামে ২৩ বছর বয়সী এক যুবতীকে গুলি করে হত্যা করেছে।

        ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে আল-জাজিরা জানায়,গতোকাল শুক্রবার সকালে সন্ত্রাসী ইহুদি সেনারা দখলকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরে জেনিন শহরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়। গুলিতে গুরুতর আহত হলে বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

        তথ্যসূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে সন্ত্রাসী ইসরাইলি বাহিনী জেনিন শহরে প্রবেশ করে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের উপর সরাসরি গুলি চালায়। এ সময় নিজ বাড়িতে অবস্থানকারী সামুদি গুলিবিদ্ধ হোন।

        পিআরসিএস পরিচালক মাহমুদ আল সা'দি বলেছেন, সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হলে হাসপাতালে নেবার জন্য অ্যাম্বুলেন্স আসে। এ সময় ওই অ্যাম্বুলেন্স লক্ষ করেও গুলি চালায় সন্ত্রাসী সেনারা।

        নিহত ফিলিস্তিনি বোনটির একটি শিশুসন্তান রয়েছে। ইসরায়েলিদের বর্বরতায় শিশুটি মাতৃহারা হলো।
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          কাশ্মীরে মালাউনদের পেলেটের শিকার মুসলিমদের যন্ত্রণা

          সালটি ছিল ২০১৭। মধ্যরাতে ২৮ বছর বয়স্ক মোহাম্মদ আশরাফ ওয়ানি কাশ্মীরের একটি হাসপাতালে ট্রাঙ্কুইলাইজার নিচ্ছিলেন। তার চোখ দুটি ছিল পেলেটের আঘাতে জর্জরিত। চিকিৎসারত অবস্থাতেই তার ফোনটি বেজে ওঠে। অপর প্রান্ত থেকে একজন বললেন, তারা তিন বন্ধু আত্মহত্যা করতে যাচ্ছেন, বিষয়টি তাকে জানাতে ফোন করেছেন।

          তিনজনের সবাই তাদের নিজ নিজ পরিবার থেকে পালিয়ে এসে গভীর রাতে ঝিলাম নদীর একটি সেতুর কাছে জড়ো হয়েছেন। তিন বন্ধু নদীর পানিতে ঝাঁপ দিয়ে তাদের জীবন অবসান ঘটাতে চাচ্ছেন। তবে তারা মনে করলেন, মৃত্যুর আগে তাদের বন্ধু আশরাফকে বিদায় জানানো দরকার। ফোনে একজন ভাঙা গলায় বললেন, তারা যন্ত্রণা আর সহ্য করতে পারছেন না। সবাই তাদের ছেড়ে চলে গেছে।

          কাশ্মীর উপত্যকায় তখন স্বাধীতাকামীদের নেতা বুরহান ওয়ানির হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ফুঁসছে। বাড়তে থাকা বিক্ষোভ প্রশমিত করার জন্য মালাউন সরকার দমন অভিযান শুরু করে। এতে ৯০ জনের বেশি নিহত ও ১১ হাজার আহত হয়।

          কাশ্মীর নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে ঘটনাটিকে ‘মৃত চোখের মহামারি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছিল। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ছোঁড়া পেলেট গানে আহত হচ্ছিল। এই ‘অপ্রাণঘাতী’ অস্ত্রে হাজার হাজার লোক আহত হচ্ছিল। ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে ২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত বিক্ষোভে মালু বাহিনীর গুলিতে প্রায় ২০০ লোক নিহত হওয়ার পর বিকল্প হিসেবে ‘অপ্রাণঘাতী’ অস্ত্র পেলেট ব্যবহার করা হচ্ছিল। রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল এই যে দূর থেকে নিক্ষেপ করা হলে শটগান পেলেট লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

          আশরাফের সাথে যে তিন বন্ধু কথা বলছিল, তারা ২০১৬ সালের বিক্ষোভে পেলেটে আঘাতপ্রাপ্ত হযেছিলেন। তারা আংশিকভাবে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন। প্রতিবন্ধী হয়ে তারা নিজেদেরকে পরিবারের বোঝা মনে করতেন। আশরাফ নিজেও ছিলেন পেলেটের শিকার। তার বাম চোখে অস্ত্রোপচার হচ্ছিল। তার ডান চোখ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। বাম চোখে সামান্য দেখতে পেতেন। এর ফলে ২৮ বছর বয়স্ক এই তরুণের মনে আশাবাদের সৃষ্টি হয় যে একদিন তিনি হয়তো ভালোভাবে দেখতে সক্ষম হবেন।

          আশরাফ স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমি ওই রাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। ফোনটি পেয়ে কষ্ট পেয়েছিলাম। আমি তাদেরকে বলেছিলাম, ফোনটি না কাটতে। আমি চেয়েছিলাম তাদের সাথে কথা বলা অব্যাহত রাখতে, তাদের পুরো কাহিনী বর্ণনা করতে। ওই পর্যায়ে মৃত্যু নিয়ে নসিহত করা বা সুন্দর জীবনের কথা বলার মতো অবস্থা ছিল না। আমি স্রেফ তাদের কান্না শুনছিলাম, নিজেকে বলছিলাম যে তাদের স্বজন ও বন্ধুরা পর্যন্ত তাদেরকে ছেড়ে গেছে।

          আশরাফ টেলিফোনে কথা বলা অব্যাহত রাখলেন। ততক্ষণে ফজরের আজান শুরু হয়ে গেছে। ওই সময়ই আশরাফ তার বন্ধুদের বললেন, কাশ্মীরে পেলেটের শিকার লোকদের জন্য কিছু একটা করা উচিত। এমন একটি প্লাটফর্ম করা উচিত যেখানে তারা তাদের কথা বলতে পারবেন, একটি শক্তিশালী কণ্ঠস্বরে পরিণত হবে এটি।

          তিনি তার উত্তেজিত বন্ধুদের বললেন যে তিনি কখনো তাদেরকে তাদের পরিবারের বোঝা মনে করতে দেবেন না। তিনি বললেন, আমরা কোনো না কোনো উপায় বের করবই। স্রেফ আত্মহত্যা করো না। ‘তার কথায় তাদের মধ্যে আত্মহত্যার চিন্তা উধায় হয়ে গেল।

          আশরাফ*সাউথ এশিয়ান মনিটরকে বলেন, এভাবেই পেলেট ভিক্টিম ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট গঠিত হয়। আমরা প্রায়ই মিলিত হই, আমাদের সমস্যাবলী ও অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করি।

          এই সমিতি পেলেট গানের শিকার লোকদের চিকিৎসা, শিক্ষা ও অন্যান্য প্রয়োজন মেটানোর জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। তারা ১,৩৩৫ জনকে সহায়তা করেছেন। পেলেটের শিকার লোকদের দীর্ঘ দিন চিকিৎসা চালাতে হয়। কিন্তু গরিব হওয়ায় তাদের অনেকের পক্ষেই তা চালানো সম্ভব হয় না।

          পেলেটের শিকার সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হচ্ছেন ৭৫ বছর বয়স্ক দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামার এক লোক। আর সর্বকনিষ্ঠ হচ্ছে ১৮ মাসের শিশু হিবা নিসার। আশরাফ বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে কি একই অস্ত্রের শিকার ৭৫ বছর বয়স্ক বৃদ্ধ ও ১৮ মাসের শিশু পাওয়া যাবে? অন্য সব দেশে তো পেলেট ব্যবহার করা হয় পশুদের বিরুদ্ধে।

          আর্টসে গ্রাজুয়েট আশরাফ বলেন, কাশ্মীরে পেলেট গানের শিকারদের মধ্যে ৬৫ ভাগই ছাত্র। আর ১০ ভাগের বেশি শিশু।

          আশরাফ বলেন, পেলেটের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আমরা হাইকোর্টে আবেদন করেছি। আমরা সরকারের কাছে জানতে চেয়েছি, তারা কেন অচিহ্নিত বিক্ষোভকারীদের প্রতি এটি ব্যবহার করছে। কিন্তু আমাদের আবেদন সরাসরি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। উচ্চতর আদালতে যাওয়ার মতো অর্থও আমাদের নেই।

          আশরাফের দেহেই পেলেটের ৬৫০টির বেশি আঘাত রয়েছে। পেলেটে অন্ধ হওয়ার মাত্র দুই মাস আগে তার বুকে বুলেট বিঁধেছিল। বুরহান ওয়ানির সমর্থনে বিক্ষোভ করার সময় নিরাপত্তা বাহিনী গুলি ছুড়লে অনেকে হতাহত হয়। আশরাফের বুকে গুলি লাগে। এক সপ্তাহ তিনি অজ্ঞান ছিলেন। আর হাসপাতালে ছিলেন এক মাসের বেশি সময়।

          হাসপাতাল থেকে ফিরে এসে আরেক দুর্যোগে পড়েন তিনি। এবার আহত হন পেলেটে। আবার ছু্টে যান হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা জানান, তার বাম চোখ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে, ডান চোখ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

          আশরাফ বলেন, পেলেটের যন্ত্রণা একইসাথে মানসিক ও শারীরিক। পেলেটের শিকাররা মারাত্মক মানসিক সঙ্কটে থাকেন। তাদের সবসময় মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের তদারকিতে থাকতে হয়।

          তিনি বলেন, আমার দেহের ভেতরে এখনো ৬৫০টির বেশি পেলেট আছে। গ্রীষ্মে তাপমাত্রা বাড়লে পেলেটগুলোও গরম হয়ে ওঠে। তখন মনে হয়, আমি বুঝি দোজখের আগুনে জ্বলছি। তখন মৃত্যু কামনা করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না।

          আশরাফ*সাউথ এশিয়ান মনিটরকে বলেন, তার সমিতির প্রাথমিক লক্ষ্য হলো কাশ্মীরীদের প্রতি সরকার যে আচরণ করছে, সে সম্পর্কে জনসাধারণকে অবগত করা। তারা পেলেট গান কাশ্মীরে পুরোপুরি বন্ধ করার দাবিতে সোচ্চার হওয়ার আহ্বানও জানাচ্ছে।

          আশরাফ বলেন, আমরা প্রতি শুক্রবার বিভিন্ন মসজিদে গিয়ে সাহায্য কামনা করি আমাদের চিকিৎসা ও শিক্ষার ব্যয় নির্বাহ করার জন্য। আমরা লোকজনকে বলি, পেলেট আমাদের কী ক্ষতি করেছে। আমরা চাই না কাশ্মীরীদের আরেকটি প্রজন্ম এই যন্ত্রণা ভোগ করুক।
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            বাবরি মসজিদের স্থানে মন্দির নির্মাণ বিশ্বমুসলিমের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে : বাবুনগরী

            বহুল আলোচিত শহীদ বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণ কাজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন হাটহাজারী মাদরাসার স্বনামধন্য মুহাদ্দিস, শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
            বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, কট্টর হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার গায়ের জোরে বাবরি মসজিদের পবিত্র জায়গায় অপবিত্র মন্দির নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর করায় বিশ্ব মুসলিমের কলিজায় রক্তক্ষরণ হয়েছে। মসজিদের জায়গায় মন্দির নির্মাণ মুসলমানরা কখনো মেনে নেবে না। আজ নয় কাল বিশ্বমুসলিম বাবরি মসজিদকে পুনরুদ্ধার করবে,ইনশাল্লাহ।

            তিনি বলেন, মসজিদ আল্লাহ তায়া’লার ঘর, পৃথিবীর সর্বোৎকৃষ্ট জায়গা। মুসলিম উম্মাহর ইবাদতের পবিত্র স্থান। যেখানে একবার মসজিদ নির্মাণ হয় তা সর্ব সময়ের জন্য মসজিদের হুকুমেই থেকে যায়। সেই জায়গার পবিত্রতা রক্ষা করতে হয়। বাবরি মসজিদের স্থানে মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর করে মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট করা হয়েছে। ভারত সরকারের এ কাজ মসজিদকে অবমাননার শামিল। আল্লাহ তায়ালার ঘর মসজিদের সাথে এই বেআদবীমুলক আচরণের কারণে মোদি সরকারের মসনদ ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, আজ মুসলমানদের পবিত্র স্থানে রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর করে মুসলিম উম্মাহর কলিজায় ছুরিকাঘাত করেছে উগ্রবাদী মোদি সরকার। বাবরি মসজিদ স্রেফ একটি মসজিদ নয় উল্লেখ করে আল্লামা বাবুনগরী বলেন- বাবরি মসজিদ মুসলমানদের পাঁচশত বছরের ঐতিহ্য। মসজিদের স্থানে মন্দির নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর করে মুসলমানদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। ধর্মাচরণের স্বাধীনতার বিষয়টি ভারতের কুফুরী সংবিধানে উল্লেখ থাকলেও বাবরি মসজিদের জায়গায় মন্দির নির্মান কাজ শুরু করে মুসলমানদের সেই ধর্মীয় স্বাধীনতাও হরন করা হয়েছে।
            পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হোক না কেন তা বিশ্বের সকল মুসলমানদের। বাবরি মসজিদ ইস্যু স্রেফ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়, বরং এর সাথে বিশ্ব মুসলিমের ধর্মীয় অনুভূতির সম্পৃক্ততা বিদ্যমান। তাই ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদকে পুনরুদ্ধারে* বিশ্ব মুসলিম নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ হওয়া সময়য়ের অপরিহার্য দাবী।(সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              গাম্বিয়াকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহত্যার তথ্য দিতে ফেসবুকের অস্বীকৃতি


              রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়ে ফেসবুক মিয়ানমার আর্মির যোগাযোগের কোনো তথ্য গাম্বিয়াকে দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। কোনো দেশের সম্পর্কে এভাবে তথ্য দেয়ার মার্কিন আইনের পরিপন্থী। যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে তথ্য না দেয়ার পক্ষে এমন যুক্তি উপস্থাপন করে প্রতিষ্ঠানটি।

              গত জুনে গাম্বিয়া আন্তর্জাতিক আদালত (আইসিজে)-এ মামলা করার পর মিয়ানমারের কর্মকর্তারা কখন কিভাবে, কার সঙ্গে কি আলোচনা করেছেন এসব তথ্য চেয়ে অনুরোধ করা হয়। সেই অনুরোধে সাড়া না দেয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।’

              রয়টার্স এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে গামবিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল দাওয়াদা জাল্লোও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

              এর আগে এ বছরের ২০ জানুয়ারি নেদারল্যাডন্সের দ্য হেগের আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত (আইসিজে) মিয়ানমারকে প্রাথমিকভাবে দোষী সাব্যস্ত করে এবং গণহত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানায়।

              সে সময় ওই মামলার বাদি গাম্বিয়ার বিচারমন্ত্রী আবুবকর তাম্বাদু বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনী এবং বেসামরিক বাসিন্দারা সংগঠিত হামলা চালাচ্ছে, বাড়িঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে, মায়ের কোল থেকে শিশুদের ছিনিয়ে নিয়ে জ্বলন্ত আগুনে ছুঁড়ে মারছে, পুরুষদের ধরে ধরে মেরে ফেলছে, মেয়েদের ধর্ষণ করছে এবং সব রকমের যৌন নির্যাতন করছে।'

              মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যার বিষয়ে সে দেশের গণমাধ্যমকে সরকার কোনো খবর প্রকাশ করতে বাধা দেয়ায় ঘটনা আড়ালে থেকে যায় দীর্ঘ দিন। সংবাদ প্রকাশের জেরে আটক করা হয় রয়টার্সের দুই সাংবাদিককও। অন্যদিকে রোহিঙ্গারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গণহত্যার বিষয়ে কোনো পোস্ট করলে সেটি মুছে দিতো ফেসবুক। দাবি করে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা এক্টিভিস্ট। বন্ধ করে দেয়া হয় রোহিঙ্গাদের পরিচালিত বেশ কয়েকটি কমিউনিটি গ্রুপ। এতে গণহত্যার খবর গোপন থাকে। কিন্তু ২০১৭ সালের আগস্টের শেষ সপ্তাহে গণহত্যা ভয়াবহ রূপ নেয়। রোহিঙ্গারা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ প্রবেশ করতে থাকেন। তখন বাংলাদেশের গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হতে থাকলে বিশ্বের *দৃষ্টি গোচর হয় ঘটনাটি।

              পক্ষান্তরে মিয়ানমার সেনাবাহিনী এক তরফা ফেসবুকে রোহিঙ্গা বিরোধী মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করতে থাকে। যার বিরুদ্ধ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ফেসবুক। গণহত্যার বিষয়ে জাতিসংঘের নিন্দা ও ফেসবুকের এমন কার্যক্রমের সমালোচনা শুরু হয় বিভিন্ন মাধ্যমে।

              সূত্র: রয়টার্স
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                ইন্নালিল্লাহ....।
                হে আল্লাহ ভারতের মুসলমানদেরকে হিফাজত করুন।
                আর নাপাক মালুদেরকে ধ্বংস করুন,আমীন।
                হে আল্লাহ আপনি বিশ্বের সকল মুসলিম জাতিকে তাগুতের হাত থেকে হিফাজত করুন,আমীন।
                হে আল্লাহ আপনি বিশ্বের সকল মুজাহিদ ভাইদেরকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখুন,আমীন।
                হে আল্লাহ আপনি আমাদেরকে শহিদ হিসাবে কবুল করুন,আমীন।
                ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                Comment

                Working...
                X