উইঘুরদের ‘একা’ ছাড়তে নারাজ তালিবান : বিনিয়োগ করেনি চীন
রাশিয়ার পর চীন এই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার করবে- এমন মন্তব্যই করছিল অনেকে। অনেক সমালোচক তো আগ বারিয়ে এমনটাও দাবি করেছিলেন যে, চীনের ‘প্রতিশ্রুত বিনিয়োগ’ আর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির আশায় তালিবান ভুলে যাবে উইঘুরদের। তবে সব মন্তব্য-সমালোচনাই এখন অনেকাংশেই নিষ্ফল হয়েছে সময়ের পরিক্রমায়। কেননা আফগানিস্তানে চীন এখনো ‘প্রত্যাশিত’ অর্থনৈতিক বিনোয়োগে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
কিন্তু কেন?
গত ২০২১ সালের আগস্টে সম্পূর্ণরূপে আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যায় ক্রুসেডার আমেরিকা ও তার মিত্ররা। আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে মন্তব্য করা হয়েছিল যে, চীন এখানে নিজের জন্য একটি বড় কার্যকলাপের ক্ষেত্র তৈরি করবে।
এই মন্তব্যগুলি তখন বিশ্ব রাজনীতির ভূ-কৌশলগত সম্পর্ক ও বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্বের বিষয় হয়ে উঠেছিল। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও চীন এ ব্যাপারে এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। আর তালিবানও তাদের নীতিতে কোনো ছাড় দেয়নি। ফলে চীন এখন পর্যন্ত আফগানিস্তানে এক পয়সাও বিনিয়োগ করেনি।
সুতরাং, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পর চীন এই অঞ্চলে তৎপরতা গড়ে তুলবে বলে যে মন্তব্য করা হতো, তা এখন অনেকাংশে ভিত্তিহীন হয়ে উঠেছে।
এবিষয়ে আফগানিস্তান ‘চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট’-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেছেন যে, “চীন এই অঞ্চলে এখনো একটি পয়সাও বিনিয়োগ করেনি।” এখানে “অনেক চীনা কোম্পানি এসেছে, আমাদের সাথে কথা বলেছে, গবেষণা করেছে, তারপর চলে গেছে এবং অদৃশ্য হয়ে গেছে।”
চীনের এমন অবস্থানের কারণ হিসাবে জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে, চীন ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত আরোপ করেছে। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে মজলুম উইঘুর মুসলিমদের একা ছেড়ে দিতে হবে; অর্থাৎ আফগানিস্তানে আশ্রয় নেওয়া উইঘুর মুসলিমদেরকে চীনা সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। কিন্তু ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন তাঁদের দেশে আশ্রয় নেওয়া উইঘুরদের বিরুদ্ধে এধরণের কোনো অন্যায় পদক্ষেপ নেয়নি।
“আফগানিস্তান উইঘুর মুসলিমদের একা ছেড়ে দেয়নি”
চীনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে যে, ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন দেশে আশ্রয় নেওয়া মজলুম উইঘুর তুর্কি মুসলিম, বিশেষ করে তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টির প্রতি সমর্থন কমায়নি। এবং চীনের শর্ত মেনে তাদেরকে একা ছেড়ে দেননি। আর একারণে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করছে বেইজিং।
অন্যদিকে চীনা কর্মকর্তারা দাবি করছে যে, উইঘুররা আফগানিস্তানে তাদের উপস্থিতি এবং সক্ষমতা গড়ে তুলেছে, যা চীনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
এই প্রেক্ষাপটে এটা জোর দিয়ে বলা হয় যে, তালিবান চীনের শর্ত মেনে না নেওয়ায় চীন কোনো ক্ষেত্রেই, বিশেষ করে খনিগুলিতে বিনিয়োগের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
উপরন্তু, ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন চীনের সাথে পূর্বের চুক্তির শর্তাবলীগুলি পুনর্বিবেচনা করতে শুরু করে। এসময় ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন এতে ক্ষতিকর কিছু দিক খুঁজে পায়। ফলে তাঁরা এই শর্তগুলো নিয়ে চীনের সাথে পুনরায় আলোচনা করতে চায়।
আর এসব কারণে চীনও এ অঞ্চলে অতীতে হওয়া চুক্তিগুলো বাস্তবায়নে সামনে অগ্রসর হয়নি। ফলে বেইজিং প্রশাসনের সাথে মেস আইনাক অঞ্চলের তামার খনিগুলো সহ এই জাতীয় অনেক চুক্তি মুলতুবি রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে চীন অনুরূপ শর্ত পেশ করেছিল তালিবান সরকারকে। কিন্তু ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন এটি গ্রহণ করেনি। ফলে তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি ও দেশে বিনিয়োগ করেনি বেইজিং।
রাশিয়ার পর চীন এই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার করবে- এমন মন্তব্যই করছিল অনেকে। অনেক সমালোচক তো আগ বারিয়ে এমনটাও দাবি করেছিলেন যে, চীনের ‘প্রতিশ্রুত বিনিয়োগ’ আর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির আশায় তালিবান ভুলে যাবে উইঘুরদের। তবে সব মন্তব্য-সমালোচনাই এখন অনেকাংশেই নিষ্ফল হয়েছে সময়ের পরিক্রমায়। কেননা আফগানিস্তানে চীন এখনো ‘প্রত্যাশিত’ অর্থনৈতিক বিনোয়োগে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
কিন্তু কেন?
গত ২০২১ সালের আগস্টে সম্পূর্ণরূপে আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যায় ক্রুসেডার আমেরিকা ও তার মিত্ররা। আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে মন্তব্য করা হয়েছিল যে, চীন এখানে নিজের জন্য একটি বড় কার্যকলাপের ক্ষেত্র তৈরি করবে।
এই মন্তব্যগুলি তখন বিশ্ব রাজনীতির ভূ-কৌশলগত সম্পর্ক ও বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্বের বিষয় হয়ে উঠেছিল। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও চীন এ ব্যাপারে এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। আর তালিবানও তাদের নীতিতে কোনো ছাড় দেয়নি। ফলে চীন এখন পর্যন্ত আফগানিস্তানে এক পয়সাও বিনিয়োগ করেনি।
সুতরাং, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পর চীন এই অঞ্চলে তৎপরতা গড়ে তুলবে বলে যে মন্তব্য করা হতো, তা এখন অনেকাংশে ভিত্তিহীন হয়ে উঠেছে।
এবিষয়ে আফগানিস্তান ‘চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট’-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেছেন যে, “চীন এই অঞ্চলে এখনো একটি পয়সাও বিনিয়োগ করেনি।” এখানে “অনেক চীনা কোম্পানি এসেছে, আমাদের সাথে কথা বলেছে, গবেষণা করেছে, তারপর চলে গেছে এবং অদৃশ্য হয়ে গেছে।”
চীনের এমন অবস্থানের কারণ হিসাবে জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে, চীন ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত আরোপ করেছে। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে মজলুম উইঘুর মুসলিমদের একা ছেড়ে দিতে হবে; অর্থাৎ আফগানিস্তানে আশ্রয় নেওয়া উইঘুর মুসলিমদেরকে চীনা সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। কিন্তু ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন তাঁদের দেশে আশ্রয় নেওয়া উইঘুরদের বিরুদ্ধে এধরণের কোনো অন্যায় পদক্ষেপ নেয়নি।
“আফগানিস্তান উইঘুর মুসলিমদের একা ছেড়ে দেয়নি”
চীনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে যে, ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন দেশে আশ্রয় নেওয়া মজলুম উইঘুর তুর্কি মুসলিম, বিশেষ করে তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টির প্রতি সমর্থন কমায়নি। এবং চীনের শর্ত মেনে তাদেরকে একা ছেড়ে দেননি। আর একারণে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করছে বেইজিং।
অন্যদিকে চীনা কর্মকর্তারা দাবি করছে যে, উইঘুররা আফগানিস্তানে তাদের উপস্থিতি এবং সক্ষমতা গড়ে তুলেছে, যা চীনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
এই প্রেক্ষাপটে এটা জোর দিয়ে বলা হয় যে, তালিবান চীনের শর্ত মেনে না নেওয়ায় চীন কোনো ক্ষেত্রেই, বিশেষ করে খনিগুলিতে বিনিয়োগের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
উপরন্তু, ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন চীনের সাথে পূর্বের চুক্তির শর্তাবলীগুলি পুনর্বিবেচনা করতে শুরু করে। এসময় ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন এতে ক্ষতিকর কিছু দিক খুঁজে পায়। ফলে তাঁরা এই শর্তগুলো নিয়ে চীনের সাথে পুনরায় আলোচনা করতে চায়।
আর এসব কারণে চীনও এ অঞ্চলে অতীতে হওয়া চুক্তিগুলো বাস্তবায়নে সামনে অগ্রসর হয়নি। ফলে বেইজিং প্রশাসনের সাথে মেস আইনাক অঞ্চলের তামার খনিগুলো সহ এই জাতীয় অনেক চুক্তি মুলতুবি রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে চীন অনুরূপ শর্ত পেশ করেছিল তালিবান সরকারকে। কিন্তু ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন এটি গ্রহণ করেনি। ফলে তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি ও দেশে বিনিয়োগ করেনি বেইজিং।
লিখেছেন : ত্বহা আলী আদনান
Comment