Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৪ হিজরী।। ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৪ হিজরী।। ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

    রাশিয়ার সাথে জ্বালানি ও শস্য নিয়ে বড়ধরণের আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষর তালিবান সরকারের

    ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান প্রশাসন এবং রাশিয়ার মধ্যে সম্প্রতি একটি বড় ধরণের আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার মাধ্যমে রাশিয়া থেকে পর্যাপ্ত পরিমানে তেল এবং শস্য সরবরাহ করবে তালিবান সরকার।

    ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী হাজী নুরুদ্দিন আজিজি (হাফি.) ঘোষণা করেছেন যে, আফগান সরকার রাশিয়ার সাথে জ্বালানি ও শস্য সরবরাহের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

    তিনি জানান, বিশ্ব বাজারে বর্তমানে সবকিছুর মূল্য অনেক বেশি। সেই তুলনায় বর্তমান মূল্যের বিপরীতে মস্কো তার দেশের পেট্রল, ডিজেল, গ্যাস এবং শস্যজাত পণ্যের মূল্যের ক্ষেত্রে ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসনকে ছাড় দেওয়ার অফার করেছে। সেই সুবাদে আমরা জ্বালানি ও শস্য পণ্য সরবরাহ করতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি।

    মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে এসবের পরিমাণ উল্লেখ না করলেও, কিছু সূত্র উল্লেখ করেছে যে, ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন রাশিয়ার সাথে বার্ষিক ২ মিলিয়ন টন গম, ১ মিলিয়ন টন পেট্রোল, ১ মিলিয়ন টন ডিজেল এবং ৫০০ হাজার টন এলএনজি সরবরাহের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

    তালিবান মুজাহিদিন ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করেন এবং প্রশাসনিক দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এরপর সম্প্রতি রাশিয়ার সাথে প্রথমবারের মতো এতো বড় ধরণের কোন আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে তালিবান ঘোষিত ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন।

    ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান প্রশাসনকে ইসলামী দেশসহ কোনো রাষ্ট্রই আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে, ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন প্রতিবেশী এবং মুসলিম দেশগুলির সাথে রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিরবচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত রেখেছে।

    রাশিয়ার মতো চীনও ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসনের সাথে বেশ কিছু খাতে বিনিয়োগের পদক্ষেপ নিয়েছিল। তবে এর জন্য চীন চেয়েছিল তালিবান সরকার যেনো আফগানিস্তানে অবস্থানরত উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়। কিন্তু তালিবান প্রশাসন তা মানতে অস্বীকৃতি জানান। তালিবানরা জানান যে, কেউ যদি আফগানিস্তানে শরনার্থী বা অভিবাসী হিসাবে আশ্রয় চান, তাহলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমরাও তাদেরকে আশ্রয় দিবো।

    তালিবান সরকারের এমন স্পষ্ট বক্তব্যের পর বেইজিং প্রশাসন আফগানিস্তানে বিনিয়োগ করা বন্ধ করে দেয়। তবে তালিবান এর জন্য হা-হুতাশ করেনি। বরং এর মাধ্যমে তালিবান আবারও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, ৯০ দশকে তাঁরা যেভাবে আরব শাহজাদাদের আশ্রয় দিয়েছেন, এখনো তাঁরা মজলুম ও আশ্রয় পার্থী মুসলিমদের আশ্রয় দিবেন; যেমনটি বিভিন্ন দেশ রাজনৈতিক ও অভিবাসীদের আশ্রয় দিয়ে থাকে।


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    উগ্র হিন্দু রাষ্ট্র বিনির্মাণে স্বয়ংসেবকদের প্রস্তুতির আদেশ আরএসএস প্রধান ভাগবতের



    ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানাতে হিন্দুত্ববাদীরা অনেক আগে থেকেই কিছুটা গোপনীয়ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছিল; তারা অপেক্ষায় ছিল উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির। এবার রাজ্যের স্বয়ংসেবকদের প্রকাশ্যে প্রস্তুত হওয়ার আদেশ দিয়েছে আরএসএস প্রধান উগ্র মোহন ভাগবত।

    সে বলেছে, ভারতকে এমন একটা হিন্দু রাষ্ট্র হিসাবে তৈরি করতে হবে যেন পৃথিবীর অন্যান্য হিন্দুরা এসে এদেশের মানুষের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারে।‌‌ তাই সে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রতিটি সদস্যকে সেভাবেই তৈরি করার আদেশ দিয়েছে।‌‌

    গত ২৮ সেপ্টেম্বর, বুধবার কলকাতায় এসে রাজ্যের আরএসএস নেতৃত্বের উপর সেই দায়িত্বই দিয়ে গেছে সংঘপ্রধান মোহন ভাগবত। সায়েন্স সিটিতে বাংলায় সংঘের প্রবীণ প্রচারক কেশবরাও দীক্ষিত ও শ্যামলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মরণসভায় যোগ দেয় ভাগবত।

    সে বলেছে, ভারতকে গোটা বিশ্বের কাছের আদর্শ হিসাবে গড়ে তুলতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে দায়িত্ব নিতে হবে। সেভাবেই স্বয়ংসেবকদের তৈরি করতে হবে।

    যখন ভাগবত কলকাতায় এসে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আদেশ দিয়েছে, তখনই নামে মাত্র মুসলিম সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’কে নিষিদ্ধ করেছে হিন্দুত্ববাদী মোদী সরকার। শত শত পিএফআই সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’কে মৌলবাদী সংগঠন আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। মুসলিম বিশ্লেষকগণ তাই প্রশ্ন তুলেছেন যে, ‘পপুলার ফ্রন্ট তো ভারতকে মুসলিম রাষ্ট্র বানানোর ঘোষণা দেয়নি। কোন ধরণের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করেনি। অন্যদিকে, আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ প্রকাশ্যে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর ঘোষনা দিচ্ছে, অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। মুসলিমদের পিটিয়ে হতাহত করছে। তাদেরকে কেন নিষিদ্ধ করা হয় না!’

    এব্যাপারে বিশ্লেষকগণ জানিয়েছেন, তাদের নিষিদ্ধ করা হবে না। কারণ প্রশাসন ও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর উদেশ্য একই- মুসলিমদের উপর গণহত্যা চালিয়ে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানো। এর ঘোষণা তারা প্রকাশ্যভাবেই দিয়ে যাচ্ছে। মুসলিমদেরকেও তাই পরিস্থিতির নাজুকতা অনুধাবনপূর্বক সতর্ক প্রস্তুতি নিতে বলেছেন তাঁরা।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    ১. হিন্দু রাষ্ট্র হবে ভারত, রাজ্যের স্বয়ংসেবকদের প্রস্তুত হতে বলল ভাগবত
    https://tinyurl.com/5n6n424h

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      দেশে চলছে ধর্ষণের মহামারি : উত্তরায় গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

      ঢাকায় উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরে এক গৃহবধূকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে। জানা যায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার গভীর রাতে একটি পরিত্যক্ত প্লটে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ওই গৃহবধূকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে অজ্ঞান অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে।তুরাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার জানায়, মঙ্গলবার ভোরে টঙ্গী পূর্ব থানার উপপরিদর্শক মনির এক নারীকে নিয়ে তুরাগ থানায় আসেন। তিনি জানান, ওই নারীকে মঙ্গলবার গভীর রাতে উত্তরার দুই থেকে তিনজন বখাটে ধর্ষণ করেছে।

      বর্তমানে ওই নারী অজ্ঞান থাকায় ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।বর্তমানে দেশজুড়ে প্রতিদিনই একাধিক ধর্ষণের খবর শিরোনাম হচ্ছে। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট কোথাও না কোথায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। দেশে এখন কোথাও নারীদের নিরাপত্তা নেই, এমনকি বাড়িঘরেও নিরাপদ নয় নারীরা। ঘরে প্রবেশ করে ধর্ষণের খবরও গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।পশ্চিমা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় মানুষকে নারী উন্নয়নের লোকদেখানো স্লোগান দিলেও বাস্তবে নারীদের পণ্য হিসেবে ব্যবহার করছে।

      নারীদের রাস্তা-ঘাটে শ্রমিকের কাজ করতে বাধ্য করছে। অথচ ইসলাম নারীদের সম্মান, নিরাপত্তা ও অগ্রাধীকার প্রদান করলেও, কথিত সুশীল নাস্তিক্যবাদীরা নারী স্বাধীনতার কথা বলে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে। প্রকাশ্যে ইসলামের বিধান পর্দাকে কটাক্ষ করেছে।

      এখন যখন নারীরা প্রতিদিন গণধর্ষণের শিকার হচ্ছে, তাদেরকে একটি প্রতিবাদ করতেও দেখা যাচ্ছেনা। পশ্চিমাদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করা কথিত সুশীল সমাজ এমন একটি সমাজই চেয়েছিল, যেখানে সম্মানিত মুসলিম নারীরা পশ্চিমা পশু সভ্যতার মতো জীবন-যাপন করবে। আর তারা তাদের কামনা-বাসনা সহজেই পূরন করতে পারবে।
      এজন্য এসব নাস্তিক্যবাদীদের বিরুদ্ধে মুসলিম জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান হক্কানী আলেম-উলামার।


      তথ্যসূত্র:
      ——–
      ১। উত্তরায় গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
      https://tinyurl.com/2p8zuesz












      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X